জুন ০৬, ২০২৩ ১৪:২৬ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৬ জুন মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

মার্কিন ভিসা নীতি-কর্মী-সমর্থক ও প্রশাসনে ভীতি কাটাতে সচেষ্ট আ.লীগ -প্রথম আলো

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক-মানবজমিন

দৈনিকটির অপর এক খবরের শিরোনাম-বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবিচল

বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান নেবে বিএনপি-ইত্তেফাক

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে শিল্পোৎপাদনে ধস-যুগান্তর

অপর একটি খবরের শিরোনাম- ঘরে বাইরে নানা চাপে দুদল।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

সিবিআই তদন্ত কেন? সন্দিহান ইয়েচুরি, খাড়গে -গণশক্তি

শনাক্তকরণই হয়নি, মর্গে এখনও পড়ে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত ১০১টি দেহ!-আনন্দবাজার পত্রিকা

২৮৮ জনের মৃত্যুও মুছতে পারল না সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, কোন পথে হাঁটছে দেশ?-সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১.  রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্বের বাইরে কাজ করলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা। একথা বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। কিভাবে দেখছেন?
২. ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান আজকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে এবং ইরান এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ যেসব সামরিক শক্তি রয়েছে তাদের কাতারে চলে গেল, অন্তত এই ক্ষেপণাস্ত্রের দিক দিয়ে। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

মার্কিন ভিসা নীতি কর্মী-সমর্থক ও প্রশাসনে ভীতি কাটাতে সচেষ্ট আ.লীগ-প্রথম আলো

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি—এই ঘটনাপ্রবাহকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় ধরনের চাপ হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। সামনের দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে চাপ আরও বাড়তে পারে—এমনটা ধরে নিয়ে নিজেদের কৌশল সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ ক্ষেত্রে দলটির মূল লক্ষ্য, প্রশাসন, দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে বিরূপ প্রভাব না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করা।

আর এ চিন্তা থেকে ক্ষমতাসীনেরা মাঠে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আরও বাড়াতে চাইছে। দলটির নেতারা বলেছেন, এখন ১৪–দলীয় জোটের ব্যানারেও ধারাবাহিকভাবে সভা-সমাবেশ তাঁরা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত শনিবার মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে তাঁর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারাও বক্তব্য-বিবৃতিতে বলছেন, মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির জন্যই ক্ষতির কারণ হয়েছে।

 এদিকে মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক। বিস্তারিত ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মার্কিন দূতাবাসে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব। দুপুর আড়াইটায় তিনি দূতাবাস থেকে বের হন। আজকের বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির অন্য কোনো নেতা ছিলেন না।

২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: নসরুল হামিদ-প্রথম আলোর এ খবরে লেখা হয়েছে, চলমান লোডশেডিংয়ের কারণে সারা দেশে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল সোমবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।প্রতিমন্ত্রী গতকাল তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‘চলমান তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছি...। তবে দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, দেশের প্রায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) দিনে চাহিদার তুলনায় ৩০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চাহিদার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে লোডশেডিং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে ১০ ঘণ্টার বেশি।

ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, দেশে অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎখাতে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সারাদেশে জেলা পর্যায়ে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

ভারত থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় বিএনপির সালাহউদ্দিন-যুগান্তর

২০১৫ সাল থেকে ভারতে অবস্থান করলেও রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ৷ বর্তমানে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি৷ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে ২০১৫ সালের ১১ মে পাওয়া গিয়েছিল আলোচিত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে৷ তার দুই মাস আগে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকায় হঠাৎ নিখোঁজ হন তিনি৷ সেই সময়কার কথা জানতে চাইলে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা আমাকে চোখ বেঁধে এবং হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়৷ তার পর প্রায় ৬১ দিনের মতো একটা গোপন জায়গায় আমাকে আটক করে রাখে৷'

‘এর পর ২০১৫ সালের ১০ মে তারা দুপুরের দিকে চোখ বাঁধা এবং হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় একটি গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে রওয়ানা দেয়,' যোগ করেন আহমেদ৷ তিনি দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে শিলংয়ে রেখে এসেছিল৷

২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ৷ সম্প্রতি সেখানকার একটি আদালত সেই মামলা থেকে তাকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে এবং তাকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে৷

ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের গোহাটিতে একটা সহকারী হাইকমিশন আছে৷ আমি সেখানে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার জন্য একটি ট্রাভেল ডকুমেন্ট বা ট্রাভেল পাস পেতে আবেদন করেছি৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রকম সাড়া পাইনি৷' বর্তমানে শিলংয়ে অবস্থান করা এই রাজনীতিবিদ জানান, ভারতে নিজের খরচেই চলছেন তিনি। তার পরিবারের সদস্যরা মাঝেমাঝে সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷

যে কোনো পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশে ফিরে আসতে আগ্রহের কথা জানিয়ে আহমেদ বলেন, ‘যদি তারা (বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ) আমাকে ট্রাভেল পাস ইস্যু না করে, সেক্ষেত্রে কিছু করা যায় কি না দেখা যাবে৷' ভারতে অবস্থান করলেও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ৷ দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন৷ দেশে ফিরেও রাজনীতি অব্যাহত রাখার কথাও বলেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য৷

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

২৮৮ জনের মৃত্যুও মুছতে পারল না সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, কোন পথে হাঁটছে দেশ?-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, মৃত ২৮৮। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০। ঘটনার পর পেরিয়েছে প্রায় ৭২ ঘন্টা। তবু এখনও কাটেনি আতঙ্ক।যারা ভাগ্যের জোরে ঘরে ফিরলেন তাঁরা হয়তো কোনদিন এই রাতের কথা ভুলতে পারবেন না। ঘটনার কারণ খুঁজতে তোলপাড় দেশের রাজনৈতিক মহল। রাতের ঘুম ছুটেছে পুলিশ গোয়েন্দা সকলেরই। কিন্তু এসবের মাঝেও সাম্প্রদায়িক হিংসার তোড়জোর করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে কেউ কেউ। তাও আবার এই করমন্ডল ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করেই।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ছবি ঘিরে উঠেছে এক অদ্ভুত দাবি। ভাইরাল হওয়া ছবি ঘিরে অদ্ভুত এক দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সেই দাবি যে গুজব ছাড়া কিছুই নয়, তা কিছুক্ষণের মধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে। একইসঙ্গে এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করেও যারা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে চেয়েছেন, তাঁদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওড়িশা পুলিশ।

সাম্প্রতিক রেল দুর্ঘটনার ইতিহাসে এমন বীভৎস ঘটনার নজির নেই বললেই চলে। তাই করমণ্ডল রেল দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশবাসী। জোর কদমে চলছে উদ্ধার কাজ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সরেজমিনে সবটা দেখছেন রেলমন্ত্রী থেকে আরম্ভ করে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু এই এত উদ্বেগের মাঝেও কেউ কেউ চাইছেন এই ঘটনাতেও সাম্প্রদায়িকতার প্রলেপ পড়ুক। বিতর্কের সূত্রপাত একটি ছবি ঘিরে। উপর থেকে তোলা দুর্ঘটনা স্থলের একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে রেললাইনের পাশে উলটে পড়ে আছে ট্রেনের বগি। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাত্রীদের জিনিসপত্র। আর ঠিক তার পাশেই একটা মাঠ। যার শেষের দিকে একটা সাদা রঙের বাড়ি। ছবিটি উপর থেকে তোলার দরুন বোঝার উপায় নেই, বাড়িটি আসলে কী। আর সেখানেই যত সমস্যা। এই ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ওই বাড়িটি আসলে একটা মসজিদ। সেইসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনার দিনটি ছিল শুক্রবার, অর্থাৎ মুসলিমদের জুম্মাবার। ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট। সরাসরি কিছু উল্লেখ না থাকলেও অনেকেই ঘটনার সঙ্গে ওই মসজিদের যোগ খুঁজতে শুরু করেছেন। লাইক কমেন্ট শেয়ারের ভিড়ে, যেন পারতপক্ষে সেই দাবিই সত্যি হয়ে ওঠে। ছবিটিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

কিন্তু ওই বাড়িটি কি আদৌ মসজিদ? প্রথমে সে বিষয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করেননি কেউই। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তখন স্রেফ হিংসার ছড়াছড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সামনে আসে আসল সত্যি। জানা যায়, বাড়িটি আদৌ কোনও মসজিদ নয়। এমনকি কোনও সাধারণ বাড়িও নয়। নির্মিয়মান একটি কৃষ্ণ মন্দির। উপর থেকে ওই মন্দিরের চূড়া দেখেই মসজিদের মতো মনে করেছেন কেউ কেউ। ওই বাড়িটি আসলে মন্দির, এই তথ্য সামনে আসার পরই আপাতভাবে সব শান্ত। কিন্তু এমন গুজবের আদৌ কি কোনও প্রয়োজন ছিল? যেখানে এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল, মানুষের জীবন কতটা অনিশ্চিত, সেখানে এই সাম্প্রদায়িক বিভাজন অবশ্যই কাম্য নয়। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন ওড়িশা পুলিশের কর্তাব্যক্তিরাও। ভবিষ্যতে এমন গুজব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না এমনটাও সাফ জানিয়েছেন তাঁরা। একদিকে দিনরাত এক করে উদ্ধারকাজে ব্যস্ত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি। বিভিন্ন ষ্টেশনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন আহত যাত্রীদের পরিবার। ভিড় কম নয় মর্গের বাইরেও। দেহ শনাক্তকরণের মতো নির্মম কাজ করতে হচ্ছে কাউকে। সেখানে ঘটনার কারণ হিসেবে বিশেষ সম্প্রদায়কে ইঙ্গিত! সত্যি এর থেকে একটা প্রশ্ন উঠে আসতে বাধ্য, স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও কোন দিকে এগোচ্ছে দেশ? মানুষের প্রাণের চেয়েও কি বড় হয়ে উঠছে ধর্ম? হয়তো তাই। এবং আগামীদিনে এই ভয়াভহতা হয়তো আরও বাড়বে, এমনটাও আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।

বিদেশযাত্রায় বাধা অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে, ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন

ফের ইডির নজরে অভিষেক পত্নী। সোমবার সকালে দমদম বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাওয়ার পথে আটকানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছে, রুজিরার সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই সন্তানও। তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিমানবন্দরের অভিবাসন দপ্তরের বিরুদ্ধে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিদেশযাত্রায় কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছিল। কিন্তু অভিবাসন দপ্তরের যুক্তি, রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডির লুকআউট নোটিস রয়েছে। আবার দিল্লির আদালতেও একটি মামলা চলছে। সেই মামলায় এখনও জামিন নেননি রুজিরাদেবী। ফলে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এভাবে আটকানো অমানবিক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রুজিরা দেশের বাইরে যেতে পারবে। যাওয়ার আগে ইডিকে জানালেই হবে। সেই কাজই করেছিল, আগে থেকে জানিয়েছিল। কিন্তু তাও শেষ মুহূর্তে ওকে আটকানো হল।” এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা প্রকাশ্যে এনে রুজির বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটকানোর বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। অন্যদিকে ফের অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্ত্রীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৮ জুন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। 

শনাক্তকরণই হয়নি, মর্গে এখনও পড়ে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত ১০১টি দেহ!-আনন্দবাজার পত্রিকা

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর চার দিন কেটে গিয়েছে, এখনও শনাক্ত হয়নি ১০১ জনের দেহ। ওড়িশার বিভিন্ন মর্গে পড়ে রয়েছে সেই দেহগুলি। মৃতদের পরিজনেরা এসে দেহগুলি শনাক্ত করবেন, তারই অপেক্ষায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।পূর্ব-মধ্য রেলের ডিভিশনাল ম্যানেজার (ডিআরএম) রিঙ্কেশ রায় জানিয়েছেন, ১১০০ জন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০০ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০০ জন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর কথায়, “দুর্ঘটনায় মৃত ২৭৮ জনের মধ্যে ১০১ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।” গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের বাহনগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও শুরু হয়েছে।

সিবিআই তদন্ত কেন? সন্দিহান ইয়েচুরি, খাড়গে-গণশক্তি

বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তভার সিবিআই’র হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে কি কেবলমাত্র নজর ঘোরানোর জন্য? প্রশ্ন উঠেছে, রেলওয়ে সুরক্ষা, সিগনাল ব্যবস্থা, রেলের রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতির প্রযুক্তি সম্পর্কে যে সংস্থার কোনও জ্ঞান নেই, তাদেরই কেন তদন্ত করতে বলছে মোদী সরকার? বালেশ্বর দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্ত নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘোষণার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার এব্যাপারে আলাদা আলাদাভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কেই প্রশ্ন তুলে এই দুর্ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৬

ট্যাগ