নিয়োগবাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক এসপিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
'আমার পেছনে দুজন মেয়ে লেগেছে!'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৬ জুলাই বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় মশকনিধনে তোড়জোড়-প্রথম আলো
- রিজার্ভ আরও কমলো-মানবজমিন
- শেখ হাসিনাকে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ-ইত্তেফাক
- আমার পেছনে দুজন মেয়ে লেগেছে: হিরো আলম-যুগান্তর
- সাতসকালে ট্রাক-অ্যাম্বুল্যান্স সংঘর্ষে ঝরল ৪ প্রাণ ‘-কালের কণ্ঠ
কোলকাতার শিরোনাম:
- আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে ‘প্রত্যাঘাত’, চিনে নতুন আইন আনলেন জিনপিং, চিন্তা বাড়ল ভারতের?-আনন্দবাজার পত্রিকা
- ভোটের দু’দিন আগেও দেখা নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর, পথ চেয়ে বসে নির্বাচন কমিশন-সংবাদ প্রতিদিন
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. ঢাকায় কর্মসূচি নিয়ে তৎপর হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাতে কি রাজনীতির মাঠ আরো বেশি সরগরম হতে যাচ্ছে বলে মনে হয়?
২. সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয়ভাবে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় মশকনিধনে তোড়জোড়-প্রথম আলো
মশকনিধনে নেওয়া দুই সিটির কর্ম–পরিকল্পনার বড় অংশজুড়ে ছিল জনসচেতনতা তৈরি। রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়লেও সে কাজে গতি নেই।
এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে—স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এমন সতর্কবার্তা থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঘাটতি ছিল। বছরের প্রথম ছয় মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু দুটোই যখন বেড়ে চলেছে, তখন দুই সিটি করপোরেশনের মশকনিধন কার্যক্রমে তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি মশার উৎসস্থল শনাক্তে ড্রোন ব্যবহার শুরু করেছে। পাশাপাশি এ বছর প্রথমবারের মতো মশক নিয়ন্ত্রণে মাসব্যাপী বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু হচ্ছে ৮ জুলাই। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি গত মঙ্গলবার মশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি। অথচ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেরই জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে ঘাটতি রয়েছে। তাদের কার্যক্রম মূলত কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম আরও কয়েক গুণ বাড়াতে হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
ঋণের সুদ বাড়াচ্ছে ব্যাংক-নতুন সুদের হার অনুযায়ী বাড়তি কিস্তি কাটা শুরু করেছে কিছু ব্যাংক। আবার কিছু ব্যাংক অপেক্ষা করছে পরিস্থিতি বুঝে ওঠার জন্য।–প্রথম আলো
ঋণের সুদহার বাড়ানো শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। গ্রাহক ভেদে ঋণের সুদহার বছরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ইতিমধ্যে নতুন সুদহার আরোপ করে বাড়তি কিস্তিও কাটা শুরু হয়েছে। গ্রাহককে আগাম কোনো তথ্য জানানো হয়নি। প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি দিতে হয়, এমন যাঁদের ব্যাংকঋণ রয়েছে, তাঁদের চলতি মাসের কিস্তিতে বাড়তি টাকা দিতে হবে। আবার কিছু ব্যাংক অপেক্ষা করছে পরিস্থিতি বুঝে ওঠার জন্য। তবে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদ যেভাবে বাড়িয়েছে, আমানতের সুদে সেভাবে হাত দেয়নি। তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে অনেক ব্যাংক পরবর্তী সময়ে আমানতের সুদহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
২০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকলেও দাম বাড়ছে সিন্ডিকেটের কারণে-ইত্তেফাক
বছরের কোনো কোনো সময় আলুর খুচরা মূল্য ১৫ টাকা। আবার হরহামেশা আলুর দাম বেড়ে যায়। গতকাল প্রতি কেজি আলুর পাইকারি মূল্য ছিল ৪০ টাকা। আর খুচরা বাজারে তা ৫০ টাকা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—তাহলে কী আলুর সংকট রয়েছে। আর এ কারণেই কি আলু দাম হঠাৎ বেড়েছে।
কিন্তু প্রকৃত তথ্য তা নয়। বছরে আলুর সব ধরনের চাহিদা পূরণের পরও ২০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে সংকটের কোনো প্রশ্ন-ই নয়। উৎপাদনের সঙ্গে বর্তমানের আলুর মূল্যবৃদ্ধির সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক অন্য কোথাও। সরবরাহের বড় কোনো সংকট না থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়িয়ে রাখছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আমার পেছনে দুজন মেয়ে লেগেছে: হিরো আলম-যুগান্তর
ইউটিউবের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাম রাজনীতিবিদ আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। বিশেষ করে বগুড়ায় উপনির্বাচন করে সবার নজর কেড়েছেন। সেখানে দুটি আসনে উপনির্বাচন করে একটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন এই অভিনেতা। এবার ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার না হয়েও নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফের প্রাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন।
ওই আসনে তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ সাত প্রার্থী। ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন নিয়ে নিজের ভাবনা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে শনিবার দৈনিক যুগান্তরের মুখোমুখি হন হিরো আলম। তার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন মানিক রাইহান বাপ্পী।
যুগান্তর: সম্প্রতি এক নায়িকা আপনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে কী বলবেন?
হিরো আলম: শুধু রিয়া নয়, আমার পেছনে দুজন মেয়ে লেগেছে। আমি মনে করি, তারা নিজে থেকে কিছু করছে না, তাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে আমার পক্ষে ভালো ভালো কথা বলল। আর ঠিক নির্বাচনের আগে উলটাপালটা কথা কীভাবে বলে? এতেই বোঝা যাচ্ছে, তাদের কেউ লেলিয়ে দিয়েছে।
যুগান্তর: ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার না হয়েও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। জয়ের বিষয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
হিরো আলম: সত্যি কথা বলতে— নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আস্থা হারিয়ে গেছে। নির্বাচন করেও যা, না করেও তা। এবারও একতরফা হয়তো ভোট হয়ে যাবে। তার পরও আমি জয়ের আশায় আছি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তা হলে আমি শতভাগ জয়ী হব। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে, ভোটাররা যদি ঘর থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, তা হলে আমি জয়ী হব। ১০০ পার্সেন্ট পাশ করব, আমি আশা রাখছি।
নিয়োগবাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক এসপিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা-যুগান্তর
মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগবাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।
মামলায় আসামিরা হলেন— মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, জাহিদুল ইসলাম, বরিশালের মুলাদীর বালিয়াতলী গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান সরদারের ছেলে টিএসআই গোলাম রহমান, মাদারীপুর পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজী।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়াটার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপরোক্ত আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল।
পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি একাধিক বার তদন্তে উঠে আসে ঘটনার সত্যতা। তাৎক্ষণিক উপরোক্ত আসামিদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভিন্ন স্থানে সংযুক্তি করে রাখা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে দুদককে মামলা নিতে সুপারিশ করে পুলিশ হেড কোয়াটার্স। এরই পরিপেক্ষিতে মামলা দায়ের করে দুদক।
জানা যায়, সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বর্তমানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের সংযুক্ত আছেন। অপরদিকে কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদুল ইসলাম বরখাস্ত। এদিকে পিয়াস বালা চাকরিচ্যুত, অপরদিকে হায়দার ফরাজী পলাতক। আর গোলাম রহমানের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রিজার্ভ আরও কমলো-মানবজমিন
ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে বিদেশি ঋণের ছাড় ও রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রিজার্ভের অঙ্ক বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। যদিও এর আগে ডলার সংকটের পাশাপাশি রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়ায় রিজার্ভ ধারাবাহিক-ভাবে কমেছে। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাজারভিত্তিক দরে ডলার বিক্রি ও আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) বিল পরিশোধের ফলে রিজার্ভ আরও কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে গত সোমবার থেকে বাজারভিত্তিক দামে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে (আন্তঃব্যাংক) সর্বোচ্চ যে দামে ডলার বিক্রি করছে, সেই দামে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। মূলত সরকারি বিভিন্ন আমদানির দায় মেটাতেই এই ডলার বিক্রি। এর ফলে ইতিমধ্যেই টান পড়েছে রিজার্ভে।
জানা গেছে, গত সোমবার থেকে এভাবে ডলার বিক্রি করায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩ হাজার ১১৯ কোটি ডলারে নেমেছে। এদিন ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে প্রতি ডলারের দাম ধরা হয়েছে ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মে ও জুন মাসের আমদানি বিলের ১০৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
করোনার প্রভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যে স্থবিরতা এবং পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সরকারে অজিত-যোগে কি মহারাষ্ট্রে চাপে শিন্ডেসেনা? জল্পনা উড়িয়ে সৈনিকদের দাবি, ‘সব ঠিকই রয়েছে’-আনন্দবাজার পত্রিকা
এনসিপি এবং কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে জোট বেঁধে সরকার গড়ার কারণেই আদর্শগত জায়গা থেকে শিবসেনা ছেড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এর সত্যাসত্য সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও দল ছাড়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এমনটাই দাবি করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারে সেই এনসিপির একটি গোষ্ঠীর সঙ্গেই ঘর করতে হবে জেনে নাকি যারপরনাই অসন্তুষ্ট শিন্ডে। শিবসেনার একটি সূত্রের খবর, অজিত পওয়ারকে নিজের ‘ডেপুটি’ হিসাবে বেছে নেওয়ায় ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে শিন্ডের। বুধবার শিবসেনা বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিন্ডে। সেই বৈঠকের পর তিনি নিজে মুখ না খুললেও দলের প্রবীণ নেতা উদয় সামন্ত জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক রয়েছে। দলে কোনও মতফারাক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে ‘প্রত্যাঘাত’, চিনে নতুন আইন আনলেন জিনপিং, চিন্তা বাড়ল ভারতের?-আনন্দবাজার পত্রিকা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক সমীকরণ বদলে গিয়েছে। রাশিয়ার উপর আমেরিকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিশ্ব বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তবে বিভিন্ন দেশের উপর যখন তখন আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা চিন ভাল চোখে দেখছে না। এতে তাদের বিভিন্ন সংস্থার কার্যকলাপও বাধা পাচ্ছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আগ্রহী বেজিং। এই সমস্যার সমাধানে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ‘প্রত্যাঘাত’-এর পরিকল্পনা করেছে চিন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চিনে বিদেশনীতি সংক্রান্ত নতুন একটি আইন পাশ হয়েছে। নতুন আইনটি চিনের পুরনো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আইনের সঙ্গে নতুন কয়েকটি নিয়মের সংমিশ্রণ। এর মাধ্যমেই আমেরিকা এবং অন্যান্য ‘শত্রু’ দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে কোমর বেঁধেছেন জিনপিং। নতুন আইনে অর্থনীতির চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তার দিকে বেশি ঝুঁকেছেন জিনপিং। আইনটির বয়ানে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ শব্দটি সাত বার ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু ‘অর্থনীতি’ এসেছে মাত্র দু’বার। গত ২৮ জুন চিনের ন্যাশনাল পিপ্লস কংগ্রেস বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক নতুন আইনটি পাশ করেছে। এখন থেকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে ওই আইন প্রয়োগ করতে পারে বেজিং। সম্প্রতি আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অছিলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বলে অভিযোগ। এতে বিদেশে চিনের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পাল্টা হিসাবে বিভিন্ন আমেরিকান সংস্থার বিরুদ্ধে চিনও ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যে হেতু ডলারের রমরমা, তাই চিন কলকাঠি নাড়লেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। সেই কারণে এ বার আইনের পথে হাঁটতে চলেছেন জিনপিং। চিনের পক্ষে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার পথ নতুন আইনের মাধ্যমে আরও সুগম হল। চিনের এই নতুন আইনের লক্ষ্য নিঃসন্দেহে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু ভারতের সঙ্গেও চিনের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। তাই নয়াদিল্লিরও এ ক্ষেত্রে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে।
ভোটের দু’দিন আগেও দেখা নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর, পথ চেয়ে বসে নির্বাচন কমিশন-সংবাদ প্রতিদিন
আদালতের নির্দেশ আছে। সুতরাং রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। অথচ আদালত যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল, বা রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর জন্য যে পরিমাণ বাহিনীর প্রয়োজন, তার অর্ধেকই এখনও এসে পৌঁছায়নি। এখনও কেন্দ্রের পথ চেয়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। এ পর্যন্ত রাজ্যে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রের মোট ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বকেয়া ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটা সময় পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল না, আদৌ এই ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাওয়া যাবে কিনা।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৬