ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯ ১৭:২৫ Asia/Dhaka

আসরের শুরুতেই যথারীতি একটি হাদিস শোনাব। ইমাম জাফর সাদেক (আ.) বলেছেন, কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়া যে ব্যক্তি কোনো কাজে হাত দেয় সে হচ্ছে ওই পথহারা পথিকের মতো যে গন্তব্য ভুলে ভিন্ন পথে চলে গেছে। এ অবস্থায় সে যত দ্রুত হাঁটতে থাকবে তত বেশি সে তার গন্তব্য থেকে দূরে চলে যাবে।

খ. হ্যাঁ হাদিসের বাণী অনুসরণ করে আমারা ইহকাল এবং পরকালে সুফল পাওয়ার চেষ্টা করবো। তো, গত কয়েকদিনের মতো আজও আসরের প্রথমেই হাতে তুলে নিচ্ছি রেডিও তেহরানের ওয়েব সাইটের একটা খবর।  কম্ব্যাট ড্রোন তৈরিতে ইরান শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর। এ খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদে বলেছেন, কমব্যাট বা যুদ্ধ ড্রোন বানানোর ক্ষেত্রে তার দেশ বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে।

ক. রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে এ খবরে বেশ চমৎকার একটি মন্তব্য হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ অবরোধ সত্ত্বেও ইসলামি ইরানের অগ্রগতি প্রসংশনীয়।  মুসলিম বিশ্ব ইরানের টেকনোলজী দুহাতে গ্রহণ করতে পারে। এ মন্তব্যটি করেছেন রেডিও তেহরানের পাঠক বন্ধু মোহাম্মদ নিজামুল হক।

বহলুল: মন্তব্যটি চমৎকার। ধন্যবাদ ভাই নিজামুল হক। এদিকে, আজও কথা বলব ভারতের রাজস্থানে বসবাসরত রেডিও তেহরানের শ্রোতা ভাই নাসির খানের সঙ্গে। রাজস্থানে বাংলা ভাষার চল আছে কিনা ভাই নাসির খান? .....

খ. ভাই নাসির খান নিজ ভূমি ছেড়ে অতো দূরে কিভাবে সময় কাটে আপনার? ...

ক.  প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইট নিয়মিত কয়েকবার দেখেন এমনকি রাতে শোয়ার আগেও একবার দেখে নেন! ভাই নাসির খান আপনাকে আদর্শ পাঠক এবং শ্রোতা বলতেই হবে।

বহলুল: সত্যিই তাই। শত ব্যস্ততার মধ্যে সময় বের করে নেয়া! এটা কিন্তু সহজ নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

খ. ভারতের রাজস্থানের শ্রোতা ভাই নাসির খানের কথা শুনছিলেন এতোক্ষণ। প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা রেডিও তেহরান আপনার কথাও শুনতে চায়। আপনিও আপনার টেলিফোন নম্বর জানাতে পারেন অথবা আপনার কথা রেকর্ড করে ভয়েস ফাইল পাঠাতে পারেন। প্রচারযোগ্য হলে আমরা আপনার বক্তব্য অবশ্যই প্রচার করব।  ...

বহলুল: এবারে রেডিও তেহরানের ফেসবুক  গ্রুপে প্রকাশিত খবরে যে সব মন্তব্য হয়েছে সে দিকে নজর দিতে হবে। আপনাদের মধ্যে যে কেউ শুরু করুন।

ক. এ সুযোগ কি ছাড়া যায়! না আমিই শুরু করছি। হ্যা সৌদিকে রক্ষার অজুহাতে দেশটিতে আরো সমরাস্ত্র ও সৈন্য পাঠাচ্ছে আমেরিকা শীর্ষক খবরটি ফেসবুক গ্রুপে বহুল আলোচিত খবরের অন্যতম। এ খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার অজুহাতে দেশটিতে নতুন করে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

খ. ফেসবুক গ্রুপে ২৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এ খবরে একটি মন্তব্য হলো, একের পর এক মুসলমানদের মেরে শেষ করছে এবং এখন নতুন কৌশলে সৌদিতে ঢুকছে আমেরিকা। তার মানে মুসলমানদের ওই পবিত্র ভুমিও মার্কিন দখলে চলে যাচ্ছে, তাই শক্তি আর কৌশল দিয়ে শয়তানদের প্রতিহত করতে হবে।  আর এ মন্তব্য করেছেন পাঠক বন্ধু আবেদ ই আজম। অন্যদিকে পাঠক বন্ধু এ. আলিম লিখেছেন, বিনা যুদ্ধেই সৌদী দখল...!

বহলুল: এরপর আর বলার কি আছে! সবই বলে দিলেন পাঠক বন্ধুরা। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ক. এদিকে ইয়েমেন ছাড়ো নতুবা কঠোর পরিণতি’: আমিরাতকে আনসারুল্লাহর হুঁশিয়ারি শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর। এ খবরে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের সরকার-পন্থি জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইয়েমেন থেকে আমিরাতি সৈন্য প্রত্যাহার করা না হলে দেশটির অভ্যন্তরে বিধ্বংসী হামলাচালানো হবে।

খ. এ খবরে অন্যতম মন্তব্যকারী মকবুল হোসেন। রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ খবরে তিনি মন্তব্য করেছেন, আমিরাতের কলিজায় বোমা মারো। এদিকে রেডিও তেহরানের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে প্রকাশিত খবরে পাঠক বন্ধু মোকাম্মেল হোসেইন লিখেছেন, সঠিক কথা। এবারে আমেরিকা কি করবে- বলে একই গ্রুপে মন্তব্য করেছেন মো আরিফুল ইসলাম আরিফ।

বহলুল: ধন্যবাদ বন্ধুরা সবাই লাগসই মন্তব্য করেছেন।

ক. এদিকে  একটি ওয়াদাও রাখেনি ইউরোপ, ওদের ওপর আস্থা নেই শীর্ষক খবর প্রকাশিত হয়েছে ২৬ সেপ্টম্বর। এ খবর বলা হয়েছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইউরোপের ওপর আর বিশ্বাস রাখা যায় না, পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপ ১১টি প্রতিশ্রুতির একটিও রক্ষা করে নি।

খ. ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে মো নজির আলী লিখেছেন, এ কথা ১০১ ভাগ ঠিক। অন্যদিকে মো আজহার রুবেল লিখেছেন, ওরা কথা দেয় দূর্বলতা খোঁজার জন্য ও আঘাতের পথ প্রশস্ত করতে..!

বহলুল: দারুণ সব মন্তব্য। হ্যা ভাই ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে। এবারে আসর গুটিয়ে নেয়ার পালা।

ক. হ্যাঁ সবাই ভাল থাকবেন, চিঠি লিখবেন, ইমেইল করবেন এবং খবরে মন্তব্য করা অব্যাহত রাখবেন এ প্রত্যশার মধ্য দিয়ে আজ এখানে বিদায় চাইছি।#

ট্যাগ