নভেম্বর ২০, ২০২৩ ১২:০৬ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২০ নভেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর অনলাইন ভার্সন ও ই পেপারের বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণায় বাড়ছে চিন্তা, গভীর সংকটের পথে অর্থনীতি-ইত্তেফাক
  • মুক্তি পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজা-প্রথম আলো
  • সারা দেশে ২৩১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন-মানবজমিন
  • ৩০০ আসনের মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি-আড়াই শ আসনে প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের-যুগান্তরের শীর্ষ শিরোনাম
  • হরতালের দ্বিতীয় দিনে গাবতলী‘আশ্বাস চাই না, যাত্রী চাই’-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ক্রিকেটের কাছে গো-হারা! বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য মোদী-শাহের আমদাবাদে ক্রিজ় ছাড়ল রাজনীতি-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের নাম বদলে হল জওহরলাল নেহরু! ভারত হারতেই মোদিকে খোঁচা মহুয়ার- ‘সংবাদ প্রতিদিন
  • ক্রিকেট মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া-গণশক্তি
  •  
  • শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে প্রতিদিন নানা ঘটনা ঘটছে,চলছে আন্দোলন সংঘাত। বলতে গেলে আজকের প্রায় সব জাতীয় দৈনিগুলোর অনলাইন এবং প্রিন্ট ভার্সনে এ সম্পর্কিত খবর বিশেষভাবে পরিবেশিত হয়েছে। যুগান্তর পত্রিকার শীর্ষ শিরোনামের খবরে খবরে লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের আড়াইশ আসনে এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলটি বাকি ৫০ আসন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ও সমমনা রাজনৈতিক মিত্রদের ছেড়ে দিতে চায়। তবে প্রয়োজন হলে ৬০ আসন ছাড়তেও প্রস্তুত অথবা সমঝোতার বাইরে কিছু আসন উন্মুক্ত রাখবে আওয়ামী লীগ। সেই লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না ধরে নিয়েই আসন বণ্টন ও উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের নীতিনির্ধারকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রথম আলোর শিরোনাম,  বিএনপির হরতাল -আরও ১১টি গাড়িতে আগুন, সংঘর্ষ, হামলা ও গুলি। বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, বিএনপির ডাকা দুই দিনের হরতালের প্রথম দিনে গতকাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার মধ্যরাত থেকে গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। রাতে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে এবং ওয়ারী থানার ফটকের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যানবাহনে আগুন, ট্রেনে আগুন, সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং হরতালের সমর্থনে মিছিলও হয়েছে।

হরতালে বিজিবি মোতায়েন

মানবজমিনের খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী ২৩১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ডেইলি স্টার বাংলার হরতাল সম্পর্কিত খবরের শিরোনাম এরকম, হরতালের দ্বিতীয় দিনে গাবতলী-‘আশ্বাস চাই না, যাত্রী চাই’। একটি কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, 'যাত্রীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এভাবে চলতে থাকলে আমরা চলবো কেমনে?' 'পরিবহন ব্যবসা শ্যাষ' বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তৃণমূল বিএনপির নেতারা। রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে গণভবনে ঘণ্টাব্যাপী এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।তবে সেখানে আলোচনার বিষয় নিয়ে তারা কিছুই বলেনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে তৃণমূল বিএনপি। জাতীয় পার্টিও ফর্ম বিক্রি শুরু করেছে।

ইত্তেফাকের একটি খবরের শিরোনাম- এরকম ইসি বলেছে, সমঝোতা হলে ভোট পেছাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণায় বাড়ছে চিন্তা, গভীর সংকটের পথে অর্থনীতি-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মান উন্নয়ন নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন স্মারকপত্র সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই স্মারক জারির ঘোষণা দেওয়ার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও চলে আসে। ব্লিংকেন বলেছেন, আমরা কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশি এক গার্মেন্টকর্মীর মতো মানুষদের সঙ্গে থাকতে চাই।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চলমান ডলার সংকট সম্প্রতি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট সামাল দিতে গত অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে আমদানিতে তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা না গেলেও গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এর ফলে ক্রমাগতভাবে কমছে এলসি খোলার প্রবৃদ্ধি। ফলে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় দেশে পণ্যের দামও হু হু করে বেড়ে চলেছে। এলসি খুলতে না পারায় দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি-বাণিজ্য কমে গেছে। আমদানি কম হওয়ায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে।

পর্যালোচনায় বসতে যাচ্ছে ৪ মন্ত্রণালয়-যুগান্তর

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, শ্রম অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া নীতি বাংলাদেশের ওপর কার্যকর হওয়ার কারণ দেখছেন না সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল। কারণ শ্রম অধিকারসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) রোডম্যাপের ৮০-৯০ শতাংশ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে ৫৪-৫৬ শতাংশ।তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিক আন্দোলনের নেতা কল্পনা আক্তারের নামটিও উল্লেখ করে বলেছেন, ‘কল্পনা জানিয়েছেন-ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। পরামর্শকের ভূমিকা রেখেছে। এজন্য তিনি (কল্পনা) এখনো বেঁচে আছেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের এই স্টেটমেন্টের ব্যাপারে যৌক্তিকতা থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। আর সেজন্য পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে সরকারের অবস্থান। শিগগিরই হবে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।

এদিকে বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের। সরকারের অবস্থানের পাশাপাশি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এক ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা ভাবছেন কোনো কারণে শ্রম অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নতুন নীতিটি বাংলাদেশের ওপর কার্যকর করলে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এ দেশের রপ্তানি খাতে।

শ্রম অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির বিষয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ হলো, এ দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে তৃতীয় শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ। পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত মৎস্য, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্যসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৯৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যার মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮৫১ কোটি ডলার।

৩৩২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ঢাকা ওয়াসা দায় এড়াবে কীভাবে-প্রথম আলোর এ শিরোনামের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ৪৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৩৩২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। সমবায় অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সমিতির বিভিন্ন পদে থাকার সময় তাঁরা এই অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসার সিবিএর সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজ উদ্দিন একাই আত্মসাৎ করেছেন ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছেন, কেউ কেউ অবসরে চলে গেছেন। বাকিরা ওয়াসায় কর্মরত আছেন। যাঁরা অবসরে গেছেন এবং যাঁরা ওয়াসায় এখনো কর্মরত, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা যায়।এই আত্মসাতের দায় ওয়াসা কর্তৃপক্ষও এড়াতে পারে না।

মুক্তি পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজা- ডেইলি স্টার বাংলা, প্রথম আলো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মুক্তির পর খাদিজা কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় তো হয়েছেই। বিনা দোষে আমি প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম। এর চেয়ে বেশি কিছু আর এখন বলতে চাই না। বলার মতো মন-মানসিকতা আমার নেই।’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।খাদিজাতুল কুবরা আজ সকালে বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে খুব বেশি ভালো ছিলাম না। নামাজ পড়ে, রোজা রেখে আর লেখাপড়া করে সময় কাটিয়েছি। আজকে আমার স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তাই এখান থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব।’

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের নাম বদলে হল জওহরলাল নেহরু! ভারত হারতেই মোদিকে খোঁচা মহুয়ার-সংবাদ প্রতিদিন

ধরব ধরব করেও সে ধরা দিল না। আরও একবার বিশ্বজয়ের (World Cup 2023) একেবারে কাছে স্বপ্নভঙ্গ টিম ইন্ডিয়ার। আর অজিবাহিনীর কাছে রোহিত শর্মারা হারতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিলেন মহুয়া মৈত্র। ভারতের হারের ইস্যুকে টেনে আনলেন রাজনীতির ময়দানে।আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ১৩২ লক্ষ দর্শকের সামনে রবিবার বিশ্বকাপের মেগা ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। যে ম্যাচ দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু ভারতের বিশ্বজয় দেখার আশা পূরণ হয়নি মোদির। শেষ হাসি হাসে অস্ট্রেলিয়াই। এর পরই নিজের X হ্যান্ডেলে তাঁকে খোঁচা দেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া (Mahua Moitra)। লেখেন, “আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের নাম বদলে ফেলা হল। ভারত বিশ্বকাপ ফাইনাল হারল জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে।” আসলে দেশের যে কোনও সাফল্যের কৃতিত্ব গেরুয়া শিবির নিজের নামে করে নেয়। আর ব্যর্থ হলেই বল ঠেলে দেয় কংগ্রেসের কোর্টে। এমন অভিযোগ বারবার তুলেছে হাত শিবির। সেই বিষয়টি নিয়েই এদিন কটাক্ষ করেন মহুয়া।দৈনিকটির খেলা সম্পর্কিত আরো দুটো শিরোনাম এরকম, ঘুচল না ঠোঁট আর কাপের দূরত্ব, ধোনি হওয়া হল না, কোহলির মতোই ট্র্যাজিক নায়ক রোহিত।অপর শিরোনামটি এরকম-ওঁরা খলনায়ক নন, ওঁদের বাড়িতে পাথর ছুড়বেন না প্লিজ। আর আনন্দবাজার পত্রিকার শিরোনাম এরকম, ক্রিকেটের কাছে গো-হারা! বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য মোদী-শাহের আমদাবাদে ক্রিজ় ছাড়ল রাজনীতি

২ বছরে বন্ধ ৪০ হাজার ছোট কারখানা, ৭৭% ঘাটতি নিট বিদেশি বিনিয়োগে-গণশক্তি পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, মাত্র দু’বছরে অর্থনীতি থেকে বিদায় নিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কারখানা। সরকারকে কর দেয় এমন সংস্থার বিচার করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে তিন মাসে ৭৭ শতাংশ কমেছে নিট বিদেশি বিনিয়োগও।

অর্থনীতি নিয়ে এমন একাধিক তথ্য নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি’র প্রচারকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে ফের।সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘অত্যন্ত শক্তিশালী আর্থিক ভিতের ওপর দেশকে দাঁড় করিয়েছেন বলে প্রচারে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। তথ্য একেবারেই সেই দাবিতে সায় দিচ্ছে না।’

হু হু করে কমবে অক্সিজেন, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ‘মৃত্যু’ হবে পৃথিবীর! নাটকীয় পরিবর্তনের আশঙ্কা-আনন্দবাজার পত্রিকার এ প্রতিবেদনে লেখা হযেছে, বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন। তবে আগামী দিনে পৃথিবী থেকে অক্সিজেনের পরিমাণ যে হু হু করে কমতে শুরু করবে, তা আগে জানা যায়নি।

বিশ্ব উষ্ণায়ন’ শব্দবন্ধের সঙ্গে সকলেই কমবেশি পরিচিত। মানব সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে পৃথিবীর বুকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দূষণ। আর সেই দূষণেই লুকিয়ে আছে উষ্ণায়নের বীজ।দূষণের কারণে ধীরে ধীরে উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী। তার গড় তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান। এর ফলে বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। কমছে অক্সিজেনের মতো প্রাণদায়ী শ্বাসবায়ু।বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই তারা মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। গাছ কাটা, যথেচ্ছ নগরায়ন চলছে তাঁদের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আগামী দিনে পৃথিবীর উষ্ণতা এতটাই বেড়ে যাবে যে, মেরু প্রদেশের বরফ গলে যেতে পারে পুরোপুরি। তার ফলে স্থলভাগ চলে যেতে পারে সমুদ্রের তলায়।তবে পৃথিবী ধ্বংসের সেই আশঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে এ বার প্রকাশ্যে এল নতুন ভবিষ্যদ্বাণী।

বিজ্ঞানীদের একাংশের মত, আগামী কয়েকশো কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে জলে ডুবে নয়।পৃথিবীর ‘শেষের সে দিন’ আরও ভয়ানক হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, ‘শ্বাসরুদ্ধ হয়ে’ মৃত্যুর পথে এগোচ্ছে সৌরজগতের এই তৃতীয় গ্রহ।২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, অক্সিজেনপূর্ণ সময় পৃথিবীতে চিরস্থায়ী হবে না। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যে নাটকীয় পরিবর্তন হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।

বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রথম থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ছিল না। পৃথিবী সৃষ্টির পর নানা গ্যাসের মতো অক্সিজেন বায়ুমণ্ডলে তৈরি হয় অনেক দেরিতে।২৪০ কোটি বছর আগে ‘গ্রেট অক্সিডেশন ইভেন্ট’-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে অক্সিজেনের আবির্ভাব হয়। তার পর ধীরে ধীরে জলে এবং স্থলে আসে প্রাণের স্পন্দন। অক্সিজেনের মাধ্যমেই সেই প্রাণ লালিত হচ্ছে পৃথিবীতে।বিজ্ঞানীদের অনুমান, আগামী কয়েকশো বছরে হু হু করে অক্সিজেনের মাত্রা কমবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। পরিবর্তে বাতাসে বৃদ্ধি পাবে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ। মিথেন যে কোনও প্রাণীর শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি গ্যাস।পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পরিবর্তিত হলে অক্সিজেন নির্ভর সমস্ত প্রাণীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। মানুষও আর থাকবে না।

অক্সিজেন কমতে শুরু করলেই বৃদ্ধি পাবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা।সূর্যের ক্রমবর্ধমান ঔজ্জ্বল্যের পাশাপাশি পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও কমে যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তার ফলে পৃথিবীতে গাছও বাঁচতে পারবে না আর।গাছের সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজন কার্বন ডাই অক্সাইড। এই গ্যাস বাতাস থেকে গ্রহণ করে গাছ অক্সিজেন ত্যাগ করে। কার্বন ডাই অক্সাইডের অভাবে আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যে পৃথিবী হয়ে উঠবে উদ্ভিদশূন্য।উদ্ভিদের অভাব অক্সিজেনের ঘাটতির অন্যতম কারণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে অক্সিজেন ফুরিয়ে আসার নেপথ্যে থাকবে আরও একাধিক কারণ।

গবেষকদের মতে, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে যে পরিমাণ অক্সিজেন আছে, আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যে তার পরিমাণ অন্তত কয়েকশো গুণ কমে আসবে। ঘেঁটে যাবে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র।তবে আশার কথাও শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাঁদের মতে, আগামী কয়েকশো বছরে পৃথিবী থেকে অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলেও চিন্তা নেই। কারণ তত দিনে তৈরি হয়ে যাবে বিকল্প ব্যবস্থা।অন্য কোনও গ্রহে আগামী দিনে মানুষ বসতি স্থাপন করে ফেলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। ফলে পৃথিবীতে অক্সিজেন কমে গেলেও মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা এখনই তাঁরা ছাড়তে চাইছেন না।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ