এপ্রিল ২২, ২০২১ ১৫:২২ Asia/Dhaka
  • সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু: জীবন বনাম জীবিকা- এর বিকল্প কি?

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২২ এপ্রিল বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো ভাটা পড়বে না-যুগান্তর 
  • জীবন বনাম জীবিকা লকডাউনের বিকল্প কি?– মানবজমিন
  • সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু-ইত্তেফাক
  • চিকিৎসক এবং পুলিশ কাণ্ড কিছু বলা কঠিন, চুপ থাকাও অসম্ভব -বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • হেফাজতের আরও দুই কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার -সমকাল
  • ১৫ দিনেই এসেছে এক মাসের বেশি প্রবাসী আয় –প্রথম আলো
  • বাঁশখালীর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট-কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • করোনা সংক্রমণে বিশ্বরেকর্ড ভারতের, একদিনে আক্রান্ত প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার -সংবাদ প্রতিদিন
  • অসীম ক্ষমতা, তা সত্ত্বেও কাজ করছে না কমিশন, চূড়ান্ত ক্ষোভ হাইকোর্টের –আজকাল
  • মোদির বদন্যতায় লাফিয়ে বাড়ল ভ্যাকসিনের দাম-গণশক্তি

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর।

সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু-ইত্তেফাক

Image Caption

করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বা সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী বুধবার (২৮ এপ্রিল) মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ বা লকডাউন বহাল থাকবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট চলাচল ও ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ পূর্বের সব বিধি-নিষেধ আরোপের সময়সীমা আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো।গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৪ থেকে শুরু হয়ে ২১ এপ্রিল সেই লকডাউন শেষ হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে আগের বিধি-নিষেধগুলো পালন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে শপিং মল দোকানপাট খুলতে পারে সোমবার থেকে বলে দৈনিকগুলোতে লেখা হয়েছে।

করোনার টিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি খবর ছাপা হয়েছে-যুগান্তরে। এসব খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো ভাটা পড়বে না।ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও সরকার করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  তিনি আরও বলেছেন,করোনা মহামারি মোকাবিলা ও জনগণকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে।

জীবন বনাম জীবিকা-লকডাউনের বিকল্প কি?-মানবজমিন

জীবিকাহীন জীবন

এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনায় বিপর্যস্ত জনজীবন। নানা বিধিনিষেধে বন্দি মানুষ। মহাসংকটে অনেকের জীবিকা। এক বছরের মাথায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ফের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এলোমেলো সবকিছু। সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথম দফায় ৯ দিনের ‘লকডাউনের’ পর এখন আরো দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এই লকডাউন চলাকালে সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা কমে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দৈনিক কিছুটা কম রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

তবে প্রাণহানি এখনো শতকের কাছাকাছি। সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছুটা লাগাম টানা গেলেও মানুষের জীবিকার প্রশ্নটি এখন সামনে। লকডাউনের কারণে অনেকে কাজ হারিয়ে বসে আছেন ঘরে। কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন অনেকে। সরকারিভাবে বড় কোনো সহায়তা কার্যক্রম না থাকায় খেটে খাওয়া মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন এই লকডাউনে। এ অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী লকডাউন কতদিন চালু রাখা যাবে বা এর বিকল্পই বা কী হবে এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, লকডাউন দিতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনেই জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। একইসঙ্গে দেশের উৎপাদন ও অর্থনীতি সচল রাখতে হলে ব্যবসা-বাণিজ্যও চালু রাখতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে করোনার টিকা একটি বড় অস্ত্র। দেশে টিকাদান কর্মসূচি সফলভাবে চলছে। সামনে এটি আরো জোরদার করতে হবে। অধিকাংশ মানুষ টিকা গ্রহণ করলে করোনার প্রকোপ এমনিতে কমে আসবে। এজন্য টিকা প্রয়োগে সব ধরনের অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে। প্রয়োজনে টিকা কূটনীতি জোরদার করতে হবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন মানবজমিনকে বলেন, লকডাউন নয়। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। এর আগে সভা সমাবেশ ও বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম বন্ধ করতে বলেছে। আমাদেরকে এসব দীর্ঘ সময় মেনে চলতে হবে। তবে করোনার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে শনাক্ত করতে হবে। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এসব বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা যেতে পারে। তবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কঠোর হতে হবে। সেখানে চলমান বিধিনিষেধ দীর্ঘ সময় চলতে পারে। সেটা এলাকাভেদে হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওইসব এলাকায় বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে করোনার সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। তবে দীর্ঘ সময় এসব বিধিনিষেধ চললে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা দিতে হবে। মানুষ যাতে সহযোগিতা পেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারে। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানুষজন সামাজিক দূরত্ব মেনে, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে কাজকর্ম করলে করোনা ছাড়ানোর সম্ভাবনা কমবে। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হলে সম্মুখসারির যোদ্ধা ও যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদেরকে সরকারি সহায়তা দিতে হবে। কর্মহীনদের সহায়তা দিতে না পারলে তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করবে এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়াবে। তিনি বলেন, যারা এখনো আক্রান্ত হয়নি তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে অনীহা দেখা দিয়েছে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাইছেন না। ফলে চলতি সময়ে তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি। এমনভাবে চলতে থাকলে দেশে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে। কাজেই আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।  

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, দেশে চলমান লকডাউন বেশি দিন চললে নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। তারা তো কাজকর্ম না করলে খেতে পারবে না। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে লকডাউনের বিকল্প হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষকে টিকা দেয়া নিশ্চিত করা।

ফের অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস, প্রত্যেকেই এখন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে-মানবজমিন

দেশব্যাপী চলমান লকডাউনে বেশিরভাগ মানুষ ঘরের ভেতর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বন্ধ। এর মাঝেও অস্বাস্থ্যকর রাজধানী ঢাকার বাতাস। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের মাঝখানে দু-একদিন উন্নতি হয়েছিল ঢাকার বায়ুমানের। কিন্তু ফের অবনতি হয়েছে ঢাকার বাতাসের।

বুধবার রাত ৯ টায় সর্বশেষ হালনাগাদ করা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) সূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৯। বাতাসের এই গুণগত মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। কারণ, একিউআই স্কোর যখন ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বাতাসের গুণগত মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর অর্থ ঢাকার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই এখন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।তাছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিরা আরো মারাত্মক সমস্যা ভোগ করতে পারেন।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) হলো বাতাসের গুণগত মানের নিত্যদিনের একটি সূচক।

বাঁশখালীর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট-কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। মানবাধিবার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) এ রিট আবেদন দাখিল করেছে।এর আগে গত ১৮ এপ্রিল আসকের পক্ষ থেকে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে তিন কোটি টাকা এবং আহতের পরিবারকে দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের বেতনভাতাসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে গত শনিবার (১৭ এপ্রিল) শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ৩২ জন আহত হন।

ই-পাসপোর্টে জট-ঝুলে আছে প্রায় ৬ লাখ আবেদন-মানবজমিন

জট লেগেছে ই-পাসপোর্টে

জট লেগেছে ই-পাসপোর্টে। সাম্প্রতিক বছরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার লকডাউন, এমআরপি’র চেয়ে ই-পাসপোর্টের বেশি আবেদন পড়া, ই-পাসপোর্টের সফ্‌টওয়্যার, ছবি তোলা, মোবাইলে আবেদন, সঠিক সময়ে আবেদন ডেলিভারি না দেয়া, ফিঙ্গার প্রিন্টে সমস্যা, অধিকাংশ আবেদনকারীর ই-পাসপোর্টের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না জানায় ই-পাসপোর্টে জট লেগেছে। অধিদপ্তরে এখন প্রায় ৫ লাখ ৯০ হাজার আবেদন ঝুলে আছে। এর মধ্যে ৪৭ হাজার ৩০০ টি পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ার কারণে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়নি পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্টের কারিগরি মান বাড়লেও কর্মীদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। যেসব কর্মকর্তা এবং কর্মচারী এমআরপি পাসপোর্টের কাজ করতেন অধিদপ্তরে তারাই ই-পাসপোর্টের সেবা দিচ্ছেন। এ ছাড়াও বিষয়টি স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় প্রযুক্তির বিষয়টি জড়িত। অধিদপ্তর জানিয়েছে, দ্রুত এ সংকট কেটে যাবে।

১৫ দিনেই এসেছে এক মাসের বেশি প্রবাসী আয়-প্রথম আলো

দেশে গত বছরের এপ্রিলে ১০৯ কোটি ডলার আয় পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর চলতি এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনেই এসেছে ১১৫ কোটি ডলার, যা দেশের প্রায় ৯ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকার সমান। মাস শেষে এই আয় গত বছরের একই মাসের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে নতুন লকডাউনের পরিস্থিতিতেও প্রচুর অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

কোভিডে ভারতের বিশ্বরেকর্ড, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় হার মানলো আমেরিকা

ভারতে করোনা সংক্রমণের বিশ্ব রেকর্ড

মারাত্মক। দৈনিক করোনা সংক্রমণে বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিল ভারত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার তা যেন মাত্র ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। এর আগে গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় একদিনে ৩ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ করোনার কবলে পড়েছিলেন। সেই রেকর্ডও এদিন ভেঙে দিল ভারত। আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে।

অনলাইন গার্ডিয়ানের রিপোর্ট ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, করোনা-নরকে পৌঁছে যাচ্ছে ভারত।

এদিকে দৈনিক গণশক্তি পত্রিকা লিখেছে, এবার করোনা টিকা নিয়ে দেশজুড়ে নতুন বিপর্যয় তৈরি করতে যাচ্ছে মোদি সরকার। কোভিশিল্ড টিকার ভারতীয় উৎপাদক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি নিয়ে বুধবার যে বন্টন ও মূল্যনীতি ঘোষণা করেছে তাতেই সারা দেশে নৈরাজ্য তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মহামারির এই দুঃসময়ের সুযোগে উৎপাদক কোম্পানির মুনাফা আকাশচুম্বী করতে কোভিশিল্পের দাম দ্বিগুণের চেয়ে শুধু বাড়ায়নি একইসাথে রাজ্যগুলোর ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। সবমিলিয়ে কেন্দ্রের এই নীতির ফলে সংখ্যাগরিষ্ট গরিব মানুষ টাকার অভাবে করোনা টিকা থেকে বঞ্চিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অসীম ক্ষমতা, তা সত্ত্বেও কাজ করছে না কমিশন, চূড়ান্ত ক্ষোভ হাইকোর্টের-আজকাল

নির্বাচন কমিশনের কাজে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। দেশ তথা রাজ্যে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সেই আবহেই চলছে নির্বাচন। এই ভোটের রাজনৈতিক প্রচার ও জমায়েত নিয়ে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট তুলোধনা করল কমিশনকে।

করোনার সময়ে প্রচার বন্ধের মামলায় চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘কমিশনের অসীম ক্ষমতা তাও তার কোনও ব্যবহার করছে না তারা। এই সময় টি এন সেশনের দশ ভাগের একভাগ করে দেখাক কমিশন।’ আরও বলা হয়, ‘একটা সার্কুলার দিয়ে জনগণের ওপর সব ছেড়ে দিয়েছে কমিশন। পুলিশ, ক্যুইক রেসপন্স টিম সব আপনাদের আছে। তাও কেন এই বাহিনীদের ব্যবহার করছেন না?’

এরপরই  হাইকোর্ট বলে, ‘টি এন সেশনের দশ ভাগের এক ভাগ কাজ করে দেখাক নির্বাচন কমিশন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২২

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।


 

ট্যাগ