সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ ১৯:৫০ Asia/Dhaka

যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পালিত হলো পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম দিনটিকে নানা আয়োজনে উদযাপন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে র‍্যালি, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় মহানবীর জীবন আদর্শ মেনে সমাজে হানাহানি বন্ধের উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

পঞ্চগ‌ড়ে প‌বিত্র ঈ‌দে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত

প্রায় এক হাজার চারশ বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমেনা আর বাবা আব্দুল্লাহ ঘর আলো করে জন্মেছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। রাসুলের মহব্বত আর আর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এ দিনটিকে বিশ্বমুসলিম উম্মাহ ঈদ-ই মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে। দিনটি উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলিস্তানে জশনে জলুস ও ইসলামী সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। এসময় তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে শান্তিময় পৃথিবী গড়ায় মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের তাগিদ দেন।

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে র‌্যালি

এদিকে, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রতি বছরের মত স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই জশনে জুলুসের র‍্যালিতে অংশগ্রহণ নবীর প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি বলে উল্লেখ করেন নবী প্রেমের ভক্ত আশেকানরা।  মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের এই জমায়েতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জমায়েতের স্বীকৃতির দাবি করেন আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে রহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট্রের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসীন। এসময়ে বাংলাদেশ এবং বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় দোয়া করেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ।  

ঢাকায় জশনে জুলুসে র‌্যালি

উল্লেখ্য, বিজ্ঞ আলেম সমাজ ও ঐতিহাসিকদের অনেকেই বিশেষ করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী মুসলিম চিন্তাবিদদের বেশিরভাগই মনে করেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) জন্ম নিয়েছিলেন রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে। অন্যদিকে মহানবীর আহলে বাইতের অনুসারী শিয়া মুসলিম সমাজের আলেমগণ মনে করেন বিশ্বনবী (সা) জন্ম নিয়েছিলেন ১৭ রবিউল আউয়াল এবং তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন সফর মাসের ২৮ তারিখে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ