আগস্ট ১২, ২০২১ ১৬:৩৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • সব শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকা দেওয়ার পরই খোলা হবে স্কুল-কলেজ-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

  • করোনার টিকা প্রদানেও নৈরাজ্য চলছে: ফখরুল-মানবজমিন
  • করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ফের বিধিনিষেধ: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী- ইত্তেফাক

  • তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে চায় আফগান সরকার! -যুগান্তর
  • বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে : ওবায়দুল কাদের -বিডি প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলবে না অন্তত ৩১ অগস্ট পর্যন্ত, নবান্নে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • Parliament session: ‘সরকারই গুন্ডামি করেছে’, বিল পাশ বিতর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ TMC’র-সংবাদ প্রতিদিন
  • লক্ষ্য ২০২৪!‌ বিরোধীদের টানতে ২০শে মমতা, শারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সোনিয়া–আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার প্রশ্ন (১২ আগস্ট)
১. করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে ফের বিধিনিষেধ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। কী বলবেন আপনি?
২. ‘ভিয়েনা সংলাপে ফিরে যাওয়ার পূর্বশর্ত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার’- একথা বলেছে ইরান। তেহরানের এই শর্ত কতটা যৌক্তিক বলে আপনি মনে করেন?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী-প্রথম আলো

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না। তবে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে পরিস্থিতির উত্তরণে।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।সোসাইটি অব মেডিসিন এবং সিডিডি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কমে আসছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার বয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

মন্ত্রী জানান, চলতি মাসে দেশে আরও এক কোটি ডোজ করোনার টিকা আসছে।স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং ৫০ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে একটা রাজনীতি আছে। আমরা ভাগ্যবান যে শুরুতেই ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং পেয়েছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অল্প দিনেই আমাদের চার থেকে পাঁচ হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগ হয়ে যাবে, যেটা খুবই প্রয়োজন। আমরা ফিল্ড হাসপাতাল বানাচ্ছি। এসবের পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও চলমান। ইতিমধ্যে প্রায় পৌনে দুই কোটি লোককে আমরা ভ্যাকসিনেট করতে সক্ষম হয়েছি, ৫০ লাখের বেশি লোক দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আমরা বিভিন্নভাবে ভ্যাকসিন পাচ্ছি। কোভ্যাক্স থেকে আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি, নিজেরাও কিনছি। আনন্দের বিষয় হলো কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা প্রস্তাব নিয়ে গেলাম যে আমরা সিনোফার্মের ছয় কোটি ভ্যাকসিন কিনতে চাই, যেটা পাওয়া যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে অনুমোদন দিয়ে দিলেন এবং আমরাও সেই ভ্যাকসিন কনফার্ম করে ফেললাম।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা একটা হিসাব করেছি যে ভ্যাকসিন সবারই প্রয়োজন, কিন্তু এর মধ্যেও আমাদের প্রায়োরিটি সেটআপ করতে হয়। একেবারে সব ভ্যাকসিন আমরা পেয়ে যাব না। আমাদের ৮০ শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন দিতে হলে ২৬ থেকে ২৭ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে। এত ভ্যাকসিন আমরা একসঙ্গে পাব না, রাখতেও পারব না। সে জন্য যখন যে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, সেটা আমরা আমরা আনার চেষ্টা করছি। ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে একটা রাজনীতি আছে। এটা নিয়েও একটা অর্থনীতি চলছে। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র ভ্যাকসিন বানিয়েছে এবং স্টক করেছে। তাদের যা জনসংখ্যা, তার থেকে চার-পাঁচ-ছয় গুণ তারা স্টক করে রেখেছে। অথচ এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে এখনো ভ্যাকসিন পৌঁছায়ইনি। আমরা ভাগ্যবান যে শুরুতেই ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং পেয়েছি। আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছি।’

একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, হাসপাতালে আর শয্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।

সব শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকা দেওয়ার পরই খোলা হবে স্কুল-কলেজ-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে চিন্তা-ভাবনা। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে একই সময়ে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সরাসরি ক্লাস শুরুর ব্যাপারটিও ভাবনায় থাকছে। তবে মধ্য নভেম্বরে ছোট পরিসরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে পুরোদমে স্কুল-কলেজও খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে দ্রুত টিকা দেওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। অন্যদিকে সব শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকার আওতায় আনার পরই খোলা হবে স্কুল-কলেজ। ফলে সব কিছুই নির্ভর করছে টিকাপ্রাপ্তি, টিকা দেওয়া এবং করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর।

এদিকে গতকাল বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাই এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিশেষ করে গণটিকা কর্মসূচি শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে টিকা নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশ শিক্ষকই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় দুই লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এক-দেড় মাসের মধ্যে প্রায় সব শিক্ষার্থীরই দুই ডোজ টিকা নেওয়া শেষ হবে। আর এর মধ্যে করোনা সংক্রমণও কমে আসতে পারে। আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারব। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’

সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গেল বছরের শেষদিককার করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সব কিছুর পরিকল্পনা করছে। কারণ ওই সময়ে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। তবে গেল বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি মানুষ টিকা নিয়েছে। এ ছাড়া যেভাবে টিকা আসছে তাতে আগামী দু-তিন মাসে আরো অনেক মানুষেরই টিকা নেওয়া শেষ হবে। ফলে এবার নভেম্বর-ডিসেম্বরে গত বছরের চেয়ে একটু বেশি সংক্রমণ থাকলেও পুরোদমে স্কুল-কলেজ খুলে দিতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর করোনা সংক্রমণের হার বেশি থাকলেও সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর টিকা নেওয়া থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে বাধা থাকবে না।

করোনার টিকা প্রদানেও নৈরাজ্য চলছে: ফখরুল-মানবজমিন

করোনার টিকা প্রদানেও সরকারের ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব নেতা-কর্মীদের নিয়ে বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুস্পস্তবক অর্পন করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা মোকাবিলায় এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। যেটাকে বলা যায়, করোনা মোকাবিলায়-টোট্যাল ম্যানেজমেন্ট ফেইলিউর। এর ফলে আজকে টিকা প্রদানে ম্যানেজমেন্টের প্রচন্ড রকমের যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, সেই নৈরাজ্যের কারণে গোটা জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা পত্র-পত্রিকায় তা দেখতে পারছি। আমরা আবারো সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, অবিলম্বে টিকা সংগ্রহ করে এই করোনা মোকাবিলার জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করে সত্যিকার অর্থেই জনগনের জন্য কাজ করুন।লকডাউন তুলে নেয়ার পর সংক্রমণ কমছে না, লকডাউন তুলে নেয়া ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি প্রথম থেকে বলছি যে, আসলে করোনা মোকাবিলায় সরকারের টোট্যাল ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। দিজ গর্ভামেন্ট হেজ ফেইল্ড টোট্যালি টু ম্যানেজ করোনা।

Image Caption

অপরিকল্পিত লকডাউন, অপরিকল্পিত টিকা ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত মানুষের জীবন ব্যবস্থা করা, সব মিলিয়ে এই সরকারের আর এক মুহুর্ত ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। দে শোড বি রিজাইন ইমিডেইটলি।আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ক্রীড়া সংগঠন এবং ক্রিকেটের উন্নয়নের তার একনিষ্ঠ ভুমিকার কথা স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব।এই সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সাইফুল্ আলম নিবর, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের ফজলুল রহমান খোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। পরে ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরাস্থানে দাফন করা হয়।

করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ফের বিধিনিষেধ: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী- ইত্তেফাক

দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আবারও বিধিনিষেধ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে আবারও লকডাউন দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

 

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে গতকাল বুধবার থেকে চালু হয়েছে দোকানপাট ও বিপণিবিতান। সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও অর্ধেক গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আজ নতুন প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছে আগামী ১৯ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরোদমে চালু হচ্ছে সকল প্রকার গণপরিবহন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়ও ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোও খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটনকেন্দ্র-রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল সেটা শিথিল করে গত ৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সে অনুযায়ী ১১ আগস্ট থেকে কিছু শর্ত মেনে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলেছে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাটও। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বা বিনোদনকেন্দ্রগুলো খোলার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে চায় আফগান সরকার! -যুগান্তর

দেশজুড়ে চলছে তীব্র লড়াই। নানা স্থানে সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিচ্ছে তালেবান। সর্বশেষ কাবুল থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে গজনি প্রদেশের রাজধানী গজনি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এ পর্যন্ত দশটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখলে নিল গোষ্ঠীটি। এর মধ্যে জানা গেল, তালেবানের সঙ্গে ‘ক্ষমতা ভাগাভাগি’ করতে চায় সরকার। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে তালেবানের কাছে সরকার ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সংঘাত এবং তালেবানের অগ্রযাত্রার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব পাঠানো হলো। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, দেশে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে তালেবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্রটি আরও জানায়, কাতারের মাধ্যমে এ প্রস্তাব তালেবানের কাছে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  আগস্টেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করবে দেশটি। এর মধ্যেই তালেবান দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই চলছে সংঘাত।

বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে : ওবায়দুল কাদের -বিডি প্রতিদিন

বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি নেতারা একদিকে জনমানুষের আতঙ্কে আছে অপরদিকে হঠকারি রাজনীতির কারণে তারা তাদের কর্মী-সামর্থকদের আস্থা হারিয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে না বলেই তাদের প্রতিপক্ষ মনে করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অন্তসারশূণ্য ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে সরকার কান দেয় না, কারণ জনগণ এসব কথামালার চাতুর্যে বিশ্বাস করে না। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

সরকার নাকি ভেন্টিলেশনে আছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, চোখ থেকে ক্ষমতার রঙিন খোয়াবের চশমা খুলে নিজেদের পায়ের তলায় মাটি আছে কিনা তা আগে দেখুন। বিএনপিকে মিডিয়ার কল্যাণেই বেঁচে আছে। বিএনপি নেতাদের সম্মিলিত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। বিদেশ থেকে ইথারে যে সিদ্ধান্ত ভেসে আসে, তা ঢাকায় বসে মিডিয়ার মাধ্যমে বিএনপি নেতারা তারই পুনরাবৃত্তি করছে মাত্র, ফরমায়েশ কার্যকর করছে। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে খুনিদের তোষণ, দুর্নীতিবাজ আর সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পোষণ এবং অসহায় জনগণকে শোষণ। তাদের রাজনীতি ইতিহাস বিকৃতি, মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের রাজনীতি। 

তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচার অর্থহীন অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্কট সমাধানের সক্ষমতা দেখে বিএনপি ঈর্ষার আগুনে জ্বলছে, অন্তর্দহন কমাতে তারা এসব অপপ্রচার চালায়। আন্দোলন ও নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বিএনপি নেতাকর্মীরা যে গণহতাশায় ভুগছে, তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে ভ্যাকসিন নিয়ে ঢালাও সমালোচনা করছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার সংক্রমণ এখনও উচ্চমাত্রায় রয়েছে, তাই নিজের জীবনের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থের সুরক্ষায় সরকার আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হবে।

রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলবে না অন্তত ৩১ অগস্ট পর্যন্ত, নবান্নে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। ওই সময় পর্যন্ত চলবে না লোকাল ট্রেন।

মমতা যা যা বললেন...

২৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত সব মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন। বাংলা একদিন বিশ্ব বাংলায় পরিণত হবে। অনেকে প্রশ্ন করছেন লোকাল ট্রেন কেন চলছে না? আমি জানি সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেজন্য মেট্রো, বাস চালু করে দেওয়া হচ্ছে। আরও কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। লোকাল ট্রেন চালাতে আরও কিছুদিন সময় নিচ্ছি। তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়টি দেখছি। অগাস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষের দাবি মেনে ১১ থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ বন্ধ থাকবে। এতে মানুষের কোনও অসুবিধা হবে না।

ভাইফোঁটার দিন থেকে চালু হচ্ছে দুয়ারে রেশন। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা আছে, তাই আরও কিছু দিন কষ্ট করতে হবে। সংক্রমণের হার কমেছে বাংলা। গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। টিকা পাচ্ছি না, তাও সাধ্য মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

লক্ষ্য ২০২৪!‌ বিরোধীদের টানতে ২০শে মমতা, শারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সোনিয়া–আজকাল

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ সালে। কিন্তু সময় নষ্ট করতে চায় না কোনও বিরোধী দলই। মমতা হোক বা শারদ পাওয়ার বা সোনিয়া গান্ধী— বিরোধী সলতে পাকাতে সদাই এগিয়ে আসছেন এই বিশিষ্টরা। মুম্বইতে শারদ পাওয়ারের বাড়িতে জুনে বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী নেতারা। গত মাসে দিল্লি গিয়ে মমতা এক দফা সাক্ষাৎ করেন হেভিওয়েট বিরোধী নেতাদের সঙ্গে। প্রাতরাশ বৈঠকের আয়োজন করেন রাহুল। এবার সোনিয়া।২০ আগস্ট মমতা ব্যানার্জি, শারদ পাওয়ারদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবেন সোনিয়া। আমন্ত্রণ জানানো হয়ে কংগ্রেস এবং বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে বৈঠক। খবর, রাহুলের প্রাতরাশ বৈঠকের পর আরও একবার দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের নিয়ে মধ্যাহ্ন বা নৈশভোজের বৈঠকে বসতে চায় কংগ্রেস। তারই ভিত্তি স্থাপন হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে।মমতা ব্যানার্জি জানিয়েই দিয়েছিলেন, এবার থেকে মাঝেমধ্যেই বৈঠকে বসবেন বিরোধীরা।

সোনিয়া গান্ধী

দরকারে তিনি মাসে এক বার দিল্লি আসতেও প্রস্তুত। এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই কথাই ফলতে চলেছে। জানা গিয়েছে, মমতা, শারদ পাওয়ার ছাড়াও সোনিয়ার বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিয়েছেন, ২০ আগস্টের ওই বৈঠকে যোগ দেবেন উদ্ধব। তাঁর কথায়, ‘‌বিরোধীরা এখন একজোট’‌। কংগ্রেসের এক নেতা জানালেন, মোদি সরকারের সামনে বিরোধী ঐক্য তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ করছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এদিন সংসদে মিছিল করেন বিরোধীরা। তার আগে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়্গের দপ্তরে বসে বৈঠকও কেন। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালের বাড়িতে বৈঠকে বসেন বিরোধীরা। তৃণমূল, শিবসেনা, সপা, এনসির শীর্ষনেতারা থাকলেও ছিলেন না গান্ধী পরিবারের কেউ। সেই নিয়ে কথাও ওঠে। অনেকে মনে করছিলেন, কংগ্রেসের অন্দরেই হয়তো ফাটল ধরেছে। সেসব জল্পনা উড়িয়েই এবার বিরোধীদের ফের এক ছাতার তলায় আনতে বৈঠক ডাকলেন খোদ সোনিয়া।  

Parliament session: ‘সরকারই গুন্ডামি করেছে’, বিল পাশ বিতর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ TMC’র-সংবাদ প্রতিদিন

আলোচনা ছাড়াই সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে (Parliament Session) একাধিক বিল পাশ করেছে সরকারপক্ষ। এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা, অধিবেশনেও তাঁরা এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার চলতি অধিবেশন শেষের পর দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদরা সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন। ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien), সৌগত রায় (Sougata Roy), যশবন্ত সিনহারা পালটা সরকারের বিরুদ্ধেই ‘গুন্ডামি’র অভিযোগ তুললেন। ডেরেক বললেন, ”সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা ছাড়া একের পর এক বিল পাশ করা হয়েছে। প্রতি ১০ টি বিল পিছু ৪টি অর্ডিন্যান্স। কেন? এটাই কি গুন্ডামি নয়? বলা হচ্ছে, বিরোধীরা গুন্ডাদের মতো আচরণ করছে। কিন্তু আমরা বলছি, সরকার পক্ষই গুন্ডামি করেছে।”

ট্যাগ