ডায়াবেটিস নিয়ে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের সাফল্য
বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের সাফল্য: ডায়াবেটিসের নতুন কারণ আবিষ্কার
-
বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার
ডায়াবেটিস রোগের নতুন একটি কারণ আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। নতুন কারণটি হলো আইএপি (ইন্টেস্টিনাইল অ্যালকেলাইন ফসফেটাস) কমে যাওয়া। আজ (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আবিষ্কারের তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আবিষ্কারের এ বিষয় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
মূল গবেষক মধু এস মালো সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ বছরে ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫৭৪ জন মানুষের ওপর গবেষণা করে ডায়াবেটিসের এই নতুন কারণ সম্পর্কে জানা গেছে। গবেষণার ফলাফল ইতিমধ্যে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে ছাপা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, যাঁদের আইএপি কমে যায়, তাঁদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। এই আবিষ্কার থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও বড় কাজ করতে সক্ষম।
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বারডেম,ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।
উল্লেখ্য, পঞ্চাশ দশকের শুরুর দিকে নানা রকম সংক্রামক ব্যাধিতে মানুষ মারা যেত। সে সময় মানুষের গড় আয়ু ছিল ৩০ বছর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে এখন যক্ষ্মা, কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়ার মতো অসুখে মৃত্যু কমে এসেছে। গড় আয়ুও বেড়েছে।
ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. ইব্রাহিম চিন্তা করেছিলেন যখন মানুষের গড় আয়ু বাড়বে, তখন বয়সজনিত রোগও বেশি দেখা যাবে। ডা. ইব্রাহিম আরও মনে করতেন, বহুমুখী ও দীর্ঘমেয়াদি এ রোগ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পেতে হলে চিকিৎসকের পাশাপাশি রোগীকেও চিকিৎসাবিষয়ক সিদ্ধান্তে যতটা সম্ভব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে যখন প্রথম ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তখন প্রথম ১০ মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫ জন। এখন ডায়াবেটিক সমিতির ঢাকাস্থ কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজারের মতো রোগী চিকিৎসা নিতে আসে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।