Pars Today
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)’র চরিত্র ও চিন্তাধারা মানব জাতির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখতে সক্ষম হয়েছে।
যেসব অমুসলিম মনীষী পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মহানবীর (সা) মহত্ত্ব নিয়ে প্রশংসাসূচক ও গবেষণাধর্মী বই লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন প্রখ্যাত জার্মান প্রাচ্যবিদ মিসেস অ্যান ম্যারি শিমেল তাঁদের একজন।
মহানবীর (সা) আবির্ভাব কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে এনেছে আধ্যাত্মিক বিপ্লব এবং তার একত্ববাদের দাওয়াত মানুষকে জ্ঞান, মনুষ্যত্ব ও উন্নত নৈতিক চরিত্র অর্জনে উৎসাহ যুগিয়েছে।
মহানবী (সা) ও ইসলাম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের যেসব মনীষী আকর্ষণীয় মন্তব্য করে খ্যাতিমান হয়েছেন তাদের মধ্যে উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট অন্যতম।
মহানবীর (সা) নাম তথা মুহাম্মাদ নামের অর্থই হল প্রশংসিত। নজিরবিহীন সব মানবীয় ও আধ্যাত্মিক গুণের অধিকারী এবং অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই মহামানব তাই যুগে যুগে সব মহলেই হয়েছেন ও হচ্ছেন এবং হতে থাকবেন প্রশংসিত।
গত পর্বের আলোচনায় আমরা মহানবীর (সা) প্রশংসায় লেখা ফরাসি খ্যাতিমান সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর কবিতা সম্পর্কে কথা বলেছি।
গত পর্বে আমরা বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক ও কবি ভিক্টর হুগোর “La Légende des siècles” বা শতাব্দিগুলোর কিংবদন্তি শীর্ষক কবিতায় ইসলাম ও মহানবীর (সা) চিত্র সম্পর্কে কিছুটা জেনেছি।
প্রখ্যাত ইংরেজ মনীষী জন ডেভেনপোর্ট মহানবী (সা) ও ইসলাম সম্পর্কে যেসব স্মরণীয় বক্তব্য রেখেছেন সে বিষয়ে আমরা আলোচনা শুনেছি গত পর্বে। আজকের পর্বের প্রথম দিকেও একই বিষয়ে তার আরও কিছু বক্তব্য শুনব।
আজ আমরা মহানবী (সা) সম্পর্কে মূলত বিশিষ্ট প্রাচ্যবিদ জন ডেভেনপোর্ট-এর মন্তব্য তুলে ধরব।