সহিংসতার বেড়াজাল; ব্রিটিশ সমাজে নিয়মতান্ত্রিক নিরাপত্তাহীনতা
-
ইংল্যান্ডে রক্তাক্ত ছুরিকাঘাত
পার্সটুডে-মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে, ইংল্যান্ডে যানবাহন এবং জনবহুল স্থানে দুটি রক্তাক্ত ছুরিকাঘাতের ঘটনা ত্রাসের সৃষ্টি করেছে।
সেইসাথে এ ধরনের ঘটনায় নাগরিকদের মৌলিক নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
ব্রিটিশ জনসমাগম স্থলে ধারাবাহিক সহিংস হামলা গভীর নিরাপত্তা সংকটের ইঙ্গিত দেয়। 'ডনকাস্টার থেকে লন্ডন' এক্সপ্রেস ট্রেনে ১০ জন যাত্রীর ওপর ছুরিকাঘাতের ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহ পরে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্মিংহামের বুলরিং শপিং সেন্টারে এক তরুণীর ওপর বিনা প্ররোচনায় সংঘটিত হামলা ব্রিটিশ সমাজকে আবারও হতবাক করেছে।
২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনের ঠিক বিপরীতে একটি ব্যস্ত স্থানে একজন মহিলাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর ঘটনাটি প্রমাণ করে, আক্রমণকারীরা গোপনে নয় বরং সবচেয়ে উন্মুক্ত এবং নিরাপদ স্থানে সাহসী বোধ করে।
পার্সটুডে আরও জানায়, শান্তি ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে 'বিনা প্ররোচনায়' হামলা চালানোর পুলিশি ঘোষণা উদ্বেগের মাত্র বাড়িয়ে দেয়; নাগরিকদের মনে দুর্বলতা ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি স্থায়ী করে তোলে।
সরকারি প্রতিবেদনে সহিংস ঘটনার নজিরবিহীন বৃদ্ধি, রক্তাক্ত দেহ নিয়ে ট্রেন যাত্রীদের পালিয়ে যাওয়া, টয়লেটে আশ্রয় নেওয়ার দৃশ্য ট্রেন স্টেশনের দ্বারপ্রান্তে আক্রমণ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে আধুনিক সমাজের প্রাণ 'গণপরিবহন' ত্রাস সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এই ঘটনাগুলো কেবল সহিংসতার পরিসংখ্যানই নয় বরং 'নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা' তার সবচেয়ে মৌলিক দায়িত্ব পালনের ক্ষমতার ওপর জনসাধারণের আস্থাকেও পরিকল্পিতভাবে হ্রাস করে।
সরকারী প্রতিবেদনে সহিংস অপরাধের ভয়াবহ বৃদ্ধি এখন ইংল্যান্ডের রাস্তাঘাট এবং ট্রেনগুলোতে প্রতিফলিত হয়েছে, যা সংসদের কাছে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জরুরি দাবিকে অপরিহার্য করে তুলেছে।#
পার্সটুডে/এনএম/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।