ভুটানের সঙ্গে ৫ সমঝোতা স্মারক সই
(last modified Sat, 13 Apr 2019 12:05:30 GMT )
এপ্রিল ১৩, ২০১৯ ১৮:০৫ Asia/Dhaka
  • ভুটানের সঙ্গে ৫ সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ধারাবাহিকতায় আজ ৫টি সমঝোতা স্মারক (এম ও ইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব স্মারক সই হয়।

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো সরকার প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। বাংলাদেশকে স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতি দাতা দেশ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এর সাথে একান্তে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

পরে ৩০ সদস্য নিয়ে সফরে আসা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা। এরপর, দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পাঁচটি সমঝোতায় সই করে ঢাকা-থিম্পু।

এসব সমঝোতা স্মারক এবং দি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সমঝোতা চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে কার্গো ট্র্যান্সপোর্টেশন, স্বাস্থ্য, কৃষি, পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়বে এবং প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতে দুই দেশের জনপ্রশাসন ট্রেনিং সেন্টার প্রশিক্ষক বিনিময় করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত এবং দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আরো জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে ভুটান। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের শূন্যতা পূরণ করতে চায় দেশটি।

পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সার্ক স্কলারশীপের আওতায় মেডিকেল এবং প্রকৌশল বিভাগে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে, মেডিকেল ও নার্সিং মিলে এখন প্রতিবছর ১০ জন করে সুযোগ পায়। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুই দেশের বৈঠকের সূত্র ধরে সেটাকে ১৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কয়েকটি সেক্টরে ট্রেড বিজনেস এবং কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভুটান ১৬টি বিষয়ে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টি দেখবেন। এটা অনেকদিন ধরেই আলোচনার মধ্যে আছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ভুটান সফরে গেছেন তখনই এটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল।

‘ট্রানজিটের ক্ষেত্রে আপনারা জানেন একটা বড় ধরনের উদ্যোগ এই অঞ্চলে আছে। যেটাকে বিবিআইএন বলা হয়। বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া এবং নেপালের রোড এবং রেলওয়ে কানেক্টটিভিটির জন্য। এটা যদিও সমঝোতা সই করেছি কিন্তু এটা অনুস্বাক্ষরের ব্যাপার। ভুটান এখনো তাদের পার্লামেন্টে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করতে পারেনি, এটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।ভুটানের নতুন সরকার বলছে যে, তারা নতুন আঙ্গিকে এই জিনিসটা আপার চেম্বারে আপার সিনেটে নিয়ে আসবেন আলোচনার জন্য। তারা খুবই আশাবাদী।’ যোগ করেন পররাষ্ট্রসচিব।

শহিদুল হক বলেন, ‘আমরা দশটি বিষয়ে ডিউটি ফ্রি কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছি। তারাও বেশকিছু জিনিসের উপর ডিউটি ফ্রি কোটা ট্রেড চেয়েছে। ভুটান ডব্লিউটিওর সদস্য না হওয়ায় তাদের নিজস্ব কিছু প্রথা আছে। তাই কোটামুক্ত, শুল্কমুক্ত প্রশ্ন উঠছে।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১৩

 

 

ট্যাগ