বাংলাদেশে ছবি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র চান পর্দানশীল নারীরা
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i124606-বাংলাদেশে_ছবি_ছাড়া_জাতীয়_পরিচয়পত্র_চান_পর্দানশীল_নারীরা
জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি নয়, শুধু শুধু ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার দাবী জানিয়েছেন মহিলা আনজুমান দরবার শরীফ রাজারবাগ নামের একটি সংগঠনের নেত্রীরা। আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান মহিলা আনজুমানের মুখপাত্র শারমিন ইয়াসমিন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ১৯, ২০২৩ ১৬:০৪ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে ছবি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র চান পর্দানশীল নারীরা

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি নয়, শুধু শুধু ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার দাবী জানিয়েছেন মহিলা আনজুমান দরবার শরীফ রাজারবাগ নামের একটি সংগঠনের নেত্রীরা। আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান মহিলা আনজুমানের মুখপাত্র শারমিন ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র মুখের ছবি নেওয়ার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রের আওতায়  আসতে রাজী নয় অনেক পরদানশীল নারী। কিন্তু এনআইডি ছাড়া একজন নাগরিক ২২ ধরনের রাষ্ট্রীয় সেবা বঞ্চিন হচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে মুখের ছবি না নিয়ে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্টের ভিত্তিতে পর্দানশীন নারীদের জন্য এনআইডি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান দরবার শরীফ রাজারবাগ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রস্তাবিত ‘পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩’-এ যেন এনআইডির জন্য মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক না‌ করা,  শুধু এনআইডি নয়, রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে যেমন অফিস-আদালত, কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষার হলে অপরাধ, দুর্নীতি ও প্রক্সি রুখতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে শনাক্তকরণ/হাজিরা চালু করা, প্রয়োজনে কোন নারীর চেহারা দেখাসহ কোন সহযোগিতা যদি প্রয়োজন হয়, তবে পৃথক স্থানে নারী দিয়েই নারীর সহযোগিতার ব্যবস্থা করাসহ ছয় দফা দাবি জানান।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবী পক্ষে ৬ দফা দাবী তুলে ধরে বলা হয়, পর্দানশীন নারীদের রাষ্ট্রীয় নিবন্ধনে আসতে চাওয়া জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইতিবাচক। তাই ছবি বাধ্যতামূলক না করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডাটা নিয়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে তাদের সাদরে জাতীয় নিবন্ধনের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া। পরিচয় যাচাইয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অনেক বেশি জননিরাপত্তাবান্ধব ও দুর্নীতিরোধক, তাই এখানে ছবি নয় শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্টকেই গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে।  যেহেতু পর্দানশীন নারীরা সঠিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন, তাই অযথা মুখচ্ছবিকে বাধ্যতামূলক করে তাদেরকে এনআইডি বঞ্চিত করে রাখার কোন যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না বলেও জানান সংগঠনের নেত্রীরা।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র মুখচ্ছবি দিতে সম্মতি না দেওয়ায় নারীদের এনআইডি থেকে বঞ্চিত করে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে। নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইসি নিজেও স্বীকার করেছে- ধর্মীয় কারণে ছবি তুলতে না চাওয়ায় ভোটার তালিকায় নারীর অন্তর্ভুক্তি কম। ফলে তারা এনআইডিও পাচ্ছেন না। নারী-পুরুষের বিশাল এ পার্থক্য দেশে ভয়াবহ ‘জেন্ডার গ্যাপ বা লিঙ্গ বৈষম্য’ নির্দেশ করে, যা নারীর অগ্রযাত্রায় বড় ধরনের বাধা।

২০১৯ সালে ভার্জিনিয়া সরকার দেশটিতে ছবিবিহীন এনআইডির সুযোগ দিয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশেও চালুর জোর দাবী জানান মহিলা আনজুমানের মুখপাত্র শারমিন ইয়াসমিন। সবশেষ উপযুক্ত কারন বিবেচনায় সমস্যা দ্রুত সমাধান করে দাবীগুলো মেনে নেয়া হবে বলে আশা করেন সংগঠনের নেত্রীরা। #

 

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/এমবিএ/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।