ভোট শেষ, ১১ কোটি ৯৩ লাখ ভোটার ফলের অপেক্ষায়
নৌকা ছাড়া কারও এজেন্ট দেখতে পাইনি: সিইসি
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৭ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ভোটারদের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপি পরাজিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো
- ভোটকেন্দ্রে নৌকা ছাড়া কারও এজেন্ট দেখতে পাননি সিইসি-মানবজমিন
- নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার চেষ্টা করলেও কেউ সফল হবে না: র্যাব মহাপরিচালক-ইত্তেফাক
- ‘জনগণের নীরব ভোট প্রত্যাখ্যান, সরকারের পরাজয়’-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- নজরে মাত্র ২৫৫ আসন, ‘ইন্ডিয়া’র স্বার্থে বিরাট ‘ঝুঁকি’ নিয়ে প্রস্তুত কংগ্রেস-সংবাদ প্রতিদিন
- নেই রাজ্যে, ভবিষ্যৎ আঁধারে–গণশক্তি
- মোদীর লক্ষদ্বীপ ভ্রমণের নেপথ্যে কি ‘গোপন পরিকল্পনা’? -আনন্দবাজার পত্রিকা
- ব্রিগেডের সমাবেশকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের-আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. নৌকা ছাড়া কারও এজেন্ট দেখতে পাইনি: সিইসি। কী বলবেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে?
২. গাজা থেকে বন্দীদের মুক্তির দাবিতে ইসরাইলের দুই শহরে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। নেতানিয়াহুর ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করবে এই বিক্ষোভ?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোট হয়। প্রথম আলো-লিখেছে,ভোট শেষ, ১১ কোটি ৯৩ লাখ ভোটার ফলের অপেক্ষায়, ৩টা পর্যন্ত ২৬.৩৭ শতাংশ।
ভোটের দিনে শেখ হাসিনার মুখে ভারতের প্রশংসা, তুলে ধরলেন মুক্তিযুদ্ধে নয়াদিল্লির ভূমিকা-টাইমস অফ ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে মানবজমিনের প্রকাশিত খবরে লেখা হয়েছে, আজ নির্বাচনের দিনে ভারতকে তার শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভারতের মতো বিশ্বস্ত বন্ধু পেয়ে বাংলাদেশ ভাগ্যবান। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন। ভারতের উদ্দেশে দেয়া বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'আমরা খুবই ভাগ্যবান...ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালের পর, যখন আমরা আমাদের পুরো পরিবারকে হারিয়েছিলাম তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের শুভকামনা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে তার পরিবারের গণহত্যার ভয়াবহতা বর্ণনা করেছেন। সেদিন তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল এবং তিনি কয়েক বছর ধরে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করেছিলেন।
পরে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন। আজ ভোট দেয়ার পর হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বিগত বছরগুলোতে তার সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন-‘আমাদের দেশ সার্বভৌম এবং স্বাধীন...আমাদের বিশাল জনসংখ্যা ।
আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, এই দেশে গণতন্ত্র অটুট থাকুক এবং গণতন্ত্র ছাড়া আপনি কোনো উন্নয়ন করতে পারবেন না। যেহেতু আমরা ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি দীর্ঘমেয়াদী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রয়েছি তাই বাংলাদেশ এতকিছু অর্জন করতে পেরেছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন যে, তার সরকার এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে লোকেরা ভোট দিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ...অনেক বাধা ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার এবং নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনেক সচেতন। তারা বাইরে এসে ভোট দিতে পারছে ।’
তিনি বিরোধী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)- এর বিরুদ্ধে দেশে সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগ তুলে বলেন ‘বিএনপি ও জামায়াত বেশ কিছু অগ্নিসংযোগ এবং অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ড করেছে, যেমন ট্রেন পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা... আমি বলব যে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা দেশপ্রেমিক নয় এবং তারা মানুষের উন্নয়নের পরিপন্থী। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়।’
ভোটারদের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপি পরাজিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপি তাদের আন্দোলনে পরাজিত হয়েছে। আজকে তাদের ভোট বর্জন এটাই প্রমাণ করছে, ভোটাররা তাদের বর্জন করেছেন।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটারদের ভোট বর্জন করতে তারা অনুরোধ করেছে। কিন্তু আজ নির্বাচনের যে স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশ, যারা ভোট বর্জন করতে আহ্বান করেছিল, ভোটাররা তাদেরই বর্জন করেছেন। তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ একেবারে শান্তিপূর্ণ। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি, ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন প্রমাণ করে যারা ভোট বর্জন করে নাশকতার আশ্রয় নিয়েছে, তারা আবার পরাজিত হলো।
সারা দেশে ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে গড়ে ২৬ দশমিক ৩৭%-প্রথম আলো
প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোন বিভাগে কত ভোট পড়ল।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশি ভোট পড়ছে খুলনা বিভাগে, কম সিলেটে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানিয়েছে, বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত হিসাবে ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে ২৫, ময়মনসিংহ ২৯, চট্টগ্রাম ২৭, রাজশাহী ২৬, খুলনা ৩১, রংপুর ২৬, সিলেট ২২ ও বরিশালে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
সার্বিকভাবে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানা যায়নি।
দেশে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। বাকি আসনগুলোতে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল বলে হিসাব দিয়েছিল ইসি।
দেশে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। বাকি আসনগুলোতে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল বলে হিসাব দিয়েছিল ইসি।
ভোটকেন্দ্রে নৌকা ছাড়া কারও এজেন্ট দেখতে পাননি সিইসি-মানবজমিন
ভোটকেন্দ্রে নৌকার পোলিং এজেন্ট ছাড়া অন্য কারও এজেন্ট দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমি যেগুলো পেয়েছি, সবাই একই দলের। নৌকার পক্ষে বা ইয়ে.. পোলিংএজেন্ট। বাদবাকি প্রার্থীদের কোনো লোকজন দেখতে পাইনি।’
রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়ে নির্বাচন ভবনে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট গ্রহণ মাত্র শুরু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি আশা করি আরও বাড়বে। প্রতিটা সেন্টারে আমি খোঁজ নিয়েছি। ভোট হয়েছে অল্প অল্প। কোথাও ২৫টি, কোথাও ৪০টি।’
হরতাল ও সহিংসতার কারণে ভোটে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা তিনি বলতে পারছেন না।
নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটটা ম্যানেজ করছে। ভোটাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।
ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না থাকার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘আসলে মনে হচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ প্রার্থী যারা, তাদের পোলিং এজেন্ট দেয়ার সামর্থ্য নেই।...আমরা খুব জোর দিয়ে বলেছিলাম, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হতে হলে কেন্দ্রে অবশ্যই প্রত্যেক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকতে হবে। আমি যেগুলো পেয়েছি, সবাই একই দলের।
‘জনগণের নীরব ভোট প্রত্যাখ্যান, সরকারের পরাজয়’-যুগান্তর
আওয়ামী লীগের 'ডামি' নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের এখনই নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। দেশের মানুষ এই জালিম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। তাই জনগণের নীরব 'ভোট প্রত্যাখানে' জাতির বিজয় এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এই সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে। তাই এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ একদফার যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এ সময় ভোট বর্জন, হরতাল ও গণ-কারফিউ পালন করায় দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় 'শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত হরতাল ও গণ-কারফিউর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারা।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার চেষ্টা করলেও কেউ সফল হবে না: র্যাব মহাপরিচালক-ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত রাজধানীতে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এবং নির্বাচন পরবর্তী কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলেও সফল হবে না বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
ইত্তেফাকের অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, দেশব্যাপী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। কিছু স্থানে ভোটের লাইনে ভোটার না থাকলেও জোর করে ভোট দিয়ে আসা ভোটারদের আবারও লাইনে দাঁড় করাতে দেখা গেছে। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে কেন্দ্রের আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা নৌকার ব্যাজধারী ভলান্টিয়াররা এ কাজ করেন।
আমাদের ভয় ছিল ভোটে এনে কুরবানি দেওয়া হয় কিনা: জিএম কাদের-যুগান্তরের খবর এটি।
বাংলাদেশ সরকার নিজের বিরুদ্ধেই কাজ করছে: মার্কিন বিশেষজ্ঞ-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে বেপরোয়াভাবে চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু, এর মধ্য দিয়ে সরকার মূলত নিজের বিরুদ্ধেই কাজ করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান এমন মন্তব্য করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (বাংলাদেশ সময় ০৭ জানুয়ারি) তিনি লিখেছেনঃ গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থা মার্ক্সের (কার্ল মার্ক্স) সেই উক্তি-ই স্মরণ করিয়ে দেয়: "ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে-প্রথমে ট্র্যাজেডি আকারে, দ্বিতীয়বার প্রহসনরূপে।" এর আগে দুটি কারচুপিপূর্ণ নির্বাচনের পর সরকার এখন বেপরোয়াভাবে তৃতীয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছে-কিন্তু সরকার মূলত নিজের বিরুদ্ধেই কাজ করছে।
নির্বাচনের আগের দিন (০৬ জানুয়ারি) আরেকটি পোস্টে কুগেলম্যান লিখেছিলেনঃ আগামীকালের নির্বাচন যতো না বাংলাদেশের নির্বাচন, তারচেয়ে বেশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলটির নির্বাচন হবে। কোনো সত্যিকারের বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন মূলত সংসদকে সাজাবে যেখানে আওয়ামী লীগ তার আধিপত্য বজায় রাখবে।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে মানবজমিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে গভীর মনোযোগ রাখা মার্কিন বিশেষজ্ঞ কুগেলম্যান বলেছিলেন, বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই আগ্রহী এবং সজাগ। বাংলাদেশকে নিজের মূল্যবোধভিত্তিক বৈদেশিক নীতির উদাহরণ বানাতে চায় দেশটি। এক্ষেত্রে সফল হবে বলেও তারা আশাবাদী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোকে বাংলাদেশের জন্য একটি 'সিগন্যাল' বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সংবাদ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম-ভারত বিশ্বাসী বন্ধু, আশ্রয় দিয়েছিল’, বাংলাদেশের নির্বাচনের দিন বার্তা হাসিনার। দৈনিকটির অন্য একটি খবরের শিরোনাম-নজরে মাত্র ২৫৫ আসন, ‘ইন্ডিয়া’র স্বার্থে বিরাট ‘ঝুঁকি’ নিয়ে প্রস্তুত কংগ্রেস। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে কম আসনে লড়তে চলেছে কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নাকি দলের সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভায় তাঁদের ফোকাস থাকবে মোটে ২৫৫টি আসনে। অর্থাৎ লোকসভায় ম্যাজিক ফিগার পেতে যে সংখ্যাটা প্রয়োজন, সেই ২৭২ আসনেও ফোকাস করার মতো জায়গায় নেই হাত শিবির।দেশের সব রাজ্যে শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে একটি অ্যালায়েন্স কমিটি গড়েছে কংগ্রেস
মোদীর লক্ষদ্বীপ ভ্রমণের নেপথ্যে কি ‘গোপন পরিকল্পনা’? কোন প্রতিবেশীকে চাপে ফেলতে চাইছে ভারত?-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী মলদ্বীপের সম্পর্কে চিড় ধরতে দেখা গিয়েছে সে দেশের শাসকের গদিতে মহম্মদ মুইজ়ু আসার পর। কূটনীতিক সম্পর্কেও বেশ কিছুটা ফাটল ধরেছে।ম্প্রতি লক্ষদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।কিন্তু কেন লক্ষদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন মোদী? মূলত প্রশাসনিক কিছু কার্যক্রমের কারণেই কেন্দ্রশাসিত লক্ষদ্বীপে তিনি গিয়েছিলেন।তবে তাঁর এই সফর অন্য একটি দিক দিয়েও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মোদীর ওই সফর প্রতিবেশী দেশকে চাপে ফেলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৭