জানুয়ারি ০৪, ২০২৪ ১৭:৪২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ভোটের দিনও হরতাল ডেকেছে বিএনপি-প্রথম আলো
  • ভোট বর্জন করলে দেশের অর্থনীতি রক্ষা পাবে : রেজাউল করিম-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

  • নির্বাচন ও ড. ইউনূস ইস্যু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র, রহস্য রেখে দিলেন ম্যাথিউ মিলার-মানবজমিন
  • জ্বালাও-পোড়াও-মানুষ খুন হলো বিএনপির গুণ: শেখ হাসিনা-ইত্তেফাক
  • ফাউল করে ফাইনাল খেলার আগেই পালিয়েছে বিএনপি: কাদের-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • আপনার দয়া-দাক্ষিণ্যে বাংলায় লড়বে না কংগ্রেস’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ অধীরের-সংবাদ প্রতিদিন
  • নিদান-আরএসএস'র-মন্দির উদ্বোধনের সময় মসজিদে রামনাম জপ–গণশক্তি
  • কল্যাণ হোক! তাঁকে নকল করা সেই তৃণমূল সাংসদের জন্মদিনে ধনখড়ের ফোন, বাড়িতে সস্ত্রীক আমন্ত্রণও-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আজই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে পারে ইডি, আশঙ্কা আপ মন্ত্রীদের-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার প্রশ্ন (৪ জানুয়ারি)
১. শেখ হাসিনা আটলান্টিকের ওপারের স্যাংশনকে ভয় পান না: ওবায়দুল কাদের। কী বলবেন আপনি?
২. ইরানে শহীদ কাসেম সুলাইমানির মাজারের কাছে গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৮৪ জন শহীদ হয়েছেন। এর আগে, সিরিয়ায় ইরানের আরক সেনা কর্মকর্তা ও লেবাননে হামাসের নেতা হত্যার শিকার হয়েছেন। ঘটনাগুলোর মধ্যে কী কোনো যোগসূত্র আছে বলে মনে করেন আপনি?

ফাউল করে ফাইনাল খেলার আগেই পালিয়েছে বিএনপি: কাদের-যুগান্তর

বিএনপি ফাউল করে ফাইনাল খেলার (৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) আগেই পালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, খেলা শুরু হয়েছে। ৭ তারিখ ফাইনাল। বিএনপি কই? বিএনপি কোথায়? ফাউল করে লাল কার্ড পেয়ে পালিয়েছে। ফাইনাল খেলার আগেই পালিয়েছে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকার শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তারেক রহমানের মতো সন্ত্রাসীকে দেখতে চাই না। আগামী ৭ জানুয়ারি লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। উন্নয়নের পক্ষে খেলা হবে। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপি ভুয়া। বিএনপির সব আন্দোলন ভুয়া।’

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলার নৌকার প্রার্থীরাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভোটের দিনও হরতাল ডেকেছে বিএনপি-প্রথম আলো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনও হরতাল ডেকেছে বিএনপি। দলটির নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করবে তারা। এর মধ্যে রোববার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া হরতালের আগে আগামীকাল শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরদিন ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছিল বিএনপি। এরপর আরও কয়েক দফা হরতাল পালন করেছে তারা।

সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় হরতালের পাশাপাশি ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বেশ কয়েক দফায় দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচিও পালন করেছে বিএনপি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন দল ও জোটও পৃথকভাবে হরতাল-অবরোধ করে আসছে। গত কিছুদিন ধরে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে আসছে।

জ্বালাও-পোড়াও-মানুষ খুন হলো বিএনপির গুণ: শেখ হাসিনা-ইত্তেফাক

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্বালাও-পোড়াও-মানুষ খুন এই তিনটি হলো বিএনপির গুণ। বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। এ কারণে নির্বাচন বন্ধের জন্য তারা সন্ত্রাস করে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়েছে, আর বিএনপি পিছিয়েছে। বিএনপির দুঃশাসনে সবাই ভীত। বোমা হামলা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ—এসবই বিএনপির কাজ। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক মনে করেছিল, তারা টাকা না দিলে পদ্মা সেতু নির্মিত হবে না। কিন্তু আমি সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। দুর্নীতির কথা বলেছিল তারা। আমি বলেছিলাম, প্রমাণ দিতে হবে। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। মামলা হয়েছিল কানাডার কোর্টে। কোর্ট বলেছিল, এখানে দুর্নীতি হয়নি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমরা নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। আমরা তা করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ৭ মার্চের (১৯৭১ সালে) ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন–কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। 

এসময় তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকা আজকে উন্নয়ন দিয়েছে। এই নৌকা-ই আগামী দিনে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তাই এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবেন।  

ভোট বর্জন করলে দেশের অর্থনীতি রক্ষা পাবে : রেজাউল করিম-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পাতানো দাবি করে দেশে জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এ আহ্বান জানান।

জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা যদি গণহারে ভোট বর্জন করি তাহলে এই জালেম লুটেরারা বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা ভোট বর্জন করলে জাতি, দেশের অর্থনীতি রক্ষা পাবে।

আপনি ভোট বর্জন করলে মানবতা রক্ষার পথ উন্মোচিত হবে।’

সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা হতাশ হবেন না। জালেমদের বিদায় অবশ্যই হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা যদি জালিমের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ এবং সুদৃঢ় থাকতে পারি, তাহলে অচিরেই জনগণের বিজয় হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পাতানো দাবি করে ইসলামি আন্দোলনের আমির বলেন, ‘এই নির্বাচন পাতানো। এখানে নৌকা, ঈগল, ট্রাক ইত্যাদি যা আছে সবাই আওয়ামী লীগের। এমন কি লাঙ্গল, সোনালী আঁশ, নোঙরও তাদের আশীর্বাদপুষ্ট। তারপরও এই নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দিলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বহু জায়গায়।

নৌকায় ভোট না দিলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই, মর্মে ভোটারদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ।’

মুফতি রেজাউল বলেন, ‘একটি সভ্য-স্বাধীন দেশের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আমরা সরকারকে বারবার সতর্ক করেছি। স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নির্বাচন নামের তামাশা, জুলুম, নির্যাতন, লুটতরাজ ও দুর্নীতি থেকে সরিয়ে রাখার জন্য এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, গণ অধিকারসমূহ রক্ষায় সকল পন্থা অবলম্বন করেছি। রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, জনমত গঠন ও জনমতের প্রকাশসহ সম্ভাব্য সব কিছুই আমরা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল, সরকারে থাকা ব্যক্তিদের বোধদয় ঘটবে; তারা দেশকে গৃহযুদ্ধ ও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে না।

অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে না। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যেভাবে ক্ষমতায় থাকার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়, তারই একটি বিকৃত উপস্থাপনা হিসেবে আমরা বর্তমান সমস্যাকে বিবেচনা করছিলাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমান সরকারের কার্যক্রম আরো বেপরোয়া।’

সরকারের আজ্ঞাবহ দলদাস নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নির্লজ্জ নির্বাচন কেউ কখনো দেখেছে বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালে করলো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন, ২০১৮ সালে করলো রাতের ভোট আর ২০২৪ সালে এসে করছে ডামি নির্বাচন। নিজ দলের একাধিক প্রার্থী বিভিন্ন নামে দাঁড় করানো, জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিরোধী নেতাদের নির্বাচনে দাঁড় করানো, কিংস পার্টি গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর অপচেষ্টা করার মতো এই সরকার যা করছে, তাতে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম নির্বাচনের উদাহরণ হয়ে থাকবে এই নির্বাচন।’

তিনি আরো বলেন, ‘‘নির্বাচন নিয়ে কতবড় নোংরামী হয়েছে তার উদাহরণ হয়ে থাকবে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার শর্তে কারাগারে থাকা সকল বিরোধী নেতাকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’ তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, কারাগারে থাকা না থাকার মতো যে বিষয় আদালতের ওপরে নির্ভরশীল তাও এখন এই সরকার কুক্ষিগত করে নিয়েছে। তাই দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাব ভোটদানে বিরত থাকতে।’’

নির্বাচন ও ড. ইউনূস ইস্যু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র, রহস্য রেখে দিলেন ম্যাথিউ মিলার-মানবজমিন

৭ই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।  সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। বাংলাদেশের এই নির্বাচনের ফলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে তিনি এক রকম রহস্য রেখে দিলেন। বললেন, কোনো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বা হবে না, সে বিষয়ে আমি অবশ্য কখনোই আগাম পূর্বাভাস দেবো না। 

মুশফিক তার কাছে জানতে চান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব অনার অর্জনকারী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বছর শুরুর দিনে দেয়া রায়ের বিষয়ে আপনি কী আপনার প্রতিক্রিয়া শেয়ার করবেন, রিপোর্ট হয়েছে যে- ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশের শ্রম আদালত প্রভাবিত হয়ে এই রায় দিয়েছে? এই চ্যালেঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে নিচ্ছে- এই চ্যালেঞ্জ হলো বাংলাদেশের আইন শৃংখলা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের শাস্তি দেয়ার মতো তুলনীয় মামলাগুলোর প্রেক্ষাপটে। বিরোধী দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মী, মিডিয়া এবং অধিকারকর্মী একই রকম পরিস্থিতিতে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ। সাংবাদিক মুশফিকের এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা তার নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানে প্রতিফলিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাকে আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা অবশ্যই এই রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখেছি।

এবার ভারতের বিস্তারিত খবর তুলে ধরছি

কল্যাণ হোক! তাঁকে নকল করা সেই তৃণমূল সাংসদের জন্মদিনে ধনখড়ের ফোন, বাড়িতে সস্ত্রীক আমন্ত্রণও-আনন্দবাজার পত্রিকা

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়। ‘উষ্ণ’ শুভেচ্ছার জন্য পাল্টা ধন্যবাদও জানিয়েছেন কল্যাণ। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ নিজেই। কল্যাণ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়। নিজের বাড়িতে নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। নতুন সংসদ ভবনের বাইরে এই ধনখড়কেই ‘নকল’ করেছিলেন কল্যাণ। ধনখড় জানিয়েছিলেন, এ সব মেনে নেওয়া যায় না। কল্যাণ পাল্টা জানিয়েছিলেন, এটা আসলে শিল্পেরই ধরন। কাউকে আঘাত করতে চাননি।

শুধু সাংসদ নন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন ধনখড়। এ প্রসঙ্গে কল্যাণ এক্সে লিখেছেন, ‘‘আমার জন্মদিনে যে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছে উপরাষ্ট্রপতি, সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আমি আপ্লুত যে, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ফোন করে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমার পুরো পরিবারকে তাঁর আশীর্বাদ জানিয়েছেন।’’ তাঁকে ধনখড় যে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সে কথাও জানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার স্ত্রী এবং আমাকে তিনি দিল্লিতে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে নৈশভোজের জন্য।’’

আজই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে পারে ইডি, আশঙ্কা আপ মন্ত্রীদের-আজকাল

দিল্লি আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় বারবার তলব। তিনবার ইডির তলব এড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবারেও হাজিরা দেননি। আপ মন্ত্রীদের আশঙ্কা, এই কারণেই বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালের বাড়িতে ইডি তল্লাশি অভিযান চালাতে পারে। শেষপর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে ইডি।বুধবার গভীর রাতে সমাজ মাধ্যমে আশঙ্কা প্রকাশ করেন দিল্লির দুই মন্ত্রী আতিশি এবং সৌরভ ভরদ্বাজ। আতিশি লেখেন, "আমরা খবর পেয়েছি, বৃহস্পতিবার সকালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালাবে৷ হয়তো গ্রেপ্তারও করা হতে পারে ৷"এদিকে গ্রেপ্তারির আশঙ্কা বাড়তেই আজ সকাল থেকেই কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

আপনার দয়া-দাক্ষিণ্যে বাংলায় লড়বে না কংগ্রেস’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ অধীরের-সংবাদ প্রতিদিন

লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) আগে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হচ্ছে। INDIA জোটের এই দুই শরিকের মধ্যে বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে গোড়া থেকেই। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে যে দুটি আসনে কংগ্রেস জিতেছিল, সেই দুটি আসন ছাড়তে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বদলে তিনি বাইরের রাজ্যে কংগ্রেসের থেকে কিছু আসন চেয়েছিলেন তিনি। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বোঝাপড়ায় খানিকটা জল ঢাললেন। তৃণমূল নেত্রীকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তাঁর মন্তব্য, ”পারলে বহরমপুর থেকে দাঁড়িয়ে জিতে দেখান। আপনার দয়া-দাক্ষিণ্যে বাংলায় লড়বে না কংগ্রেস।”

কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের হারানোর কিছু নেই। বহরমপুর, মালদহে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।” বহরমপুরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লড়াইর জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ”আপনি নিজে লড়ুন বহরমপুরে, কত ক্ষমতা আছে দেখব। তৃণমূলকে হারিয়ে পরপর দুবার বহরমপুর, মালদহে (Maldah) জিতেছে কংগ্রেস।”

পার্সটুডে/এমবিএ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ