অক্টোবর ১০, ২০২৩ ২১:৪০ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। আজকের আসর উপস্থাপনায় রয়েছি আমরা তিনজন। আমি গাজী আব্দুর রশীদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান:  আজকের আসর শুরু করব মহানবীর পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য ইমাম সাদিক (আ)'র একটি বাণী দিয়ে। তিনি বলেছেন, “সংসারে স্বামীকে তার পরিবারের ব্যাপারে তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে যদি ওই তিনটি বিষয় বা গুণ তার মধ্যে নাও থাকে। বিষয় তিনটি হল: সুন্দর আচরণ, পরিমিত দানশীলতা এবং পরিবারের সম্ভ্রম ও সম্মানের ব্যাপারে ধৈর্যশীলতা নিয়ে সংবেদনশীল ও সাহসী থাকা।”

আকতার জাহান: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণী শুনলাম। আমরা সবাই তা মেনে চলার চেষ্টা করব- এ কামনায় নজর দিচ্ছি ইমেইলে আসা চিঠিপত্রের দিকে। আশরাফ ভাই, ঘটনা কী! ইমেইলের ইনবক্স একেবারে ভর্তি দেখতে পাচ্ছি! শ্রোতারা চিঠি লিখা বাড়িয়ে দিলেন নাকি!

আশরাফুর রহমান: আপনি এবং আব্দুর রশীদ ভাই যখন দেশে ছিলেন তখন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ মাসিক শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তাতে সাড়া দিয়ে অনেকেই চিঠি লিখছেন।

গাজী আব্দুর রশীদ: এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুখবর। শ্রোতাবন্ধুরা যত বেশি চিঠি লিখবেন তত সুন্দর করে অনুষ্ঠান সাজাতে পারব আমরা।

আকতার জাহান: একদম ঠিক বলেছেন আব্দুর রশীদ ভাই। তো বেশি বেশি চিঠি লিখার জন্য শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রথম চিঠিটি পড়ে শোনাচ্ছি। বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে এটি পাঠিয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার। তিনি আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব রংপুর বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক। 

আশরাফুর রহমান: অনেকদিন পর আব্দুল কুদ্দুস ভাইয়ের চিঠি পেলাম। তো কী লিখেছেন তিনি? 

আকতার জাহান: প্রীতিমিশ্রিত একরাশ ভালোবাসা আর শরতের শুভ্র কাশফুলের শুভেচ্ছা জানাবার পর তিনি লিখেছেন, “দেশ-বিদেশের কবি, সাহিত্যিক, গুণীজন, মনীষী, মহামনীষীগণের জীবন সম্পর্কে জানতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। শুধু ভালো লাগাই নয়, বরং মনীষীদের জীবনী শুনলে বা পড়লে তা থেকে অনেক অমূল্য রত্ন সঞ্চয় করে নিজের জীবনে প্রতিফলন ঘটানো যায়। সেদিক থেকে আমার প্রিয় বেতারে তথা রেডিও তেহরান বাংলা'য় সংযোজিত ধারাবাহিক অমর মনীষী আল ফারাবী নিঃসন্দেহে শ্রোতাদের জন্য অনন্য এক উপহার। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি অসংখ্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।”

গাজী আব্দুর রশীদ: ভাই আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার, আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন।

আশরাফুর রহমান: আব্দুল কুদ্দুস ভাইয়ের চিঠি এখনও শেষ হয়নি। তিনি ইরানের নারী জাগরণের ক্ষণজন্মা কবি পারভীন এ'তেসামীর জন্ম, শৈশব, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

আকতার জাহান: পারভীন এ’তেসামীর মতো প্রথিতযশা কবির জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রিয়জনের এই সংক্ষিপ্ত আসরে আলোচনা করা সম্ভব নয় ভাই। এ নিয়ে আলাদা একটা অনুষ্ঠান প্রচার করা যায় কিনা তা আমরা ভেবে দেখব।

গাজী আব্দুর রশীদ: তবে আজ অন্তত এটুকু বলা যায় যে, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইরানে যে সকল কবি ও সাহিত্যিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়েছেন তাঁদের অন্যতম ছিলেন পারভীন এ’তেসামী। তাঁর কবিতায় মানব জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পারভীন এ’তেসামী ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ ইরানের তাবরিয শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৩৫ বছরের জীবনকালে খুব বেশি সাহিত্য রচনা করতে পারেন নি তিনি। তাঁর রচিত সকল কবিতা ফার্সি ১৩১৪ সালে ‘দীওয়ানে পারভীন এ‘তেসামী’ শিরোনামে একটি গ্রন্থাকারে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়। এতে রয়েছে ৫০ হাজারের অধিক পঙক্তি।

আশরাফুর রহমান: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থানার নওপাড়া থেকে নিজামুদ্দিন শেখ পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, “রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠানের আমি একজন নিয়মিত ও ভক্ত শ্রোতা। ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে মহানবী (সা.)'র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রেডিও তেহরানের বিশেষ আলোচনা আমার হৃদয়ে যেমন গভীর রেখাপাত করেছে; তেমনি বিশ্ব মুমিনের হৃদয়ে এঁকে দিয়েছে রাসূলের উপর ভালোবাসার এক গভীর ক্ষতচিহ্ন। এর জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।”

আকতার জাহান: ভাই নিজামুদ্দিন শেখ, আমাদের একটি অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করে চিঠি লিখায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার আকন্দের বাইদ থেকে। আর পাঠিয়েছেন মোবারক হোসেন ফনি।

আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাবার পর তিনি লিখেছেন, ইরানি গোলাপ নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলে। আমারো জানার কৌতূহল- ইরানে কত রঙয়ের গোলাপ পাওয়া যায়? সারাবছরই কি গোলাপ থাকে?

গাজী আব্দুর রশীদ: ফনি ভাইয়ের কৌতুহল নিবারণের জন্য বলছি, ইরানে অন্তত আঠারো প্রকারের গোলাপ ফুলের চাষ হয়। এদেশের প্রায় বিশটি প্রদেশে চৌদ্দ হাজারের বেশি জায়গাজুড়ে চাষ হয় গোলাপের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সমগ্র পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গোলাপের চাষ হয় ইরানে। আর হ্যাঁ, ইরানে সারাবছরই গোলাপ ফুল পাওয়া যায়।

আশরাফুর রহমান: মোবারক হোসেন ফনি ভাইকে ধন্যবাদ প্রশ্নটির জন্য। আশা করি তার কৌতুহল মিটেছে।

বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের জলিরপাড় থেকে গোপালগঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল রেডিও ক্লাবের সভাপতি বিধান চন্দ্র টিকাদার পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি। তিনি লিখেছেন, “আমি নিয়মিত রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে থাকি। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই তেলাওয়াত আমার খুব ভালো লাগে। এছাড়া সাপ্তাহিক সকল অনুষ্ঠান আমার খুব প্রিয়।” 

আকতার জাহান: ভাই বিধান চন্দ্র টিকাদার, নিয়মিত মেইল করে আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি চিঠি লিখা অব্যাহত রাখবেন।

আসরের পরের মেইলটিও এসেছে বাংলাদেশ থেকে। আর পাঠিয়েছেন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ-এর সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী যুবরাজ।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের বিশ্বসংবাদসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। লাইভ অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের সফল উপস্থিতিই তা প্রমাণ করছে। বর্তমান সময়ে আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব রংপুর বিভাগীয় কমিটির সদস্যদের ফেসবুক লাইভে সরব উপস্থিতি সকলের নজরে এসেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ শ্রোতাদের জন্য চলমান বিশেষ কুইজ ও পত্র লিখা প্রতিযোগিতা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত চালু রাখবে।"

গাজী আব্দুর রশীদ: বাংলাদেশে রেডিও তেহরানের শ্রোতাবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় যুবরাজ চৌধুরী ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, গত আগস্ট মাসে রেডিও তেহরানের শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচিত হয়েছেন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব কিশোরগঞ্জের ক্রীড়া সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক। এ বিষয়ে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বললেন:

আশরাফুর রহমান: মাসিক শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচিত হওয়ায় মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক ভাই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর হ্যাঁ, ওয়েবসাইটে নিরবচ্ছিন্নভাবে লাইভ সম্প্রচারের বিষয়ে আপনার প্রস্তাবটির জন্য ধন্যবাদ। আশা করি নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন।

আকতার জাহান: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার গাদোপোতা থেকে সহিদুল ইসলাম পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "গত ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে  রংধনু আসরে প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানটি শুনলাম। অনুষ্ঠানে কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা 'তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে' সংগীতটি চমৎকারভাবে পরিবেশন করে শিশু শিল্পী রাইসা। অনুষ্ঠানে বিশ্ব নবীর জীবন ও আদর্শ সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা হয় যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। শিক্ষণীয়, জ্ঞানসমৃদ্ধ এবং হৃদয়স্পর্শী বিশেষ অনুষ্ঠানটি প্রচার করার জন্য রেডিও তেহরানের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মকর্তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।"

গাজী আব্দুর রশীদ: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রংধনু আসরে প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমাদেরও ভালো লাগল। চিঠি লিখে বিষয়টি জানানোয় সহিদুল ইসলাম ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার খাদিমপুর বাজার থেকে মোখলেছুর রহমান পাঠিয়েছেন সাতটি মেইল। একটিতে তিনি লিখেছেন, "যাকে ভালোবাসি, তাকে না লিখে কি থাকা যায়? ভালোবাসা আর ভালোলাগার টানেই আমি রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি প্রিয় বেতারের তথ্য ও তত্ত্বে ভরপুর চমৎকার সব জ্ঞানগর্ভ অনুষ্ঠানগুলো নিরবছিন্নভাবে শুনে যাচ্ছি।"

আশরাফুর রহমান: এরপর তিনি ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ দিনের অনুষ্ঠানমালার উপর আলোকপাত করেছেন। মনোগ্রাহী, শিক্ষণীয় এবং জ্ঞানগর্ভ অনুষ্ঠানগুলো উপহার দেওয়ার জন্য রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সবাইকে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

আকতার জাহান: ভাই মোখলেছুর রহমান, আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি নিয়মিত চিঠি লিখে মতামত জানানোর জন্য।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "বর্তমান যুগে তথ্য পাওয়ার এক অসাধারণ মাধ্যম রেডিও তেহরান। বিশ্বে অসংখ্য গণমাধ্যম থাকলেও অধিকাংশ গণমাধ্যম ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের খবরাখবর এড়িয়ে চলে। ফলে মুসলমান সমাজ সঠিক ও নির্মোহ খবর থেকে বঞ্চিত হয়। তবে তাদের সে চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান থেকে প্রচারিত রেডিও তেহরান। ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও রেডিও তেহরানের এক বিশাল শ্রোতাগোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে। তারা নিজের দেশের খবরের জন্য, ইসলামি বিশ্বের খবরের জন্য, মজলুম জনগোষ্ঠীর খবরের জন্য রেডিও তেহরানের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।"

গাজী আব্দুর রশীদ: রেডিও তেহরান সম্পর্কে চমৎকার মূল্যায়নের জন্য শাহাদত ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এবারের মেইলটি এসেছে রংপুরের পূর্ব গোয়ালু থেকে। আর পাঠিয়েছেন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ-এর রংপুর বিভাগের সভাপতি ডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। 

তিনি লিখেছেন, "চলতি বছরের গত ৭ জুলাই তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয় একান্ন সদস্য বিশিষ্ট আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ রংপুর বিভাগ। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই কমিটির সদস্যগণ নিয়মিত রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শুনছে এবং মতামত জানিয়ে পত্র লিখছে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শ্রবণে শ্রোতাদের সংখ্যায় রংপুর বিভাগীয় কমিটির সদস্যরাই শীর্ষে।"

আশরাফুর রহমান: এরপর তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানের আলাদা মোহ এবং বৈশিষ্ট্য আছে যা সহজেই শ্রোতাদের মনকে আকৃষ্ট করে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রচারিত প্রিয়জন অনুষ্ঠান এবং ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রচারিত গল্প ও প্রবাদের গল্প আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে। এ জন্য রেডিও তেহরান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।"

আকতার জাহান: আজকের আসরের শেষ মেইলটি পাঠিয়েছেন মো. মান্নান আলী। এ শ্রোতাবন্ধু তার ঠিকানা উল্লেখ করেননি।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান হল বহির্বিশ্ব সংবাদমাধ্যমগুলোর মূল স্তম্ভ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার কারণে অনেক বছর ধরে যোগাযোগ রেখে চলেছি আপনাদের সাথে। বর্তমানে বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত, প্রিয়জন, রংধনু, সোনালি সময় এবং আলাপন বেশি ভালো লাগে।"

গাজী আব্দুর রশীদ: মতামত জানিয়ে চিঠি লিখার জন্য মান্নান আলী ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি পরের মেইলে আপনার পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করবেন।

আশরাফুর রহমান: তো শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের জন্য রয়েছে একটি নাতে রাসূল। নাতটি কথা ও সুর মাহফুজ বিল্লাহ শাহীর। আর গেয়েছে সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ বা সসাস-এর কণ্ঠশিল্পীরা।

আকতার জাহান: তো বন্ধুরা, আপনারা নাতটি শুনতে থাকুন। আর আমরা বিদায় নিই প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে। 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১০

ট্যাগ