ঢাকায় আ.লীগের ছাত্র সমাবেশ,বিএনপির র্যালি
আওয়ামীলীগ বিএনপির ভোটের সমীকরণে স্থবিরতা কেটে যাওয়ার প্রত্যাশা
বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী উচ্চ আদালতে বাতিল হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সংসদ নির্বাচন শুধু নয়,আদর্শগত দিক থেকেও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রয়ে গেছে যোজন দূরত্ব। দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে এই দূরত্ব কমিয়ে আনা অপরিহার্য বলে মনে করা হলেও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না এ প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে।
যদিও আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না সেটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলে। তবে এরই মধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে মতামত দিচ্ছে। আবার দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ বিশেষজ্ঞ মহল মতামত দিয়ে যাচ্ছে। এমন পাল্টাপাল্টি ইস্যুতে রাজনীতির মাঠ কিছুটা গরম হয়েছে।
যদিও অনেকের ধারণা,নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়া বিএনপির হাতে কোনো বিকল্প নেই। আবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের শর্ত হিসেবে বিএনপি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় চায়—এমন কথাও রাজনীতির অঙ্গনে ভাসছে। আওয়ামী লীগ কতটুকু ছাড় দিতে প্রস্তুত,তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
এমন অবস্থায় আজ পহেলা সেপ্টেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্রমহাসমাবেশ করে আওয়ামীলীগ। আর নয়াপল্টন থেকে টিকাটুলি পর্যন্ত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যা লীতে লোকসমাগম করে বিএনপি। রাজপথের শক্তি প্রদর্শনেও এখন কেউ কেউ নিচ্ছেন ভিন্ন তরিকা।
কৌশলগত কারণে বিএনপি এখন আন্দোলন ঢিমে তাল দিয়েছে। তারা আসলে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কূটনীতিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। এমনটাই মনে হচ্ছে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের বক্তব্যে।
তবে আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার মনে করেন, সংবিধান মেনেই দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় অনুষ্ঠিত হতে হবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান//১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।