৯ দফা দাবিতে এবার ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে খুলনার পাটকল শ্রমিকরা
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i69578-৯_দফা_দাবিতে_এবার_৯৬_ঘণ্টার_ধর্মঘটে_খুলনার_পাটকল_শ্রমিকরা
বাংলাদেশের খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে আজ থেকে তৃতীয় দফায় ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছে শ্রমিকরা। বকেয়া মজুরি প্রদান ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার সকাল ৬ টা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের উৎপাদন বন্ধ করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রাজপথ-রেলপথে অবরোধ করে এ ধর্মঘট পালন করেন তারা।
(last modified 2025-10-04T05:57:22+00:00 )
এপ্রিল ১৫, ২০১৯ ১৩:৪৬ Asia/Dhaka
  • ৯ দফা দাবিতে এবার ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে খুলনার পাটকল শ্রমিকরা

বাংলাদেশের খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে আজ থেকে তৃতীয় দফায় ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছে শ্রমিকরা। বকেয়া মজুরি প্রদান ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার সকাল ৬ টা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের উৎপাদন বন্ধ করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রাজপথ-রেলপথে অবরোধ করে এ ধর্মঘট পালন করেন তারা।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ও পাটকল শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর আগেও দু’দফা পাটকলের উৎপাদন বন্ধ এবং সড়ক-রেলপথে অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলো শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেছেন, আজ সোমবার থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাটকলে ৯৬ ঘণ্টা পাটকল ধর্মঘট এবং এ সময় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা  হবে। এরপর বিরতি দিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল গেটসভা এবং ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার পাটকল ধর্মঘটসহ প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সড়কে শ্রমিকদের অবস্থান

এদিকে পাটকল শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হওয়ায় আজ ভোর ৬ টা থেকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। একই সঙ্গে নগরীর দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করায় খুলনা-যশোর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

উল্লেখ্য, খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত খালিশপুর, দৌলতপুর, ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, ইস্টার্ন, আলীম, জেজেআই ও কার্পেটিং মোট ৯টি জুট মিলের প্রায় ৩৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তাদের ৬ থেকে ১০ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে তাদের নিয়মিত মজুরি প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে মিলগুলোতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার উৎপাদিত পাটজাত পণ্য অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিজেএমসির কর্তৃপক্ষ জানায়, খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের ৪২ কোটি টাকার মজুরি এবং কর্মচারী-কর্মকর্তাদের আরো ১০ কোটি টাকার বেতন বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৫