জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ ১৫:২৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক
  • ভোটের পর ১৪–দলীয় জোটের ভেতরে এখন অবিশ্বাস, দোষারোপ-প্রথম আলো
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হামলাকারী হ্যাকাররা এখনও সক্রিয়-মানবজমিন
  • ইসির সঙ্গে বৈঠক-ভোটের হার নিয়ে জানতে চায় ইইউর বিশেষজ্ঞ দল -যুগান্তর
  • আমদানি বন্ধ হওয়ায় ভরা মৌসুমে আলুর দাম বেশি, এদিকে চালের দাম আবারও বেড়েছে-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • সাধারণতন্ত্র দিবসে হামলার ‘ষড়ভুজ’ ছক জঙ্গিদের! পাক সীমান্তে বিশেষ অপারেশন চালাচ্ছে BSF-সংবাদ প্রতিদিন
  • চড়ছে জিগির-চড়ছে বাজার-চাল ডাল সবজির দাম চড়া-গণশক্তি
  • এ বার খাদ্য-ওষুধ আমদানি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত! মুইজ্জুর ‘ভারত বৈরিতা’ কি বিপদে ফেলবে মলদ্বীপকে?- আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে ধাক্কা নুসরতের, আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. কিছু মানুষ চক্রান্ত করে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে শিরোনাম করেছে দৈনিক মানবজমিন। কি বলবেন আপনি?

২. আমেরিকা এবং সিরিয়ায় সন্ত্রাসী ঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। কিভাবে দেখছেন এই ঘটনাকে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

ভোটের পর ১৪–দলীয় জোটের ভেতরে এখন অবিশ্বাস, দোষারোপ-প্রথম আলো

নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট অস্বস্তিতে পড়েছে। আসন ভাগাভাগিতে বঞ্চিত হওয়ায় অপেক্ষাকৃত ছোট শরিকেরা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) দুষছে। আর আসন ভাগে পেয়েও মাত্র দুটিতে জয়ী হওয়ায় ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ দুষছে আওয়ামী লীগকে।

একে অপরকে দোষারোপ করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ বা জোট ভাঙার কথা ভাবতে পারছে না শরিকেরা। তাদের মূল্যায়ন হচ্ছে—চাপে না পড়লে আওয়ামী লীগ তাদের কাছে টানবে না। আর এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় আওয়ামী লীগকে খুব বেশি চটানোরও সুযোগ নেই। ফলে সময়ের অপেক্ষায় থাকার কৌশল নিয়েছে শরিকেরা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের টানা তিনটি নির্বাচনে নিজেদের মাঠের শক্তির চেয়ে ১৪ দলের শরিকেরা বেশি সুবিধা পেয়েছে। এতে দলগুলো আওয়ামী লীগের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এই নির্ভরশীলতা কমানো দরকার।

একটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জোটের ভেতরে কিছু অবিশ্বাসও জন্ম নিয়েছে। কারণ, তাঁর দলের বেশ কিছু প্রার্থী নিজস্ব প্রতীকে সমঝোতার বাইরে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে এটা আওয়ামী লীগেরই চাওয়া ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের বলা হয়েছে যে নির্বাচনের খরচ দেওয়া হয়েছে। আদতে এমন খরচ তিনি পাননি। ফলে প্রার্থীদের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কিছুটা অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে প্রবাসীরা বড় ধরনের অবদান রাখেন। সব আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের বড় অবদান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল’ জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।’

ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি

অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছি। আমরা যুদ্ধের পক্ষে না, শান্তির পক্ষে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে উন্নতি হয় না।’

বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় হোক। সরকারের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, আরও দেওয়া হবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্ধকার পথে বিএনপি। তারা আলো ঝলমল নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্ধকারের গলিপথ খোঁজে। তারা জানে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ। এর চেয়ে ভালো কিছু জানা নেই। তবে ভোটে জনগণের বিজয় হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ যেন ভোট না দেয় সেজন্য বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে। কিন্তু ঘটনা উল্টো ঘটলো। মানুষ ধরে নিলো ভোট দিতেই হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছে।’

ইসির সঙ্গে বৈঠক ভোটের হার নিয়ে জানতে চায় ইইউর বিশেষজ্ঞ দল,আলাদা কথা বলেছে এনডিআই ও আইআরআই’র প্রতিনিধিরাও-যুগান্তর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর ভোটের হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞ দল। সোমবার তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। একইদিন আলাদাভাবে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদলও। তারাও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ভোটের সার্বিক বিষয়ে জেনেছে।

ইসি সূত্র জানায়, ইইউর বিশেষজ্ঞ দল মূলত ভোটের হার নিয়ে জানতে চেয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৭ জানুয়ারি বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়াই অনেকটাই শান্তিপূর্ণ হয়েছে নির্বাচন। এতে প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। দেশি পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইইউর দলটি মূলত নির্বাচনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে। তাদের সব তথ্য জানানো হয়েছে। এনডিআই ও আইআরআই প্রতিনিধিরা নির্বাচনের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তিনি জানান, দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জনসহ ওইদিন তাদের হরতালের মধ্যেও দ্বাদশ নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা বা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা না ঘটায় পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

ইসির আইন শাখার যুগ্মসচিব মাহবুবার রহমান সরকার বলেন, ভোটের আগেও তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। ভোটের পরে আবার বৈঠক হয়েছে। তারা নির্বাচনে আইনের প্রায়োগিক দিকগুলো জানতে চেয়েছেন। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আমাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হামলাকারী হ্যাকাররা এখনও সক্রিয়-মানবজমিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাককারী গ্রুপ লাজারাস এখনও দক্ষিণ এশিয়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ও মাদক পাচারকারীদের মধ্যে সক্রিয়। তারা এসব অপকর্ম করে যে অর্থ পাচ্ছে তা ভাগাভাগি করছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এসব অর্থ ভাগাভাগি হচ্ছে ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি বিনিময়ের স্থানগুলোতে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক অফিস (ইউএনওডিসি) বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছে, তারা মেকং এলাকায় এমন বেশ কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মধ্যে আছে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস ও কম্বোডিয়া। ইউএনওডিসি বলেছে, তারা কেস ইনফর্মেশন এবং ব্লকচেইন ডাটা বিশ্লেষণ করে এসব কর্মকাণ্ড শনাক্ত করেছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের জেনেভায় উত্তর কোরিয়ান মিশনের একজন ব্যক্তির কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি নাম না জানিয়ে বলেন, বিষয়টি জানেন না। তিনি আরও বলেন, এর আগে লাজারাসকে নিয়ে যেসব রিপোর্ট হয়েছে তার সবটাই জল্পনা এবং মিথ্যা তথ্য।যুক্তরাষ্ট্র বলে উত্তর কোরিয়ার প্রাইমারি গোয়েন্দা ব্যুরো নিয়ন্ত্রণ করে লাজারাস হ্যাকারদের।

তারা উচ্চ পর্যায়ের কিছু সাইবার হামলা, মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা যেসব অর্থ চুরি করে নেয় তা হলো পিয়ংইয়ংয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থের উৎস এবং তাদের অস্ত্র বিষয়ক কর্মসূচির উৎস। প্রতিবেদনে ফিলিপাইনে লাইসেন্স আছে এমন ক্যাসিনো এবং জাঙ্কেট অপারেটরদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে যাতায়াত আছে ধনী ব্যক্তিদের। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাজারাস বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে সাইবার হামলা চালিয়ে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার করে। এই পাচারে তাদেরকে সহায়তা করে ওইসব ক্যাসিনো ও জাঙ্কেট। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইউএনওডিসি প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো কারেন্সির বিস্তার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাংগঠনিক অপরাধ চক্রগুলোকে বিপুল শক্তি যুগিয়েছে। 

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

২৬ জানুয়ারি ছয়রকমভাবে নাশকতা চালানোর ছক করছে পাকিস্তান! গোয়েন্দা সূত্রে এই রিপোর্ট পেয়েই পাক সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা জারি করল বিএসএফ। সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day) ও রামমন্দির উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)-আগামী কয়েকদিনে দুটি অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার ছক কষতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। সেই জন্য সতর্ক থাকতেই বিশেষ অপারেশন শুরু করেছে বিএসএফ। চার রাজ্যের পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সার্দ হাওয়া’।

সূত্রের খবর, ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে হামলার ছক কষছে পাক জঙ্গিরা। পাকিস্তান রেঞ্জার্স ও আইএসআইইয়ের মদতে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটছে। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক চিনা অস্ত্র। এমনকি খলিস্তানিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে যৌথভাবে চলছে নাশকতার ছক। গোয়েন্দাদের এই রিপোর্ট পেয়েই তৎপর হয়েছে বিএসএফ (BSF)। পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট ও কাশ্মীর-চার রাজ্যের পাক সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

সাধারণতন্ত্র দিবসই শেষ দিন! এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি পান্নুনের-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, এবার পাঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে (CM Bhagwant Mann) খুনের হুমকি খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের (Gurpatwant Singh Pannun)। মঙ্গলবার পান্নুন হুমকি দেয়, আগামী ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে হত্যা করা হবে আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতা তথা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে। পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশ প্রধানকেও খুনের হুমকি দিয়েছে পান্নুন। হুমকির পরেই মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকর্তার নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।

এ বার খাদ্য-ওষুধ আমদানি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত! মুইজ্জুর ‘ভারত বৈরিতা’ কি বিপদে ফেলবে মলদ্বীপকে? আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছে মলদ্বীপ। ইতিমধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন বহু ভারতীয়। তবে সেই বয়কটকে একেবারেই পাত্তা দিতে রাজি নন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।দমতেও রাজি নন তিনি। বরং, সম্প্রতি নিজেদের দেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর বার্তা দিয়ে ভারতের সঙ্গে তারা সরাসরি ‘টক্কর’ নিয়েছে বলে মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।পাশাপাশি, ভারতের ‘ছায়া’ থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন নতুন সিদ্ধান্তও নিতে শুরু করেছে মলদ্বীপের মুইজ্জু সরকার।সূত্রের খবর, মলদ্বীপে খাদ্য এবং ওষুধের জোগান অব্যাহত রাখতে আর কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশের উপর নির্ভর করতে রাজি নয় সে দেশের সরকার। একটি নির্দিষ্ট দেশের বদলে আলাদা আলাদা দেশ থেকে খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মলদ্বীপ।সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমদানি শিল্পে বৈচিত্র আনতে এবং কোনও একটি দেশের উপর নির্ভরতা কমানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মলদ্বীপ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৬

ট্যাগ