১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের নৌ-পরিবহন ধর্মঘট শুরু
বাংলাদেশে নৌ-পরিবহন শ্রমিকরা আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করায় দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। কর্মবিরতির কারণে দেশের দু’টি সমুদ্র বন্দর- চট্টগ্রাম ও মংলায় বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে ছোট আকারের লাইটার জাহাজে পণ্য স্থানান্তর কাজও বন্ধ রয়েছে।
নৌযান শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন’ তাদের ১১ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার রাত ১২টা এক মিনিটে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে লাগাতার এই কর্মবিরতি শুরু করে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেছেন, সারা দেশে ২ লাখ নৌযান শ্রমিক কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন। নৌপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার এই কর্মবিরতি চলবে।
আন্দোলনরত নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নৌপথে চাঁদাবাজি ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, নৌযান শ্রমিকদের পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান, দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, খাদ্য ভাতা প্রদান, শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথে প্রয়োজনীয় বয়া ও মার্কা স্থাপন ইত্যাদি।
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য নৌপথ থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোর চালকরা বলেছেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আজ থেকে কোনো লঞ্চ চলাচল করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দর চাঁদপুর থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারণে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। এ কারণে চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা রুটে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন লঞ্চযাত্রীরা। বিশেষ করে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, নোয়াখালীসহ হাজার হাজার নৌরুটে যাতায়াত করতে না পারায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৬