চরাঞ্চলে ভালো ফলন হওয়ায় বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ ; চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’
(last modified Sat, 20 Jan 2024 12:31:45 GMT )
জানুয়ারি ২০, ২০২৪ ১৮:৩১ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন চরাঞ্চলে বাড়ছে কৃষির আবাদ। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে যমুনার চরে বিভিন্ন কৃষি আবাদে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এখন সবুজের সমারোহ, জমিগুলো আসছে চাষের আওতায়। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠের পরিচর্যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, একসময়ের প্রমত্তা যমুনার ভাঙ্গন কবলিত চরাঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদামের আবাদ হচ্ছে। বারির উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন।

তিস্তার বিস্তৃত চারণভূমিও এখন আবাদযোগ্য জমি। চরগুলোতে এখন নানা জাতের ফসল আবাদ করে সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন চাষাবাদের সঙ্গে বাড়ছে সাবলম্বী পরিবারের সংখ্যাও।

চরের হাজারো কৃষকের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। তিস্তার বিভিন্ন চরে আলু, রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, শশা ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসলের পরিচর্যা চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। যেসব ফসল একটু আগাম রোপণ করা হয়েছে, এখন সেগুলো তোলা হচ্ছে বাজারে। আবার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরাসরি চরেও আসছেন কিছু কিছু পাইকার। এখানে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।

নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে নদীর চরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে। খরস্রোত নদীর চরের এখন সব দিকটাই সবুজপ্রান্তর। এই মৌসুমে উত্তরের চরগুলোতে বেড়েছে চাষাবাদ।

নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চর ঘিরে কৃষকের ব্যস্ততা উত্তরাঞ্চলে। এ অঞ্চলের চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’।

শুধু ফসল উৎপাদনেই থেমে নেই চরাঞ্চলের কৃষকরা। বছরে ২৫ লাখ গবাদিপশুর যোগানও দিচ্ছেন তারা। তবে আকস্মিক বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় সময়ই তাদের হোঁচট খেতে হয়। চরের জমিতে চাষাবাদে প্রধান সমস্যা সেচ ব্যবস্থা। সমস্যা সমাধানে চরে গভীর কূপ খনন, সোলার পাম্প স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। চলতি মৌসুমে এ এলাকায় ৪৯ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। বিঘাপ্রতি চাষে খরচ হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব বাদাম চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বারি সরেজমিন গবেষনা বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল হেলিম খান। চরাঞ্চলের পরিত্যক্ত এসব জমিগুলো চাষের আওতায় আনা হলে  আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা কৃষি সংশ্লিষ্টদের। #

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/বাবুল আখতার/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ