জুলাই ৩০, ২০২১ ১৭:৪০ Asia/Dhaka
  • শয্যা খালি নেই-ভর্তি হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে করোনা রোগীরা

শ্রোতা/পাঠক! ৩০ জুলাই শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • কঠোর বিধিনিষেধ আরও বাড়াতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-প্রথম আলো

  • সিনোফার্মের ৩০ লাখ টিকা এলো চীন থেকে-দৈনিক কালের কণ্ঠ

  • শয্যা খালি নেই-ভর্তি হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে করোনা রোগীরা- দৈনিক ইত্তেফাক

  • হেলানাকে গ্রেফতার দেখাল র‌্যাব, বিকালে সংবাদ সম্মেলন-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • করোনা মোকাবিলায় লকডাউন কোন সমাধান নয়’- দৈনিক আমাদের সময়
  • জলবসন্তের মতো ছড়ায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: সিডিসি-দৈনিক সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় শহর কলকাতা, দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীর',-দৈনিক আজকাল
  • গণতন্ত্র বাঁচাতে ফের একজোট হওয়ার ডাক, প্রতি দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন  মমতা-সংবাদ প্রতিদিন
  • পরিচয় জেনেই সাংবাদিক দানিশকে খুন করে তালিবান, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

কথাবার্তার প্রশ্ন
১. ‘করোনা মোকাবিলায় লকডাউন কোন সমাধান নয়’- এ বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। কিভাবে দেখছেন এই বক্তব্যকে?
২. ইরান ও সিরিয়ার সম্পর্ককে অন্যদের জন্য আদর্শ বলে মন্তব্য করেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল আল-মিকদাদ। কেন এই সম্পর্ক আদর্শ বলে পরিগণিত হবে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

কঠোর বিধিনিষেধ আরও বাড়াতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-প্রথম আলো

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ৫ আগস্টের পরও কঠোর বিধিনিষেধ বাড়াতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম ফোনে এ কথা জানিয়েছেন।

খুরশীদ আলম বলেন, ‘বিধিনিষেধ বর্ধিত করার কথা বলেছি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’ বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বা আলোচনা করেনি বলেও জানা গেছে।

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ওই ১৪ দিন সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে। এর আগের বিধিনিষেধের সময় শিল্পকারখানা খোলা ছিল।

সিনোফার্মের ৩০ লাখ টিকা এলো চীন থেকে-কালের কণ্ঠ

ঢাকায় পৌঁছেছে চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে কেনা সিনোফার্মের ৩০ লাখ টিকা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে বেইজিং এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশ বিমানের তিনটি ফ্লাইটে এসব টিকা আসে বলে  নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় প্রথম ফ্লাইট ১০ লাখ টিকা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দ্বিতীয় ফ্লাইটে রাত সোয়া ১টায় আসে আরো ১০ লাখ টিকা। আর তৃতীয় ফ্লাইটটি আরো ১০ লাখ টিকা নিয়ে রাত সোয়া ৩টায় ঢাকায় পৌঁছয়। চীন থেকে প্রথম দফায় ৩ জুলাই বাণিজ্যিকভাবে কেনা ২০ লাখ টিকা এসেছে। আর দ্বিতীয় দফায় ১৭ জুলাই আরো ২০ লাখ টিকা এসেছে।

শয্যা খালি নেই-ভর্তি হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে করোনা রোগীরা-ইত্তেফাক

রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। আইসিইউ ও সাধারণ বেডের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। ঈদের পর থেকেই এসব হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ সংকট দেখা দেয়। গত তিন দিনে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকার বাইরের দুই শতাধিক রোগী রাজধানীতে আসছেন আইসিইউয়ের জন্য। সাধারণ শয্যার জন্য রোগী আসার সংখ্যা এর কয়েক গুণ বেশি। রোগীদের আইসিইউয়ের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রতিদিন মাত্র দুই একটা বেড খালি হচ্ছে। কোনো রোগী সুস্থ হলে কিংবা মারা গেলেই বেড খালি হয়।

রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। আইসিইউ ও সাধারণ বেডের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। ঈদের পর থেকেই এসব হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ সংকট দেখা দেয়। গত তিন দিনে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকার বাইরের দুই শতাধিক রোগী রাজধানীতে আসছেন আইসিইউয়ের জন্য। সাধারণ শয্যার জন্য রোগী আসার সংখ্যা এর কয়েক গুণ বেশি। রোগীদের আইসিইউয়ের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রতিদিন মাত্র দুই একটা বেড খালি হচ্ছে। কোনো রোগী সুস্থ হলে কিংবা মারা গেলেই বেড খালি হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অসংখ্য রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। শেষে ভর্তি হতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন অনেক রোগী। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের সামনে ‘সিট খালি’ নেই জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি টানাতে বাধ্য হয়েছে

হেলানাকে গ্রেফতার দেখাল র‌্যাব, বিকালে সংবাদ সম্মেলন-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র‌্যাব।

শুক্রবার দুপুরে র‌্যাবের সদর দপ্তর থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, আজ বিকাল ৪টায় র‌্যব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন কোন সমাধান নয়’- দৈনিক আমাদের সময়

আমাদের দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ও কারফিউ কোনো সমাধান নয়।’আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘করোনার গণটিকা কর্মসূচি আরও জোরদার করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে। পাশাপাশি সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় করোনা চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকমী নিয়োগ দিতে হবে।’

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দেশের বাস্তবতায় লকডাউন সফল হবে না। লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার জরিপ বলছে, করোনায় ১ বছরে দেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবনমান নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। আর আগে থেকে দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছেন আরও সাড়ে ৩ কোটি মানুষ। বেশির ভাগ দরিদ্র্য মানুষের ঘরে খাবার নেই, পকেটে ওষুধ ও শিশু খাদ্য কেনার পয়সা নেই। এ ধরনের মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’

জলবসন্তের মতো ছড়ায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: সিডিসি-দৈনিক সমকাল

জলবসন্তের মতো সহজে ছড়ায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এটি অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে রোগীর আরও কঠিন জটিলতার সৃষ্টি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) একটি অভ্যন্তরীণ নথিতে এ তথ্য বলা হয়েছে। 

সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘সিডিসি’র একটি প্রেজেন্টেশনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়েছেন এ রকম মানুষও ভ্যাকসিন না নেওয়াদের মতো একইভাবে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে দিতে পারেন। যিনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি ভাইরাসটি দ্বারা সংক্রামিত হলে তার শরীরে যে পরিমাণ ভাইরাস থাকে একই পরিমাণ ভাইরাস ভ্যাকসিন না নেওয়া আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরেও দেখা যায়।’ 

এতে বলা হয়, এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ কমিয়ে আনে ভ্যাকসিন। এছাড়া ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশেরও বেশি কঠিন অসুস্থতাকে প্রতিহত করতে পারে। আর সংক্রমণের ঝুঁকি তিন শতাংশ কমিয়ে দেয়। তাই করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষ এ রোগ থেকে তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। তবে এটি সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে কম কার্যকর।

সিডিসির পরিচালক রোশেলি ওয়ালেনস্কি বলেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে একটি। এটি জলবসন্ত ও হামের মতোই দ্রুত ও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদেরও এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হবে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একজন মানুষ গড়ে আরও আট থেকে নয়জনকে সংক্রামিত করতে পারে। সংক্রমণ ঘটানোর হারের একক হিসেবে ধরা হয় ‘আর জিরো’কে। ৮ বা ৯ মানের ‘আর জিরো’ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন রোগের সংখ্যা খুব বেশি নেই।

টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় শহর কলকাতা, দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীর',-দৈনিক আজকাল

গতকাল টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহর কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীর। আজ সকাল থেকে বৃষ্টিপাত কমলেও রেহাই নেই শহরের বাসিন্দাদের। উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্বর থেকে শুরু করে মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট কিংবা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে একাধিক রাস্তা এখনও রয়েছে জলের তলায়। বুক সমান জলেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন মানুষ। কাজের জায়গায় যেতেই হবে তাই বাড়ি বসে থাকার উপায় নেই বলেই জানালেন আমহার্স্ট স্ট্রিটের এলাকার এক বাসিন্দা। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহ জানাচ্ছেন, ‘‌লাগাতার বৃষ্টির জেরে জল জমেছে শহরের একাধিক এলাকায়। তবে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা কাজে নেমে পড়েছে। কলকাতা পুরসভার ৭৪ টি পাম্পিং স্টেশন সচল রাখা হয়েছে। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকা এবং দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কিবা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জমা জল বের করতে অতিরিক্ত পাম্প কাজে লাগানো হচ্ছে। অতিরিক্ত পাম্প বসিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুত জমা জল বের করার কাজ চলছে।’‌ 

গণতন্ত্র বাঁচাতে ফের একজোট হওয়ার ডাক, প্রতি দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন Mamata-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

পাঁচ দিনের দিল্লি সফর শেষে কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর আগে ফের বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। বললেন, “গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হতে হবে। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লড়াই চলবে। ” একইসঙ্গে প্রতি দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দিল্লি ছাড়ার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিরোধী জোটের আগামী রূপরেখা এঁকে দেন তিনি। বলেন, “দেশকে বাঁচাতে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। তাই একজোট হয়ে লড়াই হবে। বহু বিরোধী নেতার সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। কোভিড নিয়মের জন্য সংসদের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারিনি। তাই অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি।” মূল্যবৃদ্ধিকে ইস্যু করে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে বিরোধীদের লাগাতার আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দেশবাসীর অবস্থা খারাপ। কেন্দ্র সরকার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।”

পরিচয় জেনেই সাংবাদিক দানিশকে খুন করে তালিবান, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

ফের প্রকাশ্যে তালিবানের পৈশাচিক রূপ। পরিচয় জেনেও ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকিকে খুন করে তালিবান (Taliban)। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকার একটি ম্যাগাজিন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হয়ে পেশার খাতিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের স্পিন বলদাক এলাকায় কাজ করছিলেন দানিশ।

মাঝমধ্যেই আফগান সেনা-তালিবানদের সংঘর্ষের ছবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের ছবি তুলেও পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই কাজের খেসারত প্রাণ দিয়ে দিতে হয় পুলিৎজারজয়ী ওই সাংবাদিককে। গত ১৬ জুলাই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে তালিবান। ভারতীয় জেনেই তাঁকে খুন করে মাথা থেতলে দেয় জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তালিবান। এবং মুখরক্ষা করতে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। কিন্তু তা যে শুধুমাত্র ছলনা এই কথা সবার জানা। 

পার্সটুডে/ বাবুল আখতার /৩০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ