জানুয়ারি ২০, ২০২৩ ১৭:২১ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর  আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। উর্দু ও আরবি ভাষার মিশ্রণে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান। সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষায় এর তরজমা করেন মুফতি জিয়া বিন কাসেম। তিন দিনব্যাপী এ পর্ব ২২ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।  

গত মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারি দুপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান দ্বিতীয় পর্বের সাদ অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বিদের কাছে ইজতেমার ময়দান বুঝিয়ে দেন। এর আগে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম পর্বের আয়োজক হাফেজ জুবায়ের অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নানসহ অন্য মুরব্বিরা জেলা প্রশাসনের কাছে ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেন। 

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেন। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জমায়েতে ময়দান ভরে গেছে। আশপাশের বিভিন্ন স্থানে জুমার নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা।  

পায়ে হেঁটে, ট্রাকে, পিকআপ গাড়ি নিয়ে যে যেভাবে পেরেছেন ইজতেমায় পৌঁছেছেন মুসল্লিরা। এসেই তাদের প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন তারা। 

অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা বলেন,ইজতেমায় বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। এখানে তারা শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান। 

জানা যায় দেশের সব জেলা থেকে এই পর্বে ৮৫ খিত্তার নজমের জামাত ইতিমধ্যে ময়দানে চলে এসেছেন। প্রতি খিত্তার জামাত, সেন্ট্রাল জামাতসহ দুই জামাতের প্রায় ২০ হাজার সাথি ময়দানে অবস্থান করছেন। 

তবে সাধারণ মুসল্লিরা বলছেন, ইসলামের আদর্শে মুসলমানরা পবিত্র কুরআনের নির্দেশ ও নবীর সুন্নাহয় ঐক্যবদ্ধ এবং তাদের জীবনকে এভাবেই তারা পরিচালিত করতে চান সব সময়। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর এই দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশকে দুই মতভেদে আলাদা করা ঠিক নয় বলেই মনে করেন আগত মুসল্লিরা।  

এদিকে, প্রথম পর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইজতেমা এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। ইজতেমায় লাখ লাখ মানুষ আসবেন। তাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। # 

পার্সটুডে/নিলয়/এমএএইচ/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ