মার্চ ০৯, ২০২১ ১৬:১৭ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৯ মার্চ মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী -ইত্তেফাক
  • প্রবাসে ১০ লাখ নারী কর্মী: কেউ হাসছে,কারো হাসি হারিয়ে যাচ্ছে -কালের কণ্ঠ
  • সৌদি আরবে নারী কর্মী পাঠানো বন্ধের সুযোগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী -সমকাল
  • বাড়ছে উত্তেজনা, চীনকে মোকাবিলায় শঙ্কিত জাপান! -বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • ব্যাংক খাতে ৯ বছরে অনিয়ম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা: সিএজি – মানবজমিন
  • এসআইয়ের কোটিপতি স্ত্রী-প্রথম আলো
  • টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ গেল ২ যুবকের-যুগান্তর

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • অন্তর্ঘাত না দুর্ঘটনা? রেলভবনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু রেলের, শোকপ্রকাশ মোদী -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দুই সমীক্ষাতেই এগিয়ে তৃণমূল, ফের প্রত্যাবর্তন? কী বলছে জনমত সমীক্ষা?- আজকাল
  • নন্দীগ্রামে পা রেখেছেন মমতা, তবে বহিরাগত ব্যানার নিয়ে চাঞ্চল্য-সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর।

ব্যাংক খাতে ৯ বছরে অনিয়ম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা: সিএজি-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, দেশের ব্যাংক খাতে ৯ বছরে অনিয়ম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর অডিট রিপোর্টের তথ্যে এ তথ্য উঠে এসেছে।সিএজি প্রতিবেদন মতে, ২০১৩ সালে ব্যাংকিং খাতে আর্থিক অনিয়ম চিহ্নিত করা হয়েছিল ৬৫২ কোটি টাকার। ২০২১ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ৯ বছরে ব্যাংক খাতে আর্থিক অনিয়মের হার বেড়েছে ১৬.৮৬ গুণ।

সিএজি বলছে, সরকারি অর্থের অনিয়মের ৫২.১৮ শতাংশ হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ৪ বছরের অডিট রিপোর্টে মোট ৫৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকার অনিয়ম চিহ্নিত করেছে সিএজি। ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংক খাতে সুশাসন না থাকার কারণে এমনটি হয়েছে। ব্যাংকে অনিয়ম তখনই বেশি হয়, যখন ব্যাংক কর্মকর্তারা দুর্নীতি করতে উৎসাহ পান।

অথবা অনিয়ম করলে শাস্তি হয় না।সিএজি’র তথ্য অনুযায়ী, গত চার বছরে (২০১৮ থেকে ২০২১ সাল) ৩১ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকে।

অপরাধ বিষয়ক খবরে দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম- এইআইয়ের কোটিপতি স্ত্রী। খবরটিতে বলা হয়েছে, দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ফ্লাট, প্লট ও গাড়ি কিনেছেন। স্ত্রীকে দেখিয়েছেন মৎসচাষি। ঘটনাটি এমন- চ্ট্টগ্রাম শহরে ফ্লাট ও প্লটের মালিক তিনি। সীতাকুণ্ডে জমি আছে, রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি। আয় করেছেন কোটি টাকা। গোলজার বেগম নামের এক নারীর এই সফলতার পেছনে রয়েছে তাঁর পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী। নাম মো: নওয়াব আলী। তিনি ঢাকায় সিআইডির এসআই পদে রয়েছেন। নওয়াব আলীর নামেও ফ্লাট ও জমি আছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে তাঁরা অর্জন করেছেন ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ।

টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ গেল ২ যুবকের-দৈনিক যুগান্তরের এ খবরে লেখা হয়েছে,কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছেন; যাদের ইয়াবাকারবারি বলে দাবি করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় নাফ নদের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বিজিবি-২ ব্যাটালিয়ন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে তিন লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রবাসে ১০ লাখ নারী কর্মী: কেউ হাসছে,কারো হাসি হারিয়ে যাচ্ছে-কালের কণ্ঠের এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিশোরী উম্মে কুলসুম (১৪) পাসপোর্টে বয়স ২৬ দেখিয়ে সৌদি আরবে যায় ২০১৯ সালের এপ্রিলে। সপ্তম শ্রেণির পাট চুকিয়ে দেয় সে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়, পরিবারের জন্য কিছু করার স্বপ্নে। গৃহকর্মী হিসেবে সৌদিতে যাওয়ার পর সাত মাস নিয়মিত টাকা পাঠায়। হঠাৎ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ছয় মাস পর কুলসুম ফোন করে জানায়, মালিক মেরে তার হাত-পা ও কোমর ভেঙে দিয়েছেন। ২০২০ সালের ১০ আগস্ট মেয়ের মৃত্যুর খবর পায় কুলসুমের পরিবার। এখন পর্যন্ত পরিবারটি কোনো আর্থিক সহায়তা পায়নি।

কুলসুমের মতো গত পাঁচ বছরে প্রবাস থেকে ৪৮৭ নারী কর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যা করেন ৮৬ জন, স্ট্রোকে মারা গেছেন ১৬৭ জন এবং দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৭১ জন। ১১৫ জনের স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। বেশির ভাগ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটেছে সৌদি আরবে।

লাশ হয়ে ‘ফেরা’ ছাড়াও শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনসহ প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক নারীই দেশে ফিরে আসেন বলে জানায় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির গত কয়েক বছরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ প্রতারণার শিকার হয়ে শূন্য হাতে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক নারী। নির্যাতনের মাত্রা এত বেশি যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফিরছেন অনেকে। আবার বিদেশে অনেকে মারাও যাচ্ছেন। হত্যার শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন কেউ কেউ।

এর পরও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নারীরা যাচ্ছেন নিজেদের ভবিষ্যৎ বদলের আশায়, পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্সে হাসছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কিন্তু তাঁদের অনেকের মুখের হাসি মিলিয়ে যাচ্ছে। এমনকি প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো পড়ছে অথৈ সাগরে।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড তিন হাজার ৯০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) তথ্যমতে, কভিড-১৯-এর সময় নারী শ্রমিকরা বেশি হারে টাকা পাঠিয়েছেন। তাঁরা পাঠিয়েছেন ৬৯ শতাংশ, পুরুষ ৩০ শতাংশ। বিদেশ যেতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তা গড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে নারী কর্মীরা তুলে আনতে পারেন।

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, পুরুষ শ্রমিকরা তাঁদের আয়ের ৭০-৮০ শতাংশ দেশে পাঠান। তবে নারী কর্মীরা পাঠান তাঁদের আয়ের প্রায় পুরোটাই। অবশ্য পুরুষদের আয় বেশি। নারীদের বেশির ভাগ গৃহকর্মী হওয়ায় তাঁদের আয় কম।বর্তমানে প্রবাসে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখের বেশি। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ নারী। এ হিসাবে প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ১২ শতাংশ নারী।

বিদেশ ফেরত ৩৫ শতাংশ নারী নিপীড়নের শিকার

২০১৯ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে নারী নিপীড়নের বিষয়টি উঠে এসেছে। সৌদি আরব থেকে ফেরত ১১০ নারী গৃহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে কমিটি ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট একটি প্রতিবেদন দেয়। তাতে বলা হয়, ৩৫ শতাংশ নারী শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন এবং ৪৪ শতাংশ নারীকে নিয়মিত বেতন দেওয়া হতো না। দেশে ফিরে আসা নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রণালয় তাদের ফিরে আসার ১১টি কারণ চিহ্নিত করে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশফেরত নারী কর্মীদের মধ্যে ৩৮ জন শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, ৪৮ জন নিয়মিত বেতন-ভাতা পেতেন না। এ ছাড়া অন্তত ২৩ জনকে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হতো না। সেখানে তাঁরা নিয়োগকর্তা এবং মকতবের (সৌদির রিক্রুটিং এজেন্সি) প্রতিনিধির দ্বারা বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

করোনা মহামারির বছরে ২০২০ সালে বিদেশ থেকে ফেরত এসেছেন মোট চার লাখ ২৫ হাজার ৬৯৭ জন কর্মী। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৬১৯ জন নারী। আর তাঁদের ২২ হাজারই সৌদিফেরত। এসব নারীর বেশির ভাগই নানা ধরনের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন বলে জানায় ব্র্যাক। বিভিন্ন দূতাবাস ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চার বছরে সৌদি আরব থেকে ১৩ হাজারের বেশি নারী দেশে ফিরে আসেন।

নিপীড়নের সবচেয়ে বেশি ঘটনা সৌদি আরবে ঘটে বলে জানান ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান। গত রবিবার কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘গৃহকর্মীর পেশার পরিবর্তে যদি কেয়ার গিভার, গার্মেন্ট বা অন্য পেশায় পাঠানো যায় তাহলে ভালো হবে। আর গৃহকর্মী হিসেবে গেলে তাঁদের মোবাইল ফোন নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্য পেশায় পাঠানো গেলে নিপীড়নের ঘটনা অনেক কমে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রিক্রুটমেন্ট পদ্ধতিতে পদে পদে ঘাটতি আছে। এ জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার। তবে মূল দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’  

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, কাগজে-কলমে বিভিন্ন ক্ষতিপূরণ কিংবা সরকারি সহায়তার কথা থাকলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। বিদেশে গিয়ে কাজ পাননি কিংবা নির্যাতনের শিকার হয়ে এক বছরের মধ্যে দেশে ফেরত নারীদের বিমানবন্দর থেকে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এমন পাঁচ থেকে ছয় হাজার নারী এই টাকা পেয়েছেন। এর বাইরে বিদেশে যাওয়া কোনো বৈধ কর্মী মারা গেলে সরকার তিন লাখ টাকা দেয়।

জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাফরিজা শায়মা গত শনিবার বলেন, “গত সপ্তাহে প্রবাসে নির্যাতনের শিকার শ্রমিকের জন্য ‘প্রবাস বন্ধু কল সেন্টার’ ই-সেবা চালু করেছি। এর মাধ্যমে অনলাইনে ভয়েজ মেসেজ, ছবি, ভিডিও, এসএমএস সব মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।”

নারী কর্মীরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ না পেলে করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজন এসে খবর দিলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করি। অ্যাম্বাসি তখনই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।’ 

নাফরিজা শায়মা আরো বলেন, ‘ফেরত আসা কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট জায়গায় আর কর্মী দিচ্ছি না। যেসব দেশে নির্যাতনের ঘটনা বেশি হচ্ছে সেসব দেশের পুলিশের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। মামলা হচ্ছে, জরিমানা আদায় হচ্ছে। জরিমানা যা আদায় হচ্ছে, কর্মীর হাতে তুলে দিচ্ছি।’ এসব ঘটনার ফলোআপও করা হয় বলে জানান তিনি।পাসপোর্টে বয়স বাড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সঠিকভাবে দেখভাল করছেন না। আমাদের কাছে বিষয়টি ধরা পড়লে আমরা যেতে দিই না।’শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম বলেন, বিদেশ থেকে ফেরত আসা নারীদের নিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অনেক কল্যাণমূলক কাজ করছে।

সমকালের খবরে লেখা হয়েছে,আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সৌদি আরবে নারী কর্মী পাঠানো বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ সংবিধান অনুযায়ী পুরুষ ও নারীদের সমান সুযোগ দিতে হবে। অতএব পুরুষ কর্মী পাঠানো হলে নারীদের ক্ষেত্রেও সমান সুযোগ রাখতে হবে।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীরা। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বিশ্ব শক্তিগুলো ব্যর্থ, যা তাদের জন্য লজ্জার।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী- ইত্তেফাক

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জড়িত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর (রোহিঙ্গাদের ফেরানোর কাজে) এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা না দিয়ে তাদের (আন্তর্জাতিক সংস্থা) উচিত রাখাইন রাজ্যে যাওয়া। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। তাদের উচিত মিয়ানমারের সঙ্গে বেশি করে যুক্ত হওয়া। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জড়িত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর (রোহিঙ্গাদের ফেরানোর কাজে) এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা না দিয়ে তাদের (আন্তর্জাতিক সংস্থা) উচিত রাখাইন রাজ্যে যাওয়া। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। তাদের উচিত মিয়ানমারের সঙ্গে বেশি করে যুক্ত হওয়া।

এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দুই সমীক্ষাতেই এগিয়ে তৃণমূল, ফের প্রত্যাবর্তন? কী বলছে জনমত সমীক্ষা?-আজকাল

পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন? বাংলা সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। তবে ওপিনিয়ন পোল কী বলছে? দুই সমীক্ষাতেই ইঙ্গিত, পশ্চিমবঙ্গে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূলই।  টাইমস নাও-এর সমীক্ষা বলছে, বঙ্গে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে মমতা নেতৃত্বাধীন তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি পেতে পারে ১০৭টি আসন। ৩৩টি আসন পেতে পারে বাম-কংগ্রেস আইএসএফ সমর্থিত সংযুক্ত মোর্চা।

অন্যদিকে এবিপি-সিএনএক্স-এর সমীক্ষায় ইঙ্গিত, তৃণমূল ফের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে। তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬৪টি আসন। বিজেপি জিততে পারে ১০২ থেকে ১১২। বাম-কংগ্রেস পেতে পারে ২২ থেকে ৩০টি এবং অন্যেরা পেতে ১ থেকে ৩টি আসন। যার ফলে খানিকটা স্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে বেশ খানিকটা চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরে। তবে এসবই সম্ভাবনা মাত্র।

অন্যদিকে বাংলা বাদে আরও ৪টি রাজ্যেও কী হতে পারে সেই নিয়েও সমীক্ষা করেছে টাইমস নাও। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-ইউপিএ জোট ১৫৮টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে। যেখানে বিজেপি সমর্থিত এআইএডিএমকে পেতে পারে ৬৫টি আসন। কেরলে আবারও ৮২টি আসন নিয়ে ফিরতে চলেছে বাম সমর্থিত এলডিএফ জোট। যেখানে কংগ্রেস সমর্থিত ইউডিএফ জেড পেতে পারে ৫৬টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি পেতে পারে মাত্র ১টি আসন। অসম ও পুদুচেরিতে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে এনডিএ। 

এই সমীক্ষা অনুযায়ী মোট ৫টি রাজ্যের মধ্যে ২টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে এনডিএ সমর্থিত বিজেপি। ১টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বাম সমর্থিত এলডিএফ, ১টি রাজ্যে তৃণমূল, ও ১টি রাজ্যে কংগ্রেস সমর্থিত ইউপিএ।

নন্দীগ্রামে পা রেখেছেন মমতা, তবে বহিরাগত ব্যানার নিয়ে চাঞ্চল্য-সংবাদ প্রতিদিন

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, নন্দীগ্রামে দলের কর্মীসভায় যোগ দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।কৃষি জমি রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর নাম।স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আগমনে চূড়ান্ত উন্মাদনায় ফুটছে আন্দোলনের মাটি। নন্দীগ্রাম থেকে মমতা লড়ছেন বলে বাড়তি উচ্ছ্বাস এখানকার মানুষের মধ্যে। প্রচারে মমতা নেমে পড়তেই নন্দীগ্রামেও ঝড় তুলছে তাঁর দল। সেখানে গুরু শিষ্যের লড়াই হবে। তবে নন্দীগ্রামের সেই উচ্ছ্বাসে একটি পোস্টার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একটি পোস্টারে লেখা হয়েছে কোনও বহিরাগত নয় নন্দীগ্রাম তার ভূমি পুত্রকে চায়। মমতা –শুভেন্দুর দ্বৈরথকে-নন্দীগ্রামে ভূমিপুত্র বনাম বহিরাগতের লড়াই বলে প্রচার করতে চাইছে বিজেপি বলে মন্তব্য বিশ্লেষকমহলের।তবে এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের  জেলা পরিষদের সহ  সভাপতি সেখ সুফিয়ান বলেছেন,শুভেন্দু নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র নয়. ঘর ভাড়া করে থাকেন। ভোট শেষ হলেই চলে যাবেন। আর দিদি বাংলার ভূমি কন্যা।তাঁকে প্রার্থী পেয়ে নন্দীগ্রামের মানুষ খুশি।

অন্তর্ঘাত না দুর্ঘটনা? রেলভবনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু রেলের, শোকপ্রকাশ মোদীর-আনন্দবাজার পত্রিকা

কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের রেলভবনে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করল পূর্ব রেল। অন্তর্ঘাত না নিছক দুর্ঘটনা থেকে অগ্নিকাণ্ড, তা তদন্ত করে দেখা হবে। আগুন লাগার ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ ওই বহুতলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গিয়েছে দমকলের তরফে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা ১০ নাগাদ আগুন লাগে ১৪ তলা রেলভবনের ১৩ তলায়। পরে ভবনের ১২ তলাও চলে যায় আগুনের গ্রাসে। আগুনের জেরে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৯জন। এর মধ্যে রেলের অফিসার, দমকলকর্মী এবং এক পুলিশ অফিসারও রয়েছেন। দমকলের ইঞ্জিনের পাশাপাশি যন্ত্রচালিত মই আসার পর আগুন নেভানোর কাজ গতি পায়। মধ্যরাতেই আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু রাত ২টো নাগাদ ফের জ্বলে ওঠে আগুন। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, ভোর ৪টে নাগাদ রেলভবনের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘রেলের অনেক পুরনো ভবন। ভয়াবহ দুর্ঘটনা। খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ ছাড়াও পরিবারের এক জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।’’ ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীও।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৯

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ