জুন ২৩, ২০২৩ ১৪:৫৯ Asia/Dhaka
  • 'রেডিও তেহরান আমার মত ক্ষুদ্র মানুষকেও প্রাপ্যধিক গুরুত্ব দিয়েছে'

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের আসর 'প্রিয়জন'। আজকের আসরে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি আমি গাজী আব্দুর রশীদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান: প্রত্যেক আসরের মতো আজও অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি একটি হাদিস শোনাতে চাই। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যদি তোমার হাতে একটি চারাগাছ থাকে এবং তুমি জানো যে, কিছুক্ষণ পর তুমি মারা যাবে কিংবা কিছুক্ষণ পর কেয়ামত শুরু হয়ে যাবে, তারপরও তুমি সেটি রোপন করে মারা যাও।”

আকতার জাহান: বৃক্ষ রোপনের গুরুত্ব সম্পর্কে মূল্যবান একটি হাদিস শুনলাম। ‌আমরা সবাই বৃক্ষ রোপনে যত্মবান হব- এ আহ্বান জানিয়ে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্র ও ইমেইলের দিকে।

গাজী আব্দুর রশীদ: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে- ডাকযোগে আসার চিঠির জবাবও দেওয়া হবে আজকের আসরে।

আকতার জাহান:  হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। ভারতের ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলার পরিবারবন্ধু এসডব্লিউএল ক্লাব থেকে তেহরানের ঠিকানায় দুটি চিঠি এসেছে। এগুলো পাঠিয়েছেন সিনিয়র শ্রোতা আনন্দ মোহন বাইন।

আশরাফুর রহমান: সত্যি বলতে কী, ডাকযোগে কেউ চিঠি পাঠালে আমাদের মনপ্রাণ খুশিতে নেচে ওঠে। তো কী লিখেছেন এ শ্রোতাবন্ধু?

গাজী আব্দুর রশীদ: একটি চিঠিতে প্রিয়জন অনুষ্ঠানের প্রযোজক আশরাফুর রহমান ভাইকে 'Best Radio Personality of 2023' ঘোষণা এবং পুরস্কার ও সার্টিফিকেট পাঠানোর কথা উল্লেখ করেছেন। আর অন্যটিকে একদিনের অনুষ্ঠানের শ্রবণমান রিপোর্ট পাঠিয়েছেন।

আকতার জাহান: বাহঃ এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের খবর! আশরাফ ভাইকে অভিনন্দন। এবার কিন্তু মিষ্টি খাওয়াতেই হবে!

আশরাফুর রহমান: মিষ্টি খেতে চান? এটা আর এমন কী! আপনি তো জানেনই যে, মিষ্টি খাওয়ার কোনো উপলক্ষে পেলে আমার চেয়ে বেশি খুশি আর কেউ হন না। যাইহোক, আনন্দ দা'র পাঠানো পুরস্কারটি আগে হাতে পাই তারপর সবাইকে পেটপুরে মিষ্টি খাওয়াব- ইনশাআল্লাহ।

গাজী আব্দুর রশীদ: আমরা সবাই সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম। তো শর্টওয়েভ রেডিও এবং ডিএক্সিং শখকে টিকিয়ে রাখার জন্য শ্রোতাবন্ধু আনন্দ মোহন বাইন যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন- সেজন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন ইমেইলে পাঠিয়েছেন এবারের চিঠিটি।

তিনি লিখেছেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। এবার এ মাসে তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গিয়েছিল। আমার প্রশ্ন হলো- ইরানের গড় তাপমাত্রা কত? সবচেয়ে উষ্ণতম ও শীতলতম মাস কোনটি? আমি আরও জানতে চাই যে, ইরানের সবচেয়ে উষ্ণতম জায়গা কোনটি? আর শীতলতম স্থানইবা কোনটি?

আকতার জাহান: ইরানের গড় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবচেয়ে উষ্ণতম মাস জুন-জুলাই এবং শীতলতম মাস ডিসেম্বর-জানুয়ারি। আর দেশটির সবচেয়ে উষ্ণতম জায়গা কেরমান প্রদেশের লুত মরুভূমির গান্দোম বেরইয়ান। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৭১ সেন্টিগ্রেড। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ এলাকা হিসেবে স্বীকৃত। আর ইরানের সবচেয়ে শীতল স্থান পূর্ব আজারবাইজানের সারোব এলাকা। শীতকালে সেখানকার তাপমাত্রা ২৭ মাইনাস ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়।

আশরাফুর রহমান: ভাই শাহাদত হোসেন, আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার হলো। আশা করি কৌতুহল মিটেছে। ইমেইল পাঠানোর জন্য আপনারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটি পাঠিয়েছেন ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থেকে মহম্মদ ঘোরী শাহ।

তিনি লিখেছেন, মুর্শিদাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ডিএক্স রেডিও শ্রোতা ক্লাব আয়োজিত শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক প্রতিযোগিতায় ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের সেরা পত্রলেখকের পুরস্কার হাতে পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। সেইসঙ্গে আয়োজক ক্লাব ও রেডিও তেহরানের কাছেও কৃতজ্ঞ যারা আমার মত ক্ষুদ্র মানুষকেও প্রাপ্যধিক গুরুত্ব দিয়েছে।

গাজী আব্দুর রশীদ: পুরস্কার প্রাপ্তির মতো খুশির খবরের পাশাপাশি দুঃখজনক একটি বিষয়ও চিঠিতে তুলে ধরেছেন এ শ্রোতাবন্ধু। লিখেছেন, "আমার অত্যন্ত দুঃখ লাগে, মুসলিম অধ্যুষিত উপসাগরীয় অঞ্চলে যখন মুসলিমরাই নিপীড়িত হয়। ফিলিস্তিনিদের অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অজ্ঞতার পরিচয় বহন করে। এক্ষেত্রে ইরানের অবস্থানের প্রতি আমি পূর্ণ সমর্থন জানাই এবং সৌদি আরব এবং তুরস্কের দ্বিমুখী নীতিকে ভর্ৎসনা করি।"

আকতার জাহান: ভাই মহম্মদ ঘোরী শাহ, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার মতামত তুলে ধরা হলো। আর হ্যাঁ, শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন।

বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর থেকে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস. এম. হৃদয় রহমান পাঠিয়েছেন আসরের পরের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "শ্রোতাদের মন জয় করা অনুষ্ঠান হলো ‘গল্প ও প্রবাদের গল্প’। যেখানে প্রতিনিয়ত শিক্ষণীয় অনেক কিছুই জানা যাচ্ছে। জালিম বাদশাহর পরিণতি নিয়ে প্রচারিত গল্পটি আবারও মনে করিয়ে দিল অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কথা। মানুষের ওপর অত্যাচার এবং অবিচার করে, মানুষকে হত্যা করে, মানুষকে নাজেহাল করে কোনদিন কোন শাসক যে পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারে নি; তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।"

আশরাফুর রহমান: 'গল্প ও প্রবাদের গল্প' অনুষ্ঠানটি থেকে অনেককিছু জানতে পারছেন জেনে ভালো লাগল। তো মতামতের জন্য হৃদয় রহমান ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটি এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংড়া গ্রাম থেকে। আর পাঠিয়েছেন হিরামন সেখ।

তিনি লিখেছেন, ৪ মে তারিখে রেডিও তেহরান থেকে প্রচারিত সকল অনুষ্ঠান খুব ভালো লেগেছে। বিশ্ব সংবাদ থেকে বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। দৃষ্টিপাতে জানতে পারলাম যে, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর কাছে ইহুদি শক্তি দুর্বল হচ্ছে। আর রংধনু আসর থেকে ধৈর্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ওই অনুষ্ঠানে ছোটবন্ধু তায়িফের কণ্ঠে সুরা ও কবিতা খুব ভালো লেগেছে।

গাজী আব্দুর রশীদ: বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত ও রংধনু আসর সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করে ইমেইল পাঠানোয় ভাই হিরামন সেখ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা সরাসরি কথা বলব বাংলাদেশের এক নতুন শ্রোতার সঙ্গে। প্রথমেই তার পরিচয় জানা যাক।

আশরাফুর রহমান: কুয়েত থেকে আইআরআইবি ফান ক্লাব, কিশোরগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল হাজারী পাঠিয়েছেন একটি মেইল।

এই মেইলে তিনি উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত ডি-এক্সার আশরাফুল আশেক ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, "আশরাফুল আশেক ভাই ছিলেন নব্বই দশকের সাড়া জাগানো একজন ডিএক্সার এবং আন্তর্জাতিক বেতারগুলোর একজন তুখোড় শ্রোতা। বেতারে যার লিখার হাত ছিল অসাধারণ কাব্যিক। বস্তুনিষ্ঠ ও সময়োপযোগী লিখনীর মাধ্যমে সহজেই বেতারের মন জয়ের পাশাপাশি শ্রোতাদের মনও জয় করে নিয়েছিলেন। তাঁর নিরহংকার জীবন আমাদের শ্রোতাদের জন্য অনুস্মরণীয় ও অনুকরণীয় হতে পারে।"

গাজী আব্দুর রশীদআশরাফুল আশেক ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অনেক শ্রোতা, ডিএক্সার এবং বেতারশ্রোতা সংগঠক। এছাড়া, অনেকেই আমাদের কাছে ইমেইল করেছেন। তাদের কয়েকজনের নাম-ঠিকানা জানিয়ে দিচ্ছি:

আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী যুবরাজ ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের।

আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব কিশোরগঞ্জের সভাপতি মোঃ শাহাদত হোসেন

আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব ঢাকার সভাপতি প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলম রিপন ও সেক্রেটারি সোহেল রানা হৃদয়

চুয়াডাঙ্গা থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি থেকে আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার

রংপুর থেকে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও আতাউর রহমান রঞ্জু

 বগুড়ার গো্বিন্দগঞ্জ থেকে সাংবাদিক এম আব্দুর রাজ্জাক

এবং ময়মনসিংহ থেকে মাহমুদ শুকুর

আকতার জাহান: আশরাফুল আশেক ভাইয়ের মৃত্যুতে আমরাও গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ঢাকা কলোনী থেকে বিধান চন্দ্র সান্যাল পাঠিয়েছেন কয়েকটি মেইল। ১০ মে প্রচারিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে একটি মেইলে তিনি লিখেছেন, গরমে মানুষ যেসব রোগ-বাধিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে সে সম্পর্কে স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানে ডাক্তার আবু কামরান রাহুলের সাথে আলাপচারিতা খুবই সময়োপযোগী এবং শ্রোতাবান্ধব ছিল। কথাবার্তা অনুষ্ঠানে ঢাকা এবং কোলকাতার প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের শিরোনাম এবং বিশ্লেষণ খুবই আকর্ষণীয় ছিল। এছাড়া, কুরআনের আলো অনুষ্ঠানে ১৩ থেকে ১৮ নম্বর আয়াতের তেলাওয়াত এবং তরজমা ছিল খুবই মনোগ্রাহী।"

আশরাফুর রহমান: নিয়মিত মতামত জানিয়ে ইমেইল পাঠানোয় শ্রোতাবন্ধু বিধানচন্দ্র সান্যালকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসরের এবারের মেইলটি পাঠিয়েছেন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব নরসিংদীর সভাপতি মো: হোসাইন মুসা।

তিনি লিখেছেন, 'জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান' শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আমার অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হয়, যা শুনে মনে হয় যেন ইরানের বিজ্ঞানীরা নিজেদের আবিস্কারগুলো আমাকে শোনাচ্ছেন। ধারাবাহিক একাধিক পর্বে ইরানের বিখ্যাত মনীষী গিয়াসউদ্দিন জামশিদ কাশানির জীবনী ও তাঁর গবেষণাকর্মের নানা দিক নিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়। যা থেকে অনেক অজানা বিষয়ে নিজের তথ্য ভাণ্ডারকে পরিপূর্ণ করলাম। এমন সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য রেডিও তেহরানকে ধন্যবাদ।

গাজী আব্দুর রশীদ: 'জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান' শীর্ষক অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি জানানোয় হোসাইন মুসা ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আজকের আসরের শেষ মেইলটিও এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আর পাঠিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডির শ্রোতা দেবাশীষ গোপ।

তিনি লিখেছেন, "৫ মে সোনালী সময় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে তারুণ্য ও যৌবনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা শুনলাম। খুবই আকর্ষণীয় লাগল। একইদিন 'সুন্দর জীবন' অনুষ্ঠানে লিখিত যোগাযোগ নিয়ে ভিন্ন স্বাদের আলোচনা শুনে উপকৃত হয়েছি।"  

আকতার জাহান: সোনালী সময় ও সুন্দর জীবন অনুষ্ঠান আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমাদেরও ভালো লাগল। তো নিয়মিত ইমেইল পাঠানোর জন্য ভাই দেবাশীষ গোপ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শ্রোতাবন্ধুরা, আমাদের প্রযোজিকা হাত নেড়ে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, আজ আর আমাদের হাতে তেমন সময় নেই। তো বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের জন্য রয়েছে একটি পল্লীগীতি। 'যায় না দেখা' শিরোনামের গানটির কথা, সুর ও কণ্ঠশিল্পী আবদুল গাফফার।

আশরাফুর রহমান: তো বন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিচ্ছি প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে।