কঠোর লকডাউন শুরু: আয়ুব আলী, সাদেক, আবদুল করিমদে'র জীবন চলবে কীভাবে!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১ জুলাই বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- ১০০ বছর পূর্তি আজগৌরবোজ্জ্বল অতীত নিয়ে শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় -প্রথম আলো
- খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চেয়ে বিদেশ যেতে হবে: আইনমন্ত্রী -ইত্তেফাক
- লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সেনাবাহিনী মাঠে -যুগান্তর
- দেশজুড়ে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু-দুশ্চিন্তায় নিন্ম আয়ের মানুষ–মানবজমিন
- দুর্নীতি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জবাবে সংসদে হট্টগোল-কালের কণ্ঠ
- অরুণা বিশ্বাসের প্রশ্ন-নায়িকা কত টাকা আয় করলে ৫ কোটির গাড়ি, মাসে দু’বার সিঙ্গাপুরে যায় -বাংলাদেশ প্রতিদিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া পড়ক্ষেপ গ্রহণ করল বিজেপি, ২ নেতাকে বহিষ্কার, সতর্ক কলা হল একজনকে-আনন্দবাজার
- মধ্যবিত্তের মাথায় হাত-বাড়ল দুধের দাম-আজকাল
- দেশের কোভিড গ্রাফে ফের অস্বস্তি, দৈনিক মৃত্যু পেরল হাজারের গণ্ডি -সংবাদ প্রতিদিন
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। আজকের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকে এ সম্পর্কিত নানা খবর পরিবেশিত হয়েছে। শুরু হলো সাত দিনের কটোর বিধিনিষেধ। ইত্তেফাকের শিরোনাম। প্রথম আলোর শিরোনাম কঠোর বিধিনিষেধে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা। লকডাউনে রাজধানীতে সেনাটহল- এ শিরোনাম করেছে যুগান্তর। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের শুরুর দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ, র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে সকাল থেকেই। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল সেনাবাহিনীর সদস্যদের গাড়ি নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে।এবারের লকডাউন বাস্তবায়নে ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ের কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা জনমানবশূন্য। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। সেনাবাহিনী গাড়ি রাস্তায় দেখে গেছে। কোথাও কোথাও কয়েকজনকে দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে ঘরে যেতে বলছেন। এমন কি রিকশা চলাচল করতেও বাধা দিচ্ছেন তারা।

উত্তরা আবদুল্লাহপুর এলাকার রিকশাচালক সাদেক বলেন, এতদিন তো রিকশা চালাতে পেরেছি। আজ তো বাস্তায় কোনো মানুষ নেই। কী করে সংসার চালাব।
জসীমউদ্দিন এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক আবদুল করিম বলেন, রাস্তাঘাট ফাঁকা। কোনা যাত্রী নেই। সামনের দিনগুলো কেমন চলবে?
প্রসঙ্গত, জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবার লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।
দেশজুড়ে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু-দুশ্চিন্তায় নিন্ম আয়ের মানুষ–মানবজমিন

অভাবের বোঝা মাথায় নিয়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন মো. আয়ুব আলী। ৬৬ বছর বয়সে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। তার আয়ে চলে সংসারের খরচ। বয়সের ভারে শরীরে ভাঁজ পড়লেও এই শহরে ছুটে এসেছেন পেটের দায়ে। পাঁচ বছর ধরে ফুটপাথে ব্যবসা করে পরিবারের খরচ চালান তিনি। দিন এনে দিন খাওয়ার মতো অবস্থা তার। কখনো ফুটপাথে বসে আবার কখনো রাস্তায় পায়ে হেঁটে বিক্রি করেন জায়নামাজ ও ব্যাগ। বয়সের কারণে বিভিন্ন রোগ ঘিরে ধরলেও থেমে নেই তার ক্লান্ত শরীর।
সামান্য উপার্জনে পেটে খাবার না দিতে পারলেও প্রতিদিনের আয় থেকে ২০০-৩০০ টাকা জমিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয় তাকে।
চোখে-মুখে কষ্টের ছাপ নিয়ে আয়ুব আলী জানান, অভাবের সংসারে আমি একমাত্র উপার্জনকারী। স্ত্রী, চার মেয়ে ও তিন ছেলে নিয়ে আমার সংসার। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বাকি সবাই পড়াশোনা করে। পাঁচ বছর ধরে ফুটপাথে ঘুরে ঘুরে এই ব্যবসা করছি। বাড়িতে একটি ঘর ছাড়া কোনো জমিজমা নেই। গ্রামে গিয়ে বসে থাকতে হবে। লকডাউনে চলার মতো কোনো রাস্তা নেই। আমাদের মতো মানুষের অনেক ক্ষতি হবে। ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে। পেটে কোনো ভাত যাবে না। এখনই তো আমাদের পেটে ভাত নেই।
শুধু আয়ুব আলী নন, এই শহরে অনেকেই চোখে-মুখে কষ্টের ছাপ নিয়ে তার মতো দুচিন্তায় আছেন। লকডাউনের কথা শুনে কেউ ছুটে গেছেন গ্রামে আবার কেউ অপেক্ষায় আছেন লকডাউন শেষ হওয়ার। তাদের অনেকেরই দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার টাকা নেই বলেও জানিয়েছেন। এদিকে ব্যবসা বন্ধ থাকলে ঢাকায় থাকার খরচও নেই অনেকের।
খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চেয়ে বিদেশ যেতে হবে: আইনমন্ত্রী-ইত্তেফাক

দোষ স্বীকার করে, ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর বাইরে আইনের অন্য কোন বিধান দেখাতে পারলে আইন পেশা ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জও জানান তিনি।বুধবার (৩০ জুন) সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসকালে বিরোধী দলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় এমন বক্তব্য দেন তিনি।এ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা দরখাস্ত করলেন। উনারা দরখাস্তে বলেছিলেন উনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। তাদের আবেদনে আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিলো না। ওই আবেদনকে দুটো শর্ত দিয়ে তার দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। শর্ত দুটি হচ্ছে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) এটা গ্রহণ করেছিলেন। গ্রহণ করে তারা বেগম জিয়াকে জেলখানা থেকে বাসায় নিয়েছিলেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটি দরখাস্ত যখন নিষ্পত্তি হয়ে যায় সেটা কী আবার পুর্নবিবেচনা করা যায়? দরখাস্ত করে শর্ত মেনে মুক্ত করে এনেছেন। তারপর এখন বলছে বিদেশে যেতে হবে। আবার দরখাস্ত করলেন। এটা কী রকম কথা! ওই দরখাস্ত তো শেষ (নিষ্পত্তি)। সেটার ওপর তো আর কেউ কিছু করতে পারবে না। সেটা নিষ্পন্ন হয়ে গেছে। ওটা তো মঞ্জুর হয়েছে।’
আইন পেশা ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, আইনে ৬টি সাব-সেকশন আছে। এর মধ্যে কোথাও যদি দেখাতে পারেন আবার দরখাস্ত করতে পারবেন, আবার পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন, তাহলে তিনি আইন পেশায় থাকবেন না।
মুক্তির ক্ষেত্রে আইনের বিধান তুলে ধরে আইন মন্ত্রী বলেন, কোন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে মুক্তি দিতে হয় সেটা আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। এক্ষেত্রে একটা উপায় আছে তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাইতে পারে বা ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ক্ষমা চাইলে, বিবেচনা করলে ক্ষমা করতে পারেন। আর সেই ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই দোষ স্বীকার করে চাইতে হবে।
খালেদা জিয়ার ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না: খন্দকার মাহবুব-মানবজমিন
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো উচ্চ আদালতে মুলতবি রয়েছে। এ অবস্থায় তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাই জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বুধবার আইনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছেন-দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জবাবে সংসদে হট্টগোল-কালের কণ্ঠ
এ বছরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে
করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে সংসদ অধিবেশনে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের সদস্যরা। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দেওয়া বক্তব্যে অধিবেশন কক্ষে হট্টগোলও হয়েছে। বিরোধী সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে মন্ত্রী তাঁদের দায়িত্ব নিতে বলেন। ঢালাও অভিযোগ ‘অগ্রণযোগ্য’ উল্লেখ করেন।গতকাল বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বাজেট পাসের সময় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরাম সদস্যরা। তাঁরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা তুলে ধরেন। অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে ধরে মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কঠোর সমালোচনা করেন। করোনার টিকার অপ্রতুলতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
পরে জবাব দিতে উঠে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক পর্যায়ে বিরোধী দলের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তো হাসপাতালের চেয়ার। আপনাদের দায়িত্ব আছে। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’ তিনি দুর্নীতির অভিযোগেরও জবাব দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্ক নিয়ে কথা বলছেন। মাস্ক তো কেনাই হয়নি। তার পেমেন্ট দেওয়া হয়নি। ঢালাও অভিযোগ দিলে তো চলবে না।’
এ সময় বিরোধী দলের বেঞ্চ থেকে হৈচৈ, হট্টগোল শুরু হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যরা মাইক ছাড়াই নানা কথা বলতে থাকেন। ‘আমরা পত্রিকা পড়ি না’ এমন বাক্যও হাউস থেকে শোনা যায়। এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরস্পরের দিকে তাকাতাকি করছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটু থেমে গেলে সামনে বসা তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী তাঁকে বক্তব্য চালিয়ে যেতে ইশারা করলে তিনি পুনরায় বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। ঢালাওভাবে অনিয়মের কথা বললে গ্রহণযোগ্য হবে না। সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে কোথায় দুর্নীতি হয়েছে? এ সময় বিরোধী দলের দিক থেকে আবারও হৈচৈ হলে মন্ত্রী বলেন, ‘মাস্কের কোনো টাকাই তো দেওয়া হয়নি। ঢালাওভাবে বললে হবে না।’ এ পর্যায়ে হট্টগোল চলতে থাকলে বিরোধী দলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বসে পড়েন।
এর আগে ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি দূর করতে হলে ডালপালা কেটে লাভ নেই। গাছের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।’
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘কতবার ডিও লেটার দেব, আমার এলাকার হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স নেই, ডাক্তার কবে পাব? এক্স-রে মেশিন কবে পাব? রেডিওলজিস্ট কবে পাব? স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে যতবার বলি, উনি ডিও লেটার দিতে বলেন। কতবার দেব?’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চলমান বরাদ্দের টাকাই খরচ করতে পারেননি। আবার বরাদ্দ চেয়েছেন।
জাপার আরেক সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টাকা খরচ করতে পারেনি। ফেরত দিয়েছিল। এটা আমরা চাই না। খরচ করতে না পারলে এখানে ৩৫০ জন এমপিকে ভাগ করে দেন। আমরা খরচ করি। স্বাস্থ্যসেবা আমরা দেখব। আপনাদের দরকার নেই। ডাক্তার-নার্স নিয়োগ করতে পারছেন না। ৩৫০ এমপিকে দায়িত্ব দেন। আমরা নিয়োগের ব্যবস্থা করি।’
বিএনপির রুমিন ফারহানা স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিময় তুলে ধরে বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে এই যে বরাদ্দ দিচ্ছি সেটা কোথায় যাচ্ছে? বরাদ্দ খরচ করার সক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের আছে কি না সেই প্রশ্ন চলে আসছে।’
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘সব লকডাউন। এই সময় আপনারা কেউ তো বাইরে যেতে পারেননি। সেবা কোথায় নিচ্ছেন? সব বাংলাদেশের হাসপাতালেই সেবা নিচ্ছেন। যেতে তো পারছেন না কোথাও। হাসপাতাল সেই সেবা দিতে পারে বিধায় আপনারা সেবা নিচ্ছেন। ভালো আছেন।’
সাতক্ষীরায় অক্সিজেন সংকটে ৯ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে ৯ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩০ জুন) সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব রোগী মারা যান বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। মারা যাওয়াদের মধ্যে দুইজন করোনা পজিটিভ ও বাকি ৭ জনের করোনার উপসর্গ ছিল। হাসপাতালের আইসিইউতে তিনজন এবং ওয়ার্ডে ৬ জন মারা গেছেন।হঠাৎ হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিলে এই বিপর্যয় ঘটে।

অরুণা বিশ্বাসের প্রশ্ন-নায়িকা কত টাকা আয় করলে ৫ কোটির গাড়ি, মাসে দু’বার সিঙ্গাপুরে যায়?-বাংলাদেশ প্রতিদিন
আজকে শিল্পীদের নিয়ে কথা উঠছে জানিয়ে ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস বলেছেন, একটা শিল্পী কত টাকা ইনকাম করলে পাঁচ কোটির গাড়ি-চার কোটির গাড়ি কেনে? কত টাকা ইনকাম করলে মাসে দুইবার সিঙ্গাপুর যায়?
তানভীর তারেকের উপস্থাপনায় জাগো এফএম-এর রাতাড্ডা নামক অনুষ্ঠানে এসে এসব প্রশ্ন তোলেন একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা, যা ভাইরাল হয়েছে ফেসবুক ও ইউটিউবে। অরুণা বিশ্বাস এ-ও বলেছেন, যে প্রশ্ন সাংবাদিকদের করা উচিত ছিল, যে বিষয়টি দুদকের করা উচিত ছিল সেটা আজ তাকে করতে হলো। বর্তমান সময়ে দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে শাকিব খান সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়ক, কই শাকিব তো এমন শো অফ করতে পারে না।
পার্টি করা নিয়ে তিনি বলেন, আমার পার্টি মানে কিন্তু ক্লাব টেলাব না। আমার পার্টি মানে রাতে বাইরে যাওয়া না। আমার পার্টি হলো ঘরে। আমার পার্টি হলো ভাত, মাছ, পোলাও, মাংস, ঘরে আড্ডা মারা- এই পর্যন্তই। আমি ক্লাবে যাই না। আমি ক্লাব চিনিও না। হয়তো প্রফেশনাল কারণে যাই। সিনেমার কোনো প্রগ্রাম আয়োজন করা হলে যাই। কিন্তু মাথায় ক্লাব থাকে না।
অরুণা আরও বলেন, গার্ডিয়ানলেস হলে তো একটা বিষয় থাকেই। পারিবারিকভাবেই তো অনেকে গার্ডিয়ানলেস। অনেকের গার্ডিয়ান নেই। আমার বাবা ছিল না। তাই বলে কিন্তু আমার পদস্খলন হয়নি। এখন বলতেই পারো পার্টিতে গেলে খারাপ নাকি, তা নয়। তবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, আজকে শিল্পীদের নিয়ে কথা উঠছে। কিন্তু কেন কথা উঠছে? আগে কেন কথা ওঠে নাই? একজন শিল্পী কত টাকা ইনকাম করলে পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি চালাতে পারে, পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি কিনতে পারে। আমি বলছি, আমার ১০-১২টা ছবি করার পরে একটা গাড়ি কিনতে হয়েছে। তা-ও অনেক কম দামে, ঝক্কি-ঝামেলা পোহানোর পরে।
আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে অরুণা বিশ্বাস বলেন, অনেকেই বলতে পারে আমি জেলাস। হ্যাঁ, আমি জেলাস। যে মেয়েকে আমি দেখেছি ১০০ টাকার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে, সেই মেয়ে যখন ক’দিন পরে ছয় তলা বাড়ির মালিক হয়ে যায়। প্রতিদিন সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে, এই প্রশ্ন সামাজিকভাবে কারো মনে প্রশ্ন আসে না? দুদক আছে, কারো মনে প্রশ্ন আসে না? সাংবাদিকদের মনেও প্রশ্ন আসে না? তাহলে বলে নাই কেন, লিখে নাই কেন? এই দায়ভার সব শিল্পীর ওপর কেন আসবে।
ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
দেশের কোভিড গ্রাফে ফের অস্বস্তি, দৈনিক মৃত্যু পেরল হাজারের গণ্ডি-সংবাদ প্রতিদিন
সাময়িক স্বস্তি নিমেষেই উধাও। দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৮৬ জন। বুধবার তা ছিল প্রায় ৪৬ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৫৮৮ জন। লাফিয়ে বাড়ল মৃত্যুহারও। একদিনে করোনার বলি ১০০৫। তবে কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। ১.৭৭ শতাংশ কমে এই মুহূর্তে তা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ২৫৭-এ।স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এ নিয়ে দেশে মোট ৩৩ কোটি ৫৭ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯ জনের টিকাকরণ হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে দেশবাসীকে ভ্য়াকসিন দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করার পথে এগোচ্ছে কেন্দ্র। তবে তার মধ্যে টিকা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১