জানুয়ারি ২৩, ২০২০ ১৬:৪৬ Asia/Dhaka

ক. বন্ধুরা, আপনাদের অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আপনাদেরই চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। প্রতি আসরের মতো আজও আলোচনা শুরু করবো একটি হাদিস শুনিয়ে।

ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (আ.) বলেছেন, দুনিয়া অর্থাৎ পার্থিব জগত-সংক্রান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা সংক্ষিপ্ত ও খাটো করার মাধ্যমে দুনিয়া হতে আখেরাতের জন্য পাথেয় সঞ্চয় কর।

খ. মূল্যবান এ হাদিসের বাণী আমাদের নিজেদের জীবনে কাজে লাগানোর প্রত্যয় জানিয়ে চিঠিপত্রের দিকে নজর দিচ্ছি। আসরের শুরুতে আজ কোনো চিঠি নয়; বরং ব্যতিক্রমধর্মী প্রসঙ্গ। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে একটি মোবাইল ভিডিও কর্মশালায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রোতারা মিলিত হয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে একটি আন্তর্জাতিক বেতারের শ্রোতা সম্মেলনকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও বাংলাদেশ থেকে শ্রোতারা অংশগ্রহণ করেন। শ্রোতা সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শতাধিক শ্রোতা ও ক্লাব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

ক. অংশগ্রহণকারী শ্রোতা ও ক্লাব প্রতিনিধিদের মাঝে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানসূচি ও কিউএসএল কার্ড বিতরণ করেন ভারতে এ বেতারের মনিটর মোহাম্মাদ নাজিমুদ্দিন। এ সময় নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে শ্রোতাবন্ধুরা অনেক মন্তব্য করেন। বর্ধমানের শ্রোতাবন্ধু হাফিজুর রহমান জানান, "রেডিও তেহরানের বিশ্বসংবাদ খুবই ভালো লাগে, কারণ একমাত্র রেডিও তেহরান সারা বিশ্বের মুসলিমদের খবর তুলে ধরে।"

খ. এ ছাড়া, ছত্তিশগড়ের বেশ পুরনো শ্রোতাবন্ধু আনন্দ মোহন বাইন আমাদের মনিটরকে জানান,  তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সংগে আছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিশ্ব সংবাদ, প্রিয়জন তার প্রিয় অনুষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রেডিও তেহরানের বিশ্ব সংবাদ অত্যন্ত নিরপেক্ষ; এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

বহলুল: ভাই নাজিমুদ্দিন যখন শ্রোতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেনই তখন সরাসরি তাদের কণ্ঠ একটু শুনতে পারলে মন্দ হতো না! মানে দুধের সাধ দুধ দিয়েই মেটাতে চাই। ঘোলে আর কাজ হচ্ছে না।

ক. ঠিক আছে বহলুল ভাই। আপনার এই আকাঙ্ক্ষার কথা নাজিমুদ্দিন ভাই আগে থেকেই টের পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই চলুন তার নেয়া এক শ্রোতার সাক্ষাৎকার শুনি।  

খ. প্রস্তাবটি চমৎকার। এটি ভেবে দেখা হচ্ছে ভাই প্রদীপকুণ্ডু।

ক. এতোক্ষণ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শ্রোতা ভাই প্রদীপ চন্দ্র কুণ্ডুর কথা শুনছিলেন। বন্ধুরা আপনারাও আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আপনার টেলিফোন নম্বরটি চিঠি, ইমেইল বা মন্তব্য করে আমাদের জানান। আমরাই আপনাকে ফোন করে সাক্ষাৎকার নিয়ে নেব। এ ছাড়া, আপনার কথা রেকর্ড করে ভয়েস মেইল আকারেও পাঠাতে পারেন। বক্তব্য প্রচারযোগ্য হলে আমরা অবশ্যই প্রচার করব।  

বহলুল: এবারে রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইট এবং অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে পাঠক বন্ধুরা যেসব মন্তব্য করেছেন সে দিকে নজর দেয়া হবে। প্রথমেই আপনার পালা।

খ. ধন্যবাদ। আমি এজন্য তৈরি হয়েই বসেছিলাম। রোহিঙ্গা গণহত্যা: এবার জাতিসংঘের আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা শিরোনামের খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১২ নভেম্বর। এ খবরে বলা হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। এ মামলায় মিয়ানমারে গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে জরুরিভাবে আদেশ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ক. ফেসবুকে প্রকাশিত এ খবরের অন্যতম মন্তব্যকারী ভাই দেলোয়ার হোসেন লিখেছেন- বিচার চাই।

বহলুল: হ্যা বিচার চাই বিচার চাই। বিশ্বজুড়ে আজ এ কথা ধ্বনি প্রতিধ্বনি তুলেছে।  রোহিঙ্গা গণহত্যা কখনই বিনা বিচারে যেতে পারে না।

খ. এদিকে ১১ নভেম্বর প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম হলো অস্থিতিশীল ইরাকে আগাম নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানালো আমেরিকা। এ খবরে বলা হয়েছে, ইরাকে আগাম নির্বাচন দেয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা। ইরাকে যখন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে তখন আমেরিকা এ আহ্বান জানাল। তবে, ইরাক সরকার মনে করছে বিদেশি মদদে চলমান বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ক. এ খবরে বন্ধু শাহান মারুফ লিখেছেন, ইরাকের মার্কিন দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার তথা ১ ব্রিগেড কর্মী।  এরাই হচ্ছে ইরাকের প্রধান শহরগুলোতে সহিংসতা বাধানোর মূল কারিগর!!!! এই সাড়ে তিন হাজার কর্মীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার কর্মী যদি ১০০ জন করে গুণ্ডা ভাড়া করে তাহলে ১০০০ পূরণ ১০= ১০,০০০!!!! এই দশ হাজার গুণ্ডা মাস্তান ইরাকে সহিংসতা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। আর পশ্চিমা নির্লজ্জ মিডিয়া প্রচার করছে এরা ইরাকের জনগণ। এদিকে একই খবরে অন্যমত মন্তব্যকারী মো আজহার রুবেল লিখেছেন, এ ব্যাপারে আমেরিকা আহ্বান জানানোর কে বা কারা?

খ. চমৎকার মন্তব্য করেছেন ভাই শাহান মারুফ। আপনি আমেরিকার আসল চরিত্র উন্মোচন করে দিয়েছেন। বিশ্বের বহু দেশে ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে বিক্ষোভ করার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সরকারের পতন ঘটিয়েছে আমেরিকা। ইরানের নির্বাচিত মোসাদ্দেক সরকারকে এরকম বানোয়াট বিক্ষোভ পরিস্থিতি তৈরি করে ক্ষমতাচ্যুত করার অর্ধ শতাব্দি পর আমেরিকা সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছিল। এখনো ইরাক ও লেবাননসহ আরো অনেক দেশে যে বিক্ষোভ চলছে তাতে যে আমেরিকার হাত রয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

বহলুল: ভাই আজহার রুবেলের মন্তব্যটিও কিন্তু কোটি টাকার মন্তব্য! সত্যিই তো কে তুমি মোড়ল!

ক. সত্যিই বলেছেন বহলুল ভাই। এদিকে আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে।  তো শ্রোতাবন্ধুরা, সবাই ভালো থাকবেন এবং ওয়েবসাইটের খবরে বেশি বেশি করে মন্তব্য করবেন এই কামনা করে আজ এখানেই বিদায় চাইছি প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে। #

ট্যাগ