এপ্রিল ০৮, ২০২২ ১৮:০২ Asia/Dhaka
  • ক্যাম্প থেকে পালানোয় কক্সবাজারে প্রায় ৮০০ রোহিঙ্গা আটক

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে পালাতে গিয়ে গত কয়েকদিনে প্রায় আটশ’ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, বুধবার সকালে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে কাজের সন্ধানে যাওয়ার প্রাক্কালে ১২৮ জনকে আটক করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার উখিয়া স্টেশনের আশপাশ থেকে আটক করা হয় ৮০ জনকে। আর সোমবার আটক করা হয় ১৮৪ জনকে। একইদিন টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে আটক হন আরও ৫০ জন। আটকদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার উখিয়া থেকে মানবপাচার চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাই রোহিঙ্গাদের অবাধে ক্যাম্প থেকে বের হওয়াকে ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সূত্র মতে, গত ২১ মার্চ মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে উদ্ধার হন ১৪৫ রোহিঙ্গা। পাচারকারি চক্র মালয়েশিয়া বলে তাদের সোনাদিয়ার চরে নামিয়ে লাপাত্তা হয়। এছাড়া ২৫ মার্চ টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে ট্রলারের কুটরি থেকে নারী-শিশুসহ ৪৮ জনকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ ছাড়া, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পের বাইরে আসা রোহিঙ্গারা সস্তায় শ্রম বিক্রি করে। তারা বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও চালকের সহকারী বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। কেউ কেউ বাসাবাড়িতে গিয়েও কাজ করার তথ্য আছে। এতে স্থানীয় শ্রমজীবীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করছে স্থানীয়রা।

উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন বেকায়দায় স্থানীয়রা। ক্যাম্পকেন্দ্রিক সেনা কার্যক্রম ও তল্লাশি চৌকি ছিল, তা তুলে নেওয়া উচিত হয়নি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কমিটিতে রাখা হয় না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের স্বার্থ রক্ষায় কথা বলার মানুষ নেই। রহস্যময় কারণে ক্যাম্প প্রশাসন ও তদারককারী এনজিওগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়ায় রোহিঙ্গারা অবাধ বিচরণের সুযোগ পাচ্ছে বলে তাদের বিশ্বাস। #

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ