২১ গুণীকে একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সমাজ প্রগতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১জন বিশিষ্ট গুণীজনকে এ বছরের একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশিষ্ট গুণীজনদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার - একুশে পদক -প্রদান করা হয়ে থাকে।এ পুরষ্কারের অংশ হিসেবে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
চলতি বছরের একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন: অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদী (মরণোত্তর), ইলিয়াস কাঞ্চন, আ. জা. ম. তকীয়ুল্লাহ (মরণোত্তর), অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম, শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, মো. খুরশীদ আলম, মতিউল হক খান, বেগম মীনু হক (মীনু বিল্লাহ), হুমায়ুন ফরিদী (হুমায়ুন কামরুল ইসলাম), নিখিল সেন (নিখিল কুমার সেনগুপ্ত), কালিদাস কর্মকার, গোলাম মুস্তাফা।
সাংবাদিকতায় একুশে পদক পেয়েছেন রণেশ মৈত্র। গবেষণায় ভাষা সৈনিক প্রফেসর জুলেখা হক। অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী।
সমাজসেবায় একুশে পদক প্রাপ্ত ইলিয়াস কাঞ্চন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে রেডিও তেহরানকে বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত হবার পর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আজ চব্বিশ বছর পর রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত। তবে সেদিনই এ আনন্দ পরিপূর্ণ হবে যেদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে।“

একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতির স্বকীয়তা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নিজেদের গৌরবগাঁথা নিজেদেরই সংরক্ষণ ও প্রচার করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বিভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলো তুলে ধরতে হবে। আমাদের জামদানি রয়েছে, সেটির অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমরা সে অধিকার ফিরে পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি পেয়েছি। নকশীকাঁথা ও সিলেটের শীতল পাটির ঐতিহ্যের স্বীকৃতি মিলেছে। এগুলো আমাদের অর্জন।
এ সময় স্বাধীনতার অর্জন যেন কোনোভাবেই নস্যাৎ না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন,পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এখনও সক্রিয় তাই দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর বারবার আঘাত আসছে।#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/ রেজওয়ান হোসেন/২০