সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ ১৬:৪৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছাত্রলীগ, ক্ষতিগ্রস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-ডেইলি স্টার বাংলা
  • বিএনপির রোডমার্চ দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে: মির্জা আব্বাস-প্রথম আলো
  • ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশি কূটনীতিকের কাণ্ড!-মানবজমিন
  • নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে-ইত্তেফাক
  • সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরব রাজনীতি-পাল্টাপাল্টি আলটিমেটাম-যুগান্তর‘লাশ দাফনের’ ৫ দিন পর জীবিত উদ্ধার হলো গৃহবধূ-কালের কণ্ঠ
  • খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার : রিজভী-নয়া দিগন্ত

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মহিলা বিল: ওবিসি সংরক্ষণের দাবিতে আতঙ্কে মোদী-গণশক্তি
  • পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলেই সিএএ রুল তৈরি করবে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক?-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‘খলিস্তানি খুনের তদন্তে কানাডাকে সাহায্য করুন’, ভারতকে অনুরোধ আমেরিকার-সংবাদ প্রতিদিন
  • রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দু, আটকে দিল পুলিশ-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. সুলতানা কামাল বললেন, কথা বলতে গেলে চুবানোর ধমক খেতে হয়। এটি মানবজমিনের শিরোনাম। কী বলবেন সুলতানা কামালের এই বক্তব্য সম্পর্কে?

২. ফিলিস্তিনে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিল সৌদি আরব। খবরটিকে কীভাবে দেখছেন?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে-ইত্তেফাক

নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। এছাড়া জানুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এরপর কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে না দাবি করে সব নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।

বিএনপির রোডমার্চ দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে: মির্জা আব্বাস-প্রথম আলো

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাক্‌স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোনো রাজা-রানির রাজত্ব করার জন্য নয়। দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসে গেছে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা উদ্দীপ্ত হন, সম্মিলিত হন। ইনশা আল্লাহ, আমরা দড়ি ধরে টান মারব। এই হীরক রাজা আর থাকবে না।’মির্জা আব্বাস বলেন, দেশ দেউলিয়া হওয়ার পথে, অর্থনীতি খারাপ। ডলারের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। গত ১৫ বছর দেশে সীমাহীন লুটপাট চলেছে। পি কে হালদারসহ অনেক রাঘববোয়াল হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৯ হাজার কোটি টাকায়। এই চুরিদারির প্রতিবাদ করলে জেলে পাঠানো হচ্ছে। সময়মতো এই চোরদের বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই-শাহদীন মালিক-মানবজমিন

সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের আলাদা অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ তার মুক্তি দেয়া হয়েছে নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী। কাজেই বাকি সব পদক্ষেপও এই আদেশের আওতাতেই হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন,

ফৌজদারি কার্যবিধির  ৪০১ ধারা অনুযায়ী, সরকার চাইলে শর্ত সাপেক্ষে বা শর্ত ছাড়া যেকোনো বন্দীকে মুক্তি দিতে পারে। বিবিসি বাংলাকে খ্যাতিমান এ আইনজীবী এসব কথা বলেন।  খালেদা জিয়াকে প্রথম মুক্তি দেয়া হয়েছে দুটি শর্ত দিয়ে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তিনি বাড়িতে থাকবেন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে। শাহদীন মালিকের মতে, আইনমন্ত্রী যা বলছেন যে শর্ত পরিবর্তন করা যাবে না, সেটা আসলে এরইমধ্যে পাঁচবার বদলানো হয়েছে।

“প্রথমে তো ছয় মাসের মুক্তি দিয়েছে, তারপর সেটা যখন আবার ছয় মাসের জন্য বাড়াচ্ছে সেটার জন্য তো নতুন করে নির্বাহী আদেশ হচ্ছে, তার মানে সিম্পলি সরকার চাইলে ঢাকায় চিকিৎসা করার জায়গায় ঢাকা শব্দটা বাদ দিলেই হলো,” তিনি বলেন।

এটা আদালতের ব্যাপার নয় উল্লেখ করে আইন বিশেষজ্ঞ ড. মালিক বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত এরই মধ্যে তার রায় দিয়েছেন। আদালতের কাছে কয়েক বার তার জামিনও চাওয়া হয়েছে এবং সেটি নাকচ করা হয়েছে। তার মানে আদালতের ‘চ্যাপ্টার’ সেখানেই শেষ হয়ে গেছে।

“আদালতে হয়তো যাওয়া যায়, কিন্তু এটা তো আদালতের ব্যাপার না, কারণ আদালত তো তাকে মুক্তি দেয় নাই। তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে নির্বাহী আদেশে।”

ক্রিকেট নিয়ে শুরু কড়চা। বাংলাদেশের প্রায় সব দৈনিকে বাংলাদেশের আসন্ন বিশ্বকাপে দল ঘোষণার আগে বিশ্বকাপে তামিমকে রাখা নিয়ে চলছে নাটক। যুগান্তরের এ খবরে লেখা হয়েছে, ৫ অক্টোবর ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে বিশ্বকাপ।আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য আগামীকাল বুধবার ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ দল। তার আগে আজই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।

কিন্তু দল ঘোষণার আগে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে রাখা নিয়ে চলছে নাটক। গুঞ্জন রয়েছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নাকি বিশ্বকাপ দলে তামিমকে না রাখার পক্ষে। 

এই সমস্যার সমাধানে গত রাতে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় মিটিং করেন সাকিব-হাথুরু। সেই মিটিংয়ে হয়তো সমস্যার সমাধান হয়নি।

যে কারণে জাতীয় দলের সাবেক সফল অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ক্রিকেট বোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। হয়তো মাশরাফি-সাকিব-হাথুরুসিংহের সঙ্গে বসে তামিমকে বিশ্বকাপ দলে রাখা না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন পাপন।

দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, কেন অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান সাকিব? এ খবরে লেখা হয়েছে, যেকোনো সময় বিশ্বকাপের জন্য বাংলদেশের দল ঘোষণা করা হবে। কোন ১৫ ক্রিকেটার ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্যাট ও বল হাতে মাঠে নামবেন লাল সবুজ জার্সি গায়ে? তা জানতে উন্মুখ গোটা দেশ। এরই মধ্যে হঠাৎ গুঞ্জন; বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে বদল আসতে পারে। কারণ সাকিব আল হাসানই নাকি নেতৃত্বই দিতে চাচ্ছেন না।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড়, সাকিব বিশ্বকাপে ক্যাপ্টেন্সি করতে চান না। গণমাধ্যমেও এমন খবর এসেছে। তবে কি সত্যিই সাকিব অধিনায়ক থাকতে চান না? বিশ্বকাপের মত বড় আসরে দলকে নেতৃত্ব দিতে নারাজ? বিসিবির একজন কর্মকর্তাও অনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়ে মিডিয়ায় একথা জানাননি।

কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, তামিম ইকবাল নাকি বিশ্বকাপে বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে খেলার কথা বলেছেন, তার প্রতিবাদে বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব না করার হুমকি দিয়েছেন সাকিব। কিন্তু তামিমের একদম কাছের সূত্রগুলোর জোর দাবি, তিনি বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে ৯টির বদলে ৫ ম্যাচ খেলার কথা বলেননি। এটি গুজব।

তবে অন্তত নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, ‘শুধু তামিম ইস্যুতেই নয়। সত্যিই নাকি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ভাবছেন সাকিব এবং সেটা যে হঠাৎ করে সোমবার রাতেই সে ইচ্ছে জাগ্রত হয়েছে, তা নয়। আরও আগে থেকেই নাকি সাকিবের নেতৃত্বে থাকায় অনীহা জেগেছে।’

বিসিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সাকিব আগে থেকেই দল পরিচালনায় পুরোপুরি রাজি ছিলেন না। এমনকি নির্ভরযোগ্য সূত্রর খবর, সাকিব এশিয়া কাপের সময়ই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব না করার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন।দৈনিকটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগমুহূর্তে সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব!

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা-মানবজমিন

বিগত সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ ও ইউরোপের বাজারে কমেছে ১৪.৫০ শতাংশ। মঙ্গলবার পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগের কথা জানান বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তবে রপ্তানি ধরে রাখতে বিজিএমইএ নতুন বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। 

  ফারুক হাসান বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পও চাপে রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর ন্যূনতম নতুন মজুরি কার্যকর হলে পোশাক শিল্প আরও চাপের মুখে পড়বে। এছাড়া পোশাক রপ্তানির আড়ালে ১০ কোম্পানির ৩০০ কোটি টাকা পাচার' বিষয়ে প্রচারিত সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অভিযোগ তদন্ত না করেই ঢালাওভাবে প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ। এই সংবাদে পোশাক শিল্পের ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছাত্রলীগ, ক্ষতিগ্রস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-ডেইলি স্টার বাংলা

গত ১৪ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আপত্তিকর আচরণ নিয়মিত খবরে পরিণত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হয়রানি ও নির্যাতন করা থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, কিংবা শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ভয় দেখানো—তাদের অপরাধের যেন শেষ নেই।সময় যত যাচ্ছে তারা যেন আরও দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির খুবই কম। আর শাসক দলও এ নিয়ে মাথা ঘামায় না, কেননা ছাত্রলীগ তাদের হয়ে ক্যাম্পাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কীভাবে লাগামহীন স্বাধীনতা উপভোগ করছেন, তার বিবরণ তুলে ধরে দৈনিক প্রথম আলো গতকাল কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রায়শই ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারা প্রকাশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে, অবৈধভাবে হলের রুম দখল করে, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মারধর করে, ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুর করে, এমনকি শিক্ষকদের হুমকি দেয়।

এমনকি সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগপন্থী এই ছাত্র সংগঠনের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর প্রকাশ করায় গত রোববার ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী প্রথম আলোর চবি প্রতিনিধি মোশাররফ শাহকে বেধড়ক মারধর করেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিস্থিতিও একই রকমের উদ্বেগজনক। জাবিতে ছাত্রলীগের এক নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সম্প্রতি উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন। এ ছাড়া, সম্প্রতি রাবি ছাত্রলীগের এক নেতা ফেসবুকে লাইভে বলেছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি এবং অন্যদের নিয়োগ দেওয়াটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত, কারণ তারা ছাত্রলীগের পাশে দাঁড়ায়নি।

দেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এমন দুঃসাহসী মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এসব কর্মকাণ্ড সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত করে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ছাত্রলীগের উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

‘খলিস্তানি খুনের তদন্তে কানাডাকে সাহায্য করুন’, ভারতকে অনুরোধ আমেরিকার-সংবাদ প্রতিদিন

খলিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের তদন্তে কানাডাকে (Canada) সাহায্য করতে হবে। বন্ধুরাষ্ট্র ভারতকে সরাসরি এই অনুরোধ করল আমেরিকা (USA)। সেই সঙ্গে মার্কিন কূটনীতিকদের মত, খলিস্তানি জঙ্গির হত্যার তদন্ত শেষ শাস্তি দিতে হবে দোষীদের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ভারতের (India) বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাফ দাবি করেন খলিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের হাত রয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিলার বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যা অভিযোগ এনেছেন তা নিয়ে আমেরিকা খুবই উদ্বিগ্ন। এই বিষয়টি নিয়ে কানাডার কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আমেরিকা। আমরা মনে করি, এই ঘটনা নিয়ে কানাডার তদন্ত সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়া দরকার। এই তদন্তে সহযোগিতার জন্য ভারতের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। প্রকাশ্য ও ব্যক্তিগতভাবে- ভারতের সাহায্য চেয়েছে আমেরিকা।”

পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলেই সিএএ রুল তৈরি করবে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক?-আনন্দবাজার পত্রিকা

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট মিটে গেলেই নাগরিক সংশোধনী আইনের (সিএএ) রুল তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে উদ্বাস্তুদের ভোট নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ করতে পারে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ক্ষমতায় আসতে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর সংসদের দু’কক্ষে পাশ হয়েছিল নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি)। তার পর চার বছর হয়ে গেলেও সেই বিষয়ে রুল তৈরি করা হয়নি।কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে উদ্বাস্তু সমাজের ভোট আবারও এক বাক্সে আনতে সিএএ কার্যকর করার পক্ষপাতী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরামের বিধানসভা নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে এই কাজে হাত দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সিএএ-র রুল তৈরির দায়িত্বে রয়েছে শাহের মন্ত্রক।

মহিলা বিল: ওবিসি সংরক্ষণের দাবিতে আতঙ্কে মোদী-গণশক্তি

মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের বিরোধীদের দাবি এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বারে বারে নতুন সংসদ ভবনে ঢুকতে না দেওয়ার বিরোধীদের অভিযোগে প্রবল অস্বস্তিতে মোদী সরকার। সোমবার মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানে দলীয় দুই সভায় প্রধানমন্ত্রীর মোদীর বক্তব্যে সেই আতঙ্কই ফুটে উঠল। মোদী এদিন ভোপালে দলীয় কর্মীদের ‘কার্যকর্তা মহাকুম্ভ’ এবং জয়পুরে জনসভা ‘পরিবর্তন সংকল্প মহাসভা’য় বক্তৃতা করেন। রাজস্থানের সমাবেশে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন।#

ট্যাগ