সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় পেছানোয় সেঞ্চুরি
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় ১০০ বারের মতো পিছিয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ঠিক করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল আলম আজ (সোমবার) এই তারিখ ঠিক করেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলাটির চলমান তদন্তের শততম ধার্য তারিখ ছিল আজ। এর আগে র্যাবের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে ৯৯ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এভাবে ধারাবাহিক এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১ বছর অর্থাৎ মাসের হিসাবে ১৩৮ মাস ধরে পিছিয়েই যাচ্ছে।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। এরপর পেরিয়ে গেছে সাড়ে ১১ বছর।
এত বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে র্যাব এই সাংবাদিক দম্পতির মামলাটি তদন্ত করছে। তবে একটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য যত ধরনের উপাদান প্রয়োজন হয়, তার সব কটি এখনো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে আদালতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিয়মিতভাবে আদালতকে আমরা অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়ে আসছি।’
র্যাবের এই মুখপাত্র আরও বলেন, সাগর-রুনি খুনের প্রকৃত কারণ কী, কারা খুনে জড়িত, সেটি সুনিশ্চিতভাবে বলার মতো সুনির্দিষ্ট তথ্য–প্রমাণ এখনো র্যাবের কাছে আসেনি। তবে তথ্য সংগ্রহ চলমান রয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সেদিন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (প্রয়াত) বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। খুনের দুই দিন পর পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহামুদ খন্দকারও বলেছিলেন, তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি খুনের পর তদন্তে নামে শেরে-বাংলানগর থানা-পুলিশ। চার দিনের মাথায় তদন্তভার যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। দুই মাসেরও বেশি তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭