হাওর এলাকায় আগাম বন্যা, ফসল রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থার পরিকল্পনা
(last modified Fri, 22 Apr 2022 11:02:15 GMT )
এপ্রিল ২২, ২০২২ ১৭:০২ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকার ফসল রক্ষার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থার পরিকল্পনা করছে সরকার। তাছাড়া, হাওরে চাষের উপযোগী  আগাম ফসল তোলা যায় এমন জাতের ধান উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে  গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা। তবে তেমন ধান পেতে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। 

এদিকে গত দু’সপ্তাহ ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং বৃষ্টির  কারণে হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে দেখা দিয়েছে আগাম বন্যা। তলিয়ে গেছে  হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান। বছরের একমাত্র ফসল বোরো ধান কাঁচা বা আধা-পাকা অবস্থায় চোখের সামনে তলিয়ে যেতে দেখে আহাজারী করছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। পুনিতে ডুবে যাওয়া আধা-পাকা ধান যে যে ভাবে পারছে কেটে  নিচ্ছে। আশা যদি সামান্য কিছু দানাও মেলে। না হলে  গো-খাদ্য হিসেবে কাজে লাগবে। 

ওদিকে, বানের পানি থেকে ফসল রক্ষার প্রার্থনা নিয়ে স্থানীয় সনাতন  ধর্মালম্বীরা হাওরের পাশে আয়োজন করেছে বঙ্গ পুজার।

এ অবস্থায় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষি সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাওড়ের সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দরকার। এ জন্য স্থায়ী  বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং বন্যা সহনশীল ধান নিয়ে গবেষণা করছে।

এদিকে, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সঠিক পরিকল্পনার অভাব, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনসাধারণ।

তবে, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ. কে. এম. এনামুল হক আশ্বাস দিয়েছেন, হাওরের বন্যা মোকাবিলায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, দেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চলের হাওরবেষ্টিত পাঁচটি জেলায় এবছর ৪.৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে আট হাজার হেটর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে মাইকিং করে বাকি ফসল যে অবস্থায় আছে তা কেটে নেবার অনুরোধ জানানো হয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান/আশরাফুর রহমান/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।   

ট্যাগ