জুলাই ০২, ২০২৪ ০৯:৪৮ Asia/Dhaka
  • তিউনিশিয়ার অধিবাসীরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কার চান
    তিউনিশিয়ার অধিবাসীরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কার চান

পার্সটুডে- উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার জনগণ ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দেশটি থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

তিউনিশিয়ার হাজার হাজার মানুষ রোববার রাজধানী তিউনিসে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং গাজায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানান। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, বিক্ষোভকারীরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের অকুণ্ঠ সমর্থনের নিন্দা জানান এবং তিউনিশিয়া থেকে মার্কিন দূতাবাসকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তিউনিশিয়ার বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, দক্ষিণ লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করার অর্থ হবে ইসরাইলি বাহিনীর নিজের হাতে নিজের কবর খোঁড়া।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলতে থাকায় মুসলিম দেশগুলোতে তেল আবিবের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। মুসলিম বিশ্বের সাধারণ মানুষ তাদের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষপাতী।

ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বহু দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন কামনা করে। এসব দেশ মনে করে, ইসরাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিবাদীদের উচিত এই অবৈধ ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। #

পার্সটুডে/এমএমআই/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ