সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: পীরগঞ্জে যা শুনলেন জোনায়েদ সাকি!
সম্প্রতি বাংলাদেশের কুমিল্লা, রংপুরের পীরগঞ্জ এবং নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিসংতার ঘটনা ঘটেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের সাথে অতিথি হিসেবে আছেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার জোনায়েদ সাকি।
রেডিও তেহরানকে তিনি বললেন,সাম্প্রদায়িক সহিংসতার একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে ভারত, বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে।বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে বিশেষভাবে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখতে পাচ্ছি, যেভাবে এটা সংগঠিত হচ্ছে এবং তার ফলাফল রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তাতে মনে হয় যে এসব ঘটনা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে;উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলার একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হয় তারপর ঘটনাগুলো ঘটানো হয়। এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ, উপস্থাপনা এবং তৈরি করেছেন গাজী আবদুর রশীদ।
রেডিও তেহরান: জনাব,জোনায়েদ সাকি, সম্প্রতি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে এবং তাতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপর দেশের বিভিন্নস্থানে সংঘাত সংঘর্ষ হয়। তো সামগ্রিকভাবে বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেছেন?
জোনায়েদ সাকি: দেখুন, বাংলাদেশে একটি উপমহাদেশীয় বাস্তবতা আছে এবং আমরা জানি এই উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ফলে সাম্প্রদায়িকতার যে সামাজিক ভিত্তি এবং তার যে সাংস্কৃতিক এবং মানসিক প্রকাশ সেটা যেমন ভারতে আছে বাংলাদেশেও আছে। আমরা বর্তমান সরকারের আমলে বিশেষভাবে যে সাম্প্রদায়িকভাবে দেখতে পাচ্ছি, যেভাবে এটা সংগঠিত হচ্ছে এবং তার ফলাফল রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তাতে মনে হয় যে এসব ঘটনা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে; উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলার একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হয় তারপর ঘটনাগুলো ঘটানো হয়। বর্তমান সরকারের আমলে আমরা দেখেছি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মন্দিরসহ ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে, ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। তারপরের বিভিন্ন ঘটনা- ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসির নগরের কথা বলতে পারি, পাবনা বরিশালসহ দেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ কুমিল্লা থেকে শুরু করে টানা সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়েছে। এখানে খেয়াল করার বিষয় প্যাটার্নটা। কেউ কুরআন অবমাননা, কাবা শরীফের অবমাননা, রাসূলকে অবমাননা- এই ধরনের বিষয় হয় ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়গুলো সামনে আসে এবং দ্রুত তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হয় তারপর একদল উত্তেজিত মানুষ মাঠে নামে এবং সেই উত্তেজনা সৃষ্টিরও সুযোগ দেয়া হয়। অর্থাৎ সেই উত্তেজনা বেশ কিছু সময় ধরে চলা সত্ত্বেও সেইসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তা প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা দেখি না। তারপর সেখান থেখে নানা ধরনের হামলা চলে, ভাঙচুর, ধ্বংসযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট সবই চলে এরপর আইনশৃঙ্কলাবাহিনীর সদস্যদের সেখানে দেখা যায়।
সরকারের দিক থেকে বারবার বলা হয় যে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রামু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনায় আজ পর্যন্ত বিচার হতে কেবল
দেখি না তাই নয় যারা হামরাকারী তারাই নানাভাবে পুরষ্কৃত হয়েছে এই সরকারের আমলে।যেমন তারা দলের টিকিট পেয়েছে তাই নয়; আমরা দেখেছি সামাজিকভাবেও এসব হামলার একটা পুরষ্কার আছে। সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটতে দেয়ার ফলে এবং এর রাজনৈতিকমেরুকরণের চেষ্টা চালানো হয়।
রেডিও তেহরান: জনাব সাকি, আপনি এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মেরুকরণের কথা বলছিলেন, ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বিভাজন নীতির কথাও অনেকে বলছেন-আপনি কি বলবেন?
জোনায়েদ সাকি: দেখুন, এই যে পুরনো বিভাজন নীতিটা তারা জারি রেখে নিজেদের যে নির্বাচন বা ভোট ছাড়া নির্বাচন ছাড়া তারা যে ক্ষমতা দখল করে আছেন সেটাকে জায়েজ করার চেষ্টাটা ভালো করে করতে পারেন। কেননা তারা তাদের বিরোধীপক্ষ সবাইকেই সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদি ইত্যাদি হিসেবে চিহ্নিত করে দমনের উদ্দেশ্যে এরকম একটি জায়গা তারা তৈরি করে। ফলে আমাদের দিক থেকে এই কথা বলার যথেস্ট যুক্তি তৈরি হয়েছে- এই যে ঘটনাগুলো ঘটে সেখানে হয়তো নানারকম বিরোধ থাকে কিন্তু সেখানে কোনো না কোনো পক্ষ এই ধরনের বিরোধগুলোকে একটা উসকানিমূলক জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেখানে একটা হামলার মতো বাস্তবতা তৈরির জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।তারপর পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন উসকানি এবং প্রছন্ন সহায়তার মধ্য দিয়ে উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তোলা হয়। হামলা করতে পারে এবং হামলার পরেও বস্তত কোনো বিচার হয় না। বাংলাদেশের এইসব ঘটনাবলীর বিরাট একটা রাজনৈতিক উপযোগিতা আছে ভারতের রাজনীতির মধ্যে। বিশেষত ভারতের বর্তমান বিজেপি দলীয় যে সরকার তাদের রাজনীতি এবং তারা বিশেষ করে পশ্চিমবাংলায় সেটাকে ব্যবহার করে তাদের নিজেদের বাড় বাড়ন্তের চেষ্টা করছেন সেটা থেকে পরিষ্কারভাবে মনে একটা দেশি বিদেশি যোগসাজসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এধরনের হামলাগুলো ঘটানো হচ্ছে।তারমধ্যে একদল লোক স্বাভাবিকভাবেই লুটপাট, জমিদখল, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু মূল উদ্দেশ্যটা রাজনৈতিক। আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশকে একটা গভীর বিপদজ্জনক বিভাজন এবং একটা বিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
রেডিও তেহরান: আপনি বলছিলেন এসব ঘটনার মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক এবং দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আচ্ছা আপনি তো রংপুরের পীরগঞ্জে আক্রান্ত হিন্দুদের এলাকায় গিয়েছিলেন। সে সম্পর্কে কিছু বলুন।
জোনায়েদ সাকি: ব্যক্তিগতভাবে আমি মর্মাহত। আমি রংপুরে গিয়েছিলাম এবং পীরগঞ্জেও গিয়েছিলাম। সেখানে একজন নারীর সাথে আমার কথা হলো। যাঁর ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। লুট করা হয়েছে নগদ অর্থ-স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিষপত্র। তিনি বললেন, যখন আমাদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে- তখন ভাবলাম আমরা তো দুর্বল; আমরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাই যা নেয়ার লুট করে নিয়ে যাক কিন্তু এভাবে যে পুরো ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে যাবে, আমাদের যে থাকার জায়গাটুকু থাকবে না এমনকি একবেলা ভাত কিভাবে খাব সেটুকুর সংস্থান নেই আমাদের-এতটা তারা ভাবতে পারে নি! ঐরকম একটি মর্মান্তিক জায়গাতে এই সমাজকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। দেশে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় তাঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারলেন না এরমতো লজ্জাজনক দেশের জন্য গ্লানিকর ব্যাপার আর কি হতে পারে!
রেডিও তেহরান: জনাব জোনায়েদ সাকি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে ভুক্তভোগীসহ বিভিন্নমহল থেকে। প্রশ্ন উঠেছে ঘটনার সময় তারা সঠিক ভূমিকা নেয় না-কেন?
জোনায়েদ সাকি: আইনশৃঙ্খলাবাহিনীগুলো যে ভূমিকাটা নিতে পারত সেই ভূমিকাটা নেয় না কেন? তাদের ভূমিকা না নেয়াটাতেই সরকারের যে পৃষ্ঠপোষকতার কথাটা এতক্ষণ ধরে বললাম সেটাই আরও অনেক বেশি নিশ্চিত হয়। এই ঘটনাগুলোতে চাইলেই আইনশঙ্খলাবাহিনী থামিয়ে দিতে পারতেন। যেমন কুমিল্লার ঘটনায় পবিত্র কুরআন উদ্ধারের পরপরই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যদি উদ্যোগ নিতেন তাহলে এই ধরনের ভিডিওধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হতো না। মাত্র কয়েকঘন্টার মতো কয়েক শ’ মানুষ সংগঠিত হয়ে হামলা করল সেটাও সম্ভব হতো না। কেননা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জানে যে এধরনের একটা তৎপরতা চলছে। কাজেই সেটা ঠেকিয়ে দেয়ার জন্য তারা যদি উদ্যোগ গ্রহণ করতেন তাহলে এমনটি হতো না। আর সবচেয়ে বড় কথা আলেম সমাজকে এবং হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের যুক্ত করে যদি প্রশাসন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করত তাহলে এই ধরনের অস্থিরতাকে দ্রুত থামিয়ে দেয়া সম্ভব হতো।
তো জনাব জোনায়েদ সাকি- বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে রেডিও তেহরানের সাথে কথা বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর শ্রোতাবন্ধুরা! আগামী সপ্তাও এ বিষয়ে কথা বলব। তো আলাপনের সে আসরেও আমাদের সাথে থাকতে ভুলবেন না। #
পর্ব: ২
রেডিও তেহরান: জনাব, জোনায়েদ সাকি, সম্প্রতি বাংলাদেশের কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে এবং তাতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। আপনি প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে এধরণের সহিংসতার পেছনে কোনো কোনো পক্ষ উসকানি দিয়ে থাকে। তবে ঘটনার সময় প্রশাসন,পুলিশ কিংবা নিরাপত্তাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবারও। বলা হচ্ছে সময় মতো তারা যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তো এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
জোনায়েদ সাকি: এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্নের জায়গা তৈরি করেছে। ঘটনাগুলো পরিকল্পিত। আগেও আমি বলেছি উপমহাদেশে সাম্পদ্রায়িক সহিংসতা ভিত্তি এবং বাস্তবতা আছে আছে সাংস্কৃতিক ভিত্তি। আর বিশেষ করে বর্তমান সরকারের ১২ বছর ক্ষমতায় থাকা। ২০১৪ সালের পর থেকে ১৮ সালের তথাকথিত নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় আসেন সেটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক জমিনটাকে আরও পোক্ত করেছে। কারণ ন্যায্য কারণেই বাংলাদেশের মানুষের ধারনা বর্তমান সরকার ভারত রাষ্ট্র এবং ভারতের সরকার, ভোট ছাড়া নির্বাচনে তাদের ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করছে। ফলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক জমিন অনেক পোক্ত হয়েছে। বিচার্য হয় ভারত হিন্দুপ্রধান রাষ্ট্র আর বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। আর এরকম ভিত্তির মধ্যে মেরুকরণটা যদি এভাবে হয় যে-এখানে হিন্দুদের উপর হামলা হচ্ছে তা ভারতের বিজেপি সাহায্য করে অন্যদিকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা বর্তমান সরকারকে আবার সাহায্য করে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিরোধী শক্তিকে এমন একভাবে চিহ্নিত করেই তারা তাদের ক্ষমতাটাকে জায়েজ করতে চায়। যেখানে জনগণের কোনো সম্মতি নেই।
রেডিও তেহরান: জনাব জোনায়েদ সাকি, এই যে সাম্প্রদায়িক সহিসংসতা ঘটেছে- একে এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, এটি দেশের জন্য অশনি সংকেত। আর অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ঐ ঘটনার দায় সরকারের। দুজন অধ্যাপক এই যে দুটো মন্তব্য করেছেন এসব মন্তব্যকে আপনি কিভাবে দেখেন?
জোনায়েদ সাকি: দায় তো সরকারের। কারণ তাদের নিষ্ক্রিয়তাই তার প্রমাণ। এধরনের হামলাগুলো যে ঘটতে পারল এখানে তাদের প্রচ্ছন্ন সমর্থন পরিষ্কার।
এই পুলিশ বাহিনীর সরকারের দোর্দাণ্ড প্রতাপে বিরোধী দল রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারে না। যেখানে আমাদের দেশের অন্যতম একজন বুদ্ধিজীবী এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা একটি আর্টিকেলকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধেও কটূক্তির মামলার আবেদন করা হয় সেখান থেকে স্পষ্ট এখানে একটা ভয়ের পরিবেশ আছে। সেইখানে কিভাবে স্বশস্ত্র হয়ে একদল লোক কিভাবে মর্মান্তিক এইসব হামলা চালাতে পারল!কারণ তারা জানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে তেমন কোনো প্রতিরোধের ব্যবস্থা করবে না। প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়নি। সেদিক থেকে এটি সরকারের দায়। কেননা সরকারেরই এদেশের মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার কথা।
রেডিও তেহরান: জনাব সাকি, মিউজিক বিরতির আগে আপনি বলছিলেন সহিংসতার সময় প্রতিরোধের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না-এটি দুঃখজনক। আর তার দায় সরকারের। প্রসঙ্গ ধরেই জানতে চাইব-সব মানুষই দেশের নাগরিক সেখানে সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘুর বিভাজনটিকে আপনি কিভাবে দেখেন?
জোনায়েদ সাকি: এই যে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুর বিভাজন, এটি খুবই বিপজ্জনক ও অপমান বিভাজন। দেশের প্রতিটি মানুষ-তিনি যে ধর্মের, যে জাতীয় পরিচয়ের, যে লিঙ্গের হোন না কেন তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তারা মর্যাদা জীবনের নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ফলে এ ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে। কারণ সরকার যখন এসব বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তখন দায় তো সরকারের ওপরেই পড়ে।
তো জনাব জোনায়েদ সাকি- বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে রেডিও তেহরানের সাথে কথা বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১২