'স্ত্রীর মামলায় বরখাস্ত সেই এএসপি'
'ফাঁদে ফেলে বিয়ে, চেতনানাশক খাইয়ে যৌনপল্লিতে বিক্রি'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৮ মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ‘অন্য দেশের তুলনায় বিদেশি কূটনীতিকদের ভালো নিরাপত্তা দেয় বাংলাদেশ’–ইত্তেফাক
- লোডশেডিংয়ে লিফট আতঙ্ক-মানবজমিন
- পিবিআইয়ের তদন্ত ফাঁদে ফেলে বিয়ে, চেতনানাশক খাইয়ে যৌনপল্লিতে বিক্রি-প্রথম আলো
- স্ত্রীর মামলায় বরখাস্ত সেই এএসপি-যুগান্তর
- মানুষের সেবা করতে পারছি বলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
কোলকাতার শিরোনাম:
- ‘রাহুল নয়, মোদিকে হারাতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করা হোক প্রিয়াঙ্কাকে’, দাবি বর্ষীয়ান কং নেতার-সংবাদ প্রতিদিন
- কাটেনি জট, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বাছা অধরাই-গণশক্তি
- কটক থেকে গ্রেফতার এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু, সিআইডির জালে তাঁর পুত্র, ভাইপো-আনন্দবাজার
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. রাষ্ট্রদূতদের আনসার এসকর্ট চূড়ান্ত, নোট ভারবাল যাচ্ছে দূতাবাসগুলোতে। দৈনিক মানবজমিনের এই খবরকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
২. মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ রাশিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে যাতে রাশিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিতে রুশ নাগরিকদের উৎসাহিত করা হয়েছে। কিভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
লোডশেডিংয়ে লিফট আতঙ্ক-মানবজমিন
তীব্র লোডশেডিংয়ের কবলে ঢাকাসহ পুরো দেশ। বিদ্যুৎ এই আছে তো এই নেই। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় লোডশেডিং হচ্ছে দিনে পাঁচ থেকে সাতবার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ব্যাহত হচ্ছে দিনের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে লিফট বন্ধ হয়ে আটকা পড়ার ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন ভবনে। বন্ধ লিফটে আটকা পড়ে অনেকে আতঙ্কিত সময় কাটাচ্ছেন। বার বার এমন ঘটনা ঘটায় কেউ কেউ ভয়ে লিফট ব্যবহার করছেন না। আবার ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কোনো কোনো ভবনে লিফটই বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে সিঁড়ি মাড়িয়ে বাসিন্দারা উঠানামা করছেন। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এল ডোরাডো ডেভেলপমেন্টস এর ৫৯ নম্বর আবাসিক ভবন। দশতলা ভবনটির লিফট গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়েছে বলে জানান ভবনের নিরাপত্তারক্ষী মো. কালু। তিনি গতকাল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ বার বার যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে লিফটও বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। এই ভবনের লিফট গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়েছে। দু’দিন আগে একটি শিশু লিফটের মধ্যে আটকা পড়েছিল। আমরা চাবি দিয়ে খুলে তাকে বের করি। শিশুটি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে আজ এখন পর্যন্ত একবারও বিদ্যুৎ যায়নি। তাই লিফটও বন্ধ হয়নি। তবে ভয়ে অনেকে লিফট ব্যবহার করছেন না।
একই অবস্থা পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ২৭২/ক/১ নম্বর ভবনটির। এই ভবনে গত কয়েকদিন ধরে কয়েকজন মানুষ আটকা পড়েছে বলে জানান ভবনটির নিরাপত্তারক্ষী মো. বারেক। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বার বার চলে যাওয়াতে লিফটে সমস্যা হচ্ছে। গত তিন-চার দিন থেকে অনেক বার লিফট বন্ধ হয়ে মানুষ আটকে গেছে। তাদেরকে আমরা চাবি দিয়ে খুলে বের করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ভবনে বাস করা একজন বাসিন্দা বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যাটি অনেক আগের। তবে গত কয়েকদিন ধরে এর মাত্রা তীব্র হয়েছে। দিনে পাঁচ-সাতবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। তাও আবার ঢাকা শহরের মতো এলাকায়। গত কয়েকদিন অনেক গরম ছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। ঘুমানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা হলে মাঝে মাঝেই এই ভবনের লিফট বন্ধ হয়ে মানুষ আটকে যায়। এজন্য ভয়ে কেউ কেউ লিফটে উঠেন না।
কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকার শিথিলতা দেখাবে না: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো
ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে, এসব কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে আছেন, তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো ধরনের শিথিলতা প্রদর্শন করবে না।
পিবিআইয়ের তদন্ত ফাঁদে ফেলে বিয়ে, চেতনানাশক খাইয়ে যৌনপল্লিতে বিক্রি-প্রথম আলো
ফ
প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক তরুণীকে বিয়ে করেন চুয়াডাঙ্গার এক তরুণ। এরপর স্ত্রীকে ঢাকায় নেওয়ার পথে চেতনানাশক খাইয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন। বাসের মধ্যে চেতনানাশক খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। তাঁর যখন জ্ঞান ফেরে, দেখতে পান তিনি অন্ধকার একটি ঘরে বন্দী। আড়াই মাস পর কৌশলে যৌনপল্লি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন ওই তরুণী।
একটি নালিশি অভিযোগের তদন্ত শেষে আদালতে জমা দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার আমলি আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজের এক মাস ১২ দিন পর আদালতে এই নালিশি দরখাস্ত করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিযোগ ওঠা তরুণ ও ভুক্তভোগী তরুণী একই সঙ্গে কাজ করতেন। সেখানেই তাঁদের পরিচয় হয়। ওই তরুণ তাঁর প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তবে ওই তরুণীর যে আগে বিয়ে হয়েছিল, তা তিনি জানতেন। গত বছরের মে মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের পর ওই তরুণ শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। দেড় মাস পর তরুণী জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
ভুক্তভোগী তরুণীকে যিনি যৌনপল্লিতে বিক্রি করেছেন, তিনি পলাতক। এ কারণে যাঁদের কাছে ওই তরুণীকে বিক্রি করা হয়েছিল, তাঁদের শনাক্ত করা যায়নি। আর ভুক্তভোগী তরুণী কোথায় ছিলেন, কাদের কাছে ছিলেন, তার বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি। এ কারণে ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
পিবিআইয়ের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ অবস্থায় প্রতারণার ফাঁদ পাতেন ওই তরুণ। প্রথম স্ত্রী তালাক দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী তরুণীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন। এক মাস পর ওই যুবক জানান, প্রথম স্ত্রী মামলা করেছেন। মামলার নিষ্পত্তির জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এ জন্য তিনি ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে ঢাকায় এসে পোশাক কারখানায় কাজ নেবেন। গত বছরের আগস্টের শেষের দিকে তারা বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাসের মধ্যে চেতনানাশক খাইয়ে তরুণীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে পালিয়ে যান ওই তরুণ।
পিবিআই জানায়, ভুক্তভোগী তরুণীকে গত ১ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার দেখিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়। আর তাঁর ফিরে আসার খবর পেয়ে ওই তরুণ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। ওই তরুণ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ অনুযায়ী অপরাধ করেছেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, তিনি যে ঘরে বন্দী ছিলেন, সেই ঘরের বাইরে ১১১ নম্বর লেখা ছিল। পরদিন সেখানকার ‘সরদার’ এসে তাঁকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার জন্য চাপ দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁর ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। লাঠি দিয়ে মারধরের পাশাপাশি সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেওয়া হয় তাঁকে। একপর্যায়ে তাঁকে ইনজেকশন দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয়।
আড়াই মাস পর যৌনপল্লি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন জানিয়ে ওই তরুণী জবানবন্দিতে বলেন, গত ১৫ নভেম্বর পাঁচ নারীর সঙ্গে যৌনপল্লির বাইরে একটি রূপচর্চাকেন্দ্রে (পারলার) যাওয়ার সুযোগ পান তিনি। রূপচর্চাকেন্দ্রে দুজন প্রবেশ করার পর তিনি সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। রূপচর্চাকেন্দ্রের খরচ হিসেবে তাঁকে ২৫০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকায় বাসে ভাড়া দিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। লোকলজ্জায় বিষয়টি তিনি তখন চেপে যান।
নালিশি অভিযোগের তদন্ত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সরদার বাবর আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীকে যিনি যৌনপল্লিতে বিক্রি করেছেন, তিনি পলাতক। এ কারণে যাঁদের কাছে ওই তরুণীকে বিক্রি করা হয়েছিল, তাঁদের শনাক্ত করা যায়নি। আর ভুক্তভোগী তরুণী কোথায় ছিলেন, কাদের কাছে ছিলেন, তার বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি। এ কারণে ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
জবি’র হলে ছাত্রীকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে-মানবজমিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের একটি রুমে এক শিক্ষার্থীকে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার রাতে। তবে বুধবার হল প্রভোস্টের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দেন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী হাফসা বিনতে নূর। হাফসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
মারধর করা ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন- তামান্না ইসলাম তন্বী, ইশিতা, ফাল্গুনী আক্তার, নিনজা শিকদার, ইরা ও নাজমুন নাহার স্বর্ণা। তারা সবাই জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের কর্মী।
অভিযোগে হাফসা জানান, মঙ্গলবার রাতে নিজেদের রুমের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র রুমমেট রেবেকা খাতুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার । একপর্যায়ে রেবেকা খাতুন হলের অন্য রুমের ছাত্রলীগের মেয়েদের নিয়ে এসে রুম আটকে হাফসাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন ও হেনস্তা করে। প্রায় তিন ঘণ্টা হেনস্তা করলে হাফসা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার রুম পাশে হওয়ায় আমি এসে হাফসাকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যেতে চেয়েছি। কিন্তু রেবেকা, নিনজা ও ফাল্গুনীসহ সবাই তাকে ঘেরাও করে ধরে যেন সে আসতে না পারে। একপর্যায়ে সে মোবাইল নিতে গেলেও তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে মোবাইল আনতে দেয়নি।
অভিযোগকারী হাফসা বলেন, এটি আমাদের রুমের অভ্যন্তরীণ ঘটনা।
কিন্তু আমাদের দুই ব্যাচ জুনিয়র বোটানি বিভাগের রেবেকা খাতুন হলের অন্য রুমের ৭-৮ জন মেয়েকে নিয়ে আমাদের রুমে এসে আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে। তারা সবাই মিলে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমার ওপর এ মানসিক নিপীড়ন চালায়। নিনজা শিকদার নামে এক মেয়ে এ পুরো ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। শুধু তাই নয়, এই রেবেকার কর্মকাণ্ডে আমাদের অন্য রুমমেটরাও শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার আশঙ্কার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
স্ত্রীর মামলায় বরখাস্ত সেই এএসপি-যুগান্তর
স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) হয়েছেন বহুল আলোচিত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দিন। তিনি কুড়িগ্রামের রৌমারী সার্কেলে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে তার বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী সার্কেলের এএসপি মো. সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী রিফাত জাহান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সোহেল উদ্দিন আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। পরে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর আদালত এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তাই চাকরিবিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
এদিকে সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাঁচ বছরের চাকরি জীবনের ৩ বছরেরও কম সময়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ গড়েছেন তিনি। এরমধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগও করেছেন। বাকি দেড় কোটির বেশি টাকা রয়েছে নগদ ও ব্যাংক হিসাবে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিয়েছেন আড়াই কাঠা জমি। এর বাইরেও তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অলঙ্কারাদি।
এই সম্পদ গড়তে অর্থ আত্মসাৎসহ পদে পদে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এখানেই থেমে থাকেননি। আগের বিয়ে গোপন করে করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে। আবার দ্বিতীয় বিয়ে গোপন রেখে জড়িয়েছেন একাধিক অবৈধ সম্পর্কে।তাদের থেকেও হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
পুলিশ সদর দপ্তরে এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে দেওয়া এক নারী বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তার অভিযোগের সূত্র ধরে যুগান্তরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
কটক থেকে গ্রেফতার এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু, সিআইডির জালে তাঁর পুত্র, ভাইপো-আনন্দবাজার পত্রিকা
এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত ভানু বাগ গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় ভানু এবং তাঁর পুত্র বিশ্বজিৎ বাগকে। সূত্রের খবর, কটকের এক হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ভানু। সেখান থেকেই ধরা হয়েছে তাঁদের। সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন ভানুর ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগও। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এগরা ১ ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামের এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় ন’জন নিহত হন। সেই কারখানার মালিক ভানু ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ ঘটনার পর থেকেই ছিলেন পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ভানু। তাঁর তৈরি বাজির চাহিদাও ছিল বাজারে। ভানুর ‘সুখ্যাতি’ ছড়িয়ে পড়েছিল দূরদূরান্তে। ক্রমেই ভানু হয়ে ওঠেন এলাকার ‘সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী’দের অন্যতম।
এদিকে সংবাদ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, এগরা কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এবার বিস্ফোরণের দায় অধিকারী পরিবারের কাঁধেই ঠেলে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে নিশানা করলেন বিজেপিকে।সাংবাদিক বৈঠক থেকে দাবি করলেন, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ভানু আদতে অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ। ফলে গোটা বিষয়টি বিজেপির জানা ছিল। এই দুর্ঘটনার দায় অধিকারী পরিবারের। আর দিলীপ ঘোষের দাবি-এগরায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের!
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ-চাকুরিহারা ববিতার-আনন্দবাজার পত্রিকা
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষিকার চাকরি হারিয়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা সরকার। সেই চাকরি দেওয়া হয়েছে অনামিকা রায় নামে অন্য এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে। এ বার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন ববিতা।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই স্কুলশিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। মঙ্গলবার তাঁর নির্দেশে চাকরিও হারান তিনি। ববিতার চাকরি দেওয়া হয়েছে অনামিকা রায় নামে এক পরীক্ষার্থীকে।
‘রাহুল নয়, মোদিকে হারাতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করা হোক প্রিয়াঙ্কাকে’, দাবি বর্ষীয়ান কং নেতার-সংবাদ প্রতিদিন
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) কাউন্ট ডাউন কার্যতই শুরু হয়ে গিয়েছে। সদ্য কর্ণাটকে বিরাট জয় পেয়েছে কংগ্রেস (Congress)। আর তারপর থেকেই লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে হাত শিবির। যদিও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মোদির বিপরীতে কে হবেন বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ? এই পরিস্থিতিতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ করা হোক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রমোদকে বলতে শোনা যায়, ”যদি সত্য়িই বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ২০২৪ সালে হারিয়ে দিতে চায়, তবে এমন কোনও বড় মুখ চাই যিনি জনপ্রিয় এবং সর্বজনগ্রাহ্য। আমার মনে হয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) মতো জনপ্রিয় নেত্রী কেউ নেই। দাবি জানাচ্ছি, বিরোধী দলগুলি প্রিয়াঙ্কাকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হোক।”
কাটেনি জট, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বাছা অধরাই-গণশক্তি
দফায় দফায় আলোচনা চালিয়েও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের জট কাটলো না। দুই দাবিদারের অনড় অবস্থানেই ঝুলে রইল। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং দু-তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রীসভা গঠনের প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে যাবে। এনিয়ে কোনও ধরনের ‘ভুয়ো খবরে’ কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
কিন্তু তা সত্ত্বেও সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারকে ঘিরে বুধবার সারাদিন ধরেই নানা ধরনের জল্পনা চলল।ভোটের ফল প্রকাশের পর চারদিন কেটে গেলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের রহস্য কাটলো না কেন, এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বাংলায় দেখানো যাবে! নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার-আনন্দবাজার পত্রিকা
দ্য কেরালা স্টোরি’ বাংলাতেও দেখানো যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটিকে পশ্চিমবঙ্গে ‘নিষিদ্ধ’ করার পরে আনন্দবাজার অনলাইনকে ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, ‘‘দিদি (মমতা) এক বার ছবিটা নিজে দেখুন। তার পরে সিদ্ধান্ত নিন।’’ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় শোনার পরেও তাঁর একই আর্জি, ‘‘দিদি এক বার ছবিটা দেখুন প্লিজ। আপনারও ভাল লাগবে।’’
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির প্রদর্শন হলে রাজ্যে ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারে আশঙ্কায় নবান্নের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এর পরেই আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপ্ত বলেছিলেন, ‘‘দিদি এক বার ছবিটা দেখে নিয়ে মন্তব্য করলে ভাল হত। যখন ‘পদ্মাবত’ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের আগে সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমার ছবিটা তো দেখলেনই না! ছবি না দেখেই নিষিদ্ধ করে দেওয়াটা একেবারে বাচ্চাদের মতো, ছেলেখেলার মতো ব্যাপার হল। এই ছবিটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সবাই ছবিটা দেখছেন। কংগ্রেস এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যেও ছবিটা দেখানো হচ্ছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে বাদ! তামিলনাড়ুতেও কিন্তু ছবিটা ‘নিষিদ্ধ’ হয়নি। ওখানে প্রদর্শকদের সঙ্গে সমস্যা হচ্ছে।’’
বৃহস্পতিবার সেই নিষেধাজ্ঞায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের খবর আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে শুনে সুদীপ্ত বলেন, ‘‘আমি এখনই জানলাম। এখনও আদালতের রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাইনি। তবে এটা জেনে আনন্দ পাচ্ছি যে, বাংলার মানুষ আমার ছবিটা দেখতে পারবেন।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৮