জুন ২৭, ২০২৩ ১১:১৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৭ জুন মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  •  সেন্টমার্টিন নিয়ে কখনো কোনো আলোচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র: স্টেট ডিপার্টমেন্ট -মানবজমিন
  • সিন্ডিকেটের ৬শ জনের তালিকা মন্ত্রণালয়ে-যুগান্তর
  • রাজধানীতে এডিস মশার লার্ভা এবার বেশি-প্রথম আলো
  • আজও কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়-ইত্তেফাক
  • ঈদ যাত্রা: বাড়ি ফিরছে কোটি মানুষ-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ফের নাসিকে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলল হিন্দুত্ববাদী ‘গোরক্ষক’রা-গণশক্তি
  • বিরোধী জোটের বল গড়িয়ে শিমলা পৌঁছনোর আগেই শুরু হয়ে গেল বাংলা নিয়ে মমতা-বাম-কংগ্রেস তরজা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মোদিকে প্রশ্নের জেরে হেনস্থার মুখে মার্কিন সাংবাদিক! কড়া প্রতিক্রিয়া হোয়াইট হাউসের-সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ক্রাইসিস তৈরি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী। দৈনিক মানবজমিন এই খবর দিয়েছে। কী বলবেন আপনি?

২. ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করাই হবে আমাদের কাজ- একথা বলেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার এ বক্তব্য সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর 

সেন্টমার্টিন নিয়ে কখনো কোনো আলোচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র: স্টেট ডিপার্টমেন্ট-মানবজমিন

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কখনই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসেনি। সোমবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ চায়। বিষয়টি সত্যি কিনা তা মিলারের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ

এর জবাবে মিলার বলেন, যেটা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কখনোই কোনো ধরনের আলোচনা করেনি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যবান মনে করি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনসহ গণতন্ত্রের বিকাশে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করার চেষ্টা করছি।

ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়ছে লাখো মানুষ। বাস ও লঞ্চের পাশাপাশি কমলাপুর রেলস্টেশনেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ট্রেনে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন মঙ্গলবারও (২৭ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

ঈদুল আজহার আগে সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস ছিল সোমবার (২৬ জুন)। আর মঙ্গলবার (২৭ জুন) থেকে বন্ধ থাকছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই গত কয়েকদিনের তুলনায় ভোর থেকেই কমলাপুরে মানুষের চাপ দেখা গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, একদিকে ছুটি শুরু, অন্যদিকে ট্রেনে নিরাপদ ভ্রমণ হওয়ায় সবাই ঘরে ফিরতে কমলাপুরমুখী হচ্ছেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এমন ভিড় হতে পারে বলে জানান তারা। টিকিটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোনো যাত্রী বিনাটিকিটে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রধানের বার্তা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত কেউ যেন মিশনে যেতে না পারেন, দেশগুলোকেই তা নিশ্চিত করতে হবে-মানবজমিন

মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত কাউকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দেশকেই এটি নিশ্চিত করতে  হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স। জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারকে রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এমন কথা জানান। এর আগে গুমের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন মায়ের ডাকের পক্ষ থেকে তার কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠির জবাবে ই-মেইল বার্তা পাঠান জ্যাঁ-পিয়েরে।

শান্তিরক্ষা মিশন প্রধান বাংলাদেশ সফরে থাকা অবস্থায় এই বার্তা দিয়েছেন। রোববার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের উদ্দেশ্যে দেয়া বার্তায় জ্যাঁ পিয়েরে আরও বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাসদস্য বা পুলিশ পাঠানো সব দেশকে জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী পরিষ্কার করতে হবে যে, মোতায়েন করা বা রোটেশনের ভিত্তিতে যাদেরকে মিশনে পাঠানো হচ্ছে তারা কেউই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বা আন্তর্জাতিক কোনো মানবিক আইন লঙ্ঘন করেননি অথবা তাদের কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও নেই। এর আগে মায়ের ডাকের পক্ষ থেকে তার কাছে যে চিঠি পাঠানো হয়, তাতে জ্যাঁ পিয়েরের প্রতি অনুরোধ করা হয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে মোতায়েন করা সদস্যদের মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতি এবং জবাবদিহিতা যেন নিশ্চিত করা হয়। 

একই সঙ্গে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়ার আহ্বানও জানানো হয়। জবাবে জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের সংযুক্তিকে সফল করতে সবার আগে আমরা যে জিনিসটি করি, তাহলো শান্তিরক্ষী মিশনের সবাইকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুণগত মান, সততা,  যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখতে হয়। এটা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম অনুযায়ী শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশগুলোকে জাতিসংঘের এসব নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে যে, যাদেরকে মিশনে পাঠানো হচ্ছে তারা কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত নন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছেন বা লঙ্ঘনের অভিযোগও নেই তাদের বিরুদ্ধে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে অসমতা দূর করার আহ্বান: ওদিকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ পিয়েরে লাক্রোইক্স শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়নমূলক ঘটনা প্রতিরোধ ও অসমতা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার ঢাকায় জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

আগামী ডিসেম্বরে ঘানায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে ঢাকায় প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হলো। রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনের প্রস্তুতি সভার সমাপনী বক্তব্য দেন পিয়েরে। 

জ্যাঁ পিয়ের বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, সমতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো শনাক্ত করতে সবাইকে এক হতে হবে। এ লক্ষ্যে সামরিক ক্ষেত্র ও বিশ্বজুড়ে নারীর সাম্প্রতিক যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তন আনতে হবে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমেও।

জ্যাঁ পিয়ের বলেন, নারীর ক্ষেত্রে জাতিসংঘ পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে তা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। পাঁচটি বিষয় হচ্ছে প্রথমত, নারী যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা। কিছু দেশ প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে ভালো উদাহরণ তৈরি করেছে, সেগুলো যেন অন্য সদস্য দেশগুলো অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে উন্নয়নশীল দেশগুলো আর্থিক সহায়তাও চাইতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে নারীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।

তৃতীয়ত, জাতীয় পর্যায়ে এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর জন্য জেন্ডারবান্ধব ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। চতুর্থত, নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন, সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করতে জাতিসংঘ যেভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়, সেটা যেন অন্য দেশও অনুসরণ করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর নারীরা যেন নেতৃত্বের অবস্থানে যেতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীতে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়নের ঘটনা নেই বললেই চলে। এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যেসব নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে, তা কমানোর লক্ষ্যে ডিসেম্বরে ঘানায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুল আহসান বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নারী পুলিশ অনুসরণীয় ভূমিকা পালন করছেন। নারীদের কাজের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত হয়েছে, তা দূর করে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মোদিকে প্রশ্নের জেরে হেনস্থার মুখে মার্কিন সাংবাদিক! কড়া প্রতিক্রিয়া হোয়াইট হাউসের-সংবাদ প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ভারতীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এই ‘অপরাধে’র জেরে সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকিকে (Sabrina Siddiqui) লাগাতার হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। এবার তাঁর পাশে দাঁড়াল হোয়াইট হাউস (White House)। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, সাংবাদিকের হেনস্তা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করছে হোয়াইট হাউস।

মোদি-সাবরিনা

মার্কিন (USA) মুলুকে গিয়ে স্বভাববিরোধীভাবেই সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মোদি। সেখানে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সটান প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “দেশের মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের রক্ষা ও বাক্‌স্বাধীনতা রক্ষায় আপনি ও আপনার সরকার কী কী পদক্ষেপ করছেন?” উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সব কা সাথ সব কা বিকাশের কথা বলে প্রশ্নের জবাব দেন। তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়েন মুসলিম সাংবাদিক সাবরিনা।

মার্কিন সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় ঘিরেই উড়ে আসে নানা কটাক্ষ। এছাড়াও আগুনে ঘি ঢালে সাবরিনার পারিবারিক ইতিহাস। তার প্রপিতামহছিলেন শিক্ষাবিদ স্যর সৈয়দ আহমেদ খান। তবে ভারতে জন্ম হলেও পরে পাকিস্তানে চলে যান সাবরিনার বাবা জামির সিদ্দিকি। সেই কারণেই সাবরিনার প্রশ্নে ক্ষুব্ধ নেটদুনিয়া। তাঁর এই প্রশ্নকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের জার্সি পরা ছবিও আপলোড করেন তিনি।

এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অন্যতম শীর্ষকর্তা জন কিরবি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেরই এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, “মোদিকে প্রশ্ন করার জেরে আমাদের এক সহকর্মীকে যেভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে কী প্রতিক্রিয়া দেবে হোয়াইট হাউস? উত্তরে কিরবি সাফ জানান, “সাংবাদিকের হেনস্তার খবর রয়েছে আমাদের কাছে। এটা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। যেকোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের নিন্দার তীব্র নিন্দা করবে হোয়াইট হাউস। কারণ এই আচরণ গণতন্ত্রের আদর্শের তীব্র বিরোধী।”

সব অভিযোগ ভিত্তিহীন, কোচবিহারে মমতার বক্তব্য উড়িয়ে জবাব দিল BSF-সংবাদ প্রতিদিন

মঙ্গলবার কোচবিহারের চান্দামারিতে ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার লিখিত ভাবে তারই কড়া জবাব দিল বিএসএফ। তাদের দাবি, সত্যিটা থেকে অনেক দূরে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

এই জেলাতেই একাধিকবার বিএসএফের গুলিতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই এদিন চান্দামারির জনসভায় বিএসএফকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ”গুলি করা যেন অধিকার হয়ে উঠেছে। আমার কাছে খবর আছে, সীমান্ত পাহারা দেওয়ার নামে লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছে, অত্যাচার করছে। কিন্তু আমি বলছি, কেউ ভয় পাবেন না। পুলিশে খবর দিন।” এদিন তাঁর সভামঞ্চে হাজির ছিলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই বিএসএফকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী।

তারই জবাবে এবার বিএসএফ জানাল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সত্যিটা থেকে অনেকখানি দূরে। বিএসএফ একটি পেশাগত বাহিনী। পেশাগত ভাবেই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে পালন করে। সীমান্ত এলাকার কোনও ভোটারকে প্ররোচিত করে না। তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টিই বিএসএফের কাছে প্রাধান্য পায়। অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধেও কাজ করে সীমান্তরক্ষা বাহিনী। এরপরই যোগ করা হয়, তাদের কাছে ভোটারদের প্রভাবিত করা নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। যে বাহিনীকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয়, তাও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়।

মারকুটে মহিলাদের সামনে অসহায় সেনা! মণিপুরে দাঙ্গাবাজদের ঢাল প্রমীলা বাহিনী-সংবাদ প্রতিদিন

মনিপুর

মারকুটে মহিলাদের সামনে অসহায় সেনা! মণিপুরে দাঙ্গাবাজদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রমীলা বাহিনী। পরিকল্পিত ভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে বাধা দিচ্ছে তারা। এমনটাই জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ঘটনাপ্রবাহ যে কতটা জটিল, তা তুলে ধরে ভিডিও প্রকাশ করেছে সেনার স্পিয়ার কোর।

সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কোর। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যে বাস্তবে কতটা কঠিন তা স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে সেখানে। সেনা জানিয়েছে, পরিকল্পিত ভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে বাধা দিচ্ছে মহিলারা। দাঙ্গাবাজদের বাঁচাতে জওয়ানদের পথরোধ করছে তারা। রাস্তা আটকে, সেনা শিবিরের কাছে গর্ত খুঁড়ে সামরিক বাহিনীক যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছে মহিলারা। স্পিয়ার কোরের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইম্ফল ইস্ট জেলায় গাড়িতে অস্ত্র হাতে আস্ফালন করছে দাঙ্গাকারীরা। ২৪ জুনের ওই ঘটনায় সাফ দেখা যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের দেহরক্ষীর মতো কাজ করছে প্রমীলা বাহিনী।

বিরোধী জোটের বল গড়িয়ে শিমলা পৌঁছনোর আগেই শুরু হয়ে গেল বাংলা নিয়ে মমতা-বাম-কংগ্রেস তরজা-আনন্দবাজার পত্রিকা

আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকে রোখার জোটে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-আপ সম্পর্ক ‘কাঁটা’ হয়ে ফুটছে। এ বার জোটের পরে কি বাংলাও ‘কাঁটা’? পটনায় বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠকের পর ১৫টি দল মিলে ঠিক করেছে, বিজেপিকে রুখতে হবে। শিমলায় দ্বিতীয় বৈঠকে জোট নিয়ে রাজ্যওয়াড়ি আলোচনা হতে পারে। কিন্তু দেশের অন্যত্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে জোট বা আসন সমঝোতা হলেও বাংলায় কি তৃণমূলের সঙ্গে এক টেবিলে বসা সম্ভব সিপিএম বা কংগ্রেসের পক্ষে? বিশেষত, যে ভাবে প্রতিনিয়ত কংগ্রেস এবং সিপিএম তৃণমূলকে আক্রমণ করে? বাংলায় আগেই জোট বেঁধেছে সিপিএম-কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটেও জোটবদ্ধ লড়াই তাদের। বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ হলেও বাম-কংগ্রেসের মূল লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।

বাংলার মতো সমস্যা রয়েছে দিল্লি এবং পঞ্জাবেও।পঞ্চায়েত নির্বাচনে একজোট সিপিএম-কংগ্রেস। লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অথচ পটনায় জাতীয় স্তরের বিরোধী জোটের বৈঠকে তৃণমূলের পাশে সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। অনেকে বলছেন, এ তো সোনার পাথরবাটি!

ফের নাসিকে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলল হিন্দুত্ববাদী ‘গোরক্ষক’রা-গণশক্তি

মহারাষ্ট্রের নাসিকে ফের মুসলিম সম্প্রদায়ের এক নিরীহ যুবককে পিটিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে খুন করল আরএসএস-বিজেপি’র মদতপুষ্ট স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’রা। তাদের হিংস্র আক্রমণে গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক তরুণ। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকরা শনিবার বিকালে একটি গাড়ি করে মাংস নিয়ে যাচ্ছিল। সেগুলি গোরুর মাংস সন্দেহ করে ইগাতপুরী এলাকার ঘোতি-সিন্নার সড়কের ওপর গাড়ি থেকে টেনে নামানো হয় ওই দুই যুবককে। তারপরে একটানা চলতে থাকে বেদম প্রহার। মারের চোটে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একজন। অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার পুলিশ সূত্রে এখবর দেওয়া হয়েছে।দিন পনেরোর মধ্যে নাসিকে পিটিয়ে হত্যার এই নিয়ে দু’টি ঘটনা ঘটল।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৭

ট্যাগ