এপ্রিল ১৫, ২০১৬ ১৬:১৭ Asia/Dhaka

নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। এ দিনটিকে কেন্দ্র সারাবিশ্বের বাঙালিরা উৎসবে মেতে ওঠেছে। পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান বৈশাখী মেলা। কোনো কোনো জায়গায় এই মেলা চলে পুরো সপ্তাহ জুড়ে। এসব মেলায় পাওয়া যায় স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারূপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সব ধরণের হস্তশিল্প ও মৃৎশিল্পজাত, মানে মাটির সামগ্রী।

এ ছাড়া শিশু-কিশোরদের খেলনা, মেয়েদের সাজসজ্জার সামগ্রীসহ আরো অনেক কিছু পাওয়া যায় এই মেলায়। এছাড়াও রকমারি লোকজ খাদ্যসামগ্রী, যেমন, চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা ও বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির বৈচিত্র্যময় সমারোহ থাকে মেলায়।

শুধু খাওয়া দাওয়াই নয়, এসব মেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগীতি ও লোকনৃত্য পরিবেশন করা হয়। সেখানে পালাগান, কবিগান, জারিগান, গম্ভীরা গান, গাজীর গান তো থাকেই, থাকে যাত্রাপালার আয়োজনও। কোথাও কোথাও পথনাট্য উৎসবও হয়ে থাকে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাটক, পুতুল নাচ, নাগর দোলা, সার্কাস বৈশাখী মেলার বিশেষ আকর্ষণ। শিশু- কিশোরদের জন্য আরো থাকে বায়োস্কোপ। শহরাঞ্চলে নগর সংষ্কৃতির আমেজেও এখন আয়োজিত হয় বৈশাখী মেলা।

বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে রঙচঙে ও আনন্দঘন অনুষ্ঠান হয় ঢাকায়। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয় রমনার বটমূলে। শিল্পীরা বৈশাখের আগমনী গান গেয়ে স্বাগত জানান নববর্ষকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলায় একই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-ছাত্ররা মিলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। শহীদ মিনার, টি.এস.সি এবং চারুকলা সহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিণত হয় এক বিশাল জনসমুদ্রে। ১লা বৈশাখে বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন থাকায় সবাই মজা করে দিবসটি পালন করতে পারে।

১লা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আমরা একটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করেছি। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের রাজশাহী, ফেনী ও ময়মনসিংহ শহরের ৪ জন বন্ধু। অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য উপরের প্লেয়ারে ক্লিক করুন।