করোনাকাল: কালোটাকার ঢল অথচ হতাশায় লাখো চাকরিপ্রার্থী, কর্মহীন মানুষ
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৬ মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন-সরকার ইতিবাচক –যুগান্তর
- দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি পূরণ কোন পথে-ইত্তেফাক
- করোনাকালেও কালোটাকার ঢল- প্রথম আলো
- দেশে টিকা উৎপাদনে তিন কোম্পানির সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত -সমকাল
- রাজধানীতে দিনে ৬৪৬ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন-মানবজমিন
- চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলা এসআই আকবরের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে! -কালের কণ্ঠ
- ২২ দিন পর রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন-বাংলাদেশ প্রতিদিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- ২০২৪-এ বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ মমতা? লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিলেন জননেত্রী -সংবাদ প্রতিদিন
- ভোটের ফলপ্রকাশের পর হিংসার রিপোর্ট চেয়ে রাজ্যকে এবার কড়া চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের –আজকাল
- সব রেকর্ড ভেঙে ভারতে একদিনে ৪ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু-দ্য হিন্দু
- ভারতে 'ঠেকানো যাবে না' তৃতীয় ঢেউ, টিকা উন্নত করার প্রস্তাব-এনডিটিভি
- আসছে তৃতীয় ঢেউ, মানল কেন্দ্র-গণশক্তি
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে সরকার ইতিবাচক-ইত্তেফাক

বিএনপি চেয়ারপারসন করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে সরকার ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সরকার ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে।

বুধবার রাতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এ সময় চিকিৎসার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিষয়টি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাকে নিয়মিত অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।এমতাবস্থায় তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চাইতে সোমবার রাতে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
খালেদা জিয়া যদি বিদেশ যেতে আবেদন করেন, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছিলেন, এটি আদালতের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যে ধারায় সাজা স্থগিত রেখে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন, এর বাইরে অন্য কোনো সুযোগ নিতে চাইলে তাকে আদালতে যেতে হবে। আরও কিছু পেতে হলে কোর্টের মাধ্যমে আসতে হবে।
তবে এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুগান্তরকে বলেন, বিদেশে যেতে বা বিদেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না- সরকারের দেওয়া সেই শর্ত শিথিল করলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যেতে আইনগত কোনো বাধা থাকে না। এটা নির্ভর করছে একেবারেই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। কিন্তু এখনও বিএনপি বা খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফ থেকে এরকম কোনো আবেদন পাইনি।
জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতির বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ সরকার খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে। সরকারই এই শর্ত শিথিল করতে পারবেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারই বলবে তারা আদালতে যাবেন না কী করবেন।
এদিকে,বিদেশে নিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি পূরণ কোন পথে-ইত্তেফাক

দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ আর এক সপ্তাহ চলবে। অর্থাৎ আসন্ন ঈদের আগেই শেষ হচ্ছে আপাতত দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না ১৬ লাখ মানুষ।
এই টিকা পাওয়া না গেলে কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সবাই। সরকার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া আগেই বন্ধ করেছে। টিকার জন্য নিবন্ধনও গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ সময়মতো না পেলে কী হবে, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দুই কোম্পানির টিকা হলে কোনো সমস্যা হবে কি না, এ নিয়ে চিকিত্সকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যারা অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ অক্সফোর্ডেরই নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে টিকা সংগ্রহের জন্য কিছুটা সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ। আর যদি তিন মাসের মধ্যে টিকা না পাওয়া যায়, তাহলে অন্য কোম্পানির টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কিনা কিংবা কতদিন পর নিতে হবে-এর পুরো বিষয়টি এখনো গবেষণাধীন। গবেষণার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। গবেষণার ফলাফল পেলে আমরা মতামত দেবো। যুক্তরাষ্ট্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা উদ্বৃত্ত আছে। সেই টিকা পাওয়ার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে।
করোনায় এক বছরে ৬২ ভাগ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন: সিপিডি-মানবজমিন

করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে ৬২ শতাংশ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। যার বড় অংশ ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে কর্মহীন হয়েছেন। পরে অনেকেই কাজে ফিরলেও আগের মতো চাকরি আর ফিরে পাননি। তাদের আয় কমেছে। পাশাপাশি করোনার প্রভাবে ৭৮ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন। অনেকের ঋণের বোঝা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর। বুধবার ‘কোভিডকালে আয় ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি : কীভাবে মানুষগুলো টিকে আছে’ শিরোনামের খানা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
নির্মাণসামগ্রীর দাম লাগামছাড়া-ইত্তেফাক
দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। কয়েকমাসের ব্যবধানে এক টন ভালো রডের দাম বেড়েছে অন্তত ১৮ হাজার টাকা, ব্যাগ প্রতি সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ফলে আবাসন খাতে ব্যয় বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ঘর নির্মাণ করতে যাওয়া সাধারণ মানুষ।
ইত্তেফাক অনলাইনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টন প্রতি রডের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এই দাম আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে প্রতি তিন হাজার ইটের দাম বেড়েছে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে কাঁচামাল সংকটই প্রধান অনুঘটক বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রথম আলোর-অর্থনীতি বিষয়ক খবরের শিরোনাম-করোনাকালেও কালোটাকার ঢল। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,

করোনাকালে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পাশাপাশি নগদ ও ব্যাংকে রাখা টাকা সাদা করেছেন প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তি। খবরে আরও বলা হয়েছে-করোনাকালেও লুকানো টাকা দেখানোর উৎসব থামেনি। মানুষ যখন জীবিকার সংকটে ভুগছে, তখন প্রায় ১০ হাজার করদাতা কালোটাকা সাদা করেছেন। আর নগদ টাকাই সাদা হয়েছে বেশি। অন্তত নগদ বা ব্যাংকে থাকা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় শেয়ারবাজার, জমি-ফ্ল্যাট, ব্যাংক-সঞ্চয়পত্রে রাখা টাকা ও নগদ টাকা—সব ধরনের অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এমন ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া হয়নি। শুধু তা–ই নয়, কালোটাকা সাদা করলে এনবিআর ছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি করতে হবে না—এমন ঘোষণাও দেওয়া হয়। আর এই সুযোগেই কালোটাকা সাদা করার এই মহোৎসব। অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে বিদেশ সংযোগ অনেক কমে গেছে। সুযোগ কমে গেছে অর্থ পাচারের। আর এ কারণে দেশের মধ্যে কালোটাকা সাদা হচ্ছে বেশি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের মতে, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক, নৈতিকতা পরিপন্থী ও দুর্নীতি সহায়ক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এবার কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অন্যবারের চেয়ে বেশি বিস্তৃত। অবৈধ লেনদেন বেশির ভাগই নগদ টাকায় হয়। বিশেষ করে করোনার সময়ে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির মহোৎসব হয়েছে। ওই লেনদেনের কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নিয়েছেন তাঁরা।
চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলা এসআই আকবরের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে!-কালের কণ্ঠ

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত চাঞ্চল্যকর রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় এসআই আকবরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে বুধবার (৫ মে) আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ইয়াবা সেবনকারী সাইদুল শেখের ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগে রায়হান উদ্দিনকে পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সাইদুল শেখ প্রতারণা মামলায় এখনো জেলে আছেন। আর এসআই আকবরসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা কারান্তরীণ রায়হান হত্যা মামলায়।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোররাতে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে ওই রাতেই কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর ব্রিফিংকালে পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান বলেন, ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ধারায় অপরাধ হলেও তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। নির্যাতনে হেফাজতে মৃত্যুর ২০১৩ এর ১৫ (২ ও (৩) ধারায় অভিযুক্তদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ দু’টি আইনের একটিতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে সর্বনিম্ন শাস্তি আমৃত্যু যাবজ্জীবন। আমরা তদন্তে চেষ্টা করেছি, যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়। আর এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেনের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
হতাশায় লাখো চাকরি প্রত্যাশী-মানবজমিন

গত বছর ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স সম্পন্ন করেন নাটোরের রাকিব হাসান। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রাকিবের স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে পরিবারের হাল ধরা। সন্তানকে নিয়ে একই স্বপ্ন বুনেছিলেন মা-বাবাও। কিন্তু করোনা মহামারি সব স্বপ্ন যেন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। যে সময় রাকিবের চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার কথা, তখন সংকটে পড়ে বাধ্য হয়ে তাকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে। টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ চালাতেন রাকিব। করোনার প্রকোপ শুরু হলে টিউশনি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরে টিকতে না পেরে গ্রামে গিয়ে এখন কৃষিকাজ করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিস্ট্রির ছাত্র হাসিদুল ইসলাম।
৩য় বর্ষে ওঠার পর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তিনি ৩য় বর্ষের ছাত্র। অথচ বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল অল্পদিনের মধ্যেই সন্তান পড়ালেখা শেষ করে ভালো চাকরি করে পরিবারের দুঃখ-দুর্দশা দূর করবে। কিন্তু করোনায় সবকিছু থমকে আছে। কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে? কবে একটি চাকরির ব্যবস্থা হবে? সেই চিন্তায় ঘুম আসে না তাদের। শুধু রাকিব কিংবা হাসিদুল নন, করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় এমন লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
রাজশাহীতে হাসিদুল টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ জোগাতেন। কিন্তু করোনার কারণে টিউশনিও বন্ধ। এ অবস্থায় আর্থিক সংকটে পড়েন তিনি। পরে রাকিবের মতো হাসিদুলও গ্রামে এসে কৃষিকাজ শুরু করেন। অন্যদিকে তাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটিও অনিশ্চিত ধরে নিয়েছেন তার বাবা মা। হাসিদুল বলেন, মা-বাবা ভাবেন যে, সব মনে হয় শেষই হয়ে গেল। আমাদের পড়ালেখা শেখাতে তাদের কষ্ট ও শ্রম সবই বোধ হয় বৃথা। মনে হয় আমাদের নিয়ে তারা আশা ছেড়েই দিয়েছেন। এ অবস্থায় আমরাও হতাশার মধ্যে আছি। কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কবে চাকরি-বাকরি করবো, পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করবো? সেই চিন্তায় আমাদের চোখে ঘুম নেই।
রাকিব হাসান বলেন, যখন অনার্স শেষ হলো এর কিছুদিন পরেই করোনার প্রকোপ শুরু হয়। সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। টিউশনি করাতাম সেটাও বন্ধ। এ অবস্থায় বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে বাবার কাজে সহযোগিতা করি। পড়ালেখাও করি কিন্তু মনে হয় যেন পড়ালেখা করে আর কি করবো। চাকরির পরীক্ষা তো হচ্ছে না, প্রস্তুতি নিয়ে কী হবে। তবুও বাড়ির কাজের পাশাপাশি কিছুটা চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করছি। কবে পরিস্থিতি ভালো হবে, কবে চাকরির পরীক্ষা হবে তার তো কোনো ঠিক নেই। মা বাবাও স্বপ্ন দেখেন যে ছেলে একটা ভালো চাকরি করবে। কিন্তু তারাও এখন দুশ্চিন্তায় থাকেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪৬ ব্যাচের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী বলেন, করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে তার কোনো তথ্য আমরা জানি না। ঢাকায় টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ চালাতাম। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে এসে দিনমজুরের কাজ করেছি। আমাদের এলাকায় সারা বছরই বিভিন্ন কৃষিকাজ চলে। তাই আর্থিক টানাপড়নের মধ্যে শিক্ষিত হয়েও কৃষিকাজ করতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি বলেন, পরিবার থেকে তো অনেক নিয়েছি। এখন তাদেরকে আমার কিছু দেয়ার কথা ছিল। এ বছর আমার অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ এখনো ৩য় বর্ষেই পড়ে আছি। আমার মতো এমন হাজার হাজার শিক্ষার্থীর একই সমস্যা। অনলাইনে ক্লাস চলে কিন্তু কোনো পরীক্ষা তো হয় না। তাহলে এই ক্লাস দিয়ে কি হবে? দেশে লকডাউনের মধ্যেও সবকিছু চলছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে দিন দিন আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। এমনিতেই অভাবের সংসারে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা। এভাবে পড়ালেখা বন্ধ থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বলেন, এক বছর হলো ৩য় বর্ষেই পড়ে আছি। অনলাইনে ক্লাস হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে পরীক্ষা নেয়ার কথা। কিন্তু কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে আর কবে পরীক্ষা হবে তাতো বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। আমাদের অভিভাবকরাও হতাশায় ভুগছেন। কারণ ঢাকায় থাকতে টিউশনি করে খরচ চালাতাম। কিন্তু এখন বাসায় বসে বসে খেতে হচ্ছে। কোনো কাজ নেই। আগে এলাকায় টিউশনি ছিল। এখন আমার মতো প্রচুর ছাত্র এলাকায় রয়েছে। এতো টিউশনি তো গ্রামে নেই। তাই কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কৃষিকাজও করছেন। বেলাল আরো বলেন, এভাবে এক দুই বছর যদি বসে থাকতে হয় তাহলে আমাদের জন্য এটা বড় লস। কারণ চাকরির বয়স যা নির্ধারিত, তাইতো থাকবে। কবে শেষ করবো কবে চাকরির প্রস্তুতি নেবো তা নিয়ে আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করে।
চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিতে যাচ্ছে সরকার: ওদিকে লকডাউনে চাকরির পরীক্ষা নিতে না পারায় গত বছরের মতো এ বছরও চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিতে যাচ্ছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শিগগিরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে বয়সে ছাড় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশনা দেবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনায় বিধিনিষেধের কারণে চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে চেষ্টা করবো। বয়সটা যাতে ছাড় দেয়া হয় সেই পদক্ষেপ আমরা নেবো। তিনি বলেন, যে সময়টা তাদের লস হয়েছে, যখন যে সময় বিজ্ঞপ্তি হওয়ার কথা ছিল, আগের সময় ধরেই পরবর্তীকালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। গত বছর করোনা মহামারিতে সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। ওই বছর ২৫শে মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী ৫ মাস পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এ বছর কতদিন ছাড় দেয়া হবে তা নির্দিষ্ট করেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সব রেকর্ড ভেঙে ভারতে একদিনে ৪ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু-দ্য হিন্দু

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিনই দেশটিতে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অর্থ্যাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ভারতে আরও ৩ হাজার ৯৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১২ হাজার ৯৫ জন। মৃত্যু ও শনাক্তের হিসাবে এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বিশ্বে এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের অর্ধেকই ভারতে।আর এনডিটিভির খবরে লেখা হয়েছে, ভারতে 'ঠেকানো যাবে না' তৃতীয় ঢেউ, টিকা উন্নত করার প্রস্তাব। করোনায় বিপর্যস্ত ভারত। দেশজুড়ে মৃত্যু ও শনাক্তে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো সম্ভব নয় জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বরং টিকা উন্নত করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

বুধবার সরকারের শীর্ষ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারা এমন প্রস্তাব দিয়েছেন
২০২৪-এ বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ মমতা? লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিলেন জননেত্রী-সংবাদ প্রতিদিন

বাংলায় মমতার জয়ের আভাস মিলতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অবিজেপি নেতা-নেত্রীরা শুভেচ্ছার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিরাট জয়ের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব থেকে ভূপেশ বাঘেল। এমনকী, সুদূর কাশ্মীর থেকেও বাংলার জননেত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিও। শপথগ্রহণের পরই টুইটারে প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিরোধী ঐক্য দেখে রাজনৈতিক মহলের দাবি, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি বিরোধিতার মুখ হয়ে উঠছেন মমতা।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি দিল্লির মসনদে বসার পর থেকেই তাঁর বিরোধিতার জন্য জোট বাঁধার চেষ্টা করছেন বিরোধীরা। কখনও তা হয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে। কখনও আবার তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন করে। আর এই তৃতীয় ফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনিশের লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভাও করেছিলেন তিনি। তাঁর আমন্ত্রণে সেই জনসভায় হাজির ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কানিমোঝি, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব-সহ প্রায় সকল মোদি বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। তবে লোকসভা ভোটে উল্লেখযোগ্য ফল করতে পারেনি এই জোট। উলটে বাংলায় ভাল ফল করে বিজেপি।
এবার একুশের মহারণে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলেই প্রায় মমতাকে নৈতিক সমর্থন করেছিলেন। এমনকী, তাঁর হয়ে প্রচার করতে বাংলায় এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনও। ভোটের ফল ঘোষণার পরই তৃণমূলনেত্রীকে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দেন তাঁরা। এদিন কুরসিতে বসার পরই সকলকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। জয়ের পর প্রথম ভাষণেই মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলা গোটা দেশকে বাঁচিয়ে দিল। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র বাংলাকেই করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এই বিরাট জয়ের পর সেই আন্দোলনের পুরোধা হয়ে উঠবেন মমতাই।
এদিন টুইটারে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বিজেপি বিরোধিতা নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলার জননেত্রী। যেমন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা লিখেছেন, “বাংলা ঘৃনা ও বিভাজনের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছেন।” আবার এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারকে লেখেন, “দেশের মঙ্গলের জন্য আপনার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি।”
তাৎপর্যপূর্ণ মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীও। এদিন তাঁকেও জবাব দিয়েছেন মমতা। দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় রাজনীতির অন্দরে একটা দ্বন্দ্ব চলছে, মমতা নাকি রাহুল, কে হবে বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেসের ফলাফল উল্লেখযোগ্য নয়। এমনকী, রাহুলের প্রচারের পরও কেরলে ক্ষমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয়েছে ইউডিএফ জোট। এদিকে হাজার প্রতিকূলতাকে হারিয়ে বিরাট জয় পেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বেশ কয়েকগুণ বেশি।
দলত্যাগীদের ফেরানো নিয়ে মমতার সঙ্গে একমত নন নেতারা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দলত্যাগীরা ফিরতে চাইলে তিনি স্বাগত জানাবেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিজয়ী বিধায়কদের নিয়ে এক বৈঠকের পর জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন না তৃণমূলে দলত্যাগী বিশ্বাসঘাতকেরা ফিরে আসুক। এই দাবি তাঁরা নেত্রী মমতার কাছেও জানাবেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা এখনই দলত্যাগীদের ফিরিয়ে নিতে চাইছেন না। তাঁরা বলছেন, ওরা বিশ্বাসঘাতক, গাদ্দার, বেইমান। ওদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া চলবে না।নির্বাচনের আগে দলবদল করেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শিশির অধিকারী থেকে বহু নেতা বিধায়কেরা।
ভোটের ফলপ্রকাশের পর হিংসার রিপোর্ট চেয়ে রাজ্যকে এবার কড়া চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের-আজকাল
ভোট চলাকালীন রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর হিংসা যেন লাগামছাড়া। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে হিংসার খবর। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগেই রিপোর্ট চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই চিঠির উত্তর না আসায় ফের রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। হিংসা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যের কাছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।