ডিসেম্বর ০১, ২০২৩ ১৭:৪১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। 

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ইইউতে হুমকির মুখে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা-প্রথম আলো
  • বিএনপির ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন’’-দৈনিক ইত্তেফাক
  • ওয়েবিনারে বক্তারা-শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ন করছে-দৈনিক মানবজমিন

  • একটা হরতাল একটা অবরোধ কি সফল হয়েছে এখন পর্যন্ত: কাদের-যুগান্তর
  • এবার ইসরাইলে পাল্টা হামলা ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের: দৈনিক নয়াদিগন্ত

কোলকাতার শিরোনাম:

  • আমেরিকার মাটিতে ‘মিশন পান্নুন’, খবর পেয়েই ভারতে ছুটে আসেন CIA প্রধান!-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আটকে দেওয়ার অভিযোগ, মোদিকে চিঠি মমতার-দৈনিক আজকাল
  • কর্নাটকে মুসলিম বৃদ্ধর দাড়ি জ্বালিয়ে বেধড়ক মার, বলানো হল জয় শ্রী রাম-দৈনিক পুবের কলম

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু খবর তুলে ধরছি 

একটা হরতাল একটা অবরোধ কি সফল হয়েছে এখন পর্যন্ত: কাদের-যুগান্তর

বিএনপির কোনো আন্দোলন সফল হয়নি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা নতুন ফন্দি আঁটছে।তাদের একটা হরতাল একটা অবরোধ সফল হয়েছে এখনও পর্যন্ত?

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। কারো বাধায় কোথাও আর থামবে না। গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত এই ট্রেন চলবে। যত বাধাই আসুক, কেউ এই ট্রেন থামাতে পারবে না। নির্বাচন হবে। 

তিনি বলেন, বিএনপি নামে একটি দল আজকে সহিংসতা, সন্ত্রাস, অগ্নি-সন্ত্রাস করে এই নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। এখন আবার তারা নতুন করে আন্দোলনের কথা বলছে। তার তো আন্দোলন করছে, একটা হরতাল একটা অবরোধ সফল হয়েছে এখন পর্যন্ত? আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি একটাও সফল হয়নি। তারা সন্ত্রাস করতে পেরেছে, আগুন সন্ত্রাস করতে পেরেছে। কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণ, জনগণের সাড়া নিয়ে তারা কোনো আন্দোলন সফল করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।

ওয়েবিনারে বক্তারা-শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ন করছে-দৈনিক মানবজমিন

আদালত মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। একটা আদালতকে যখন নিপীড়ন তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার জন্য ব্যবহার করা হয়, তখন একটা দেশের আইনের শাসনে ভরসা করার মতো আর কিছু থাকে না। এবারের ব্যবহার করাটা হচ্ছে অনেক ব্যাপক, সুদূরপ্রসারী ও সর্বনাশা। ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা বা পুলিশ প্রশাসনকে নয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং সম্মান ক্ষুণ্ন করার পথে নেমেছে। শুক্রবার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

খেসারত সরকারকে দিতে হবে। কোনো সমাজে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা যদি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়, তখন ওই সমাজের অনেক অনিষ্ট হয়। তখন আস্তে আস্তে সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সাজানো নির্বাচন, বিচার বিভাগ ও আইনের শাসন শীর্ষক এই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ। সমাপনী বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. রিদওয়ানুল হক।

বিএনপির ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন’’-দৈনিক ইত্তেফাক

বিএনপির ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।   

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রিশ দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বড় সাফল্য। বিএনপিরও তো ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইউরোপ-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকায় অনেক দেশেই নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয় না। তাতে কী নির্বাচন অবৈধ ধরা হয়? কিছু দল না এলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, অবৈধ হবে, এমনতো কথা নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘৩০টি নিবন্ধিত রাজনীতির দল নির্বাচন অংশ নিচ্ছে। এটা একটা বড় সাফল্য। বিএনপিরও অনেকে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, মনজুর আলম, শওকত মাহমুদ, তৈমুর আলম খন্দকার, শমসের মবিন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান হাবীব, একে এম ফখরুল ইসলামসহ ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা এবং শাহ মোহাম্মদ জাফর ও মেজর আখতারুজ্জামানসহ সাবেক ৩০ জন এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।’

এবার ইসরাইলে পাল্টা হামলা ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের: দৈনিক নয়াদিগন্ত

এবার ইসরাইলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পশ্চিমতীরভিত্তিক ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দলটির সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই তথ্য জানায়।

আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা শুক্রবার সকালে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়েছে। একইদিন সকালে ইসরাইলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই আক্রমণ করে তারা।কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ইসলামী জিহাদ ইসরাইলের নানা শহরে হামলা চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর অ্যাশকেলনে হামলা হলে শহরের সাইরেনের আওয়াজ শোনা যায়। এদিকে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির বর্ধিত সময়সীমা শেষে শুক্রবার আবারো হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে দুই ঘণ্টারও কম সময়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে।

ইইউতে হুমকির মুখে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা-প্রথম আলো

বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এতে ইইউতে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি অব্যাহত রাখা হুমকির মুখে পড়েছে।

জিএসপি কর্মসূচির ওপর ইউরোপীয় কমিশনের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে। এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত ২১ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ইইউতে পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করতে জিএসপি হচ্ছে ইইউর প্রধান বাণিজ্যনীতি।

মানবাধিকার, শ্রম অধিকার, পরিবেশ, জলবায়ু ও সুশাসনের ওপর আন্তর্জাতিক মানকে সম্মান জানানোর শর্ত সাপেক্ষে জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়। এ সুবিধার কারণেই বাংলাদেশের পণ্যের বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে ইইউ। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির প্রায় ৪৫ শতাংশ গেছে ইইউভুক্ত ২৭ দেশে।

সাম্প্রতিক সময়ে জিএসপি সুবিধা পাওয়া তিন দেশ—বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে ইইউ। কারণ হিসেবে ইইউ বলছে, দেশগুলোতে মৌলিক মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের মানদণ্ডের প্রতি সম্মান দেখানোর ঘাটতির বিষয়টি জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও সুশীল সমাজের প্রতিবেদনে প্রমাণিত। ইইউ বলেছে, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে ব্যর্থ হলে সুবিধাভোগী দেশগুলো তাদের জিএসপি সুবিধা হারাতে পারে।

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আটকে দেওয়ার অভিযোগ, মোদিকে চিঠি মমতার-সংবাদ প্রতিদিন

১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে বকেয়ার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। কলকাতা থেকে দিল্লি, এই ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। এই মুহূর্তে বিধানসভায় বঞ্চনায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তৃণমূল। তার মাঝেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে লিখেছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বরাদ্দ আটকে রয়েছে। নির্দিষ্ট রঙ করার শর্ত দিয়ে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ করে এই বরাদ্দা যাতে আটকে রাখা না হয়, তার আর্জি জানিয়েছেন এবং বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কথা বলেছেন তিনি। চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আপনি জানেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমাজের দরিদ্র এবং প্রান্তিক অংশের উপর বিশেষ জোর দিয়ে জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। আমাদের প্রচেষ্টায়, আমরা বিনামূল্যে সকলকে সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছি। গত ১২ বছরে স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমাদের বাজেটে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ যেমন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নির্মাণ, স্বাস্থ্যসাথী, শিশুসাথী, মাতৃমা, চোখের আলো, ইত্যাদি সফলভাবে চালু করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে বিপুল সংখ্যক মানুষ এর থেকে উপকৃত হয়েছেন।

কর্নাটকে মুসলিম বৃদ্ধর দাড়ি জ্বালিয়ে বেধড়ক মার, বলানো হল জয় শ্রী রাম-দৈনিক পুবের কলম

কর্নাটক থেকে বিজেপি সরকার বিদায় নেওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, সে রাজ্যে মুসলমানরা এবার নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু গত ২৫ নভেম্বর রাতে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ হুসেনসাব। ওই বৃদ্ধ দৃষ্টি হারিয়েছেন বলে কাজ করতে পারেন না। আপাতত তিনি ভিক্ষাবৃত্তির ভরসায় বেঁচে আছেন।

২৫ নভেম্বর রাতে কোপ্পাল জেলার গঙ্গাবতী এলাকার বাসস্ট্যান্টে অটো রিকশার অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তখন অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবক এসে তাকে তাদের বাইকে উঠতে বলে। জানায়, তার বাড়িতে পৌঁছে দেবে। কিন্তু বাইক চলা শুরু করলে নিজেদের আসল রুপ দেখায় ওই দুই দুষ্কৃতি।হঠাৎ চলন্ত বাইকে তাকে মারধর শুরু করে দেয়। এরপর পম্পানগর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুই দুষ্কৃতি।তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়।

হুসেনসাব বলেন, ‘আমি ওদেরকে বললাম, আমি চোখে দেখি না। আমাকে দয়া করে তোমরা ছেড়ে দাও। কিন্তু ওরা কোনও কথা শোনেনি। আমাকে মারতে মারতে ওরা জয় শ্রী রাম বলতে বাধ্য করল।একটি মদের বোতল ভেঙে কাঁচের টুকরো দিয়ে আমার দাড়ি কাটার চেষ্টা করছিল ওরা। ওভাবে দাড়ি কাটা যায় না বুঝে এরপর দেশলাই বের করে ওরা আমার দাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তখন আমি ভেবেছিলাম আমাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। আমি প্রাণপণ চিৎকার শুরু করলে কয়েকজন ছুটে আসে।এরপর ওরা পালিয়ে যায়।’

আমেরিকার মাটিতে ‘মিশন পান্নুন’, খবর পেয়েই ভারতে ছুটে আসেন CIA প্রধান!-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

ভারতের মাটিতে বসে ভারতীয় কূটনীতিকের মদতেই খলিস্তানি জঙ্গিনেতা (Khalistani Terrorist) পান্নুনকে খুনের চেষ্টা চলছে! আমেরিকার এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই নয়া তথ্য ফাঁস করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। তাদের দাবি, চলতি বছরের জুলাই মাসেই এই খুনের ছক জানা গিয়েছিল। তার পরেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর (CIA) ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস ভারতে আসেন। জি-২০ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)।

কী বলছে রয়টার্সের খবর? জুলাই মাসের শেষ দিকে জানা যায়, নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুন করার ছক কষছে ভারতীয় কূটনীতিক। সেই জন্য সুপারি কিলারও ভাড়া করা হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে পেরেই আগস্ট মাসে ভারতে এসেছিলেন বার্নস। সেই সময়ে ‘র’ প্রধান রবি সিনহার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জানিয়ে দেন, এই পরিকল্পনা নিয়ে ভারতকে তদন্ত করতে হবে। দোষীদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে। সেই সঙ্গে আমেরিকাকে আশ্বাস দিতে হবে যেন আগামী দিনে এমন ঘটনা না ঘটে।

এই বৈঠকের পরেই সেপ্টেম্বর মাসে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসেন বাইডেন। সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন তিনি। পান্নুনকে খুনের ছক কষার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বাইডেন। তিনি মোদিকে বলেন, এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন আসতে পারে। বাইডেন ফিরে যাওয়ার পরেও পান্নুনকে খুনের পরিকল্পনা নিয়ে ‘তদন্ত’ চালিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। নভেম্বর মাসে ভারতে এসেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। নানা বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন তাঁরা।

ট্যাগ