ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০ ১৬:০১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • বাংলাদেশের এমপির বিরুদ্ধে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ -দৈনিক ইত্তেফাক
  • দেড় মাসে সৌদি থেকে ফিরলেন ৫৫৯৪ বাংলাদেশি -দৈনিক মানবজমিন
  • প্রার্থীরা ভোটারের কাছে না গিয়ে শোডাউন করাতেই কম ভোট-ইসি-দৈনিক মানবজমিন
  • বিএনপি কোথায় আবেদন করেছে আমার জানা নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী -দৈনিক যুগান্তর
  • মোবাইল ফোনে প্রতারণা, সর্বস্বান্ত হচ্ছে মানুষ -দৈনিক প্রথম আলো
  • পৃথিবীর সব জায়গাতে মশা আছে, বাংলাদেশেও আছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী -দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • চীনে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ -দৈনিক সমকাল

ভারতের শিরোনাম:

  • শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাইলেন কেজরীবাল-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • হিংসা, অসন্তোষ বাড়ছে সমাজে, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার পক্ষে যথেষ্ট:‌ মোহন ভাগবত -দৈনিক আজকাল
  • ‘বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছি’, শপথের মঞ্চে আক্রমণের জবাব দিলেন কেজরিওয়াল-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

পাঠক/শ্রোতা! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

বিএনপি কোথায় আবেদন করেছে আমার জানা নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-দৈনিক যুগান্তর

খালেদা জিয়ার আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু জানেন না

কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি ও তার পরিবার কোথায় আবেদন করেছে তা জানেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। নিয়মানুযায়ী প্যারোলের এই আবেদন হয় আদালতে নতুবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। রোববার দুপুরে রাজধানীতে সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের গুলশান শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন আসেনি। বিএনপি কোথায় আবেদন করেছে তা আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় আদালতের আদেশে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। উনি কোনো আবেদন করতে চাইলে আদালতের মাধ্যমেই করতে হবে। গত ২০১৮ সালেরে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে তার কারাজীবনের দুই বছর কেটে গেছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত বছরের ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ছয় স্বজন তাকে হাসপাতালে দেখে আসেন। বেরিয়ে এসে তারা জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান। এ জন্য প্যারোলে মুক্তি দিলে তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না।

চিকিৎসাধীন থাকলেও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘গুরুতর’ বলে স্বজন ও বিএনপি নেতাদের ভাষ্য। এদিকে প্রথম আলোর অন্য একটি মন্তব্য প্রতিবেদনের শিরোনাম এরকম যে, খালেদা জিয়ার জীবন কি জেলেই কাটবে?

দেড় মাসে সৌদি থেকে ফিরলেন ৫৫৯৪ বাংলাদেশি-দৈনিক মানবজমিন

সৌদ্ আরব থেকে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছে শত শত মানুষ (ফাইল ফটো)

সৌদি আরব থেকে আরও ১৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০২) বিমানযোগে তারা দেশে ফেরেন। এ নিয়ে গত দেড়মাসে ৫৫৯৪ বাংলাদেশি  ফিরলেন। যাদের মধ্যে ৩০০ জন নারী কর্মীও রয়েছেন।   বরাবরের মতো ফিরে আসা এসব বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

গতকাল সৌদি থেকে ফেরত আসাদের একজন মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, মাত্র তিন মাস আগে তিন লাখ টাকা খরচ করে ড্রাইভিং কাজে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই তাকেও দেশে ফিরতে হয়েছে শুন্য হাতে। এভাবে নরসিংদি, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ শুন্য হাতে অসহায় অবস্থায় দেশে ফিরেছে। প্রশ্ন হলো কারা তাহলে এদেরকে সৌদি আরব পাঠালো। এই ধরনের প্রতারণা বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মনে করেন একভুক্তভোগী শরিফুল হাসান।তিনি আরও বলেন, ফেরত আসা এই প্রবাসীদের পাশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবার সমন্বিতভাবে দাঁড়ানো উচিত। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিন হাজার ৬৩৫ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৯৫৯ জন সৌদি আরব থেকে ফিরে এসেছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন রয়েছেন নারী। আর প্রবাসী কল্যাণ  ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন যাদের পরিচয় ডিপোর্টি। এদের মধ্যে ২৫ হাজার ৭৮৯ জনই ফিরেছেন সৌদি আরব থেকে।

‘আমাদের মন্ত্রীরা সীমান্ত হত্যার সাফাই গান’-দৈনিক মানবজমিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, কম করেও যারা বলেন, তারাও বলেন ১ হাজার বাংলাদেশি ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। আমরাতো সরকারের কাছে শুনি বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারত সীমান্তে নেপালের একজন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল। পুরো নেপাল ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলো। ভারত তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতদের স্মরণ এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য ২২ দিন ধরে অবস্থানরত ঢাবি শিক্ষার্থী নাসির আব্দুল্লাহর সঙ্গে সংহতি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের এখানে যখন একেরপর এক হত্যাকাণ্ড ঘটে তখন আমাদের মন্ত্রীরা সেই হত্যাকাণ্ডের সাফাই গান। সেই হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এই দেশে যদি সত্যিকারের আইনের শাসন থাকতো, তাহলে হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনার দায়ে মন্ত্রীদের বিচার হতো। যারা এইসব হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন রাখেন আসিফ নজরুল।

মোবাইল ফোনে প্রতারণা, সর্বস্বান্ত হচ্ছে মানুষ-দৈনিক প্রথম আলো

মোবাইল ফোনে প্রতারণায় সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ

রাজধানীর মগবাজার মধুবাগের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে শাহীনা আক্তারের আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা দেখছিলেন পরিবারের সদস্যরা। একটি অজ্ঞাত ফোন এলেই ব্যস্ত হয়ে উঠতেন তিনি। ফোনের হদিস করতে গিয়ে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটি একজন প্রতারক। তিনি মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে শাহীনার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা আদায় করেছেন। শাহীনা বুঝতে পারেন, প্রতারকের খপ্পরে পড়ে জীবনের সব সঞ্চয় তিনি খুইয়ে ফেললেন।

শুধু শাহীনা নন, প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও মানুষ এভাবে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছেন। পুলিশের হিসাবে এমন শতাধিক চক্র আছে সারা দেশে।

বাংলাদেশের এমপির বিরুদ্ধে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ-দৈনিক ইত্তেফাক

মানবপাচারে অভিযুক্ত এমপি

কুয়েতে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ে অভিযুক্ত তিন বাংলাদেশির মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন। আর দুজন দেশে ‘পালিয়ে’ আসেন। তাদের একজন হলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। গত বুধবার কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেটা আবার আরব টাইমস ও কুয়েতি টাইমস প্রকাশ করে। সেখানেই সেই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবপাচারে জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। তবে সংসদ সদস্যের কোনো নাম-পরিচয় প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচার চক্রটিতে সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তি রয়েছেন। একজন গ্রেফতার হলে বাকি দুজন কুয়েত থেকে দেশে চলে এসেছেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ‘আল কাবাস’ পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। কুয়েতের সিআইডির বরাত দিয়ে বলা হয়, চক্রটি ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে কুয়েতে এনেছিলো। যাতে তাদের ৫ কোটির বেশি কুয়েতি দিনার আয় হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অবাক করার বিষয় হলো, ওই তিনজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। নিয়মিতভাবে তিনি কুয়েত ও বাংলাদেশে আসা যাওয়া করেন। এই সংসদ সদস্য কখনো কুয়েতে ৪৮ ঘণ্টার বেশি থাকেন না। মানব পাচারের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযানের কথা জানতে পেরে এক সপ্তাহ আগে তিনি কুয়েত ছেড়ে দেশে চলে আসেন। সূত্র জানায়, কুয়েতে তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ মাস ধরে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। সেই দেশে তিনি যে প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছিলেন তার ফাইল স্থগিত করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানির জন্য সরকারি কার্যাদেশ পেতে ঘুষ হিসেবে সেখানকার সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি দিয়েছেন ওই সংসদ সদস্য।

সূত্রগুলি জানায়, কুয়েতের সিআইডি সদস্যরা তদন্ত করে জানতে পারেন, এই তিনজনের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারা মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।

পৃথিবীর সব জায়গাতে মশা আছে, বাংলাদেশেও আছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সারা পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। পৃথিবীর সব জায়গাতে মশা আছে, বাংলাদেশেও আছে। তবে আমার তো মনে হয় যেন আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি। আমরা সারাক্ষণই ফলোআপ করছি এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এজন্য কাজ করা হচ্ছে।

রবিবার সচিবালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সব সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সব প্রতিষ্ঠান, ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করা এবং ভেক্টর বর্ন ডিজিসে বাংলাদেশে গতবারের মতো যে অভিজ্ঞতা আছে তার আলোকে আরো বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি। মশার ওষুধ মজুত যথেষ্ট আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মজুদ আছে এবং আমাদের এখানে কিছু কিছু তৈরিও হয়। আমাদের ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করতে হবে।

চীনে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ-দৈনিক সমকাল

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হাত মোজা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।  রোববার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিনমিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।  তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যেকোনও ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। 

চিঠি থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ভাইরাসের আক্রমণে স্বজন হারানো চীনা পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। চীন সরকার কর্তৃক দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঠিকভাবে সেবা প্রদানেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। চীন দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি

‘বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছি’, শপথের মঞ্চে আক্রমণের জবাব দিলেন কেজরিওয়াল-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন/আনন্দবাজার

মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল। রবিবার নির্ধারিত সময়েই তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেইসঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করলেন কেজরিওয়াল ৩.০ মন্ত্রিসভার আরও ছয় সদস্য। আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো কেজরিওয়াল পরামর্শে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দিল্লির মন্ত্রিসভার ছয় সদস্যকে নিয়োগ করেন। শপথ নেয়ার পর কেজরিওয়াল বলেন, কে, কাকে ভোট দিয়েছেন জানার প্রয়োজন নেই, বিজেপি, কংগ্রেস নির্বিশেষে সকলের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। সকলের জন্য কাজ করাই তাঁর লক্ষ্য।

শপথগ্রহণের পর দিল্লিবাসীর উদ্দেশে আম আদমি পার্টির জয়কে উৎসর্গ করেন কেজরিওয়াল। মঞ্চে দাঁড়িয়ে দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভারতবর্ষে এক নতুন ধারার রাজনীতির জন্ম দিয়েছেন। যেখানে কাজের নিরিখে রাজনীতি হবে, ধর্মীয় ভেদাভেদ-হিংসার রাজনীতি নয়।’ দিল্লির ২ কোটি মানুষকে নিজের পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছেন, ‘আমি সবার মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি-সহ বিরোধীরা কেজরিওয়ালকে সারাক্ষণ কুকথা বলে আক্রমণ করেছে। সেই কটাক্ষের পালটা জবাবে আজ তিনি বলেন ‘বিরোধীরা যা যা আক্রমণ করেছে আমি তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি।

হিংসা, অসন্তোষ বাড়ছে সমাজে, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার পক্ষে যথেষ্ট:‌ মোহন ভাগবত-দৈনিক আজকাল

সমাজে যে হারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হিংসা, অসন্তোষ আর ক্ষোভ, তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইন্ধনের পক্ষে যথেষ্ট। শনিবার আহমেদাবাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘পৃথিবী শেষ হয়ে আসছে। অথচ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে। তৃতীয় যুদ্ধ নানাভাবে রূপ নিচ্ছে। কেউ খুশি নয়। সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। কারখানার মালিক এবং শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত। নিয়োগকারী আর কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত। সরকার এবং আমজনতা ক্ষিপ্ত। ছাত্র এবং শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত। সবাই অসন্তুষ্ট এবং অখুশি।’

সারা বিশ্বে বেড়ে চলা হিংসা, সন্ত্রাসবাদ আর অসন্তোষ মেটাতে এবং মানুষের রোবোটের মতো হয়ে যাওয়া রুখতে ভারতকেই এগিয়ে এসে বিশ্বকে জ্ঞান এবং ধর্মের বাণী শেখাতে। মনে করছেন ভাগবত। তাঁর ক্ষোভ, ভারতীয় যুবসমাজ ভারতের জ্ঞানের মহিমাকে অবহেলা করে।

ফের ফাঁস দিল্লি পুলিসের মিথ্যা দাবি, প্রকাশ্যে এলো জেএমআইইউ–র লাইব্রেরিতে লাঠিচার্জের ভিডিও-দৈনিক আজকাল

ছাত্রছাত্রীদের উপর দিল্লি পুলিসের অত্যাচারের প্রত্যক্ষ প্রমাণ আবারও সামনে এলো। ছাত্রছাত্রী এবং প্রাক্তনীদের নিয়ে গঠিত জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে শনিবার গত ১৫ ডিসেম্বরের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। ৪৯ সেকেন্ডের ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএমআইইউ–র এমফিল বিভাগের ওল্ড রিডিং হল লাইব্রেরিতে আচমকা লাঠি উঁচিয়ে ঢুকছে একদল পুলিসকর্মী। ঢুকেই তারা নির্বিচারে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের লাঠিপেটা করছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ছুটে পালাবার চেষ্টা করলে তাঁদের লাঠি হাতে তাড়া করছেন পুলিসকর্মীরা। এক ছাত্র ভয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েছেন।

এব্যাপারে রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লি পুলিসের বিশেষ কমিশনার (‌‌অপরাধ)‌‌, প্রবীর রঞ্জন আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ১৫ ডিসেম্বরে জেএমআইইউ–র লাইব্রেরির ‌ওই ভিডিও ফুটেজ তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। ভিডিও প্রকাশ হতেই ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে লেখেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লি পুলিস মিথ্যা বলেছিল যে তারা লাইব্রেরিতে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেনি। এই ভিডিও দেখার পরও যদি অভিযুক্ত পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে সরকারের মানসিকতা প্রকাশ্যে এসে যাবে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৬


 

ট্যাগ