মার্চ ০৮, ২০২৪ ১৮:২৯ Asia/Dhaka

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জ্বালানি বিশ্লেষক ও ভোক্তা সংগঠনের নেতারা। তারা বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

গ্রাহক পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি সর্বনিম্ন ২৮ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা পঁয়ত্রিশ পয়সা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার তা পরোয়া করে না। দুর্নীতি ও লুটপাটের ওপর নির্ভর করার জন্য জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সরকারি প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক ব্যবস্থাপনার পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানাচ্ছেন। বিশেষ করে এই খাতের আর্থিক দুর্দশার আরও কার্যকর সমাধান হিসেবে অতিরিক্ত ও বিতর্কিত ব্যয়ের দিকে ইঙ্গিত করছেন তারা।

বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ বলছে, বর্তমানে ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রয়েছে। ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সরকারের চুক্তিকেই এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে। কিন্তু বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মনে করেন, এই বৃদ্ধি খুবই সামান্য।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এস এম শামসুল আলম বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির বোর্ডের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে বড় আকারের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি পর্যন্ত- ব্যাপক অযৌক্তিক খরচ রয়েছে। এছাড়া দাম বৃদ্ধির ওপর আর্থিক সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও জাতীয় অর্থনীতির ওপর থেকে আর্থিক চাপ কমানোর লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের। তারা বলছেন, খুচরা ভোক্তাদের ওপর এ প্রভাব সর্বনিম্ন রাখা হবে। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রথাগত শুনানি পাশ কাটিয়ে প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে পাইকারি বিদ্যুতের দামে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকারের অভ্যন্তরের সূত্রগুলো।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ