ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০ ১৭:০৫ Asia/Dhaka

পাঠক, ফার্সী ভাষা শিক্ষার অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি । আজ মোহাম্মাদ ও সাঈদ তেহরানের বাহারস্থান চত্ত্বরে যাবে। মোহাম্মাদ মেট্রোতে চড়ে সেখানে যাবে। এটি ইরানের একটি প্রাচীন স্থান এবং ইরানের পার্লামেন্ট ভবন এখানেই অবস্থিত ।

ইরানের প্রাচীন সংসদ ভবনও নতুন সংসদ ভবনের পাশেই অবস্থিত । তাই ইরানের প্রাচীন ও নতুন স্থাপত্যকে একই সাথে দেখা যায় । চত্ত্বরের মধ্যে আয়াতুল্লাহ সাঈয়েদ হাসান মোদাররেসের একটি ভাস্কর্য আছে। তিনি প্রায় একশ বছর পূর্বে ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন । তিনি ছাড়া আরো কয়েকজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সংসদে ছিলেন । তাদের দ্বায়িত্ব ছিল এটা লক্ষ্য রাখা যে,সংসদে পাশ হওয়া যে কোন আইন যেন ইসলামী শরিয়তের ভিত্তিতে প্রণীত হয় । বাহারেস্তান চত্ত্বরে গিয়ে মোহাম্মদ তাঁর ভাস্কর্যটি দেখছে , ঠিক এ সময় সাঈদও সেখানে পৌঁছায় । এ সময় তাদের মধ্যে কী কথা হয় তা শোনার আগে আসুন আজকের আসরের কিছু নতুন শব্দ ও সেগুলোর অর্থ জেনে নেই।

نگاه - تندیس - ً -شخصيت - سيد حسن مدرس - رجال - سياسي - روحانی - عالم - دینی - سیاستمدار - بزرگ - سالها - نماینده - مجلس - محترم - فقیه - عالم اسلامي - دوران - نمایندگی - جلوگيري از - تصویب - قرارداد - نقش - برمبنا - مستشاران - انگليسي - امور - مالي - نظامي - مبارز - آگاه - روشن بين - سياست - اسلام ستيزانه - رضا خان - طرح - استيضاح- عالمان - استقلال - سربلندي -

দেখা / ভাস্কর্য / ব্যক্তিত্ব / ইরানের একজন বিশিষ্ট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম / বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব /রাজনৈতিক / ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব / জ্ঞানী / ধর্ম সম্পর্কিত / রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব / বড় বা মহান /বহু বছর / প্রতিনিধি / সংসদ / সম্মানিত / ধর্মীয় বিষয়ে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তি / মুসলিম মনীষী / কোন বিশেষ কাল /প্রতিনিধিত্ব / কোন কিছু প্রতিরোধ করা / অনুমোদন /চুক্তি / ভূমিকা / কোন কিছুর ভিত্তিতে / উপদেষ্টা বা প্রতিনিধিবৃন্দ / ইংরেজ বা বৃটিশ / বিষয় বা কাজ / অর্থনৈতিক / সামরিক / সংগ্রাম / সচেতন / সূক্ষ্মদর্শী ব্যক্তি /রাজনীতি / ইসলাম বিরোধী / ইরানের সাবেক রাজার নাম / পরিকল্পনা বা প্রস্তাব / ইমপিচমেন্ট বা অভিসংশন/ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ববর্গ / স্বাধীনতা / গৌরব

পাঠক, এবার আসুন মোহাম্মদ ও সাঈদের কথোপকথন শোনা যাক । মোহাম্মাদ তেহরানের বাহারেস্তান চত্ত্বরে একটি ভাস্কর্য দেখছে। এমন সময় সাঈদ সেখানে উপস্থিত হয়। তারপর....

سعید - سلام محمد . به چه نگاه مي كني ؟محمد - سلام . به اين تنديس مي نگرم .سعید - مي داني او كيست ؟محمد - نه . حتما ً شخصيت مهمي است .سعید - بله . او سيد حسن مدرس ، از رجال سياسي ايران است .محمد - اما اين تنديس يك روحاني است !سعید - بله . او هم يك عالم دینی و هم سیاستمداري بزرگ بود . او سالها نماینده مجلس ایران بوده است .محمد - جالب است كه مردم ايران ، شخصيت هاي بزرگ خود را محترم مي شمرند .سعید - مدرس حدود صد سال پيش ( 1909 م . ) به عنوان فقیه و عالم اسلامی ، به مجلس راه يافت .محمد - آیا او در دوران نمايندگي مجلس ، کار مهمی هم انجام داد ؟سعید - البته . وي در جلوگيري از تصويب قرارداد سال 1919 نقش مهمي داشت . برمبناي اين قرارداد ، مستشاران انگليسي بر امور مالي و نظامي ايران مسلط مي شدند .محمد - پس اين روحانی سیاستمدار ، مبارزي آگاه و روشن بين بود .سعید - درست است . مدرس سياستهاي اسلام ستيزانه رضاخان را افشا مي كرد و طرح استيضاح او را به مجلس برد .محمد - پس مدرس نيز از عالماني است كه در استقلال و سربلندي ايران ، نقش داشته اند .

সাঈদ- মোহাম্মাদ সালাম। কি দেখছো ?মোহাম্মদ- সালাম । এই ভাস্কর্যটি দেখছি ।সাঈদ - তুমি কি জান, তিনি কে?মোহাম্মদ- না । অবশ্যই কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হবেন ।সাঈদ - হ্যাঁ । তিনি হচ্ছেন, সাঈয়েদ হাসান মোদাররেস, ইরানের অন্যতম বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।মোহাম্মদ- কিন্তু এটাতো একজন ধর্মীয় ব্যক্তির ভাস্কর্য !সাঈদ-হ্যাঁ । তিনি একই সাথে একজন আলেম এবং একজন বড় মাপের রাজনীতিবিদ ছিলেন । তিনি অনেক বছর ইরানের সংসদ সদস্য ছিলেন ।মোহাম্মদ - ইরানের জনগণ তাদের মহান ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধা করে, এটি একটি আকর্ষনীয় ব্যাপার।সাঈদ - মোদররেস প্রায় একশ বছর পূর্বে ১৯০৯ সালে একজন ফকীহ ও মুসলিম আলেম হিসেবে সংসদ সদস্য হন।মোহাম্মদ- তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন কি?সাঈদ - অবশ্যই । তিনি ১৯১৯ সালের চুক্তি অনুমোদন প্রতিহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখেন । এই চুক্তি অনুসারে বৃটিশ প্রতিনিধিরা ইরানের অর্থনৈতিক ও সামরিক বিষয়ের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারতো।মোহাম্মদ- তাহলে তো এই রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব তার সংগ্রামে অত্যন্ত সচেতন ও সুক্ষ্মদর্শী ছিলেন।সাঈদ - ঠিক তাই । তিন রেজা খানের ইসলাম বিরোধী নীতির স্বরূপ উন্মোচন করেন এবং সংসদে তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ করেন ।মোহাম্মদ - তাহলে মোদাররেস হচ্ছেন সেসব আলেমের একজন যারা ইরানের স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ।

পাঠক, আয়াতুল্লাহ সাঈয়েদ হাসান মোদাররেস ১৮২০ সালে ইরানের ইস্পাহান প্রদেশের একটি শহরে জন্ম গ্রহন করেন । তিনি ইস্পাহান, কোম, সামারা ও নাজাফের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেন । তিনি তাঁর জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত পাঠদান ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনায় নিয়োজিত ছিলেন । তিনি পঞ্চম সংসদের সমাপ্তি পর্যন্ত একজন অন্যতম প্রভাবশালী সাংসদ ছিলেন । সে সময় ইরানের রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য । ধর্ম যে রাজনীতি থেকে আলাদা নয়, এ বিষয়টির ওপর তিনি বেশী গুরুত্ব দিতেন। তিনি বিদেশীদের স্বার্থ রক্ষাকারী ইরানের রাজা রেজা খানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। আয়াতুল্লাহ মোদাররেস তাঁর বক্তৃতা ও ভাষণের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা চালান । রাজার অনুচররা কয়েক বার তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা চালায় । কিন্তু তিনি অক্ষতভাবে প্রাণে বেঁচে যান । এক পর্যায়ে রেজা খান তাঁকে খোরাসানের একটি শহরে আটক রাখে এবং কিছু দিন পর তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেয় । এই মহান ত্যাগী ও সংগ্রামী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ১৯৩৮ সালে শাহদাত বরণ করেন । কিন্তু তার রক্ত বৃথা যায়নি, ইরানের রাজনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/মো.আবুসাঈদ/২৯

ট্যাগ