জুন ১২, ২০২১ ১৭:০৩ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক!১২ জুন শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আবারও বাড়ল-প্রথম আলো
  • করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক ধাক্কা, বাড়ছে শিশু শ্রমিক-ইত্তেফাক
  • দেশে ফিরেও মুক্তি নেই প্রবাসী নারীদের-কালের কণ্ঠ
  • বিক্ষোভ-উত্তপ্ত কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের অ্যাকশন, গুলিবিদ্ধ ৬ আ.লীগ কর্মী-যুগান্তর
  • মুসলিমবিদ্বেষী হামলায় এতিম বাচ্চাকে নানা ধর্মের মানুষের কোটি কোটি টাকা অর্থসাহায্য–মানবজমিন
  • করোনার চেয়ে নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ: সিইসি -সমকাল
  • করতে নিষেধ করায় কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে মাদকসেবী নিহত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • জম্মু-কাশ্মীরে দুই ভারতীয় পুলিশসহ নিহত ৪-আনন্দবাজার
  • ধান্দাবাজি ও ক্ষমতা ভোগ করতে দলবদল, মুকুলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে কটাক্ষ দিলীপের-আজকাল
  • বেসুরো দুই জোটসঙ্গী! বিহারে ‘নড়বড়ে’ নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন NDA সরকার -সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী তাদের অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে কর্মচারীদের হাতে মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কী বলবেন আপনি এ সম্পর্কে?

২. গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের সুরক্ষা তত্ত্বে মারাত্মক আঘাত হানার দাবি করেছে হামাস। আপনার দৃষ্টিতে বাস্তবতা কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

নিষিদ্ধ রং ফর্সাকারী ক্রিমে বাজার সয়লাব-মানবজমিন

পাকিস্তান উৎপাদিত বাংলাদেশে চালু থাকা আটটি রং ফর্সাকারী ক্রিমের মধ্যে পারদ (মার্কারি) এবং পারদ ও হাইড্রোকুইনোনসহ অন্যান্য উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর 

উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত বছর সেগুলো নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এই আটটি নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক ক্রিম বিক্রির অনুমোদন না থাকলেও কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে অবৈধভাবে আমদানি করে বিক্রি করছে এসব রং ফর্সাকারী দ্রব্য। রাজধানীর ফার্মগেট, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিংমল, চকবাজারসহ অন্যান্য এলাকায় বেশ কয়েকটি শপিংমলে গিয়ে দেখা যায় নিষিদ্ধ এই ক্রিমগুলো গোপনে অথবা দোকানে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। বিভিন্ন নামে বৈধ-অবৈধ এসব রং ফর্সাকারী ক্রিমে বাজার সয়লাব।

বিএসটিআই জানিয়েছে, গত বছর বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সাকারী ১৩টি ক্রিম বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। বিএসটিআইয়ের নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ছয়টি পণ্যের মধ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) আর দুটি পণ্যের মধ্যে পারদ (মার্কারি) ও হাইড্রোকুইনোন পাওয়া গেছে। এসব পণ্য আমদানি, খোলাবাজার কিংবা অনলাইনে বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (অতিরিক্ত পরিচালক) চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল করিম মানিক মানবজমিনকে বলেন, এসব রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকে চুলকানি, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, ফুসকুড়ি এমনকি ত্বক স্থায়ীভাবে লাল হয়ে পুড়ে যেতে পারে? রং ফর্সাকারী ক্রিমগুলো অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে পার্লারগুলোতে বেশি করছে। কিন্তু কি ব্যবহার করছি এটা আমরা অনেকে বুঝতে পারি না। যদি কোন ক্ষতিকারক দ্রব্য বেশি থাকে তাহলে ত্বকের চামড়াটা পাতলা হয়ে যায়, মুখে পশম গজানোসহ অনেক ধরনের জটিলতা হতে পারে। এসব ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে ত্বক আরও বেশি কালচে হয়ে যায়। সূর্যের আলো পড়লে এই ক্রিম ব্যবহারকারী ত্বকে আরও বেশি ক্ষতি হয়। মার্কারি ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। হাইড্রোকুইনোন সাময়িকের জন্য ত্বকের রং ফর্সা করে কিন্তু কিছুদিন না যেতে স্কিনের রং কালচে হয়ে পুড়ে যায়। এটি ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকারক প্রভাব সৃষ্টি করে। নিজেদের সচেতন হতে হবে। এই ক্রিমগুলো ব্যবহার ছেড়ে দিলে আবার বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মুখে সাময়িকের জন্য এ ধরনের কোনো ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত নয়।

চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ এ ধরনের ক্রিম। রং ফর্সাকারী এসব ক্রিম ব্যবহারে চর্ম রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই ক্রিমের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এগুলো ব্যবহারে অনেকের শরীরে এলার্জি হয়, লাল দানা ওঠে, চুলকায় এবং ফুলে যায়। অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে ক্ষত তৈরি করে। এমনকি যারা এসব ক্রিম তৈরি করেন তাদের উপাদানের পরিমাপ ও কোনটা কোন ত্বকে লাগালে উপকার হবে সে বিষেয়ে কোনো ধারণা থাকে না। রং ফর্সা করার পরিবর্তে এসব ক্রিম ব্যবহারের পর মুখে আরও বেশি দাগ দেখা যায়।

নিউমার্কেটের গাউছিয়া কসমেটিকসের বিক্রেতা বশির জানান, বাজারে কেউ অভিযানে আসে না। আমরা ওপেন বিক্রি করছি। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় আমরা বিক্রি করছি।

আজ বিশ্বশ্রম প্রতিরোধ দিবস: শ্রমে জর্জরিত শিশু মুখ-মানবজিমন/ইত্তেফাক

অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা আর দারিদ্র্যের কারণে ক্রমেই বাড়ছে শিশুশ্রমিক। করোনা মহামারিতে আরো প্রকট হচ্ছে শিশুশ্রম সমস্যা। জীবনের শুরুতেই এসব কোমলমোতি শিশুরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত করোনার কারণে অভিভাবকের কাজ এবং আয়ের ওপর প্রভাব পড়ায় নতুন করে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। এমন বাস্তবতার মধ্যে আজ ১২ জুন, সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’-২০২১।

২০০২ সাল থেকে বিশ্বে শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। তবে গত বছরের মতো এবছরও করোনা মহামারির কারণে দিবসটি পালিত হবে ভার্চুয়ালি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক ও শ্রম বাজারে ধাক্কা, মানুষের জীবিকার ওপর বিরাট প্রভাব ফেলছে। দুর্ভাগ্যবশত এই সংকট শিশুদের শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দারিদ্রের কারণে শিশুদের নামতে হচ্ছে কাজে। করোনা মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো তাদের সন্তাদের কাজে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ অনেক অভিভাবকেরই মোবাইল ডাটা কিনে সন্তানকে অনলাইনে ক্লাস করানোর সক্ষমতা নেই। করোনাকালের একাধিক গবেষণা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব তথ্য।

শ্যামলী রিং রোডের একটি গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে ১০/১২ বছরের সুজন মিয়া। ৫ মাস ধরে সে ঐ গ্যারেজে কাজ করছে। সুজন বলে, ‘আমি মাদ্রাসায় পড়তাম, আব্বায় কাজ শিখানোর লাইগ্যা এইহ্যানে দিয়া গেছে’। গ্যারেজের অন্য এক কর্মচারী বলেন, ‘সুজনের বয়স হয় নাই। এরে দোকানে রাখাই লস, কিন্তু দেশগ্র্যামে অভাব বাড়ছে, মালিক হ্যারে রাখছে কেবল মানবিকতার খাতিরে’। একটু পাশেই চায়ের দোকানে কাজ করে ১০ বছরের মাসুম। সে বলে, ‘আমি কাস্টমাররে চা-পানি দেই, ওস্তাদে চা বানায়। আর কোনো কাম নাই। কাজ শিক্ষা, একটা চায়ের দোকান দিমু।’ মাসুমও গ্রামের স্কুলে পড়ত বলে সে জানায়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফের নতুন এক প্রতিবেদনে, বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটিতে পৌঁছেছে। যা গত চার বছরে বেড়েছে ৮৪ লাখ। কোভিড-১৯-এর প্রভাবের কারণে আরো কয়েক লাখ শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে। মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত ৯০ লাখ শিশু ঝুঁকির মুখে বলে সতর্ক করেছে আইএলও ও ইউনিসেফ।

১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসকে সামনে রেখে প্রকাশিত ‘চাইল্ড লেবার :গ্লোবাল এস্টিমেটস ২০২০, ট্রেন্ডস অ্যান্ড দ্য রোড ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শিশুশ্রম বন্ধে অগ্রগতি গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো থমকে গেছে, যা আগের নিম্নমুখী প্রবণতাকে উলটে দিচ্ছে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা কমে ৯ কোটি ৪০ লাখে নেমে এসেছিল। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে বলা হয়, মহামারির মধ্যে গত মার্চ ২০২০ থেকে স্কুল বন্ধ থাকা এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি অনেক শিশুকে শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা নিয়ে ইউনিসেফ উদ্বিগ্ন।

আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, ‘নতুন এই হিসাব একটি সতর্কসংকেত। যখন নতুন একটি প্রজন্মের শিশুদের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তখন আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। এই অবস্থাকে বদলে দিতে এবং দারিদ্র্য ও শিশুশ্রমের চক্র ভেঙে দিতে নতুন প্রতিশ্রুতি ও শক্তির সম্মিলন ঘটানোর এখনই সময়।’

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ শহিদ মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। যে কারণে একবার যে শিশুটি স্কুল ছেড়ে পূর্ণকালীন কাজে যোগ দিচ্ছে, সেই শিশুটি আর স্কুলে ফিরবে না। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণেও শিশুশ্রম বাড়ছে।

ছড়াচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ৪২ জেলায় টিকাদান বন্ধ-ভ্যাকসিনে অচলাবস্থা কাটবে কবে?-মানবজমিন

প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। একদিনে মোট শনাক্তের প্রায় ২৮ শতাংশই রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগে ২৪ শতাংশ রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে মৃত্যু ও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে সীমান্তবর্তীসহ অর্ধেকের বেশি জেলা শহরে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সমপ্রতি আইইডিসিআর’র এক তথ্যে বলা হচ্ছে, সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ভারতীয় বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণও বিদ্যমান রয়েছে দেশে। করোনাভাইরাসের মহামারিতে এখন দেশে একদিকে টিকার সংকট আর অন্যদিকে ডেল্টা বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

এদিকে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির এ বাস্তবতায় প্রায় দেড় মাস ধরে গণটিকা কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। সাড়ে ১৪ লাখ মানুষের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২য় ডোজ নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।

রাজধানীতে ৪৭টি কেন্দ্রের ২৮টি এবং ৪২টি জেলায় বন্ধ রয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। সরকারিভাবে জানা যাচ্ছে চীন, রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা কেনা এবং কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় গণটিকা কার্যক্রম আবার কবে শুরু করা যাবে এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।

দেশে ফিরেও মুক্তি নেই প্রবাসী নারীদের-কালের কণ্ঠ

বিদেশ ফেরত নারীদের দুঃখ

‘এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গত জুলাইয়ে জর্দান পাড়ি জমান ৩৪ বছর বয়সী আকলিমা খাতুন (আসল নাম নয়)। কিন্তু চার মাসের মাথায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। বিমানবন্দরে নামার পর তাঁর নিয়ন্ত্রণহীন চলাফেরা দেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের কাছে হস্তান্তর করেন।

‘আরেকটু ভালোভাবে বাঁচতে’ সব ছেড়ে ভিনদেশে গিয়ে সব হারিয়ে যাঁরা ফেরেন, তাঁদের তালিকাটা অনেক দীর্ঘ। এসব নারী দেশে ফিরেও নির্যাতন থেকে রেহাই পান না। অনেকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে কিংবা সন্তান নিয়ে দেশে ফেরায় পরিবার ও সমাজ তাঁদের মেনে নিতে চায় না। এই আশঙ্কায় অনেক নারী দেশে ফিরে সন্তানকে কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে বাড়ি ফেরেন।

বেসরকারি সংস্থা ‘ব্র্যাক’ ও ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ’ (বিলস)-এর তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরে পাঁচ শতাধিক নারী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক মরদেহ এসেছে সৌদি আরব থেকে।

ব্র্যাকের তথ্য মতে, ১৯৯১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ লাখ নারী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারানো ও পঙ্গু হওয়া নারীর সংখ্যা হাজারের বেশি। করোনা মহামারির কারণে সীমিত বিমান চলাচল করলেও ৭৭ জন নারী কর্মীর মরদেহ দেশে ফিরেছে। আগের বছর এসেছে ১৩৯ জনের মরদেহ।

৪৮৭ জন নারীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করেছে ব্র্যাক। তাতে দেখা গেছে, আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। স্ট্রোকে মারা গেছেন ১৬৭ জন। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ৭১ জন এবং খুন হয়েছেন দুজন। অন্যান্য কারণে মারা গেছেন ৪৬ জন। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের।

৪৮৭ মরদেহের মধ্যে সৌদি আরব থেকে ১৯৮, জর্দান থেকে ৮৮, লেবানন থেকে ৭১, ওমান থেকে ৫৩, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩৯ জনের মরদেহ এসেছে।

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে পাঁচজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে দেশে ফিরেছেন। আর ওমান থেকে সন্তান নিয়ে ফিরেছেন দুইজন নারী শ্রমিক। তাঁদের প্রায় সবাই দেশে ফিরে পরিবার ও সমাজে হেয়প্রতিপন্ন হন।

চার মাসের এক মেয়ে সন্তান নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওমান থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হন কমলা (আসল নাম নয়)। তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানান, তাঁর সন্তানের বাবা ওমানের নাগরিক। যৌন নির্যাতনের এক পর্যায়ে অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে ওমান পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ‘ওমান ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে’ তিনি সন্তান প্রসব করেন। সেখান থেকেই তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কমলা বর্তমানে মানসিকভাবে অসুস্থ। ২০১৮ সালে ‘এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’-এর মাধ্যমে ওমান গিয়েছিলেন তিনি। কমলার বাড়ি লক্ষ্মীপুর।

গত সপ্তাহে ছয় মাসের এক সন্তান নিয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন ৩২ বছরের এক নারী। সন্তানের বাবা সৌদি আরবের এক নাগরিক। দেশে ফেরার পর ওই নারী সন্তানকে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়ি ফিরে যান। তাঁর আশঙ্কা, সন্তানকে বাড়ির লোকজন কিংবা সমাজ মেনে নেবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নারী কর্মী না পাঠালে পুরুষ কর্মী নেওয়া হবে না—নিয়োগদাতা দেশের এমন অলিখিত শর্তের কারণে রিক্রুটিং এজেন্সি নারী কর্মী পাঠাতে বাধ্য হয়। নারী অভিবাসনকে গতিশীল করতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তৈরি হয়েছে নানা নীতিমালা। কিন্তু নীতিমালা তৈরি পর্যন্তই থেমে আছে দায়িত্ব। বাস্তবে নীতিমালার প্রয়োগ নেই। আর সব দায় রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর চাপানোর চেষ্টা করে সরকার।

বিদেশে নারী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১২টি নির্দেশনা দেয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই নির্দেশনা মানা হলে নারী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। কিন্তু প্রয়োগ নেই। নির্দেশনায় বিদেশে পাঠানোর আগে প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দেখা যায় না। ৩০ দিনের জায়গায় দেওয়া হয় ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ। নারী কর্মীদের মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হলেও তাঁরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না।

বিএনএসকের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের প্রতি রাষ্ট্র উদাসীন। বেসরকারি সংস্থাগুলো তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। আমার অনুমান, বিদেশ থেকে যাঁরা ফেরেন, তাঁদের ৮০ শতাংশই সংসার টেকাতে পারেন না।’

বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের (বমসা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রশিক্ষণের ঘাটতি একটা বড় সমস্যা। প্রবাসের পরিবেশ, সংস্কৃতি, আইন, শিষ্টাচার—এগুলো নিয়ে তেমন কিছু শেখানো হয় না। এমন অনেক কিছুই আছে যেটা বাংলাদেশে বৈধ, অন্য দেশে অবৈধ। এখানে একটি সমন্বিত গবেষণা প্রয়োজন। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেই জানতে হবে কী কী সমস্যার মুখে তাঁরা পড়েছেন।’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘অনেক সময় সৌদিতে আমরা নির্যাতনের অভিযোগ পাই। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি তো দূরের কথা, দূতাবাসের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুমতি পান না। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পেলে সেখানে হাসপাতালে গিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হয়। অন্তঃসত্ত্বা যাঁরা হন, তাঁদের ওখানে সেফ হোমে থেকে আইনি লড়াই করতে হয়। সেটা অনেক সময় এক বছরও লেগে যায়। এত দীর্ঘ সময় তাঁরা থাকতে চান না। এমন অনেক পরিস্থিতি আছে যেগুলোর কারণে সরকার চাইলেও তাঁদের সাহায্য মেলে না।’

করোনার চেয়ে নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ: সিইসি-সমকাল

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, করোনার চেয়ে নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া নির্বাচনে করোনার বিস্তার ঘটায় এমন যুক্তিতে আমি বিশ্বাস করি না। করোনা বিস্তারের ১০০টি কারণের মধ্যে নির্বাচন একটি কারণ হতে পারে মাত্র। 

তার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে সিইসি বলেন, 'পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে দিল্লিতে। সেখানে নির্বাচন হয়নি। আমেরিকায়ও নির্বাচনের পরে করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। কোভিড পরিস্থিতি শুরুর পর পৃথীবির বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ওই দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়েনি।'শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) প্রদানের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকবে কি-না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, 'বিশ্বের অন্যান্য দেশে এনআইডি কার্যক্রম ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে ন্যাস্ত থাকে। নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন পরিচালনা করে। আমাদের দেশে যেহেতু এনআইডি কার্যক্রমেরও সূচনা করেছে নির্বাচন কমিশন, তাই এটি কমিশনের কাছেই থাকা উচিত বলে সরকারের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছি।'আগামী ২১ জুন বরিশাল বিভাগের ১৭৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর মধ্যে ২৬ ইউনিয়নে একজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নগুলোতে শুধু সদস্য পদে নির্বাচন হবে।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

জম্মু-কাশ্মীরে দুই ভারতীয় পুলিশসহ নিহত ৪-আনন্দবাজার পত্রিকা

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের সোপোর শহরে সন্ত্রাসী হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত চারজন নিহত হয়ছেন। এই হামলায় ভারতীয় পুলিশের আরও তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার সোপোরের আরামপোরা এলাকায় টহল দেওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে । কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার বলেছেন, হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও দুই বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্য তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।  সন্ত্রাসীদের খোঁজে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে বাহিনী। এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আব্দুল্লাহ।  

বেসুরো দুই জোটসঙ্গী! বিহারে ‘নড়বড়ে’ নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন NDA সরকার-সংবাদ প্রতিদিন

সদ্যই এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি । ভোটে ব্যর্থতার পর হিড়িক পড়েছে দলত্যাগেরও। মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতা বিজেপি ছেড়েছেন, লাইনে আছেন আরও বেশ কয়েকজন। একইভাবে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যর্থতা চাপা দিতে দিনরাত এক করতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতাদের। এরই মধ্যে বিজেপি তথা এনডিএ শিবিরের নতুন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিহার। সেরাজ্যে এনডিএ জোটের দুই ছোট শরিক হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি রীতিমতো বেসুরো। তাঁদের সামাল দিতে আসরে নামতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতাদের।

বিতর্কের সূত্রপাত বিহারের বাঁকা জেলার একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ঘিরে। ওই বিস্ফোরণের পর গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলতে শুরু করেন, মাদ্রাসাগুলি সন্ত্রাসবাদী তৈরির ঘাঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি নেতাদের সেই বক্তব্যের পর রীতিমতো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার (HAM) সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝি (Jitan Ram Manjhi)। তাঁর বক্তব্য, দেশের দলিতরা এগোনোর চেষ্টা করলে বিজেপি তাঁদের নকশাল বলে দেগে দিচ্ছে। মুসলমানরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া শিখলে তাঁদের সন্ত্রাসবাদী বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সেটা দেশের একতার সেটা বিপজ্জনক হবে। এদিকে, মাঝির মুখে বিজেপি বিরোধিতার সুর শুনেই আসরে নেমেছে RJD। ইতিমধ্যেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব মাঝিকে UPA শিবিরে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর দাদা তেজপ্রতাপ যাদব আবার সরাসরি বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে দেখাও করেছেন। তেজপ্রতাপ এবং মাঝির সাক্ষাত ঘিরে আপাতত বিহারের রাজনীতিতে তুঙ্গে জল্পনা। বাধ্য হয়ে বিজেপির তরফে সুশীল মোদি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, জিতন রাম মাঝি NDA-র সিনিয়র নেতা। তিনি কোথাও যাবেন না।

বিরোধী মহাজোটের স্বপ্নে ধাক্কা! পাঞ্জাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জোট গড়ল BSP-অকালি দল

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022)। ইতিমধ্যে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ভেবেছিলেন বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের পর কংগ্রেসের হাত ধরবে  শিরোমণি অকালি দল (Shiromani Akali Dal) বা SAD। কিন্তু না, কংগ্রেস বা আপ নয়,  অকালি দল জোট বাঁধল মায়াবতীর (Mayawati) বহুজন সমাজ পার্টির (Bahujan Samaj Party) সঙ্গে। ফলে পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে বিরোধী মহাজোটের স্বপ্নে বড়সড় ধাক্কা লাগল। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই জোটের কথা ঘোষণা করলেন অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে খবরটি টুইটও করা হয়।

ধান্দাবাজি ও ক্ষমতা ভোগ করতে দলবদল, মুকুলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে কটাক্ষ দিলীপের-আজকাল

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে’ মুকুলের ঘর ওয়াপসিতে গতকাল এমনটাই শোনা গিয়েছিল মমতা ব্যানার্জির মুখে। আর মুকুলের ফুল বদলে এবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, মুকুল রায় আসাতেও কোনও লাভ হয় নি, বিজেপি  ছাড়াতেও দলের কোনও ক্ষতি হবে না। এরই সঙ্গে দিলীপের খোঁচা অনেকেই দলবদলকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। ধান্দাবাজি করতে এবং ক্ষমতার স্বাদ নিতে অনেকেই এমনটাই করেন।এদিন মুকুলের’চাণক্য’ বিশেষণকেও কটাক্ষ করেন তিনি।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১২

 

ট্যাগ