ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ ১২:১২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার অভিযোগের জবাবে মন্তব্য করলো না যুক্তরাষ্ট্র-মানবজমিন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধের ৩৮ ঘটনায় ছাত্রলীগের নাম-প্রথম আলো
  • ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ বছরে সাশ্রয় করতে পারে ১ বিলিয়ন ডলার-ডেইলি স্টার বাংলা
  • ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন’-ইত্তেফাক
  • ১৩ জেলার সীমান্ত পথে ঢুকছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-যুগান্তরের খবর 

কোলকাতার শিরোনাম:

  • কল্যাণের কাণ্ডে ‘ব্যথিত’ রাষ্ট্রপতি মুর্মু, ধনখড়কে ফোন করে সমবেদনা জানালেন প্রধানমন্ত্রীও-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দেশজুড়ে আসন সমঝোতায় ৩০০-২৪৩ ফর্মুলা মমতার, বাংলা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?সংবাদ প্রতিদিন
  • বিরোধীশূন্য ভারত গড়াই লক্ষ্য মোদীর: সেলিম-গণশক্তি
  • প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে খাড়গের নাম প্রস্তাব মমতার, দিলেন আসন সমঝোতার ডেডলাইন-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি।

বিএনপিসহ মিত্ররা ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে-যুগান্তর

একদফা দাবিতে ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে বিএনপিসহ মিত্ররা। এতে নির্বাচন বর্জন করা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও পাশে চায় তারা। এর ধরন কী হবে, তা নিয়ে আলোচনাও চলছে। জানুয়ারির শুরু থেকে সব বিরোধী দলের সঙ্গে সমন্বয় করে এ কর্মসূচি পালনের চিন্তাভাবনা চলছে। এর আগে হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি ভোটদানে ‘নিরুৎসাহিত’ করার কর্মসূচি দেওয়া হবে। ভোটারদের কাছে নির্বাচন ‘আগ্রহহীন’ করতে চান তারা। এজন্য হরতাল ও অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে সারা দেশে ভোটবিরোধী লিফলেট বিতরণসহ জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রচারের শুরুতেই ৮ জায়গায় স্বতন্ত্র–নৌকা সমর্থকদের সংঘাত-প্রথম আলো

বিএনপিবিহীন নির্বাচনে ভোটার টানতে অবাধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারণার শুরুতেই আওয়ামী লীগের মনোনীত ও দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-উত্তেজনা শুরু হয়েছে। গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত আটটি আসনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন।

•    স্বতন্ত্র প্রার্থীর গণসংযোগের সময় নৌকার সমর্থকদের হামলায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম।

•    নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়কে আ.লীগের দুই প্রার্থীর মিছিল। যান চলাচল বিঘ্ন।

•    ফরিদপুরে এ কে আজাদের প্রচারে বাধা। প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

১৩ জেলার সীমান্ত পথে ঢুকছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-যুগান্তর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিরা। দেশের অন্তত ১৩ জেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নানা কৌশলে ঢুকছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এসব অস্ত্রের চোরাচালান ঠেকাতে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সারা দেশে চলছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। এরপরও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানিদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধের ৩৮ ঘটনায় ছাত্রলীগের নাম-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, 

•    নানা অপরাধে জড়িত থাকায় সাড়ে ১১ মাসে বহিষ্কার ও অব্যাহতি পেয়েছেন ২১ নেতা-কর্মী।

•    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে।

•    মারামারি, চাঁদাবাজি, নির্যাতন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়।

রাজধানীর বঙ্গবাজারে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয় গত ৩১ জানুয়ারি রাতে। ওই ঘটনায় ফাঁস হওয়া মুঠোফোন আলাপ থেকে জানা যায়, চাঁদা না পেয়ে ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কর্মীরা। তাঁদের পাঠিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান।ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনাটির মতো গত জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১১ মাসে ৩৮টি চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারধর ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। নানা অপরাধে জড়িত থাকায় এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ও পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ২১ জন। সহকারী প্রক্টর বলেছেন, অনেক সময় অনেক ঘটনার কথা গণমাধ্যমে এলেও আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেন না৷ অনেক ক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে অভিযোগ না পাওয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় তা সম্ভব হয় না৷

বিশ্বব্যাংক–নোমাডের প্রতিবেদন  প্রবাসী আয়ে বিশ্বে সপ্তম বাংলাদেশ-প্রথম আলো

•    ২০২৩ সালের শেষেও বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের উৎস হিসেবে যথারীতি যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে থাকবে।

•    চলতি বছর শেষে প্রবাসী আয়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।

২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে নেতিবাচক ধারা থাকলেও এ বছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, দেশের প্রবাসী আয়ে এখন ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছরের শেষে আনুষ্ঠানিক তথা বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশের মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।

ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ বছরে সাশ্রয় করতে পারে ১ বিলিয়ন ডলার-ডেইলি স্টার বাংলা

‘ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহারের অর্থনৈতিক সুবিধা স্পষ্ট। কিন্তু তারপরও গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, বিনিয়োগ ঝুঁকি নিয়ে দুশ্চিন্তা, উচ্চ আমদানি শুল্ক ও চলমান আর্থিক সংকটের কারণে এই খাতটি এখনো প্রারম্ভিক পর্যায়ে আছে।’

পুরুষের ডিম্বাণু, নারীর শুক্রাণু- স্টেম সেল বদলে দিচ্ছে প্রজননের ধারণা-মানবজমিন অনলাইনের এ শিরোনামের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, চিকিৎসা বিজ্ঞান বদলে দিতে পারে প্রজননের চিরাচরিত ধারণা। স্টেম সেল সায়েন্সের মাধ্যমে এবার  মানব-শরীরের বাইরেই পুরুষের থেকে ‘ডিম্বাণু’ এবং নারীর থেকে ‘শুক্রাণু’ তৈরি করে জন্ম দেয়া যেতে পারে নতুন প্রাণের। যার নাম ‘ইন ভিট্রো গ‌্যামেটোজেনেসিস’। তাত্ত্বিকভাবে, একজন পুরুষের ত্বকের কোষ একটি ডিমে পরিণত হতে পারে এবং একজন নারীর  ত্বকের কোষ শুক্রাণুতে পরিণত হতে পারে। তারপরে একটি সন্তানের একাধিক জিনগতভাবে-সম্পর্কিত পিতামাতা বা শুধুমাত্র একজন পিতামাতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন ইন ভিট্রো গ‌্যামেটোজেনেসিসের মানুষের ওপর প্রয়োগ অনেক দূরে। তবে একদল  বিজ্ঞানী  যারা মানব স্টেম সেল নিয়ে কাজ করেন তারা সক্রিয়ভাবে বাধাগুলি অতিক্রম করার জন্য কাজ করছেন। নতুন বায়োটেকনোলজি স্টার্ট-আপগুলিও এই প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে চাইছে।

ইন ভিট্রো গ‌্যামটোজেনেসিস "প্লুরিপোটেন্ট স্টেম সেল" দিয়ে শুরু হয়, এটি এমন এক ধরণের কোষ যা বিভিন্ন ধরণের কোষে বিকশিত হতে পারে। উদ্দেশ্য হল এই স্টেম সেলগুলিকে ডিম বা শুক্রাণু হতে রাজি করানো। এই কৌশলগুলি প্রাথমিক ভ্রূণ থেকে নেওয়া স্টেম সেল ব্যবহার করতে পারে।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা কীভাবে প্রাপ্তবয়স্ক কোষগুলিকে প্লুরিপোটেন্ট অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়েও কাজ করেছেন। এটি ডিম্বাণু বা শুক্রাণু তৈরি করার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে। প্রাণী নিয়ে গবেষণা অনেক দূর এগিয়েছে।  ২০১২ সালে, বিজ্ঞানীরা ডিম ব্যবহার করে জীবিত বাচ্চা ইঁদুর তৈরি করেছিলেন যা একটি ইঁদুরের লেজে ত্বকের কোষ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো। বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘ইন ভিট্রো মেটোজেনেসিস’-এর প্রয়োগ সবুজ সংকেত পেলে সমকামী দম্পতিরাও  সন্তান ধারণ করতে পারবেন। এছাড়াও একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

প্রথমত, ইন ভিট্রো গেমটোজেনেসিস আইভিএফকে প্রবাহিত করতে পারে। ডিম পুনরুদ্ধারে বর্তমানে বারবার হরমোন ইনজেকশন, একটি ছোট অস্ত্রোপচার পদ্ধতি এবং ডিম্বাশয়কে অতিরিক্ত উত্তেজিত করার ঝুঁকি জড়িত। ইন ভিট্রো গেমটোজেনেসিস এই সমস্যাগুলি দূর করতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তিটি চিকিৎসা বন্ধ্যাত্বের কিছু রূপ রোধ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এটি ডিম্বাশয়ের কাজ না করলে  বা প্রাথমিক মেনোপজের পরে নারীদের শরীরে  ডিম্বাণু  তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইন ভিট্রো গেমটোজেনেসিস বদলে দিতে পারে প্রজননের চিরাচরিত  ধারণা।

মানব-শরীরের বাইরেই পুরুষের থেকে ‘ডিম্বাণু’ এবং নারীর থেকে ‘শুক্রাণু’ তৈরি করে জন্ম দেয়া যেতে পারে নতুন প্রাণের।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

মোদী-মমতা বৈঠক শুরু, অভিষেক-সহ ১১ তৃণমূল সাংসদকে সঙ্গে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর। বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের পাওনা ও বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিজয় চকে সাংবাদিক বৈঠক মমতা-বললেন,

দেশজুড়ে আসন সমঝোতায় ৩০০-২৪৩ ফর্মুলা মমতার, বাংলা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?-সংবাদ প্রতিদিন

হাতে সময় বেশি নেই। তাই ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে আর বিলম্ব করতে রাজি নয় তৃণমূল। মঙ্গলবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের বৈঠকে তাই এই বিষয়েই সবচেয়ে বেশি জোর দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আসন সমঝোতা নিয়ে এদিন জোটের বৈঠকে বিস্তারিত রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের নাম প্রস্তাব করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যঅয়।। তিনি  আসন সমঝোতার ডেডলাইন দিলেন।

তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই নিয়ে কোনওরকম ঢিলেমি করা চলবে না। যেভাবেই হোক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে। খুব বেশি হলে ৩ সপ্তাহ সময় দেওয়া হতে পারে। আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে মমতার সূত্র, যে যেখানে শক্তিশালী সেখানে তার নেতৃত্বে লড়াই হোক। সব পক্ষকেই উদার মনোভাব নিয়ে নামতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে (Congress) প্রস্তাব দেন, গোটা দেশের ৫৪৩ আসনের মধ্যে কংগ্রেস একা লড়ুক ৩০০ আসনে। শরিকদের জন্য ছাড়া হোক বাকি ২৪৩ আসন। যে সব রাজ্যে বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই, সেসব রাজ্যে কংগ্রেস একাই লড়ুক। আবার যে সব রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী, সেসব রাজ্যে তাদের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া হোক। উদাহরণ হিসাবে বাংলায় তৃণমূলকে, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টিকে, বিহারে লালু-নীতীশকে, মহারাষ্ট্রে উদ্ধবপন্থী শিব সেনাকে নেতৃত্ব ছাড়া হোক। আবার কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, কেরল, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে কংগ্রেস একাই লড়ুক।

বাংলা নিয়ে মমতার সূত্র, যেহেতু বিধানসভার নিরিখে বাংলায় কংগ্রেস শূন্য, আবার লোকসভাতেও সাংসদ সংখ্যা মোটে দুই, তাই বাংলায় কংগ্রেসের জন্য ২টি আসন ছাড়বে তৃণমূল। বদলে অসম এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের জন্য একটি করে আসন ছাড়ুক কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই প্রস্তাবে তারা নারাজ। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বক দিল্লিতে তলব করেছে এআইসিসি (AICC)। সেখানে প্রদেশ নেতাদের মত জানতে চাওয়া হবে। শেষমেশ হয়তো বাংলায় ৬ আসন চাইতে পারে কংগ্রেস। এ নিয়ে আগামী কয়েক দিনে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা হবে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, সংসদ ভবনের মকরদ্বারের সামনে বিরোধী সাংসদদের অবস্থানে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কথা বলার ধরন, শরীরী ভাষা নকল করেন। তাঁর ওই আচরণে ‘ব্যথিত’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ধনখড় ফোনে ওই ঘটনার ব্যাপারে কথা বলেন।

‘কুড়ি বছর ধরে ওরা আমার সঙ্গেও এমন করেছে’, ধনকড়কে জানালেন ‘অভিমানী’ মোদি-সংবাদ প্রতিদিন

সংসদ চত্বরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) মিমিক্রি করার ঘটনায় তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। বিতর্কের মধ্যেই এবার ধনকড়কে ফোন প্রধানমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডলে একথা জানালেন উপরাষ্ট্রপতি।

ধনকড় লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) থেকে একটি টেলিফোন পেলাম। গতকাল কয়েকজন সম্মাননীয় সাংসদ যেভাবে ভয়ংকর নাটকীয়তার সৃষ্টি করলেন তাও পবিত্র সংসদ চত্বরে তা নিয়ে উনি গভীর বেদনা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, গত কুড়ি বছর ধরে এমনই অপমান পেয়ে আসছেন উনি। কিন্তু ভারতের উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংসদে এমন হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি ওঁকে বলেছি কয়েকজনের আচরণ আমাকে আমার কর্তব্য পালন করা থেকে আটকাতে পারে না।’ সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘আমি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে এই মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনও অপমান আমাকে আমার পথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে পারবে না।’

বিরোধীশূন্য ভারত গড়াই লক্ষ্য মোদীর: সেলিম-গণশক্তি

যখন থেকে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকেই তাদের একটাই লক্ষ্য বিরোধীশূন্য ভারত গড়তে হবে। গণতন্ত্রের সর্বনাশ করতে হলে প্রথমে সংসদকে লোপাট করতে হয়, সংসদীয় গণতন্ত্রকে শেষ করতে হয়। সেটাই এখন করা হচ্ছে, আর এটা হলো বিজেপি’র ঘোষিত কার্যক্রম। সাধারণ মানুষের হাতে মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার বা সাংবিধানিক অধিকার যা আছে সেগুলি ওরা কেড়ে নিতে চায়, এজন্যই বিজেপি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙছে। এজন্যই ওদের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের বিরামহীন লড়াই চলছে। বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ