মে ১২, ২০২১ ১২:৫৭ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক!১২ মে বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • বিশ্লেষণ-হায় বিশ্ব! জবাব চাওয়ার কেউ নেই?-প্রথম আলো
  • লকডাউনে ঈদযাত্রা-পরিবহনের দুর্ভোগের সাথে যানজট-বৃষ্টি-প্রথম আলো
  • স্ত্রীকে খুন করাতে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার-প্রথম আলো
  • করোনা মহামারিতেও নির্বাচন করতে চায় ইসি -ইত্তেফাক
  • নিরন্ন মানুষের হাহাকার তেমন কোনো উদ্যোগ নেই ত্রাণে -যুগান্তর
  • খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ : ফখরুল -কালের কণ্ঠ
  • ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট-কঠিন বিপদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা -মানবজমিন
  • ‘আনভীরই মুনিয়ার হত্যাকারী’-মানবকণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • শুভেন্দুকে জবাব দেবে নন্দীগ্রাম! হুঙ্কার সুফিয়ানের, রুখতে তৈরি প্রলয় –-আজকাল
  • ইচ্ছাকৃত ভাবেই ছড়ানো হয়েছিল করোনা ভাইরাস! চিনা বিজ্ঞানীর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য -সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. ইহুদিবাদী ইসরাইল আল-কুদস শহরের একটি শরণার্থী শিবিরের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে বারবার হামলা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনের হামাসসহ প্রতিরোধ সংগঠনগুলো রুখে দাঁড়িয়েছে এবং এ মুহূর্তে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ চলছে। বিষয়টি সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কি?

বিশ্লেষণের বাইরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর:

বিশ্লেষণ-হায় বিশ্ব! জবাব চাওয়ার কেউ নেই?-প্রথম আলো

গাজা জ্বলছে

ইসরায়েলি হামলায় যুগ যুগ ধরেই ঝরছে ফিলিস্তিনিদের রক্ত। কিন্তু ইসরায়েলকে কখনো জবাবদিহির আওতায় আনতে পারেনি বিশ্ব। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে গত সোমবার গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে শিশুসহ ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গুরুতর আহত হন অনেকে
ছবি দেখলে ফিলিস্তিনিদের কঠিন পরিস্থিতিটা আঁচ করা যায়। শিশুদের লাশের সারি, রক্তাক্ত দেহ। হাসপাতালে স্বজনদের ছোটাছুটি কিংবা কাফনের কাপড় সরিয়ে প্রিয়জনকে শেষবারের মতো দেখার চেষ্টা।

আহত ফিলিস্তিনি শিশু

অবরুদ্ধ গাজায় গত সোমবার দফায় দফায় বিমান হামলায় চালায় ইসরায়েল। সেই হামলার শিকার এই শিশুরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, হামলায় ১০ শিশুসহ ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।

যুগ যুগ ধরেই রক্ত ঝরছে ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েল একে একে ফিলিস্তিনিদের আবাসভূমি গ্রাস করে নিচ্ছে, সেই ভূমিতে ইহুদি বসতি বাড়াচ্ছে। আবার নির্বিচারে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। কিন্তু জবাব চাওয়ার যেন কেউ নেই।
 কয়েক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্তপাত হলো গত সোমবারে হামলায়। গতকাল মঙ্গলবারও হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলি বাহিনী।

এবারের উত্তেজনার শুরু

এবারের উত্তেজনার শুরু শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের আশঙ্কা থেকে। জেরুজালেম লাগোয়া এই এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি চারটি পরিবারকে ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্ট উচ্ছেদের আদেশ দিতে যাচ্ছেন—এমন আশঙ্কা থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছিল। ১৯৫৭ সাল থেকে ওই পরিবারগুলো সেখানে বসবাস করে আসছে। ওই পরিবারগুলোর সমর্থনে রমজানের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদার দিন পবিত্র আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ের পর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন অনেক ফিলিস্তিনি।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বাশার মাহমুদ (২৩) বলেন, ‘আমরা যদি এখন উচ্ছেদের মুখে থাকা ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর পক্ষে না দাঁড়াই, তাহলে কয়েক দিন পর হয়তো আমাকে উচ্ছেদ হতে হবে, তারপর হয়তো আরেকজন ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ হতে হবে। হয়তো একে একে সব ফিলিস্তিনিকেই একদিন উচ্ছেদ হতে হবে।’

শুক্রবার থেকেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে ইসরায়েলি পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। এরপর দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সোমবার সেটা চূড়ান্ত রূপ নেয়। মসজিদ চত্বর থেকে জোর করে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দিতে ইসরায়েলি পুলিশ রাবার বুলেট, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, মসজিদ চত্বর থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দিতে ইসরায়েলি পুলিশের চার দিনের অভিযানে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ফিলিস্তিনের কট্টরপন্থী সংগঠন হামাস সোমবার মসজিদ চত্বর থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের জন্য আলটিমেটাম দেয় ইসরায়েলকে। সেই আলটিমেটাম পার হলে ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে হামাস।

ইসরায়েল যদি পূর্ণমাত্রার সংঘর্ষ চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। যদি ইসরায়েল এটা থামাতে চায়, তাতেও আমরা প্রস্তুত আছি।
ইসমাইল হানিয়া, হামাস নেতা
 

 ইসরায়েলের হামলা

নিহত ভাইয়ের জন্য ফিলিস্তিনি শিশুর আহাজারি

হামাসের সেই রকেট ছোড়ার জবাব দিতে গাজায় সোমবার সন্ধ্যার পর দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ১০ শিশুসহ প্রাণ হারায় ৩২ ফিলিস্তিনি। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, গতকাল রাতেও গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে একটি ১৩ তলা আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। আগেই বাসিন্দারা ওই ভবন থেকে সরে যাওয়ায় বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়। অন্তত ১৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। 

যুক্তরাষ্ট্র যত দিন ইসরায়েলকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে না পারবে, তত দিন বাইডেন প্রশাসনের বিবৃতি দিয়ে উত্তেজনা-সহিংসতা কমানো সম্ভব হবে না।
ফিলিজ বেনিস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের বিশ্লেষক
ইসরায়েলি ওই বিমান হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড ইসরায়েলের তেল আবিব লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে। বিবিসি জানায়, গতকাল বিমান হামলার জবাবে হামাস ১৩০টিরও বেশি রকেট ছোড়ে ইসরায়েলে। এর আগে সোমবারও রকেট হামলা চালায় হামাস। এসব হামলায় অন্তত তিন ইসরায়েলি নিহত হন। 

নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে গতকাল বলেন, রকেট ছোড়ার জন্য গাজার সন্ত্রাসীদের ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’। রয়টার্স জানায়, নিজের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধানকে পাশে রেখে দেওয়া ওই ভাষণে নেতানিয়াহু আরও বলেন, রকেট ছোড়ার জন্য হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে...আরও চড়া মূল্য দিতে হবে।

বসে নেই হামাসও। হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘ইসরায়েল যদি পূর্ণমাত্রার সংঘর্ষ চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। যদি ইসরায়েল এটা থামাতে চায়, তাতেও আমরা প্রস্তুত আছি।’ আল-জাজিরা জানায়, ইসমাইল হানিয়া কোন জায়গা থেকে এই ভাষণ দিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি গাজায় নেই।


রাজনৈতিক সমীকরণ
এই হামলার মধ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ থাকতে পারে? এই ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই। ইসরায়েলে দুই বছরেরও কম সময়ে চারটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নির্বাচনের ফলাফলে কোনো পক্ষই সরকার গঠন করতে পারেনি। চতুর্থ নির্বাচনের পর নেতানিয়াহুর বিরোধীরা সরকার গঠনের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এখনো ক্ষমতায় টিকে আছেন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও চলছে। ক্ষমতা হারানোর পর দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ জানায়, নেতানিয়াহুর বিরোধীরা ‘চলতি সপ্তাহে’ নতুন সরকার গঠন করতে পারে। তাই প্রশ্নটা তোলাই যায়, এমন সময় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার পথটা করে নিতেই কি গাজায় এই বিমান হামলা?

নিজের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধানকে পাশে রেখে দেওয়া ওই ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আরও বলেন, রকেট ছোড়ার জন্য হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে...আরও চড়া মূল্য দিতে হবে।
বিশ্ব প্রতিক্রিয়া
এই নির্বিচার হামলার পরও বিশ্বের প্রভাবশালী, পরাশক্তি কিংবা মোড়ল-মাতব্বর দেশগুলো যেন শুধু সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে দায় সেরেছে। কোনো কোনো দেশ ইসরায়েলে রকেট ছোড়ার নিন্দা জানালেও গাজায় বিমান হামলা চালানোর ব্যাপারে ‘টুঁ’ শব্দটি করেনি।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ), রাশিয়া এ ঘটনার নিন্দা পর্যন্ত জানায়নি। তারা ‘জেরুজালেমে সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগের’ কথা জানিয়েছে। জার্মানি সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। আর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব এক টুইটার বার্তায় ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়ে মারার নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, জেরুজালেম ও গাজায় সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানানো বন্ধ করতে হবে।

The UK condemns the firing of rockets at Jerusalem and locations within Israel. The ongoing violence in Jerusalem and Gaza must stop. We need an immediate de-escalation on all sides, and end to targeting of civilian populations

— Dominic Raab (@DominicRaab) May 10, 2021
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গ্যাবি আশেকেনাজির সঙ্গে আলোচনায় চলমান উত্তেজনা কমানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহিংসতা বন্ধ করে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ফোন করে বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তাই বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার ব্যাপারে অবিচল সমর্থন’ রয়েছে বাইডেনের। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতা বন্ধ করে টেকসই শান্তির পদক্ষেপকেও উৎসাহিত করে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের বিশ্লেষক ফিলিজ বেনিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যত দিন ইসরায়েলকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে না পারবে, তত দিন বাইডেন প্রশাসনের বিবৃতি দিয়ে উত্তেজনা-সহিংসতা কমানো সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলতে শুনেছি, তিনি এমন একটা পররাষ্ট্রনীতি চান, যেটা মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি করে হবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা সে বিষয় দেখছি না, ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে তো নয়ই।’

লকডাউনে ঈদযাত্রা পরিবহনের দুর্ভোগের সঙ্গে যানজট-বৃষ্টি-প্রথম আলো

মাথার ওপর ঝড়–বৃষ্টি। পথে পথে যানজট। আর ঘাটে ঘাটে মানুষের জটলা। লকডাউনের মধ্যে এত কষ্ট মাথায় নিয়েও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছে ঘরমুখী মানুষ। গত কয়েক দিনের মতো মঙ্গলবারও প্রধান প্রধান মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে দেখা গেছে এই চিত্র। যথারীতি উপেক্ষিত থেকে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। তাতে রয়ে গেছে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি।মঙ্গলবার সকাল থেকে ভিড় ছিল মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে।রাজধানীতে একটি ভবনে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন মিজানুর রহমান (২৭)। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সকাল ৮টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বেরিয়ে তিনি বেলা ১১টার দিকে পৌঁছান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে রায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে। সেখানে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো বাসে উঠতে পারেননি। ট্রাকে ওঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে আশ্রয় নেন সড়কের পাশের একটি পরিত্যক্ত টিকিট কাউন্টারে। মিজানুর বলেন, ‘বড়লোকেরা নিজেগো গাড়িতে কইরা বাড়ি যায়। আমরা রাস্তায় বেইজ্জত হই। সরকারের দরকার আছিল, আমাগো মতো গরিব লোকগো বাড়ি যাইতে দিয়া বড় লোকগো আটকাই দেয়া। শহরে আমাগো থাকার জায়গা নাই। বড় লোকগো আছে। আর মানবজমিনের শিরোনাম- স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই ঘরে ফিরছে মানুষ।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট-কঠিন বিপদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা-মানবজমিনে

ঈদে ঘরমুখো মানুষ লকডাউনের সামান্য শিথিলতার সুযোগ নিয়ে ব্যাপকহারে যাতায়াত করছেন। দলবেঁধে গাদাগাদি করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছেন। কোনো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না তারা। ফলে গ্রামগঞ্জে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন ছড়িয়ে পড়ার বেশ আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সামনে কঠিন বিপদ দেখছেন তারা। এইরকম ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে এই ভাইরাস দেহে নিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যদি গ্রামে চলাফেরা করেন, তাহলে গ্রামে থাকা পরিবার পরিজনসহ গ্রামবাসী গণহারে আক্রান্ত হতে পারেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি একে আত্মহত্যার শামিল বলেও মন্তব্য করেছেন। জাতীয় পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদে মানুষ শহর থেকে গ্রামে গিয়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ জন্য ১৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে সামনে আমাদের জন্য মহাবিপদ।

করোনাকালে ঈদ দরিদ্রদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ-মানবজমিন

করোনার প্রথম ঢেউয়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মন্থর ছিল। তবে ধীরে ধীরে সেটি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠছিল। রপ্তানি খাতসহ ছোট-বড় ব্যবসা-বাণিজ্য আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর আরো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হলো। এখন যেটা দেখছি সেটা আরো মারাত্মক বলে মনে হচ্ছে। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশের ধরনটি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য লকডাউন দিতে হয়েছে। এতে অর্থনীতি আবারো মন্থর হয়ে যাচ্ছে।

এখন যে সময়টা, এটা উৎসবের সময়। রোজা এবং ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হয়, প্রচুর বিক্রি হয়। সেজন্য এই সময়ে ব্যবসায়ীরা বড় বিনিয়োগ করে। কিন্তু বিক্রি না হলে তারা বিরাট ধাক্কা খাবে। যদিও দোকানপাট খুলেছে কিন্তু সেটা তো আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হবে না। আগের মতো বিক্রিও হবে না, প্রফিটও হবে না। ছোটখাটো দোকানগুলো তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো- দেশের নিম্ন মধ্যবিত্তদের ওপরে বড় একটা আঘাত লাগবে। অনেকের আয় কমে গেছে, অনেকের আয় একেবারেই নেই। সাম্প্রতিককালে সার্ভেগুলো দেখেন দুই আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে নিঃস্ব ও দরিদ্র মানুষের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ। এদেরকে পুনরুদ্ধার করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

দেশের বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, মহামারির কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে হলে, একদিকে কোভিড থেকে মুক্তি অন্যদিকে অর্থনীতি কীভাবে সচল রাখা যায় সেটা দেখতে হবে। তিনি বলেন, ছোট বড় ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখতে হবে।

করোনা মহামারিতেও নির্বাচন করতে চায় ইসি-ইত্তেফাক

করোনা মহামারি পরিস্থিতি যেমনই হোক এর মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করার পক্ষে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে আগামী ১৯ মে কমিশন সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেনসব নির্বাচন আমরা কন্টিনিউ করবো। করোনা পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেনো আইনানুযায়ী আমাদেরকে নির্বাচন করতেই হবে।করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে ১ মার্চ সব ধরণের নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন। এছাড়া এ সময় অনেক নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হলেও সিইসির বিশেষ ক্ষমতাবলে এসব নির্বাচন মেয়াদ ৯০ দিন বাড়ানো হয়। এই ৯০ দিনও পাড় হয়ে যাচ্ছে কিছু নির্বাচনের। তাই এসব নির্বাচন আয়োজন করার কথা ভাবছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থনীতির খবর-৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮ হাজার কোটি টাকা-মানবজমিন

করোনা মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। মে মাসের প্রথম ৯ দিনেই প্রবাসীরা ৯১ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত এপ্রিল মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। গত বছর এপ্রিলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। ২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে সরকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে।অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ : ফখরুল-কালের কণ্ঠ

খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিকাল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো ‘ক্রিটিক্যাল’। যদিও আল্লাহর রহমতে অনেক ইম্প্রুভ করেছেন। এখন তিনি রুম এয়ারে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন- অর্থাৎ রুমের মধ্যে তার অক্সিজেন লাগছে না। তার প্রেসার, টেম্পারেচার, অক্সিজেন যেটাকে স্যাচুরেশন বলে- এগুলো এখন আপাততভাবে আল্লাহর হুকুমে কিছুটা নরমালের দিকে চলে এসছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানান।

ফখরুল বলেন, তার মূল কতগুলো বিষয় আছে, যে বিষয়গুলো এখনো বিপৎজনক অবস্থার মধ্যে আছে। তার কিডনির সমস্যা আছে- দ্যাটস এ রিয়েল প্রভলেম, তার হার্টের সমস্যা আছে। যেটাতে ডাক্তাররা এখনো অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আছেন, তারা চেষ্টা করছেন, তারা দোয়া করছেন। আমরা দলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে এভারকেয়ার হাসপাতাল তারা সর্বাত্মক আন্তরিকতা নিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন। তারা কোনো কিছু বাকি রাখছেন না এমনকি তারা বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসছেন প্রতিনিয়ত, দেশের বাইরেও তারা যোগাযোগ রাখছেন বড় বড় চিকিৎসকের সঙ্গে, সেভাবে তারা এখানে চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাটা আপনারা জানেন, ইভেন দি প্রাইভেট হসপিটালস আর নট প্রোপারলি ইকোইপ্ট। একমাত্র এভারকেয়ার হাসপাতাল সবচেয়ে বেশি টেকনোলজিক্যাল দিক থেকে উন্নত। তারপরও এনাফ না। ওরা নিজেরাই মনে করে যে অনেক লিমিটেশনস আছে। সেই লিমিটেশনগুলো দেখে তখন ওনার পরিবার ওনাকে বাইরে নেওয়ার আবেদন করেছিল।উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার এই আবেদন করার পরপর এমনভাবে কথা বলল যে সবাই আশাবাদী, জনগণসহ যে দিয়ে দেবে। সবাই ওটাই আশা করে যে, একজন অসুস্থর সঙ্গে কেউ রাজনীতি করতে চায় না, দিয়ে দেবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হঠাৎ করে তাদের টোন বদলে গেল, তারা বলে দিল যে, আমরা দিতে পারছি না। কেন পারছেন না সে ব্যাপারে তারা যে যুক্তিগুলো দিলেন সেই যুক্তিগুলো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য যুক্তি, খোঁড়া যুক্তি বলে জানান তিনি।

নিরন্ন মানুষের হাহাকার তেমন কোনো উদ্যোগ নেই ত্রাণে-যুগান্তর

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। চারদিকে মৃত্যু আর মৃত্যুর হাতছানি। স্বজন হারানো শোকাহত মানুষের আর্তনাদে দিন দিন ভারী হচ্ছে বাতাস। হাসপাতালে জায়গা নেই। জায়গার অভাব কবরস্থানেও।

কখন শরীরে জেঁকে বসে মরণঘাতী করোনাভাইরাস-এমন অজানা আশঙ্কা এবং আতঙ্ক মানুষের মধ্যে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলছে। এরই মধ্যে অনেকেই হারিয়েছেন। কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ। চরম অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছেন ভাসমান জনগোষ্ঠী।

খাবার ও আর্থিক সহায়তার আশায় সড়কের মোড়ে মোড়ে ভিড় করছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে যাদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, তারা যেন হাত গুটিয়ে বসে আছেন। কোনো দল বা গোষ্ঠীর চোখে পড়ার মতো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। সামাজিক সংগঠন এমনকি বিত্তশালীরাও হাত গুটিয়ে বসে আছেন। সাধারণ মানুষের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেদের নিরাপদে রাখতেই ব্যস্ত তারা। অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়ালেও সরকারের বিরোধিতা কিংবা নানা পরামর্শ দেওয়ায় ব্যস্ত অনেকে। শুধু রাজনৈতিক দল ও বিত্তশালীরাই নয়, এনজিওগুলোকেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে অসহায়, খেটে খাওয়া, কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, নিরন্ন ও অভাবী মানুষের ভরসার জায়গা এবং শেষ আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তার সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী সবটুকু করে যাচ্ছে। তার দল আওয়ামী লীগও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, পাশের দেশ ভারতে করোনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানকার সরকার সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাশাপশি দেশটির ব্যবসায়ী ও সামর্থ্যবানরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। অথচ আমাদের চিত্র ঠিক এর বিপরীত।

আমাদের দেশেও একটি বড় ধনিক শ্রেণি আছে। গত ২০ থেকে ২৫ বছরে এই শ্রেণির অর্থ, বিত্ত-বৈভব বহুগুণ বেড়েছে। অথচ করোনার এই মহামারিতে অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে তাদের একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। তাদের নীরবতা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা-বাবুলের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল: মিতুর বাবা-প্রথম আলো

মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন

মাহমুদা খানম মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিও কর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তাঁর মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। মৃত্যুর আগে মিতু বিষয়টি তাঁদের জানিয়েছিলেন। পারিবারিকভাবে তাঁরা বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হননি। একপর্যায়ে বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করার পরে মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

স্ত্রীকে খুন করাতে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার-প্রথম আলো

মাহমুদা খানম মিতু-এসপি বাবুল

মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যায় বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন আসামিদের। আদালতে দেওয়া দুই সাক্ষীর জবানবন্দি ও পিবিআই এর তদন্তে এই তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া পিবিআই এর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও নতুন করা মামলায় লেনদেনের উল্লেখ আছে।

মিতু

 জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রী হত্যার তিন দিন পর বাবুল আক্তার তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন তাঁর লাভের অংশ থেকে তাঁকে যেন টাকা তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সাইফুল বিকাশের মাধ্যমে ওই টাকা গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মিতু হত্যার মামলার ভিডিও ফুটেজে বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলা, কামরুল শিকদার ওরফে মূছা ছিলেন। কিন্তু ঘটনার পরপর তিনি দাবি করেছিলেন, জঙ্গিরা জড়িত। তাঁর সোর্সকে তিনি চিনলেও বিষয়টি চেপে যান। ভুলেও তিনি সাইফুল হকের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মুসা ও ওয়াসিমসহ আসামিদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেননি। 

এ দিকে গত মঙ্গলবার বাবুলের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল ও মামুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দীনের আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। সেখানে দুজনই বাবুলের নির্দেশে স্ত্রী হত্যায় জড়িতদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

একই দৈনিকের অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, মিতু হত্যা: নতুন মামলায় প্রধান আসামি হবেন স্বামী বাবুল আক্তার

আজ বুধবার সকালের ঢাকায় পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুদার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পুরোনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজই আদালতে দেওয়া হবে। নতুন মামলার বাদী হতে পারেন মিতুর বাবা।

বনজ কুমার বলেন, খ্যাতিমান পুলিশ অফিসার ছিলেন বাবুল আক্তার। অনেক কাজ করেছেন। তাঁর স্ত্রীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এটি পরিগণিত। বাবুল আক্তার বাদী হয়েছিলেন। পুরোনো মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন।

বনজ কুমার বলেন, বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা আসেনি। মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, কত দিন ঝুলে থাকবে। সে উত্তর খুঁজতে গিয়ে মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়।

বনজ কুমার বলেন, মামলার বাদীকে ইচ্ছা করলেই গ্রেপ্তার করা যায় না। বাদীকে গ্রেপ্তার করতে হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। খুলশী থেকে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে আজই কোর্টে যাচ্ছে পুলিশ। এটি দাখিলের পর নতুন মামলা হবে। মোশাররফ হোসেন বাদী হতে পারেন। কথা বলা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তাঁকে পিবিআই চট্টগ্রাম নিয়ে গেছে। নতুন মামলায় এক নম্বর আসামি হবেন বাবুল আক্তার।

‘আনভীরই মুনিয়ার হত্যাকারী’-মানবকণ্ঠ

আনভীর-মুনিয়া

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরই আমার বোন মোসারাত জাহান মুনিয়াকে (২১) হত্যা করেছেন। তিনি যদি নির্দোষই হবেন, তাহলে তার পরিবারের কিছু সদস্য দেশ ছাড়ল কেনো’- নতুন করে এমন অভিযোগ সামনে নিয়ে এসেছেন ভিকটিমের বড় বোন ও গুলশান থানার মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া।

তিনি বলেছেন, গুলশানের ওই পুরো ফার্নিশড ফ্ল্যাটটির ডাইনিং রুম সংলগ্ন বারান্দায় কোনো গ্রিল নেই। এক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা এড়িয়ে পেছন থেকে ওই বারান্দা দিয়ে কিংবা পাশের ভবন অথবা ফ্ল্যাট থেকে যে কেউ এখানে ঢুকতে পারবে।

নুসরাত জানান, আমরা পুলিশকে এই বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা স্পষ্টতই সেটা গ্রাহ্য করেনি। উপর মহলের অনুমতি ছাড়া আসামি আনভীরকে গ্রেফতার করতে পারবে না। যেহেতু ৩০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে এমনটি জানিয়েছেন।

হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে নুসরাত বলেন, আইনের প্রয়োগ তো সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়ার কথা। অথচ আমার বোন মুনিয়া হত্যার প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদই করেনি পুলিশ। আইনের মুখোমুখি না হওয়া ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে আনভীর তথা বসুন্ধরা গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক অপকর্ম-অপরাধ করে যাচ্ছেন।

নিহতের বোন জানান, পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ায় গত বুধবার তিনি ও তার স্বামী ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি), একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা বলেন। বুধবারের সাক্ষাতে উপস্থিত এডিসি তদন্ত শেষে আনভীরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার বিষয়ে তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলেও জানান মামলার বাদী নুসরাত।

তিনি বলেন, আসামি আনভীরকে গ্রেফতারে উপরের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছেন এডিসি। অথচ এর আগে আমার বোনের আত্মহত্যার পেছনে যে আনভীরের প্ররোচনা আছে, সেই প্রমাণ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে পুলিশ আমাদের নিশ্চিত করেছিল।

বিষয়টি নিয়ে মুনিয়ার বড় বোন বলেন, আমার বোন আনভীরের সঙ্গে একটা সম্পর্কের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। আনভীর তাকে বিয়ে করে দেশের বাইরে স্থায়ী হওয়ার কথা দিয়েছিল। ২৬ এপ্রিল সকালে সে (কলেজ শিক্ষার্থী) আমাকে ফোন করে বলে যে, আনভীর তাকে বিয়ে করবে না এবং সে তাকে বকাঝকাও করেছে। আমার বোন এ কথাও জানায় যে, সে একটা সমস্যার মধ্যে আছে। যেকোনো মুহূর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরবর্তীতে মুনিয়ার এমন রহস্যজনক মৃত্যু হলো।

তিনি বলেন, আমার বোনের মরদেহ উদ্ধারের পর দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ এখনো আনভীরের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড সংগ্রহ করেনি- যা অত্যন্ত হতাশজনক বলে মনে করি।

নুসরাত আরো বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ ও আনভীর প্রভাব খাটিয়ে গণমাধ্যমের একটা অংশকে আমার বোনের চরিত্র হননের কাজে লাগাচ্ছে। এমনকি সম্ভবত আনভীরের দিক থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য শারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে বসুন্ধরা গ্রুপ আমার একমাত্র ভাইকে প্ররোচিত করেছে। আমার চরিত্রহনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই কুচক্রী মহল।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার তৃতীয় তলার একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আনভীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে আনভীর মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করত বসুন্ধরা এমডি। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকত। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। একটি ছবি ফেসবুকে দেয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

শুভেন্দুকে জবাব দেবে নন্দীগ্রাম! হুঙ্কার সুফিয়ানের, রুখতে তৈরি প্রলয়-আজকাল

শুভেন্দুকে হুশিঁয়ারী সুফিয়ানের

নন্দীগ্রামের মাটিতে পা দিলেই শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে দেখানো হবে বিক্ষোভ, দাবি নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের। রীতিমতো গর্জে উঠলেন একদা জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এই তৃণমূল নেতা। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষ আর চান না শুভেন্দু অধিকারীকে। উনি চক্রান্ত করে ভোটে হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। যা নন্দীগ্রামের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তাই এবার শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় ঢুকলেই শুরু হবে বিক্ষোভ। আর এখানকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন উনি। ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরি করতে চাইছেন নন্দীগ্রামের মানুষের মধ্যে। যা কেউ মানবে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করেছেন উনি। তার জবাব এবার দেওয়া হবে।’ তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের বক্তব্যের পাল্টা দিলেন বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। প্রলয় পাল বলেন, ‘নন্দীগ্রামের নির্বাচিত বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী যেদিন ইচ্ছা এলাকায় আসবেন। কেউ আটকাতে পারবে না। তৃণমূল যদি অন্যায়ভাবে বাধা সৃষ্টি করতে আসে সেক্ষেত্রে আমরা বিজেপির কর্মী–সমর্থকরাও রুখে দেওয়ার জন্য তৈরি আছি। এলাকার নির্বাচিত বিধায়ককে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া মানে সংবিধানকে অমান্য করতে চাইছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামে হেরে গিয়ে তৃণমূল বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।’

রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিধানসভাতেও এবার থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে সদ্য শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সবার নজর ছিল নন্দীগ্রামের উপর। নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই মেগা লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের সর্বত্র তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেও নন্দীগ্রামে হেরে যান মমতা ব্যানার্জি। যদিও মমতা ব্যানার্জি বারবার বলেছেন নন্দীগ্রামে তাঁকে চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের মসনদে বসেছেন মমতা ব্যানার্জি। আর বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারীকে জায়ান্ট কিলার আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

অনেক আসনেই দু’হাজারের কম ভোটে হার, পুনর্গণনা চেয়ে কোর্টে যাবে বিজেপি-সংবাদ প্রতিদিন

পুনর্গণনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল। মঙ্গলবার বিজেপি জানিয়ে দিল, পুনর্গণনার দাবি নিয়ে তারাও আদালতে যাচ্ছে। যেসব আসনে তারা দু’হাজারের কম ভোটে হেরেছে, সেইসব আসনে পুনর্গণনা চেয়ে তারা মামলা করবে কোর্টে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা চেয়ে কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তৃণমূল।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির এই সিদ্ধান্ত পালটা চাপের কৌশল। ভোটে বিপর্যয়ের পর এইভাবে নজর ঘুরিয়ে বিজেপি নেতারা একটা মুখরক্ষার চেষ্টা করছেন বলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) বারবার বলেছেন, বিজেপি হার মেনে নিতে পারছে না। যদিও বিজেপির কোর্টে যাওয়ার হুমকিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের প্রবীণ নেতা ও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, দুই হাজারের কম ভোটে হারলেই পুনর্গণনা চাওয়া যায় না। ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ থাকলে আদালতে যাওয়া যায়। কিন্তু আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে।

ইচ্ছাকৃত ভাবেই ছড়ানো হয়েছিল করোনা ভাইরাস! চিনা বিজ্ঞানীর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য-সংবাদ প্রতিদিন

ইচ্ছাকৃত ভাবেই পরিবেশে ছড়ানো হয়েছিল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। এব্যাপারে নাকি গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের হাতে। যদিও বেজিং স্বাভাবিক ভাবেই এমন অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছিল। কিন্তু চিনেরই (China) এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ (Virologist)ফের অভিযোগ করলেন, লালফৌজের গবেষণাগার থেকে জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবেই ওই মারণ ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।লি-মেং ইয়ান নামের ওই চিনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এমন দাবি ঘিরে কিছুদিন ধরেই তোলপাড় গোটা বিশ্ব। এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই একই দাবি করতে দেখা গেল তাঁকে। ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উহানের বাজার নয়, লালফৌজের গবেষণাগারেই বিশ্বত্রাস হয়ে ওঠা কোভিড-১৯ ভাইরাসের জন্ম, একথা লি-মেং ইয়ান কীসের ভিত্তিতে বলছেন। এর উত্তরে ওই চিনা বিজ্ঞানীর সাফ কথা, ‘‘গত জানুয়ারি থেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে আমি সকলকে জানাতে শুরু করেছিলাম যে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র গবেষণাগারেই জন্ম এই ভাইরাসের। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা ছড়ানো হয়েছিল। চিনের সরকার এটা ভাল করেই জানে।’’

তাঁর দাবি, প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করে ওই ভাইরাসকে তৈরি করেছিল চিন। এবং তা ছড়িয়ে দিয়েছিল বাতাসে। উদ্দেশ্য, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেওয়া। এবং সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ দেশগুলির চিকিৎসা কাঠামোকেই নড়বড়ে করে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল বেজিংয়ের।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
 

ট্যাগ