ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩ ১১:১১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • সীতাকুণ্ডের ওসির ‘চাঁদাবাজি’ ১৯৬ কারখানায়, মাসে ওঠে দেড় কোটি টাকা-প্রথম আলো
  • এক বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৩৪৯ কোটি ডলার -ইত্তেফাক
  • ফেরার এক পিতার আকুতি-মেয়ের সঙ্গে দেখা নেই ১৪ বছর, কথা হয় ভিডিও কলে -মানবজমিন
  • দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটের ভোটে দৌড়ঝাঁপ-যুগান্তরের  শিরোনাম
  • ‘আমি কিছু বলব না’ আচরণবিধি লঙ্ঘনে নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে সিইসি -ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মোদীমন্ত্রের বিপুল জয়ের পরেও বাংলায় পাঁচ উদ্বেগ বিজেপির -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‘দিল্লি বনেগা খলিস্তান’, সংসদে হামলার হুমকি পান্নুনের! জারি কড়া সতর্কতা -সংবাদ প্রতিদিন
  • তিন বছরে দেশে আত্মঘাতী ৩৫ হাজার পড়ুয়া -গণশক্তি
  • করনি সেনা প্রধান খুনের ঘটনায় রাজস্থানে বন্‌ধের ডাক -আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি। দৈনিকগুলো ভিন্ন ভিন্ন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে। প্রথমে দৈনিকগুলোর  রাজনীতি বিষয়ক খবরের দিকে দৃষ্টি দেই।

ইত্তেফাকের খবর-দশম দফায় বিএনপির ৪৮ ঘন্টার অবরোধ চলছে। এ খবরে লেখা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত দশম দফায় ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী বিএনপির সর্বাত্মক অবরোধ চলছে। আলাদাভাবে অনুরূপ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীও। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই মাসেই সরকারের পতন হবে।মানবজমিনের খবর এরকম, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংএ বলা হয়েছে,  বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

যুগান্তরের শীর্ষ খবরের শিরোনাম এরকম-দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

জোটের ভোটে দৌড়ঝাঁপ। এতে লেখা হয়েছে, জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বহুমুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিনের শরিক ১৪ দলকে নিয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ে নামতে চায় ক্ষমতাসীনরা। এর বাইরে দুই বারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, একাধিক রাজনৈতিক দল, ধর্মভিত্তিক ইসলামি দল এবং জোটকেও সঙ্গী করতে চায় তারা। এক্ষেত্রে কোথাও প্রকাশ্যে আবার কোথাও অপ্রকাশ্যে পর্দার অন্তরালে আসন সমঝোতার পথে হাঁটতে দেখা যেতে পারে আওয়ামী লীগকে।

দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপির দায়ে ১১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।  মনোনয়নপত্র বাতিল অধিকাংশই ছোট ঋণগ্রহীতা বা চুনোপুঁটির। ঋণখেলাপির এই জালে কাঙ্ক্ষিত বড় রাঘববোয়ালরা ধরা পড়েনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাঘববোয়াল ঋণখেলাপিদের একের পর এক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে সরকার। ছোটরা তো সে সুযোগ পায়নি। সে কারণে তারা খেলাপিমুক্ত হতে পারেনি।

পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, যেখানে হাজার কোটি টাকার রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে, সেখানে চুনোপুঁটি নিয়ে ব্যস্ত। আসলে তারা তো ব্যাংকের মালিক। তাদের মধ্যে এমন অনেক আছেন-যারা নিজেদের ঋণ নিজেরাই পুনঃতফশিল করেন। 

এক বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৩৪৯ কোটি ডলার-ইত্তেফাক

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, দেশে বৈদেশিক ঋণ গত এক বছরে বেড়েছে ৩৪৯ কোটি ডলার। গত বছরের (২০২২) জুনে মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৫৪৫ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছে, কমেছে স্বল্পমেয়াদি ঋণ। সূত্র জানায়, গত দেড় বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কারণে এ সংকট আরও বেড়েছে। ফলে সার্বিকভাবে মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বেড়ে গেছে, যা পরিশোধে ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। আগে যেসব ঘাটতি ছিল তা এখন কমে এসেছে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধে ডলারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে না।

সীতাকুণ্ডের ওসির ‘চাঁদাবাজি’ ১৯৬ কারখানায়, মাসে ওঠে দেড় কোটি টাকা-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ব্যবসা করতে হলে চাঁদা দিতে হবে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিল্প এলাকায় যেন এটাই নিয়ম। 

চাঁদাবাজির অভিযোগ পুলিশের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড থেকে প্রতি মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। সেখানকার ১৯৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, চোরাই জ্বালানি তেল ও জাহাজের পুরোনো আসবাব বিক্রির দোকান, ড্রামের কারখানা, পুরোনো লোহা বিক্রেতা, পরিবহনচালক—কেউই বাদ যান না চাঁদাবাজি থেকে। 

অবশ্য চাঁদার হার ভিন্ন ভিন্ন। কাউকে দিতে হয় দুই হাজার টাকা, কারও কারও কাছ থেকে নেওয়া হয় এক লাখ টাকা। 

চাঁদাবাজির শিকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা ধরে ১১টি কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা চাঁদা দিতে বাধ্য হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অস্বীকার করেছেন একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেছেন, তাঁর কারখানা বন্ধ থাকায় এখন চাঁদা দিতে হয় না।

শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা পুলিশের হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদিনেই ৪ জন খুন-যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে খবরটি পরিবেশিথ হয়েছে। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় একদিনে  ৪ রোহিঙ্গা খুন হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও দুইজন। পুলিশের দাবী ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটে।মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে উখিয়া ১৭ নম্বার মধুর ছড়া ও জামতলির ১৫ নম্বার ক্যাম্পে পৃথক এসব হত্যার ঘটনা ঘটে।

ফেরার এক পিতার আকুতি!

ফেরার এক পিতার আকুতি-মেয়ের সঙ্গে দেখা নেই ১৪ বছর, কথা হয় ভিডিও কলে-মানবজমিনের এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ফেরার এক পিতার করুণ আর্তনাদ- ছেলে, মেয়ের সঙ্গে দেখা নেই ১৪ বছর। গুমরে কান্নাই তার সম্বল। বলেন, ফেরার সময়ে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে কদাচিৎ ভিডিও কলে কথা হয়। তাও ক্ষণিকের জন্য। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান সুমন।

ওদিকে ২০২০ সালে বাবা মারা যায় রামপুরা থানা যুবদল নেতা কামাল আহমদ দুলুর। বলেন, লাশ দেখতে পারিনি। মা অনেকদিন অসুস্থ। মায়ের কাছে যেতে পারি না। ঢাকার অন্য জায়গায় কারও সঙ্গে দেখা করতে পারি না। পরিবারের সদস্যদেরও নজরদারিতে রাখে পুলিশ।

পরিবারের কে কখন কোথায় যান, পুলিশ তারও খোঁজ রাখে। ফোনে কথা পর্যন্ত বলতে পারি না। ফোন ব্যবহার করলেই পুলিশ পিছু নেয়। প্রতিদিনই আমার বাসায় পুলিশ যায়। এলাকায় পুলিশের অনেক ফর্মা কাজ করে। পুলিশের চেয়ে এই ফর্মারা বেশি ভয়ঙ্কর। বাবার জানাজায় যাওয়ার চেষ্টা করেছি। যেতে পারিনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আমাকে খোঁজে। পুলিশের তাড়ায় ঢাকায় থাকতে পারি না। ৪ বছর দুই জেলায় আত্মগোপনে ছিলাম। অনেক কষ্টে জীবন কাটিয়েছি। নিজের বাড়ি থাকতেও ৯ বছর বাড়িতে যেতে পারি না। ভোটের অধিকারের সংগ্রামে নেমে জীবন থেকে ১০টি বছর হারিয়ে গেছে। 

রামপুরা থানা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল আহমেদ দুলু। গত সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে মানবজমিন-এর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বলেন, একের পর এক মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে দিন কাটে আদালতে। রামপুরা, খিলগাঁও, হাতিরঝিল থানায় মামলা হলেই আমার নাম থাকে। আমি একজন কমন আসামি। এমন কোনো মামলা নেই, যেখানে আমার নাম নেই। আমি কোন চোরাবালিতে আটকে গেছি নিজেই বলতে পারি না। বাবার রেখে যাওয়া সম্পদের ওপর ভর করেই জীবন চলছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ৯ বছরে ৭৩টি মামলা হয়েছে। খিলগাঁও থানায় ১৭, রামপুরা ৩৭, হাতিঝিল ২, রমনা ১, শাহবাগ থানায় ২টি মামলা হয়েছে। মামলার পেছনে দৌড়ে এখনো সংসার করা হয়নি। এলাকায়ই যেতে পারি না। বিয়ে করবো কীভাবে? এমন একটা অনিশ্চিত জীবন হলে তার সঙ্গে কে মেয়ে দিবে? আসলে এই জীবনের কোনো অর্থই হয় না। 

তিনি মানবজমিনকে বলেন, কয়েকটি মামলার বিচার শুরু হয়েছে। মামলার কারণে এখন ঢাকায় থাকতে হয়। ঢাকায় একটা মেসে থাকি। প্রতিদিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এমন কোনো দিন নাই, যেদিন আদালতে আসতে হয় না। এখন আদালতই আমার ঠিকানা। সাজা হলে কারাগারে যেতে হবে। 

রাজনৈতিক মামলা নিয়ে একই রকম পেরেশানিতে হাবিবুর রহমান সুমন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

২০১০ সালের পরে আর বাড়িতে যেতে পারেননি সুমন। সুমনের বাসায় প্রায়ই পুলিশ আসে। তার সম্পর্কে তথ্য জানতে চায়। সুমন মানবজমিনকে বলেন, ১৪ বছর ধরে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারি না। আমি এক অভাগা পিতা। কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে আমাকে একটা প্রশ্ন করেছিল। বাবা তুমি কি আমাকে কখনো স্কুলে নিয়ে গেছো। তখন আমি তার প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারিনি। ফোন কেটে দিয়ে নীরবে কেঁদেছি। আল্লাহ একদিন এই কান্নার বিচার করবে। দেশে থেকে ছেলে-সন্তান পরিবারের কাছে না যেতে পারার চেয়ে যন্ত্রণার কিছু নাই। এই যন্ত্রণা ১৪ বছর ধরেই বয়ে বেড়াচ্ছি। কষ্টের বিষয় হলো পুলিশ আমার পরিবারের সদস্যদেরও নজরদারিতে রাখে। তারাও ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। মাস খানেক আগে আমি এক আত্মীয়র বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাই, বাসা থেকে বের হওয়ার পরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে। এই হলো আমাদের জীবন। 

আরেক ভুক্তভোগী আদিবুল হক আল আমিন। রামপুরা থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। পশ্চিম রামপুরা মহিলা কমিউনিটি সেন্টার গলি এলাকার বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তার বাসায় গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে এলাকায় যেতে পারেন না আল আমিন। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না সরাসরি। পরিবারও নানা কষ্টে আছে। রামপুরাসহ বিভিন্ন থানায় আল আমিনের নামে প্রায় ৬০টি মামলা আছে। ২০২১ সালে আল আমিনের বাবা মারা গেলে তিনি বাবার জানাজায় যেতে পারেননি। ভয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেন না। মাঝেমধ্যে অন্যের ফোন দিয়ে কথা বলেন। 

অনিকুর রহমান জাফর। হাতিরঝিল থানা ছাত্রদলের সভাপতি। রামপুরার পূর্ব উলন এলাকার বাসিন্দা। নাশকতা, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের জন্য অন্তত ৬০টি মামলার আসামি জাফর। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০১৩ সাল থেকে এলাকায় যেতে পারেন না। পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন না। দেশে থেকেও প্রবাসীর মতো জীবন পার করছেন তিনি। 

আসিফ সাত্তার শোভন। বাসা পূর্ব রামপুরায়। তিনি রামপুরা থানা যুবদলের সদস্য সচিব। ৭ বছর  ধরে এলাকাছাড়া। নিয়মিত বাসায় পুলিশ যায়। এলাকায় শোভনের খোঁজ করেন পুলিশ সদস্যরা। রামপুরা, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, শাহবাগ থানায় ৫১টি মামলা আছে শোভনের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে দীর্ঘদিন ধরেই নিজ এলাকায় যেতে পারেন না। প্রায়ই পুলিশ বাসায় এসে তার খোঁজ করে। পরিবারের সদস্যদেরও চাপ দেয় শোভনের অবস্থান জানাতে। তবে প্রায় দুই বছর ধরে তিনি ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করেছেন। পুলিশি হয়রানি এড়াতেই ঢাকা ছেড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি মামলাগুলোর বিচার শুরু হওয়ায় প্রতিদিনই আদালতে যেতে হয়। তাই ঢাকার একটি মেসে থেকেই সকালে আদালতে আসেন আর রাতে মেসে ফিরেন।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

Image Caption

‘দিল্লি বনেগা খলিস্তান’, সংসদে হামলার হুমকি পান্নুনের! জারি কড়া সতর্কতা-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, কয়েকদিন আগেই এক মার্কিন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন মুলুকে খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে (Gurpatwant Singh Pannun) খুনের ছক কষছে ভারত। সেই জঙ্গিই এবার হুমকি দিল সংসদে হামলার। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলা হয়েছিল। সেই দিনটিতেই সংসদে হামলা করবে খলিস্তানিরা। এমনই হুমকি দিল পান্নুন। ওইদিনের আগে বা পরে হামলার হুমকি দিয়েছে সে। যে ভিডিওয় সে ওই হুমকি দিয়েছে তার শিরোনাম ‘দিল্লি বনেগা খলিস্তান’। উল্লেখ্য, সোমবার থেকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। যা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যেই খলিস্তানি নেতার এই হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

করণি সেনা প্রধানের হত্যায় উত্তপ্ত মরুরাজ্য, রাজস্থান জুড়ে বনধের ডাক-সংবাদ প্রতিদিন/আজকাল

করণি সেনা প্রধান সুখদেব সিং গোগামেদির (Sukhdev Singh Gogamedi) হত্যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজস্থান। সবেমাত্র ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে মরুরাজ্যে। তার পরই সৃষ্টি হল এমন পরিস্থিতির। রাজ্যে বুধবার দিনভর বনধের ডাক দিয়েছে করণি সেনা। বনধকে সমর্থন জানিয়েছে অন্যান্য সম্প্রদায়ও। মঙ্গলবার থেকেই এই খুনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজস্থান (Rajasthan)। করণি সেনার (Karni Sena) কর্মী ও সমর্থকদের দেখা যায় পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে। জয়পুরে রাস্তা অবরোধ করে তারা। বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয় বহু দোকান। মেট্রো মাস হাসপাতাল ও মানসরোবরগামী পথ রুদ্ধ করেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আন্দোলনকারীরা। রাজপুত করণী সেনার নরমপন্থী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন সুখদেব।

মোদীমন্ত্রের বিপুল জয়ের পরেও বাংলায় পাঁচ উদ্বেগ বিজেপির-আনন্দবাজার পত্রিকা

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভয়

সদ্যসমাপ্ত চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তিন রাজ্যে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। সেই জয়ের আনন্দ বাংলাতেও। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পরে কি বাংলার বিজেপি এমন উল্লাস দেখাতে পারবে?

তিন রাজ্যে বিপুল জয়ের পরে উল্লসিত পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি শিবিরও। নেতারা বলছেন, তিন রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘মুখ’ করে লড়ে সাফল্য এসেছে। আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তো মোদীই প্রধান মুখ। ফলে ‘মোদীমন্ত্র’ আরও ভাল কাজে দেবে। কিন্তু এ সবের ভিতরেও পাঁচটি বিষয়ে খানিক উদ্বিগ্ন গেরুয়া শিবির। যে বিষয়গুলি লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে বিজেপিকে ‘চাপে’ ফেলতে পারে। প্রত্যাশিত ভাবেই প্রকাশ্যে এ সব নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না। তবে দলের অন্দরে লোকসভার প্রস্তুতিপর্বে এমন আলোচনা শুরু হয়েছে।

তিন বছরে দেশে আত্মঘাতী ৩৫ হাজার পড়ুয়া-গণশক্তি

বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সারা দেশে ৩৫ হাজারের বেশি পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন একটি প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাইয়া নারায়ণস্বামী। 

সারা দেশে জাতি বৈষম্যের জন্য কতজন আদিবাসী এবং তফশিলি পড়ুয়া আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন? মঙ্গলবার বিরোধীদের তরফে কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্ন রাখা হয়। সেই তথ্য না দিলেও নারায়ণস্বামী স্বীকার করেছেন, মাত্র ৩ বছরে বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া নিজেদের জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ভারতের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা

ভুক্তভুগী অংশের দাবি, আইন থাকলেও প্রতিদিন বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের পড়ুয়াদের। প্রতিদিন তাঁদের শুনতে হয়, তাঁরা মেধাহীন। স্রেফ সংরক্ষণের সুযোগ নিয়ে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন তাঁরা। আইআইটি’র মত দেশের প্রথম সারির একাধিক প্রতিষ্ঠানে এসসি এবং এসটি পড়ুয়াদের জন্য পৃথক বাসনের ব্যবস্থা করার অভিযোগও সামনে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে। 

এই অংশ মনে করাচ্ছে হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলার কথা। প্রসঙ্গত, প্রাতিষ্ঠানিক জাতি বিদ্বেষের শিকার হয়ে ২০১৬ সালে আত্মহত্যা করেন মেধাবী দলিত পড়ুয়া রোহিত ভেমুলা।# 

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ