-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৬): ইরানি সাহসি যোদ্ধা ও কমান্ডার আব্বাস বাবায়ি
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৫:১৯প্রকৃতপক্ষে ইরাক-ইরান যুদ্ধে জয়-পরাজয় নির্ধারণে যে বিষয়টি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে তা ছিল ইরানি যোদ্ধাদের গভীর ধর্মীয় বিশ্বাস। পরকালকে সামনে রেখে পার্থিব জীবনকে সাজিয়ে নেয়ার নামই ধর্মীয় বিশ্বাস। এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী একজন মানুষ পৃথিবীর কোনো ঘটনাকেই পরকালের সঙ্গে সম্পর্কহীন মনে করেন না বরং তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করেন পৃথিবীতে তিনি যা কিছু করেন তার প্রতিটি কাজের হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৫): তেহরানের কাছে বাগদাদের শোচনীয় পরাজয়ের কারণে
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৫:১২ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুধু যে তৎকালীন পরাশক্তিগুলো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোই ইরাকের পাশে দাঁড়িয়েছিল তাই নয় সেইসঙ্গে ইসলামি সম্মেলন সংস্থা বা ওআইসি এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বা ন্যামের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও সাদ্দাম সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৪): ইরাক সরকারের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহ
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৪:৪৯ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তৎকালীন দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পর ইরাকের সাদ্দাম সরকারকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। দুই পরাশক্তির মতো তাদের ইউরোপীয় মিত্ররাও ইরাক-ইরান যুদ্ধের শুরুতে অর্থপূর্ণ নীরবতা অবলম্বন করে। ইরাককে হামলা থেকে বিরত রাখা তো দূরের কথা এমনকি তারা ইরানের ওপর ইরাকি বাহিনীর আগ্রাসনের নিন্দা পর্যন্ত জানায়নি।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৩): যুদ্ধের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দ্বৈত আচরণ
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৪:৩৩ইরাকের সাদ্দাম সরকারের প্রতি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দুই পরাশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা ছিল পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের একটি বড় বৈশিষ্ট্য। ১৯৭৯ সালে ইরানে অনুষ্ঠিত ইসলামি বিপ্লব ওই দুই পরাশক্তির সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। পাশাপাশি বিশ্বের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকারীরা এই বিপ্লব থেকে পেয়েছিল অনুপ্রেরণা। সাদ্দামের নেতৃত্বাধীন ইরাকের বামপন্থি বাথ সরকার ছিল প্রাচ্যের পরাশক্তি অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিপূর্ণ অনুগত।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩২): আত্মিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ইরানি যোদ্ধাদের যুদ্ধে জয়লাভ
অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১৮:৫১গত কয়েক আসরে আমরা ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ইরানি শিবিরের আধ্যাত্মিক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেছি। ইরানি যোদ্ধাদের যদি আধ্যাত্মিক জগতে এত উন্নতি না থাকত এবং আত্মিক দিক দিয়ে তারা যদি শক্তিশালী না হতো তাহলে ওই যুদ্ধের পরিণতি অন্যরকম হতে পারত। কারণ, সেনাসংখ্যা এবং সমরাস্ত্রের দিক দিয়ে ইরাকের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে ইরানের কোনো তুলনা ছিল না।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩১): পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধে মানসিক উদ্দীপনা ও সাহস
অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১৬:৫৫ইরাকের সাদ্দাম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানের সেনা শিবিরগুলোতে সব সময় আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করত। এই পরিবেশ থেকে আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল তা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকারী দেশগুলোর আদর্শে পরিণত হয়েছে।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস ইতিহাস (১৩০): ঐশী ও বস্তুবাদী বিশ্বাস এবং যেকোনো যুদ্ধে এই বিশ্বাসের প্রভাব
অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১৬:৩৭যুদ্ধ শব্দটি শুনলে যেকোনো শ্রোতার মানসপটে হত্যাকাণ্ড, রক্তপাত ও নৃশংসতার কথা ভেসে ওঠে। কিন্তু আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধে ইরানি যোদ্ধারা কখনোই এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবেননি। তারা বরং একনিষ্ঠতা, আত্মত্যাগ, সাহস, বিনয় ও শাহাদাপিয়াসি মনোভাবে এতখানি অগ্রসর ছিলেন যে, কোনো বস্তুবাদী মানদণ্ড দিয়েই তা পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (পর্ব-১২৯): ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর চিন্তাদর্শনে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব
অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১৫:৪৭ইমাম খোমেনি (রহ.) আল্লাহর প্রতি ঈমান ও তাঁর ওপর পরিপূর্ণ নির্ভরতার মাধ্যমে আগ্রাসী ইরাকি বাহিনীর আগ্রাসন প্রতিহত করতে বিশাল বাহিনী তৈরি করেছিলেন। এর ফলে ইরানের গোটা সেনাবাহিনী যুদ্ধের ময়দানে ঈমানি শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠে। আর ঈমান গোটা পরিস্থিতিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। ঈমানের কাছে যদি হাতিয়ার না থাকে তাহলে তার পক্ষে কিছু সম্ভব নয়।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (পর্ব-১২৮): যুদ্ধের ময়দানে ইরান শিবিরের আধ্যাত্মিক পরিবেশ
অক্টোবর ১৫, ২০২২ ১৬:০২আজ আমরা যুদ্ধের ময়দানে ইরান শিবিরের আধ্যাত্মিক পরিবেশ নিয়ে কথা বলব।
-
ইরানে দেশজুড়ে চলছে সামরিক কুচকাওয়াজ; রেজওয়ান ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ ১৭:০১ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথমবারের মতো ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র 'রেজওয়ান' প্রদর্শন করেছে।