ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪ ১৬:৪৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • মিয়ানমারের মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ নিহত ২-প্রথম আলো
  • মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা, এক পরিবার আটক-ইত্তেফাক
  • সুবর্ণচরের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ-মানবজমিন
  • এস আলম গ্রুপের বিদেশে সম্পদ: হাইকোর্টের রুল খারিজ, দুদক তদন্ত করতে পারে-ডেইলি স্টার বাংলা
  • আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়: কাদের, দেশকে ঋণের ফাঁদে ডুবিয়ে দিয়েছে সরকার: রিজভী-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মা বলছেন ছেলের খুনি বাবা, বাবা বলছেন মা! নরেন্দ্রপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যুরহস্যে মোড়-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • পক্ষে ৪৭ বিধায়কের ভোট, ঝাড়খণ্ডের আস্থাভোটে জয়ী চম্পাই সোরেন-সংবাদ প্রতিদিন
  • গ্রেপ্তারিতে জড়িত রাজভবন, বিধানসভায় অভিযোগ হেমন্তের-গণশক্তি
  • ১০ মে'র মধ্যে ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপ ছাড়বেন: মুইজ্জু-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি।

প্রথম আলো ও ইত্তেফাকের খবরের শিরোনাম- মিয়ানমারের মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ নিহত ২। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। আজ সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টারশেলটি এসে পড়ে। যুগান্তর লিখেছে, সীমান্তের ওপার থেকে আসছে হেলিকপ্টার ও গুলির শব্দ। ইত্তেফাকের অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গোলাগুলির সময় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় উলুবনিয়া সীমান্ত থেকে এক রোহিঙ্গা পরিবারকে আটক করেছে বিজিবি।

যুবকের ৯ টুকরা লাশ বাসা ভাড়া নিয়ে অপকর্ম করে আসছিলেন সজীবেরা, মুখ খোলেননি কেউ-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, কুষ্টিয়ায় মিলন হোসেন নামের এক যুবককে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে পদ্মার চরে পুঁতে রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব শেখ ও তাঁর সহযোগীরা বাসা ভাড়া নিয়ে নানা অপকর্ম করে আসছিলেন। তবে এ নিয়ে কেউ কিছু বলেননি। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, সজীবসহ কয়েকজন কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকার সাততলা ভবনের ছয়তলা ভাড়া নিয়েছিলেন। ওই বাসা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের। ব্যবসার জন্য অফিস করার কথা বলে বাসাটি ভাড়া নেওয়া হয়।ওই বাড়ির কাছের এক মুদিদোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এ বাসায় অনেকে যাতায়াত করতেন। সবাই কম বয়সী ছেলে। মাদক সেবনসহ নানা অপকর্ম করলেও কেউ কখনো বিষয়টি আমলে নেননি।মা দাবি করেন, ‘আমার ছেলে মারধর-মারামারি করে, এটা ঠিক আছে। তবে হত্যা করতে পারে, এটা বিশ্বাস করি না। তার অনেক শত্রু, কেউ তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই একে অপরের পরিচিত। হত্যার পর লাশ গুম করার সুবিধার্থে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। চারটি মোটরসাইকেলে সাতজন সাতটি পলিথিন ব্যাগের ভেতর লাশের ৯ টুকরা অংশ নিয়ে বের হন। নদীর পাড় থেকে হেঁটে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পদ্মার চরে বালুর ভেতর চারটি স্থানে লাশের টুকরাগুলো পুঁতে রাখেন হত্যাকারীরা। প্রথম আলোর অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাজনীতির খবরে-যুগান্তরের শিরোনাম-আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়: কাদের। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন আপনারা (বিএনপি) কী বলবেন? কে আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য আসবে? এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে? দেশের জনগণ আপনাদের থেকে সরে গেছে।দেশের জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, বিদেশি বন্ধুরা তাদের ছেড়ে চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের । তিনি বলেন, কে আমাদেরকে (আওয়ামী লীগ) হটাতে আসবে? যাদের আশায় ছিলেন তারা তো এখন একসঙ্গেই কাজ করার জন্য এসেছেন। নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছেন, অনেকে প্রকাশ্যে আসেন না।

দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, সরকার দেশকে ঋণের ফাঁদে ডুবিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধ করতে ট্যাক্স, ভ্যাট, কর, খাজনার পরিধি (আওতা) বাড়িয়ে জনগণের গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করার অবস্থায় নেওয়া হয়েছে।

কী ঘটেছিল জাহাঙ্গীরনগরে-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকরা। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। শিক্ষকরা একই কাতারে এসে ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু দাবি জানিয়ে ভিসি কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকালই জরুরি বৈঠক করে। গণধর্ষণের ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে। পরীক্ষার হল থেকে শুরু করে ক্লাসরুম, হোস্টেল, শিক্ষক অফিস, ক্যান্টিন, চায়ের দোকানে সর্বত্রই একই আলোচনা। বিশেষ করে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর করা মামলায় আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

কিন্তু মান-সম্মান ও ভয়ের কারণে অনেকে মুখ খুলেন না। ওই নারীর স্বামী সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মামলা করায় তাকে বাহবা দিচ্ছেন অনেকে। 

গণধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি ছয়জনকে আসামি করেন। সাভার মডেল থানা পুলিশ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় এখনো ২ জন পলাতক। গ্রেপ্তার চারজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। পলাতক আছেন ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ মোস্তাফিজকে সাময়িক বহিষ্কার এবং পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে।

যা ঘটেছিল: পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে একই বাসায় পাশাপাশি কক্ষে ভাড়া থাকতেন মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন। শনিবার ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে মোবাইল ফোনে মামুন জানান, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে কিছুদিন তার পরিচিত মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে থাকবেন। তাই ক্যাম্পাসে এসে তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন মামুন। মোবাইলে কথা বলার কিছু সময় পর ভুক্তভোগীর স্বামী ক্যাম্পাসে আসেন। তখন মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে মুস্তাফিজ ও মুরাদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। 

মামুন তখন তাকে বলেন, সাভারের একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে তারা কিছু টাকা পাবেন। তবে দোকানদার টাকা দিতে চাচ্ছে না। ওই টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে বাসার জন্য টিভি, ফ্রিজসহ অন্যান্য আসবাবপত্র নিয়ে সমপরিমাণ টাকা মামুন তাকে দেয়ার প্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী ও তার স্বামী আগে থেকেই পরিবারের জন্য কিছু আসবাবপত্র কিনতে চেয়েছিলেন। ওই সময় মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে বলেন, যেহেতু আমি কিছুদিন হলে থাকবো তাই আমার ব্যবহারের কাপড়গুলো আপনার স্ত্রীকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে বলেন। তখন স্ত্রীকে ফোন করে কাপড় নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার জন্য বলেন। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ভুক্তভোগী নারী ক্যাম্পাসে আসেন। ক্যাম্পাসে আসার পর তাকে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে আসার জন্য বলা হয়। সেখানে আগে থেকেই মামুন, মুস্তাফিজ, মুরাদ ও ভুক্তভোগীর স্বামী হলের সামনে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে মুরাদ ভুক্তভোগীর স্বামীকে হলের এ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করে বেঁধে ফেলেন। আর মুস্তাফিজ ও মামুন নারীকে নিয়ে হলের পাশের বোটানিক্যাল গার্ডেনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। দেড় ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে ছেড়ে দেয় তারা। ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রথমে তারা আশুলিয়া থানায় এবং পরে সাভার মডেল থানায় যান।

জাবি সূত্র বলছে, ভুক্তভোগীর স্বামী ক্যাম্পাসে মামুনের সঙ্গে দেখা করতে আসার পরপরই ৩১৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করে আটকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকেই ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দিয়েই স্ত্রীকে কাপড় নিয়ে আসার অজুহাতে ফোন দেওয়ানো হয়। ভুক্তভোগী যখন হলের সামনে আসেন তখন মামুন ও মুস্তাফিজ তাকে বলেন, তার স্বামী জঙ্গলের দিকেই আছে। তাই সেদিকে যেতে হবে। মামুন পূর্বপরিচিত থাকায় তাকে বিশ্বাস করে তিনি জঙ্গলের দিকে যান। পরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। 

ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের জানান, মামুন আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতো। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তিনি প্রথমে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তার রেখে যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে যেতে বললে, আমি ক্যাম্পাসে যাই। তার সঙ্গে মুস্তাফিজ ছিল। তখন তারা আমার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে আমাকে হলের পাশের জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, ঘটনার পর বিষয়টিকে অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই নেন মুস্তাফিজ, মামুন ও অন্যরা। তারা নির্ভয়ে হলেই অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ভুক্তভোগী নারীকে জঙ্গল ও তার স্বামীকে হল থেকে ছেড়ে দেয়ার পর তাদের দুজনের মধ্যে দেখা হয়। ঘটনার সময় তাদের দুজনের মোবাইল ফোন ধর্ষকদের কাছে ছিল। কিন্তু তাদেরকে ছাড়ার সময় মোবাইল দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সোজা বাসায় যাওয়ার কথা বলে। ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার স্বামীর দেখা হওয়ার পর তিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটনা শেয়ার করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি পুরো ক্যাম্পাসে জানাজানি হয়। শিক্ষার্থীরাই তখন ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে আশুলিয়া থানায় গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেন। তারা থানায় গিয়ে পুলিশকে সবকিছু খুলে বলেন। ততক্ষণে ক্যাম্পাসে এ খবর চাউর হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হল ঘেরাও করতে আসেন। খবর চলে যায় শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। পুলিশকেও খবর দেয়া হয়। কিন্তু স্পট আশুলিয়া থানা ও হল সাভার থানায় হওয়াতে পুলিশের মধ্যে বুঝাপড়ার ঝামেলা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে হাজির হয়। শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলের সামনে এসে গেইট আটকে দেন। সামনের দিকে বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় তখন মামুন ও মুস্তাফিজকে মীর মশাররফ হোসেন হলের রান্নাঘরের গেইট ভেঙে পালাতে সহযোগিতা করে হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। 

ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা: ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের ঘটনা প্রচার হওয়ার পর থেকেই ফুঁসে উঠেছে জাবি’র সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল থেকেই ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ ও দাবি জানাচ্ছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ‘আগুন জ্বালো একসাথে, ধর্ষকের গদিতে’, ‘ধর্ষকদের পাহারাদার হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘অছাত্র ধর্ষণ করে প্রশাসন কি করে’, ‘ব্যর্থ প্রশাসন মুখ লুকাও মুখ লুকাও’, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে নিপীড়ন থাকবে না’, ‘বাহ প্রশাসন চমৎকার ধর্ষকদের পাহারাদার’- এমন স্লোগান আর বক্তব্য দিয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি, বহিরাগতদের হল থেকে বিতাড়িত, প্রশাসনের ব্যর্থতা, ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশ, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় সামনে নিয়ে আসছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষকরাও একাত্মতা পোষণ করেছেন।  

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

নরেন্দ্রপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যুরহস্যে মোড়-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, মা দাবি করছেন, ছেলেকে খুন করেছেন বাবা! এ দিকে, বাবা দাবি করছেন, মা-ই খুন করেছেন ছেলেকে! নরেন্দ্রপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে বাবা ও মা যে ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলছেন, তাতে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, পারিবারিক বিবাদের কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই যুবকের।রবিবার দুপুরে নরেন্দ্রপুর থানার গড়িয়ার ফরতাবাদ এলাকায় একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় অপ্রতিম দাস নামে ওই পড়ুয়ার দেহ।

পক্ষে ৪৭ বিধায়কের ভোট, ঝাড়খণ্ডের আস্থাভোটে জয়ী চম্পাই সোরেন-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ৬ দিনের ডামাডোলের অবসান। অবশেষে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আস্থাভোটে জয়ী হলেন চম্পাই সোরেন। ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদে চম্পাইয়ের বিরোধিতা করেছেন ২৯ জন বিধায়ক। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন চম্পাই। গত ৩১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও। তার পরেই ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে শুরু হয় ডামাডোল। কংগ্রেস, আরজেডি ও অন্যান্য জোটসঙ্গীদের সম্মতিতে চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। হেমন্তের ইস্তফার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন চম্পাই। কিন্তু শপথ নেওয়ার পরেও কাটেনি শঙ্কার মেঘ। আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান জেএমএমের চার বিধায়ক। অপারেশন লোটাস শুরু করতে কাজে নেমে পড়ে বিজেপিও। জোটের বিধায়কদের ‘সুরক্ষিত’ রাখতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কংগ্রেসশাসিত তেলেঙ্গানায়।

গ্রেপ্তারিতে জড়িত রাজভবন, বিধানসভায় অভিযোগ হেমন্তের-গণশক্তি পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ঝাড়খন্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটের বিতর্কে অংশ নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সোমবার সকালে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় বিধানসভায় প্রবেশ করেন তিনি। বিতর্কে অংশ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন হেমন্ত। 

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে এই প্রথম রাতের অন্ধকারে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমি মনে করি রাজভবন এই ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত।’’#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৫

ট্যাগ