নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রেসিডেন্টের সংলাপ অর্থহীন: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার কোনো সুযোগ নেই বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা তো এই সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি। আমরা মনে করি, বর্তমান যে রাজনৈতিক সঙ্কট, সেই সঙ্কটটা নির্বাচন কমিশন গঠনের সঙ্কট নয়। আর আইন তৈরি করারও সঙ্কট নয়। প্রধান যে সংকট সেটা হলো, নির্বাচনকালীন কোন রকম সরকার থাকবে? সেটাই হচ্ছে প্রধান সঙ্কট।“
তিনি বলেন, “যদি আওয়ামী লীগ সরকারে থাকে তাহলে তো এই নির্বাচনের কোনো মূল্যই হতে পারে না এবং কোনো অর্থই হতে পারে না। অবশ্যই আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচনকালীন একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। যারা নিরপেক্ষভাবে একটা ইসি গঠন করে তাদের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
এ জন্য বিএনপি কোনো প্রস্তাব দেবে কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো প্রস্তাব দিয়েই রেখেছি। আমাদের প্রস্তাব তো সকলের কাছে এবং প্রকাশ্য জনগণের কাছে ওপেন আছেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার কোনো সুযোগ আইনে নেই, সরকারের দুই মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের (সরকার) কথায় সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই করা হয়েছে। আর আজকে যে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও কোনো আইনি ব্যাপার নয়। সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়। আজকে শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই এ ধরনের একটা অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন।”
নতুন বছরে প্রত্যাশা সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নববর্ষে জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করি এই নববর্ষে জনগণ মুক্ত হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং দেশে অবশ্যই আমরা একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।
এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুগ্ম সম্পাদক তানজিল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।