মে ১৫, ২০২১ ১৬:২৫ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক! ১৫ মে শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • গাজায় ইসরায়েলি হামলা ওপর থেকে পড়ছে বোমা, চারদিক থেকে আসছে গোলা -প্রথম আলো
  • ফিলিস্তিনিরাও এখন তেল আবিবকে দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছে: হামাস-যুগান্তর
  • করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে: ওবায়দুল কাদের -প্রথম আলো-ইত্তেফাক
  • ঈদের পরের দিনও ফেরিতে জনস্রোত-মানবকণ্ঠ
  • মিতু হত্যা 'বাবুল আক্তারের ভয়ে এতদিন মুখ খুলিনি' মুসার স্ত্রী পান্না-কালের কণ্ঠ
  • দেয়া হয় হোম ডেলিভারি অনলাইনে ছদ্মনামে বিক্রি হচ্ছে মাদক–মানবজমিন
  • নাশকতার মামলায় জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী গ্রেপ্তার-সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • গঙ্গার তীরে হাজার হাজার দেহ, ভিড় করছে চিল, শকুনের দল, ভয়ঙ্কর ছবি উত্তরপ্রদেশ জুড়ে-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মরে গেলে মানুষকে ২ লাখ টাকা নয়, হাসপাতাল তৈরি করুন’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা শ্রীলেখার-আজকাল
  • হিংসার আগ্নেয়গিরিতে বসে রাজ্য, নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তোপ ধনকড়ের-সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব।

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. করোনা মোকাবেলায় বিধিনিষেধ বাড়ানোর চিন্তা, সিদ্ধান্ত কাল। দৈনিক প্রথম আলোর এ শিরোনাম সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?

২. যেকোনো সংঘাতে ইসরাইলের একক আধিপত্যের যুগ শেষ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের হামাস। আসলে কী তাই?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

গাজায় ইসরায়েলি হামলা ওপর থেকে পড়ছে বোমা, চারদিক থেকে আসছে গোলা-প্রথম আলো

গাজায় বিমান হামলা

ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। কয়েক দিন ধরে চলা বিমান হামলার পাশাপাশি শুক্রবার ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়ি লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করেছে তারা।

শুক্রবার ভোররাতে ৪০ মিনিটের হামলায় ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক মা ও তাঁর তিন শিশু সন্তান রয়েছে। নিজেদের ঘরের ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছেইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, শুক্রবারের এই হামলায় বিমান ও পদাতিক বাহিনী অংশ নিয়েছে। তবে তাঁরা গাজা সীমান্তে প্রবেশ করেনি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনাথন কনরিকাস বলেছেন, ১৬০টি জঙ্গি বিমান এই অভিযানে অংশ নেয়। এর পাশাপাশি গাজার বাইরে অবস্থান নিয়ে ট্যাংক ও কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়। অপর দিকে শুক্রবার পঞ্চম দিনের মতো গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্য এখন যে সংঘাত চলছে, তা ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে বড় আকারের। গত সোমবার রাত থেকে চলা পাল্টাপাল্টি এই হামলায় গাজায় ১১৯ জন এবং ইসরায়েলে আটজন নিহত হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা আমাদের রাজধানীতে হামলা করেছে। তাঁরা আমাদের শহরগুলোতে রকেট নিক্ষেপ করেছে। এর মাশুল তাঁরা দিচ্ছে এবং দিতে থাকবে। এটা এখনো শেষ হয়নি।’অপর দিকে হামাসের এক সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্থল অভিযানের দিকে গেলে তাদের ‘চরম শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তাঁরা।

ফিলিস্তিনিরাও এখন তেল আবিবকে দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছে: হামাস-যুগান্তর

ইহুদিবাদী ইসরাইলের একক আধিপত্যের যুগ শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাসের মুখপাত্র ফৌজি বারহুম বলেন, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা বা ফিলিস্তিনের অন্য যে কোনো স্থানে সংঘাতের ঘটনায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের একক আধিপত্যের যুগ শেষ হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিরাও এখন তেল আবিবকে দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছে। হামাসের এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, এবারের সংঘাত শুরু হয়েছে পশ্চিম তীরের বায়তুল মুকাদ্দাসের অধিবাসী ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গাজা থেকে ইসরাইল-বিরোধী হামলার মাধ্যমে। কাজেই ইহুদিবাদী অপশক্তিকে ধ্বংস করার আন্দোলনে সমগ্র ফিলিস্তিনবাসীর একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত।

দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের জনগণের সাহসী প্রতিরোধের ভূয়সী প্রশংসা করেন হামাস মুখপাত্র। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে যে ঐক্য ও সংহতির বন্ধন গড়ে উঠেছে এ ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত তাণ্ডবের মধ্যে তেল আবিবে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত হাদি আমর।

বিবিসি জানিয়েছে, সঙ্কট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্বের কূটনীতিকদের আহ্বানের মধ্যেই শনিবার তেল আবিবে পৌঁছান তিনি। 

দুই পক্ষকে অস্ত্র বিরতিতে রাজি করাতে ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও জাতিসংঘের দূতের সঙ্গে আলোচনা করবেন হাদি আমর। রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে তার এই সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

আর মানবজমিনের খবর০ ইসরাইলের হামলায় নিহত বেড়ে ১২২, পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।

দেয়া হয় হোম ডেলিভারি-অনলাইনে ছদ্মনামে বিক্রি হচ্ছে মাদক-মানবজমিন

মাদক ডেলিভারি হচ্ছে অনলাইনে

করোনাকাল। কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বেড়েছে। চলছে লকডাউন। অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। থেমে গেছে বর্ণিল নানা উৎসব। কিন্তু থামেনি মাদকের নেশা। করোনার এই সময়েই অবাধে বিক্রি হচ্ছে মাদক। মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় ঢুকছে ইয়াবা।

ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে আসছে ফেন্সিডিল ও গাঁজা। তা খুচরা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কৌশলে। এক্ষেত্রে একটি শ্রেণি ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাইভেট গ্রুপ খুলে বিক্রি করা হচ্ছে মাদক। দেয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারিও। এসব গ্রুপের সদস্য এডমিনের পরিচিত মাদকসেবী বা ক্রেতা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এরকম অনেকগুলো গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে তা পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো গ্রুপ পরিচালনা করা হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে। মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতেই এ রকম নানা কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। ইয়াবাসহ প্রতিটি মাদকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে সাংকেতিক নাম। কোনো কোনো গ্রুপে সাংকেতিক নামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কোড নম্বর।

উত্তরা, গুলশান, নিকেতন, বনানী, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, খিলগাঁও, সবুজবাগ, মিরপুর, রূপনগর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় এ রকম বিভিন্ন গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনলাইনে এসব গ্রুপ পরিচালনা করে তরুণ মাদক ব্যবসায়ীরা। এমনকি মাদক ব্যবসায় জড়িত তরুণীরাও সেসব গ্রুপের এডমিন। বেশিরভাগ গ্রুপের এডমিনরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। উঠতি বয়েসের মাদকসেবারী এসব গ্রুপের সদস্য।

আমরা শান্তি চাই, রঙিন দুনিয়া, ওম শান্তি, জাস্ট এনজয়, এসো মজা করি.. এ রকম নানা নামে পরিচালিত হচ্ছে এসব গ্রুপ। এমন একটি গ্রুপের সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইয়াবাকে তারা কমলা বলে সম্বোধন করেন। ছোটগুলো চায়না কমলা, বড়গুলো ইন্ডিয়ান। এছাড়া কোনো গ্রুপে আপেল বলে থাকে ইয়াবাকে। শাক-সবজি বলা হয় গাঁজাকে। ফেন্সিডিলকে জুস, সিরাপ ইত্যাদি। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক একটি গ্রুপ পরিচালাতি হয় মালয়েশিয়া থেকে। ওই গ্রুপের সদস্যদের হোম সার্ভিসও দেয়া হয়। মাদক পৌঁছে দেয়া হয় ঢাকার বিভিন্ন বাসায়-বাসায়। এই দায়িত্বে রয়েছে ২০-২৫ জন তরুণ-তরুণী। উত্তরা আজমপুর এলাকার আরো একটি চক্র একইভাবে হোম সার্ভিস দিচ্ছে। এই চক্রটি বিশেষ অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের ক্রেতাদের সঙ্গে।

ক্রেতা সেজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে বলে গতকাল হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় শুভ্রা নামে এক তরুণীর সঙ্গে। প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। জানান, এটা জাস্ট ফান গ্রুপ। মাদক বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। এ সময় তাদের একজন ক্রেতার রেফারেন্স দিলে তিনি জানান, ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার পর নিশ্চিত হয়ে এ বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।

আরো একটি চক্র তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, জুরাইন, কদমতলী এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। এক শ্রেণির গাড়িচালক, রিকশাচালক ও শ্রমিকরা তাদের ক্রেতা। এই চক্রটি মূলত গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি করে থাকে। তেজগাঁও থানার রেললাইন সংলগ্ন কাওরান বাজার এলাকায় দিনভর হকারদের মতো ডেকে ডেকে বিক্রি করা হয় গাঁজা ও ইয়াবা। সন্ধ্যার পর মাদকের হাট বসে ওই এলাকায়। একই অবস্থা জুরাইন রেললাইন এলাকায়। এসব এলাকায় নারী ও শিশু-কিশোররা বিক্রি করছে মাদক।

চট্টগ্রাম হয়ে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকায় আসছে ইয়াবা। তারপর মাদকের ডিলারদের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকাসহ সারা দেশে। গত ৭ই মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিউ মার্কেট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে মাদকের একটি চালান জব্দ করে র‌্যাব। এ সময় রাজশাহীর সবুজ মিয়া (৪০), চাঁপাই নবাবগঞ্জের কামরুজ্জামান (৩৭) ও আজিমুল (৩৭)কে আটক করা হয়। তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার থেকে ২৮৫ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে মূলত তারা মাদক পাচার করে থাকে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক বহন করে রাজধানীর বিভিন্ন মাদক কারবারিদের নিকট পৌঁছে দেয়। একইভাবে প্রায় প্রতিদিনই মাদক জব্দ করছে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, মাদক নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই মাদক জব্দ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মাদক কারবারিরা নানা কৌশল অবলম্বন করছে, পুলিশও তথ্য প্রযুক্তিসহ নানা কৌশলে তা প্রতিহত করছে বলে জানান তিনি।

করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ঈদের পর কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোতের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। 

আজ শনিবার সকালে সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাকি এক যুগ ধরে ঈদ নেই, তাদের হত্যা করা হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আপনারা কি ভুলে গেছেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিলেন?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে মা–বাবা মারা গেলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি। দাফন-কাফনের শেষ সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি। ঈদের নামাজ আদায়ের সময়ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আমলের নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর কোনো নজির স্থাপন করেনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

এ সংবাদ সম্মেলন থেকে ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ১৬ ও ১৭ মে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটি তথ্য ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনী করবে। ১৬ মে বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। 

১৭ মে বেলা ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা হবে। ১৭ মে বেলা তিনটায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। এ ছাড়া সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। করোনা সংক্রমণ এ বছরে আরো 

ভয়াবহ হবে- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-মানবজমিন

করোনা ভয়াবহ হতে পারে-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনা ভাইরাস নিয়ে আরো ভয়াবহ সতর্কবাণী দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি বলেছেন, প্রথম বছরের চেয়ে দ্বিতীয় বছরে অর্থাৎ এ বছরে এই ভাইরাসের মহামারি আরো ভয়াবহ হবে। শুক্রবার তিনি এ কথা বলেছেন বলে খবর দিয়েছে অনলাইন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। তিনি বলেন, আমরা এই মহামারির দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছি। এ বছরটি আগের বছরের তুলনায় অধিক ভয়াবহ হবে। জানুয়ারিতে আমি অধিক বিপর্যয়ের কথা জোর দিয়ে বলেছিলাম। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্য হলো এ ঘটনা আমরা এখন প্রত্যক্ষ করছি। ধনী অল্প কিছু দেশ করোনা ভাইরাসের টিকার সবচেয়ে বড় অংশ কিনে নিয়েছে।

এখন তারা টিকা দিচ্ছে যে গ্রুপের মানুষের ঝুঁকি কম, তাদেরকে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দেশকে অনুরোধ করেন বাচ্চাদের টিকা দেয়া বন্ধ করে তা গরিব দেশগুলোকে দান করতে। টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, আমি জানি কেন কিছু দেশ তাদের ছেলেমেয়েদের এবং কিশোরদের টিকা দিচ্ছে। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে এসব দেশের উচিত এসব টিকা কোভ্যাক্স  কার্যক্রমে দান করার জন্য বিবেচনা করা। কারণ, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়। ফলে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদেরকেই টিকা দেয়া যাচ্ছে না। হাসপাতাল ভরে যাচ্ছে রোগীতে। তাদের জরুরিভিত্তিতে জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী প্রয়োজন।

মিতু হত্যা 'বাবুল আক্তারের ভয়ে এতদিন মুখ খুলিনি'-কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এরই মধ্য মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে আটক করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বাদী থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাবুলকে।

মিতুর পরিবার, আসামিদের জবানবন্দি ও তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনা ও ইচ্ছাতেই মিতু খুন হয়েছেন। তিনি মিতুকে খুন করাতে তিন লাখ টাকা ঢালেন। বিশ্বস্ত লোকজনকে দিয়ে পরিকল্পনামাফিক মিতুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেন বাবুল। কারণ মিতু তার পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

মিতু হত্যাকাণ্ড: মুখ খুলছে না বাবুল

মিতু হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি এবং সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনেক অজানা কথা তুলে ধরেন পান্না।

পান্না দাবি করেন, মিতুর হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল তার স্বামীর মোবাইলে ফোন করেন। তাকে শেল্টার দেওয়ার আশ্বাস দেন। বাবুল আক্তারের নির্দেশেই তার স্বামী এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছিলেন।

মিতু হত্যার প্রায় পাঁচ বছর পর কেন এনিয়ে কথা বলছেন, আগে বলেননি কেন? এমন প্রশ্নে পান্না বলেন, 'সন্তান, পরিবার ও আমার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগে কথা বলিনি। আমি বাবুল আক্তারকে ভয় করতাম। বাবুল আক্তারের পরিচিত কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার পর থেকে আমাকে হুমকি দিতেন, আমি তাদের ভয় পেতাম। আমি জানতাম, মুসা এ ঘটনায় জড়িত; সেজন্য ভয় পেতাম। সব মিলিয়ে আমি আগে মুখ খুলিনি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? আজ পাঁচ বছর আমার স্বামী নিখোঁজ। তার সন্ধান চাই আমি। মামলার জন্য হলেও তো মুসাকে দরকার। কারণ সে সবকিছু জানে'।

দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে,   রিমান্ডে মুখ খুলছেন না বাবুল আক্তার। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে 'আটক' করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে রিমান্ডে বাবুল আক্তার মুখ খুলছেন না বলে জানা গেছে।

বুধবার (১২ মে) দুপুরে তাকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সরোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের প্রতিবেদন ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না গেলেও শুক্রবার (১৪ মে) দ্বিতীয় দিন জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তেমন কোনো তথ্য দেননি বলে পিবিআই সূত্রে জানা গেছে। শনিবার (১৫ মে) তাকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে।

এদিকে মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের ছেলের সঙ্গেও কথা বলবে পিবিআই। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ে সাত বছরের ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন মিতু। এসময় ছেলেকে ধরে রেখেছিল বাবুল আক্তারের সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, যাকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে।

ওই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ছেলে মাহিরের বক্তব্য নেওয়া হবে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি বলেন, 'বাবুল আক্তার এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। রিমান্ড শেষে পিবিআই তার ছেলের সঙ্গে কথা বলবে'।

বাবুল-মিতু দম্পতির ছেলের বয়স বর্তমানে ১২ বছর, মেয়ের বয়স ৮ বছর। গত তিন বছর ধরে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

করোনা কালে পেটে টান? অভাবের তাড়নায় শিশুকন্যাদের নিয়ে আত্মঘাতী দম্পতি-সংবাদ প্রতিদিন

করোনাকালে ক্ষুধার জ্বালায় আত্মহত্যা

করোনার (coronavirus) দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে কার্যত লকডাউন রাজ্যে। রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ। দিন কাটছে আর্থিক অনটনে। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী ও সন্তানদের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী বাড়ির কর্তা। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) হেমতাবাদের ভরতপুরে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হল। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

শনিবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চৌনগর পঞ্চায়েতের ভরতপুর এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ‌এদিন সকাল সাতটা নাগাদ পরিবারের চার জনকে উদ্ধার করে হেমতাবাদের পুলিশ। ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসন্তান-সহ বাবা, মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আগুনে ঝলসে (Burning) যাওয়া দশ বছরের শিশুকন্যার তখনও প্রাণটুকু ছিল। কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভরতির কিছুক্ষণের মধ্যে ওই কন্যাসন্তানেরও মৃত্যু হয়েছে। নিশ্চিহ্ন গোটা পরিবার।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছে বছর বত্রিশের রামচন্দ্র ভৌমিক, তাঁর স্ত্রী শংকরী ভৌমিক, বছর পাঁচেকের কন্যা সরস্বতী ভৌমিক এবং তিন বছরের ঝর্না ভৌমিক। আর দশ বছরের রানি ভৌমিকের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে মৃত্যু হয়। নারকেলের ঝাড়ু তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চলত। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “একই পরিবারের তিন শিশুসন্তান-সহ বাবা, মায়ের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। মৃতের পরিবারের কোনও সদস্যই আর জীবিত নেই।”

হিংসার আগ্নেয়গিরিতে বসে রাজ্য, নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তোপ ধনকড়ের-সংবাদ প্রতিদিন

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়

তিনি বলছেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে চান। তৃণমূল বলছে, তাঁর এই সফর রাজনৈতিক। দিল্লির শাহেনশাদের ইশারায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছেন রাজ্যপাল। উদ্দেশ্য বা কারণ যাই হোক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের জেলা সফর নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গতকালের কোচবিহার সফরের পর আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে নন্দীগ্রামে গিয়েও রাজ্য সরকারকে তীব্র সুরে বিঁধলেন জগদীপ ধনকড়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি চলছে। হিংসার আগ্নেয়গিরিতে বসে আছি আমরা।

রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে জেলা সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দিনভর অশান্ত কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। শুক্রবার আবার তিনি গিয়েছিলেন অসমে। অসমের ধুবুড়ি জেলার আগমনিতে রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘শরণার্থী’ শিবিরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল৷ তারপরই আজ তাঁর গন্তব্য ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম আসন। এদিন সকালেই বিএসএফের (BSF) কপ্টারে নন্দীগ্রামে পৌঁছন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান নন্দীগ্রামের নব নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর শুভেন্দুর সঙ্গেই গাড়িতে চেপে ‘হিংসা কবলিত’ এলাকা পরিদর্শনে রওনা দেন তিনি। নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যান রাজ্যপাল। এলাকা পরিদর্শনের পর জানকীনাথ মন্দিরেও যান তিনি। ধনকড়ের টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাঁকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। নিজেদের অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালকে ঘিরে ধরেছেন তাঁরা।

এরপর নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই ধনকড় অভিযোগ করেন, ভোট মিটে গেলেও নন্দীগ্রামে হিংসা অব্যাহত। চলছে খুন, ধর্ষণ, লুট। রাজ্যবাসী হিংসার আগ্নেয়গিরির উপর বসে আছে। এক দিকে কোভিড, অন্য দিকে নজিরবিহীন ভাবে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। ভোটের পরও এমন নজিরবিহীন হিংসার কথা কোনওদিন শোনেননি ধনকড়। তাঁর কথায়,”এই তাণ্ডব, এই উলঙ্গ নৃত্য, ইতিহাস ক্ষমা করবে না।

মরে গেলে মানুষকে ২ লাখ টাকা নয়, হাসপাতাল তৈরি করুন’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা শ্রীলেখার

করোনা সংক্রমণের জেরে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। বাংলাতেও চিত্রটা প্রায় এক। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অথচ চিকিৎসা পরিষেবা সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালগুলিতে রয়েছে বেডের অভাব। অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গায়। এহেন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে করোনা রোগীদের বেড না পাওয়া নিয়ে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, ‘মানুষ মরে গেলে ২ লাখ টাকা করে না দিয়ে হাসপাতাল তৈরি করে দিন।

গঙ্গার তীরে হাজার হাজার দেহ, ভিড় করছে চিল, শকুনের দল, ভয়ঙ্কর ছবি উত্তরপ্রদেশ জুড়ে

গঙ্গার তীরে হাজার হাজার দেহ

গত কয়েক দিনে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে নদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। এমন ভিডিয়ো সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কোভিডে মৃতদের দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ২৭ জেলায় গঙ্গার তীরে কবর দেওয়া হয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। গঙ্গার ১১৪০ কিলোমিটার যাত্রাপথে নদীর তীরে ২ হাজারের বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে খবর, উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর, মেরঠ, মুজফ্ফরনগর, বুলন্দশহর, হাপুর, আলিগড়, বদায়ুঁ, শাহজাহানপুর, কনৌজ, কানপুর, উন্নাও, রায়বরেলী, ফতেপুর, প্রয়াগরাজ, প্রতাপগর, মির্জাপুর, বারাণসী, গাজিপুর, বালিয়া প্রভৃতি জেলায় এই ছবি দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে কানপুর, কনৌজ, উন্নাও, গাজিপুর ও বালিয়ার অবস্থা সবথেকে খারাপ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।


 

ট্যাগ