ট্রলারডুবির ঘটনায় তিন রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার: গুলিতে রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনজন রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ার শীলখালী এলাকা থেকে এ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফের শামলাপুর হলবনিয়া নৌঘাট থেকে ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
কোস্টগার্ডের টেকনাফের বাহারছড়া আউটপোস্ট স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোরে বাহারছড়া ইউনিয়নের হরমুনিয়া পাড়ায় সাগর থেকে সাঁতরে কিছু রোহিঙ্গাকে উপকূলে আসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে।
তবে ট্রলারে কতজন রোহিঙ্গা যাত্রী ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাগরে আরও অনেকে ভাসছে বলে উদ্ধারকৃতরা জানিয়েছে। এতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
গুলিতে রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে । এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক নারী আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নং ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ৮-এপিবিএনের অধিনায়ক এডিআইজি মো. আমির জাফর ।
নিহত শিশুর নাম তাসদিয়া আক্তার (১১)। সে ওই ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের মো. ইয়াছিনের মেয়ে। আহত নারী দিল আয়াছ (১৮) সম্পর্কে তাসদিয়ার ভাবী। তিনি একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুর এর স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাতে এডিআইজি আমির জাফর বলেন, আজ ভোররাতে উখিয়ার ১৮ নং ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ করে বিভিন্ন ঘরে হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে তারা। এতে শিশুসহ দুজন আহত হয়। খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় দুর্বৃত্তরা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করেও গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষায় এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এপিবিএন অধিনায়ক জানান, ঘটনাস্থল থেকে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসদিয়া আক্তার নামের ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দিল আয়াছের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/রেজওয়ান হোসেন/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।